PIB Headquarters

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

Posted On: 14 SEP 2020 6:19PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

 

 

নিরন্তর অগ্রগতির পথে ভারতে সস্থতার হারে বেড়ে ৭৮ শতাংশ; নিশ্চিতভাবে আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে ২৮ লক্ষের বেশি; নিশ্চিতভাবে আক্রান্তদের মধ্যে ৬০ শতাংশই পাঁচটি সর্বাধিক প্রভাবিত রাজ্য থেকে
ভারত করোনায় আরোগ্য লাভের অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রেখে আজ আরও একটি নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। ধারাবাহিক অগ্রগতির প্রবণতা বজায় রেখে সুস্থতার ৭৮ শতাংশে পৌঁছেছে। এথেকেই প্রমাণিত হয়, দৈনিক ভিত্তিতে আরোগ্য লাভের হার ক্রমশ বাড়ছে। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৭৭,৫১২ জন করোনা রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন। এর ফলে, মোট সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৭ লক্ষ ৮০ হাজার ১০৭। একইভাবে, নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এবং সুস্থতার সংখ্যার মধ্যে ফারাক ক্রমশ বেড়ে আজ প্রায় ২৮ লক্ষ হয়েছে। দেশে আজ পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লক্ষ ৮৬ হাজার ৫৯৮। দেশে নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের ৬০ শতাংশই পাঁচটি রাজ্য থেকে। এগুলি হল – মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু। এমনকি, এই রাজ্যগুলি থেকে মোট সুস্থতার ৬০ শতাংশই আরোগ্য লাভ করেছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৯২,০৭১ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে মহারাষ্ট্র সবার ওপরে রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় মহারাষ্ট্রে আরও ২২ হাজার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৯,৮০০-রও বেশি। দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের প্রায় ৬০ শতাংশই পাঁচটি রাজ্য থেকে। এগুলি হল – মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও উত্তরপ্রদেশ। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ১,১৩৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এঁদের মধ্যে প্রায় ৫৩ শতাংশের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও উত্তরপ্রদেশ থেকে। এরপর রয়েছে তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব ও অন্ধ্রপ্রদেশ। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় মোট মৃত্যুর ৩৬ শতাংশই ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। এই রাজ্য গতকাল ৪১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1653936 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

কোভিড-১৯ মহামারী সম্পর্কে এবং এই মহামারী মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলির বিষয়ে লোকসভা/রাজ্যসভায় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধনের স্বতঃপ্রণোদিত বিবৃতির মূল অংশ
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1653946 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের ক্ষেত্রেও আয়ুষ চিকিৎসা পদ্ধতিকেও প্রতিকারের উপায় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কোভিড পরবর্তী সময়ে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রোটোকল জারি করেছে। এই প্রোটোকলে কোভিড-১৯ থেকে আরোগ্য লাভ করা ব্যক্তিদের বাড়িতে থেকেই প্রতিকারের বিভিন্ন ব্যবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। তবে, এই প্রোটোকল রোগীদের উপশমের কোনও চিকিৎসা পদ্ধতি নয়। এমনকি, মন্ত্রকের এই প্রোটোকলে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী, যাঁরা সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদের দ্রুত সুস্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে একাধিক আয়ুষ পদ্ধতিকে সামিল করা হয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1654033 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য
……. দীর্ঘ অন্তরালের পর আজ আপনাদের সবার সঙ্গে দেখা হল। আপনারা সবাই ভালো আছেন তো? আপনাদের পরিবারে কোন সঙ্কট আসেনি তো? চলুন, ঈশ্বর আপনাদের ভালো রাখবেন। এক বিশেষ আবহে আজ সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। করোনাও আছে, কর্তব্যও আছে। কিন্তু আমাদের সাংসদরা কর্তব্যের পথটাকেই বেছে নিয়েছেন। আমি দলমত নির্বিশেষে সমস্ত সাংসদদের এই উদ্যোগের জন্য শুভেচ্ছা জানাই, অভিনন্দন জানাই এবং ধন্যবাদও জানাই। বাজেট অধিবেশন নির্ধারিত সময়ের আগেই থামিয়ে দিতে হয়েছিল। এবারও দিনে দু'বার, একবার রাজ্যসভার জন্য একবার লোকসভার জন্য সময় বদলাতে হয়েছে। এবার শনি ও রবিবারের অধিবেশনও বাতিল করে দিতে হয়েছে। কিন্তু সকল সদস্যরা এই সিদ্ধান্তকে স্বীকার করেছেন, স্বাগত জানিয়েছেন এবং কর্তব্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই অধিবেশনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। আর আমাদের সকলের অভিজ্ঞতা হল লোকসভায় যত বেশি আলোচনা হয়, যত বিতর্ক হয়, যত গভীর আলোচনা হয়, যত বৈচিত্র্যপূর্ণ আলোচনা হয়, ততই এই সভা ও বিষয়বস্তুর প্রতি সুবিচার করা হয় এবং দেশ অনেক লাভ হয়।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1653927 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।


সমস্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রে অক্সিজেনের সরবরাহ নিশ্চিত করতে ৭টি রাজ্যকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব, শিল্প অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য সচিব এবং ফার্মাসিউটিক্যাল সচিব অনুরোধ করেছেন
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আজ একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করে। এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব, শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য সচিব, ফার্মাসিউটিক্যাল সচিব ছাড়াও মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য সচিব ও শিল্প সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। সমস্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে প্রয়োজন অনুসারে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে বৈঠকে রাজ্যগুলির প্রতি আবেদন জানানো হয়েছে। বৈঠকের শেষে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য এবং রেলমন্ত্রী শ্রী পিয়ূষ গোয়েল বক্তব্য রেখেছেন।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1653806 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

ডঃ হর্ষ বর্ধন ‘সানডে সংবাদ’-এর মাধ্যমে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন আজ ‘সানডে সংবাদ’ প্ল্যাটফর্মে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একাধিক প্রশ্নের জবাব দেন। পোস্ট করা প্রশ্নগুলির মধ্যে কেবল বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিষয়ই ছিলনা, সেইসঙ্গে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের প্রয়াস, কোভিড পরবর্তী বিশ্বে সম্ভাব্য পরিবর্তন এবং এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণের মতো বিষয়গুলিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ডঃ হর্ষ বর্ধন জানান, করোনা টিকার উদ্ভাবনের বিষয়ে দিনক্ষণ স্থির না হলেও আগামী বছরের প্রথম তিনমাসে কোন একটি দিন স্থির হতে পারে। তিনি আরও জানান, করোনা টিকার মানব দেহে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপারে সরকার যাবতীয় সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। এদিকে করোনা টিকা সম্পর্কিত জাতীয় স্তরের বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী, যার নেতৃত্বে রয়েছেন নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ডঃ ভি কে পল, টিকাকরণের বিষয়ে বিস্তারিত রণকৌশল প্রণয়ন করছে। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, যাদের সর্বাধিক প্রয়োজন রয়েছে তাদেরকেই টিকাকরণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে টিকার মাশুল প্রদানের বিষয়টিকে বিবেচনায় রাখা হবেনা।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1653777 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

কোভিড – ১৯ এর পরিস্থিতির সর্বাত্মক পর্যালোচনা করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব; বিভিন্ন মন্ত্রক দপ্তরের ভালো কাজ প্রশংসিত হয়েছে
কোভিড – ১৯ এর পরিস্থিতির এবং প্রস্তুতি সর্বাঙ্গীন পর্যালোচনা করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব ড. পি. কে মিশ্রর পৌরহিত্যে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন জেলা ও রাজ্যের কোভিড ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। টিকা উদ্ভাবনের পর্যায় এবং টিকা আবিস্কারের পর তা প্রয়োগের পরিকল্পনা নিয়েও বৈঠকে কথাবার্তা হয়েছে। কোভিড ব্যবস্থাপনায় জেলাস্তরে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ক্যাবিনেট সচিব, নীতি আয়োগের সদস্য ড. বিনোদ পাল, মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা, সব ক্ষমতাপ্রাপ্ত গোষ্ঠীর আহ্বায়ক এবং বিভিন্ন দপ্তরের সচিবরা এই বৈঠকে যোগ দেন। কোভিড ব্যবস্থাপনায় নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রতিটি ক্ষমতাপ্রাপ্ত গোষ্ঠীর কাজের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব সংশ্লিষ্ট সকলকে জেলা এবং রাজ্যস্তরে কোভিড মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। স্বাস্থ্য সচিব, দেশের কোভিড পরিস্থিতি, মহামারীর মোকাবিলায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন এবং ভবিষ্যতের নানা সঙ্কটের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন। যে সব রাজ্যে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানকার নির্দিষ্ট জেলাগুলিতে নমুনা পরীক্ষা, সংক্রমিতদের মৃত্যুর হার সহ পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব, টিকার সরবরাহ শৃঙ্খল তৈরির জন্য নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম, সুবিধাভোগীদের নাম নথিভুক্ত করা এবং টিকা যখন বাজারে আসবে, তখন তা প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1653681 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।


উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে সংক্রমনের শৃঙ্খল ভাঙতে কেন্দ্র বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব আজ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৮টি রাজ্যের কোভিড ব্যবস্থাপনা এবং ওই সব রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ আটকাতে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পর্যালোচনা বৈঠক করেছে। অরুণাচলপ্রদেশ, অসম, মনিপুর, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা এবং সিকিম- এই ৮টি রাজ্যের প্রধান সচিব, স্বাস্থ্য সচিব সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। যদিও ওই ৮টি রাজ্যে দেশের মোট সংক্রমিত চিকিৎসাধীনের ৫ শতাংশেরও কম মানুষ রয়েছেন। অসমে ২৯ হাজার ৬৯০ জন সংক্রমিত চিকিৎসাধীন রয়েছেন যা উত্তর পূর্বাঞ্চলের বর্তমান মোট চিকিৎসাধীনের ৬৮ শতাংশ। ত্রিপুরায় ৭ হাজার ৩৮৩ জন সংক্রমিত চিকিৎসাধীন রয়েছেন- উত্তর পূর্বাঞ্চলের মোট হিসেবের ১৭ শতাংশ। অরুণাচলপ্রদেশে ১ হাজার ৬৫৮ জন, মনিপুরে ১ হাজর ৬৩৩ জন, মেঘালয়ে ১ হাজার ৪৩৪ জন, নাগাল্যান্ডে ৮৩৪ জন, মিজোরামে ৫৮৩ জন এবং সিকিমে ৫৩২ জন সংক্রমিত চিকিৎসাধীন আছেন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে অসমে ২ হাজার ৭৩৯ জন, ত্রিপুরায় ৫৫৯ জন, অরুণাচলপ্রদেশে ১২৭ জন, মনিপুর ১০৮, মেঘালয়ে ৯৯, নাগাল্যান্ডে ২৬১, মিজোরামে ১৪১ ও সিকিমে ২০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। সংক্রমিতদের মধ্যে মৃত্যুর হার অসমে ০.৩ শতাংশ, ত্রিপুরায় ০.৯৭ শতাংশ, অরুণাচলপ্রদেশে ০.১৬ শতাংশ, মনিপুরে ০.৫৯ শতাংশ, মেঘালয়ে ০.৬১ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ০.২২ শতাংশ এবং সিকিমে ০.৩৫ শতাংশ। মিজোরামে কোন সংক্রমিত এখনো পর্যন্ত মারা যাননি।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1653403 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

তেল আমদানির উপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব
তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি জানিয়েছে, কোভিড-১৯ অতিমারীর কারণে দেশে লকডাউন জারি হওয়ার ফলে তেলের চাহিদা অভূতপূর্বভাবে কমে যায় । যার ফল স্বরূপ রাজস্ব আদায় হ্রায় পেয়েছে। দেশে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় পেট্রোলিয়াম জাত পণ্যের চাহিদা ফের বেড়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের চাহিদা ছিল ৯.৮৯ মিলিয়ন মেট্রিকটন। মে মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪.৬৩ মিলিয়ন মেট্রিকটন। জুন মাসে আরও বেড়ে তা দাঁড়ায় ১৬.২৫ মিলিয়ন মেট্রিকটন। জুলাই মাসে পেট্রোয়িলাম জাত পণ্যের চাহিদা দাঁড়ায় ১৫.৬৮ মিলিয়ন মেট্রিকটন। অন্যদিকে এপ্রিল মাসে অপরিশোধিত তেলের আমদানির পরিমাণ ছিল ১৬.৫৫ মিলিয়ন মেট্রিকটন। মে মাসে তা কমে দাঁড়ায় ১৪.৬১ মিলিয়ন মেট্রিকটন। জুন মাসে অপরিশোধিত তেলের আমদানির পরিমাণ ছিল ১৩.৬৮ মিলিয়ন মেট্রিকটন। জুলাই মাসে তা কমে দাঁড়ায় ১২.৩৪ মিলিয়ন মেট্রিকটন।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1653978 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে প্রদেয় অর্থ
কোভিড-১৯ মহামারীর বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার গত তেসরা এপ্রিল রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে প্রথম কিস্তি বাবদ ১১ হাজার ৯২ কোটি টাকা মঞ্জুর করে। মহামারী মোকাবিলায় রাজ্যগুলির প্রয়াসকে আরও জোরদার করতে আগাম এই অর্থ দেওয়া হয়। লোকসভায় আজ এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দেন অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী অনুরাগ ঠাকুর। এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে গিয়ে শ্রী ঠাকুর আরও জানান, ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য মোট রাজ্য অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ২ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, রাজ্যগুলিকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে খোলা বাজার থেকে ১ লক্ষ ৬ হাজার ৮ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা গ্রহণের অনুমতি ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1654102 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

কোভিড-১৯ কালে লকডাউনের সময় কোম্পানি/এলএলপি-গুলিকে প্রদেয় ছাড়/সুবিধা
কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক কোভিড-১৯ এর সময় কোম্পানি/এলএলপি-গুলির উপর থেকে আর্থিক বোঝা লাঘব করতে একাধিক উদ্যোগ/সুবিধা/ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে। লোকসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে একথা জানান, কেন্দ্রীয় অর্থ তথা কর্পোরেট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী অনুরাগ ঠাকুর। এছাড়াও, অতিরিক্ত মাশুল ছাড়াই নথিপত্র দাখিল করতে কোম্পানিগুলিকে সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য ২০২০-র ‘ফ্রেস, স্টার্ট স্কিম’ চালু করা হয়েছে। এছাড়াও, এলএলপি-গুলির জন্য সেটেলমেন্ট স্কিম চালু করা হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্পোরেট সংস্থাগুলির জন্য বোর্ড ও সাধারণ সভা আয়োজনের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত সংস্থার আর্থিক বর্ষ ২০১৯-এর ৩১শে ডিসেম্বর শেশ হয়েছে, সেই সমস্ত সংস্থাগুলির জন্য সাধারণ বৈঠক আয়োজনে ইতিমধ্যেই বিশেষ সুবিধা দানের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি, কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে স্বাস্থ্য পরিচর্যা, স্যানিটেশন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল থেকে অর্থ খরচ করতে পারবে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1654103 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

প্রধানমন্ত্রী বিহারে পেট্রোলিয়াম ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প জাতির উদ্দেশে ৎসর্গ করলেন
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিহারে পেট্রোলিয়াম ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে, পারাদ্বীপ-হলদিয়া-দূর্গাপুর পাইপলাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পের দূর্গাপুর-বাঁকা শাখা এবং ২টি এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট। এই প্রকল্পগুলি কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের অধীন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ইন্ডিয়ান অয়েল এবং হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড রূপায়ণ করেছে। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কয়েক বছর আগে বিহারের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। এই বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে রাজ্যের পরিকাঠামো ক্ষেত্রের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, বিশেষ প্যাকেজের আওতায় বিহারে পেট্রোলিয়াম ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ১০টি বড় প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়। এই প্রকল্পগুলি খাতে খরচ ধরা হয় ২১ হাজার কোটি টাকা। আজ যে প্রকল্পগুলির সূচনা হয়েছে সেগুলি ওই ১০টি প্রকল্পের অন্যতম এবং সপ্তম প্রকল্প। ইতিমধ্যেই বিহারে অন্য যে ৬টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে সেগুলির কথাও শ্রী মোদী উল্লেখ করেন। আজ দূর্গাপুর-বাঁকা পর্যন্ত প্রায় ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ যে গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পটির সূচনা হয়েছে, দেড় বছর আগে তারই শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। ধার্য সময়সীমার মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য তিনি ইঞ্জিনিয়ার ও শ্রমিকদের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের সক্রিয় সহযোগিতার প্রশংসা করেন। শ্রী মোদী বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, একটা সময় ছিল যখন বিহারের কর্মসংস্কৃতি ছিল এক প্রজন্ম কাজ শুরু করবে এবং সেই কাজ শেষ করবে পরের প্রজন্ম, এই কর্মসংস্কৃতি থেকে রাজ্যকে তিনি বের করে নিয়ে এসেছেন। শ্রী মোদী আরও বলেন, বিহারের নতুন এই কর্মসংস্কৃতিকে আরও সুসংহত করতে হবে এবং এরফলে বিহার ও পূর্ব ভারত অগ্রগতির পথে নিরন্তর এগিয়ে চলবে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1653762 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

জাতীয় ক্রিনিকাল ট্রিটমেন্ট প্রোটোকল চিকিৎসা ক্ষেত্রের পন্থা পদ্ধতিগুলি মেনে চলার উপর গুরুত্ব দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
বণিক সভা ফিকি এবং নতুন দিল্লির এইমস-এর সহযোগিতায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কোভিড-১৯ চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানকারী বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠক করে। বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল, অনাকাঙ্খিত মৃত্যুহার কমানোর লক্ষ্যে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় চিকিৎসা সংক্রান্ত নিয়মনীতি বা প্রোটোকল এবং সেরা পন্থা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা। কোভিড-১৯ দেশের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ব্যবস্থায় এক অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে সরকারিস্তরে পদক্ষেপের পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রেও অতি সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণের প্রয়োজনীয় দেখা দিয়েছে। দেশে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলির পক্ষ থেকে কোভিড-১৯ চিকিৎসার ক্ষেত্রে কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি বা মডিউল এবং সেরা পন্থা পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে পারস্পরিক মত বিনিময়ের জন্যই এই বৈঠক। মন্ত্রক হাসপাতালগুলির প্রতিনিধিদের কোভিড-১৯ মোকাবিলা সংক্রমণ ও প্রতিরোধে যে সমস্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সে ব্যাপারে বিভিন্ন উদ্বেগ দূর করতে তাদের কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের জন্য উৎসাহ দেয়।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1653694 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

জীবাণু সংক্রমণ রোধ করতে এবং শাক-সব্জি ফলমূল সংক্রমণ মুক্ত রাখতে আইপিএফটি একটি নতুন “জীবাণু নাশক স্প্রে” তৈরি করেছে
কোভিড-১৯ মহামারী যখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরেছে তখন কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রকের অর্ন্তগত রসায়ন ও পেট্রোকেমিক্যাল দপ্তরের আওতাধীন ইন্সটিটিউট অফ প্রেস্টিসাইড ফর্মুলেশন টেকনোলজি (আইপিএফটি) জীবাণু সংক্রমণ রোধ করতে এবং শাক-সব্জি ও ফলমূল সংক্রমণ মুক্ত রাখতে “জীবাণু নাশক স্প্রে” নামে দুটি নতুন প্রযুক্তি তৈরি করেছে।
আইপিএফটি-র পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতি অনুসারে দরজার হাতল, চেয়ার, কম্পিউটারের কি-বোর্ড এবং মাউস ইত্যাদির স্পর্শ থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যে কোন ব্যক্তির মধ্যে করোনা জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। এই বিষয়টির কথা মাথায় রেখে আইপিএফটি এই অ্যালকোহল ভিত্তিক জীবাণু নাশক স্প্রে তৈরি করেছে, যা এইসব সামগ্রীর মধ্যে লুকিয়ে থাকা জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস নিধনে সাহায্য করবে। এইসব সামগ্রী জীবাণুমুক্ত করার পর স্প্রে দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে যাবে এবং কোনো দাগ বা গন্ধ থাকবে না।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1653696 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

কোভিড – ১৯ এর মোকাবিলা করার জন্য ভাইরাসের জিন বিন্যাস সম্পর্কে ধারণা পেতে বিশ্ব জুড়ে জিনের পার্থক্য চিহ্নিত করা হচ্ছে
কোভিড – ১৯ মহামারীর মোকাবিলায় ভারত সহ সারা বিশ্বে এই ভাইরাসের বিভিন্ন জিনবিন্যাস শনাক্ত করতে একদল বিজ্ঞানী কাজ করে চলেছেন। কলকাতার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং এন্ড রিসার্চের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইন্দ্রজিৎ সাহা এই ভাইরাসের জিনের বিন্যাস শনাক্ত করার বিষয়ে ওয়েব ভিত্তিক একটি ব্যবস্থাপনার উদ্ভাবন করেছেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ বোর্ড এই কাজে আর্থিক সাহায্য করছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1653900 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।


 


পিআইবি’আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য

চন্ডীগড় : কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলের প্রশাসক নমুনা পরীক্ষার হার বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত ১০ হাজার অ্যান্টিজেন কিট সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছে। চন্ডীগড় ইনফোসিস সরাই নামে প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে, সেটিকে ইনফেকশাস ডিজিজ হাসপাতাল হিসাবে ব্যবহার করা হবে।

হরিয়ানা : রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন, আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির আওতায় প্রায় ১ লক্ষ ৪৪ হাজার মানুষের চিকিৎসার জন্য রাজ্য সরকার ১৬৯ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা খরচ করেছে। কর্মসূচির আওতায় হাসপাতালগুলিতে রোগীদের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।

অরুণাচল প্রদেশ : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইটানগরে রামকৃষ্ণ মিশন হাসপাতালের এক স্বাস্থ্য কর্মীর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, হাসপাতালের এই স্বাস্থ্য কর্মী কোভিড-১৯ চিকিৎসার দায়িত্ব পালন করার সময় প্রয়াত হয়েছেন।

আসাম : রাজ্যে গতকাল আরও ১ হাজার ২৯২ জনের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ১৩ হাজারেরও বেশি। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৬৯ জনের।

মণিপুর : রাজ্যে আরও ১৪৪ জনের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার খবর মিলেছে। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৮ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মেঘালয় : রাজ্যে নিশ্চিতভাবে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৬২৩ এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৫ জন।

মিজোরাম : রাজ্যে গতকাল আরও ১৪ জনের আক্রান্তের খবর মেলায় সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৪২৮ হয়েছে। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯৮ জন।

নাগাল্যান্ড : রাজ্যে গতকাল আরও ১৯ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মিলেছে। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬১ জন।

কেরল : লকডাউন সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞার অঙ্গ হিসাবে রাজ্য সরকারি অফিসগুলি শনিবার বন্ধ রাখার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা বাতিল করার ব্যাপারে রাজ্য জনপ্রশাসন দপ্তর সুপারিশ করেছে। দপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ২২শে সেপ্টেম্বর থেকে সমস্ত সরকারি কার্যালয়ে পুরোদমে কাজ শুরু করতে হবে। এদিকে রাজ্যে গতকাল আরও ৩ হাজার ১৩৯ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মিলেছে। আজ পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৪০ জনের।

তামিলনাডু : কেন্দ্রশাসিত পন্ডিচেরীতে আরও ৪১৪ জনের আক্রান্তের খবর মেলায় করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৮০৫ জন। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩৯৪ জনের। এদিকে তামিলনাডুতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে চিকিৎসা শিক্ষা ডায়রেক্টরেট সমস্ত সরকারি মেডিকেল কলেজের প্রধানদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, প্যারা-মেডিকেল বিভাগের সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অবিলম্বে যোগাযোগ করে তাঁদের কোভিড-১৯ চিকিৎসার কাজে যুক্ত করতে। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও ১ লক্ষেরও বেশি নিট পরীক্ষার্থী গতকাল পরীক্ষায় বসেন।

কর্ণাটক : রাজ্যের মহীশূর জেলা করোনায় সর্বাধিক প্রভাবিত। জেলার প্রবীণ নাগরিকরা অধিক সংখ্যায় সংক্রমিত হওয়ার জন্য বাসাপ্পা মেমোরিয়াল হাসপাতালকে পৃথক কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এদিকে রাজ্যে গতকাল এ যাবৎ একদিনেই সর্বাধিক ৯ হাজার ৮৯৪ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।

অন্ধ্রপ্রদেশ : স্বর্ণ প্যালেস কোভিড কেয়ার সেন্টারে গত ৯ই অগাস্ট বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডের প্রেক্ষিতে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়ের ওপর সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছে।সেদিনের ঐ অগ্নিকান্ডে ১০ জন কোভিড রোগী পুড়ে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয় এবং আরও ২০ জন আহত হন।

তেলেঙ্গানা : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যুর খবর মেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৭৪ হয়েছে। ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ছাড়িয়েছে। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৫৩২ জন। এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী জি কিষাণ রেড্ডি বলেছেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় রাজ্যকে সাহায্য করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে ভূমিকা পালন করেছে, তেলেঙ্গানা সরকার তা স্বীকার করছে না।

মহারাষ্ট্র : মুম্বাইয়ে করোনায় সুস্থতার হার বেড়ে ৭৭ শতাংশ হয়েছে। গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের হার ১.২৪ শতাংশ বেড়েছে। বিগত কয়েক দিনে দৈনিক-ভিত্তিতে প্রায় ২ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে দেশের সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত মহানগরগুলির মধ্যে মুম্বাই রয়েছে।

রাজস্থান : শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যার কারণে অধিক সংখ্যায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং তাঁদের অক্সিজেন সহায়তা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার ৩৮টি অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মধ্যপ্রদেশ : কেন্দ্রীয় সরকার দৈনিক ৫০ টন অক্সিজেন সরবরাহের ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে আশ্বাস দিয়েছে। কোভিড-১৯ এর এই পরিস্থিতির সময়ে রাজ্যকে সাহায্য করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। রাজ্যে নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ৪৮৭।

গোয়া : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রভাগে থাকা সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীকে ৫০ লক্ষ টাকার বিমার সুবিধা দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার আওতায় স্বাস্থ কর্মীরা এই বিমার সুবিধা পাবেন। বর্তমানে রাজ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের মারগাঁও-এ ইএসআই হাসপাতাল, পানাজির কাছে গোয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং দক্ষিণ গোয়ার পোন্ডায় সাব-ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।

 

 

CG/BD/SB



(Release ID: 1654282) Visitor Counter : 228