PIB Headquarters

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

Posted On: 24 NOV 2020 5:46PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৪ নভেম্বর, ২০২০
 
 
ভারতে দৈনিক নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজারেরও নিচে; সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার নিম্নগামী, এই সংখ্যা ৪.৪ লক্ষের কম; দৈনিক আক্রান্তের হার আরও কমে ৪ শতাংশের নিচে, বর্তমানে এই হার ৩.৪৫ শতাংশ
ভারতে ছয়দিন পর দৈনিক ভিত্তিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আবার ৪০ হাজারের নিচে নেমেছে। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭,৯৭৫ জন। গত ৮ নভেম্বর থেকে পরপর ১৭ দিন দৈনিকভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের নিচে রয়েছে। ভারতের নমুনা পরীক্ষা পরিকাঠামোয় লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি হয়েছে। দেশে নমুনা পরীক্ষাগারের সংখ্যা ২,১৩৪। প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় দৈনিক সর্বাধিক সংখ্যায় নমুনা পরীক্ষার প্রবণতা অব্যাহত রেখে দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ১০ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫৪৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর ফলে ভারতের মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ৮২ হাজার ২৭৫ হয়েছে। দৈনিকভিত্তিতে ১০ লক্ষের বেশি নমুনা পরীক্ষা হওয়ার ফলে আক্রান্তের সংখ্যা ও হার ক্রমশ কমছে। বর্তমানে সামগ্রিকভাবে জাতীয় স্তরের আক্রান্তের হার আজ ৬.৮৭ শতাংশ। অন্যদিকে, দৈনিকভিত্তিতে আক্রান্তের হার কেবল ৩.৪৫ শতাংশ। অধিক সংখ্যায় নমুনা পরীক্ষার ফলে আক্রান্তের হার ক্রমশ কমছে। দেশে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় নমুনা পরীক্ষার হার জাতীয় স্তরে বেড়ে হয়েছে ৯৬,৮৭১। এমনকি দেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের হার ক্রমাগত কমছে। গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৪২,৩১৪ জন রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন ও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। দেশে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয়েছে ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ৬৬৭। বর্তমানে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যায় কেবল ৪.৭৮ শতাংশই সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্ত। জাতীয় স্তরে সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৩.৭৬ শতাংশ। সুস্থতার সংখ্যা আজ আরও বেড়ে হয়েছে মোট ৮৬ লক্ষ ৪ হাজার ৯৫৫। ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নতুন করে আরোগ্য লাভ করেছেন ৭৫.৭১ শতাংশ। দিল্লি থেকে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক ৭,২১৬ জন সুস্থ হয়েছেন। কেরল থেকে একদিনেই সুস্থ হয়েছেন ৫,৪২৫ জন এবং মহারাষ্ট্র থেকে সুস্থতার সংখ্যা ৩,৭২৯। নতুন করে করোনায় আক্রান্তদের ৭৭.০৪ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। গত ২৪ ঘন্টায় দিল্লিতে সর্বাধিক ৪,৪৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এরপর মহারাষ্ট্র থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ৪,১৫৩। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাজনিত কারণে ৪৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭৩.৫৪ শতাংশই মারা গেছেন ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। দিল্লি থেকে গত ২৪ ঘন্টায় ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে একদিনেই মারা গেছেন ৪৭ জন এবং মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। 
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1675246  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
 
কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও গৃহীত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের, বিশেষ করে ৮টি রাজ্যে কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও প্রতিরোধে প্রস্তুতি ও গৃহীত ব্যবস্থা মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে খতিয়ে দেখেছেন। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত এই ৮টি রাজ্য হ’ল – হরিয়ানা, দিল্লি, ছত্তিশগড়, কেরল, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, গুজরাট ও পশ্চিমবঙ্গ। বৈঠকে কোভিড-১৯ টিকা সরবরাহ, বন্টন ও সুষ্ঠু পরিচালনার পন্থা-পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা হয়। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রের সম্প্রসারণ : প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র দেশ সমবেত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মহামারীর মোকাবিলা করেছে। ভারত সুস্থতা ও মৃত্যু হারের দিকে থেকে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো জায়গায় রয়েছে। শ্রী মোদী নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা পরিষেবা ব্যবস্থার সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে জোর দিয়ে বলেন, অক্সিজেনের যোগান সুনিশ্চিত করতে পিএম কেয়ার্স তহবিলে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অক্সিজেন উৎপাদনের দিক থেকে মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালগুলিকে আত্মনির্ভর করে তুলতে সবরকম প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেশে ১৬০টিরও বেশি অক্সিজেন উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়ার ৪টি পর্যায় : মহামারীর ব্যাপারে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল, তা উপলব্ধি করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রতিক্রিয়াকে ৪টি স্তরে বিভক্ত করা যেতে পারে। প্রথমত : সাধারণ মানুষ যখন মহামারী পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়েছিলেন, তখন তাঁদের মানসিক অবস্থা কেমন ছিল। দ্বিতীয়ত : ভাইরাস সম্পর্কে সন্দেহগুলি কিভাবে মোকাবিলা করেছিলেন, যখন অধিকাংশ মানুষই লুকানোর চেষ্টা করেছিলেন যে, যদি তাঁরা এই ভাইরাসে সংক্রমিত হন। তৃতীয়ত : সাধারণ মানুষ যখন ভাইরাসের ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ হয়েছিলেন এবং এ ব্যাপারে নিজেদের সতর্কতা দেখিয়েছিলেন, তখন তাঁদের এই ভাইরাস সম্পর্কে গ্রহণযোগ্যতা কেমন ছিল। চতুর্থত : সুস্থতার হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের মনে ভাইরাসের কবল থেকে সুরক্ষার একটি ভুল ধারণা গড়ে উঠেছে, যা অবজ্ঞা ও উপেক্ষার ঘটনাগুলিকে আরও বাড়াতে পারে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, চতুর্থ পর্যায়ে ভাইরাসের কুপ্রভাব সম্পর্কে মানুষকে আরও বেশি সচেতন করে তোলা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, এক সময় যে দেশগুলিতে মহামারী সংক্রমণের ঘটনা হ্রাস পাচ্ছিল, এখন সেখানে সংক্রমণ পুনরায় ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে আরও বেশি সতর্ক ও সজাগ থাকা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, হোম আইসোলেশনে যাঁরা রয়েছেন, সেই সমস্ত রোগীদের স্বাস্থ্যের ওপর আরও বেশি নজর রাখার জন্য আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। একই সঙ্গে, গ্রাম ও কম্যুনিটি স্তরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকেও কার্যপরিচালনার ক্ষেত্রে আরও বেশি দক্ষ করে তোলা প্রয়োজন। ভাইরাসের প্রভাব থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সচেতনতা অভিযানও চালিয়ে যেতে হবে বলে প্রধানমন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য হবে করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হার ১ শতাংশের নীচে নিয়ে আসা। 
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1675286  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
 
অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন বলেছেন, মহামারীর সময় অর্থনীতিতে সংস্কারের গতি অব্যাহত ছিল এবং তা আগেও অব্যাহত থাকবে; অর্থ-ব্যবস্থা পরিবর্তনের আঙ্গিকের মুখোমুখী হচ্ছে
বর্তমান মহামারীর সময় যখন অগ্রগতির পথ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে, তখন অর্থ-ব্যবস্থায় সংস্কারের গতি অব্যাহত থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও সংস্কারের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ তথা কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন। শ্রীমতী সীতারমন সোমবার ভারতীয় শিল্প মহাসংঘ সিআইআই – এর জাতীয় স্তরে বহুজাতিক সংস্থাগুলির সম্মেলন ২০২০-তে ভাষণ দিচ্ছিলেন। অর্থ-ব্যবস্থায় সংস্কারের গতি অব্যাহত রাখতে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়ে শ্রীমতী সীতারমন বলেন, আর্থিক ক্ষেত্রে আরও পেশাদারিত্ব আনা এবং উদারীকরণের প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সমস্ত শিল্প সংস্থা, বহুজাতিক সংস্থা, বড়, মাঝারি ও ছোট শিল্প ক্ষেত্র সর্বত্রই ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে পরিবর্তনের এক নতুন আঙ্গিকের মুখোমুখী হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে এটা সুনিশ্চিত করতে হবে যে, ভারতকে বিনিয়োগের অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসাবে পরিণত করতে সমস্ত নীতি যেন সঠিক দিশায় পরিচালিত হয়। আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার যে সমস্ত সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছে, সে প্রসঙ্গে শ্রীমতী সীতারমন বলেন, এই প্যাকেজের ফলে বহু ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পথ খুলে গেছে। এমনকি, আনবিক শক্তি ও মহাকাশ ক্ষেত্রেও বিদেশি লগ্নিকারীরা অংশগ্রহণের জন্য এগিয়ে আসছেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ভারতে ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে যুক্ত বহুজাতিক সংস্থাগুলির জন্য এক অনুকূল বাতাবরণ গড়ে তুলতে নিরন্তর কাজ করে চলছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বহুজাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে তাদের বিভিন্ন উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করেছে। 
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1675128  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
 
স্পাইস হেল্থ ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ্ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর যৌথভাবে তৈরি কোভিড-১৯ এর আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে নমুনা পরীস্থার ভ্রাম্যমান গবেষণাগারের উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ্ আজ কোভিড-১৯ এর আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষার জন্য একটি ভ্রাম্যমান পরীক্ষাগারের উদ্বোধন করেছেন। স্পাইস হেল্থ এবং আইসিএমআর যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন সহ আইসিএমআর, স্পাইস জেট, স্পাইস হেল্থের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষা করার জন্য এই ধরণের ভ্রাম্যমান পরীক্ষাগারগুলি আরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করতে সাহায্য করবে। এই পরীক্ষাগারটি এনএবিএল-এর গুণমান সম্পন্ন। আইসিএমআর এই পরীক্ষাগারটির অনুমোদন দিয়েছে। কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে সব থেকে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হলো আরটি-পিসিআর। মাত্র ৪৯৯ টাকা দিয়ে এই পরীক্ষাগুলি করা যাবে। তবে, আইসিএমআর নমুনা পরীক্ষার খরচ বহন করবে। কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা সাধারণ মানুষের আয়ত্ত্বে আনতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।   সাধারণত নমুনা সংগ্রহের ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার পর তার ফলাফল জানতে পারা যায়। তবে এখানে মাত্র ৬ থেকে ৮ ঘন্টার মধ্যে নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে।  স্পাইস জেট,  আইসিএমআর-এর সঙ্গে একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছে, যাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরণের পরীক্ষাগার তৈরি করা যায়। জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে আগামী দিনে এধরণের আরও পরীক্ষাগারের ব্যবস্থা করা হবে। প্রথম পর্বে ১০টি এধরণের পরীক্ষাগার তৈরি করা হবে। বর্তমানে এই পরীক্ষাগার থেকে দৈনিক ১,০০০টি নমুনা পরীক্ষা করা যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এর পরিমাণ বাড়িয়ে ৩,০০০ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1675139  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
 
কোভিড মহামারীর সময় গোয়া পুলিশ প্রশংনীয় কাজ করেছে : শ্রীপাদ নায়েক
গোয়া পুলিশ করোনা মহামারীর সময় প্রশংসনীয় কাজ করেছে। গোয়া শিপইয়ার্ড কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার অঙ্গ হিসাবে রাজ্য পুলিশের প্রশংসনীয় কাজের নিদর্শন-স্বরূপ ২৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার অত্যাধুনিক জীবনদায়ী অ্যাম্বুলেন্স দান করেছে। ব্যাঙ্গালোর-ভিত্তিক সংস্থা ভারত ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ক্যান্সার নির্ণয়কারী যন্ত্র সম্বলিত একটি বাস রাজ্যকে দেবে। প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রী শ্রীপাদ নায়েক সোমবার পানাজি পুলিশ সদর দপ্তরে গোয়া পুলিশের হাতে অত্যাধুনিক জীবনদায়ী অ্যাম্বুলেন্সটি এই উপলক্ষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ প্রমোদ সাওয়ন্ত, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক মুকেশ কুমার মীনা, গোয়া শিপইয়ার্ডের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডাইরেক্টর বিবি নাগপাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1675180  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
 
ট্রাইবস ইন্ডিয়া একাধিক নতুন সামাজিক দিক থেকে প্রভাবদায়ী রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধির সহায়ক কয়েকটি সামগ্রী বাজারে এনেছে
ট্রাইবস্ ইন্ডিয়া তার গ্রাহকদের আরও বেশি আকর্ষণীয় পণ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে, লক্ষ লক্ষ আদিবাসী শিল্পোদ্যোগী তাঁদের উৎপাদিত পণ্যসম্ভার নিয়ে বাজারে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। গ্রাহকদের কাছে বেশি সংখ্যক পণ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া এবং আদিবাসী শিল্পোদ্যোগীদের বাজারের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিষয়গুলিকে বিবেচনায় রেখে গত এক মাস ধরে ট্রাইবস্ ইন্ডিয়া একাধিক নতুন পণ্য সামগ্রী বাজারে এনেছে। এই সমস্ত পণ্য সামগ্রী অধিকাংশই রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক এবং বনজ টাটকা ও অর্গানিক পণ্য। চলতি সপ্তাহে ট্রাইবস্ ইন্ডিয়া আরও কয়েকটি নতুন পণ্য গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হ’ল – পরিবেশ-বান্ধব স্যানিটারি প্যাড ‘সহেলি’। বিশেষ ধরনের এই স্যানিটারি প্যাড গুজরাটে গ্রাম সংগঠন কাম্বোদিয়ার আওতায় বাসবা ট্রাইবস্ উৎপাদন করেছে। এই সংগঠনের সঙ্গে ট্রাইবস্ ইন্ডিয়া অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে, যাতে এ ধরনের স্যানিটারি প্যাড সারা ভারতে বিপণন করা যায়।  ট্রাইবস্ ইন্ডিয়া চলতি সপ্তাহে যে সমস্ত টাটকা বনজ প্রাকৃতিক ও অর্গানিক সামগ্রী বিক্রির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে, তার মধ্যে অধিকাংশই উপহারের সামগ্রী ও গৃহ শয্যার উপকরণ রয়েছে। ট্রাইবস্ ইন্ডিয়ার খুচরো বিক্রয় কেন্দ্রগুলিতে সমস্ত নতুন পণ্য সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে। ট্রাইবস্ ইন্ডিয়ার ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করেও এই সমস্ত সামগ্রী বিপণন করা হচ্ছে। এমনকি, ট্রাইবস্ ইন্ডিয়ার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ই-মার্কেট প্লেস ও ই-টেলার্স – এও পাওয়া যাচ্ছে। এই উপলক্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত ট্রাইফেডের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর শ্রী প্রবীর কৃষ্ণ বলেছেন, আদিবাসী মানুষের জীবন যাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে ট্রাইবস্ ইন্ডিয়া অভিযান অব্যাহত থাকতে, যাতে তাঁদের উপার্জন ও জীবনের মান আরও বাড়ানো যায়। আজ এ সমস্ত সামগ্রী ট্রাইফেডের পক্ষ থেকে বাজারে আনা হচ্ছে – সেগুলি সবই পরিবেশ-বান্ধব বলেও শ্রী কৃষ্ণ জানান। গুজরাটের কামোদিয়া গ্রাম সংগঠনের পক্ষ থেকে যে পরিবেশ-বান্ধব স্যানিটারি প্যাড তৈরি করা হয়েছে, তা অত্যন্ত ব্যয়-সাশ্রয়ী এবং সব বয়সের জন্য উপযোগী। ট্রাইফেড আজ যে সমস্ত নতুন পণ্য বাজারে এনেছে বা সূচনা করেছে, সেগুলি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই সমস্ত সামগ্রী বা উপকরণের মধ্যে রয়েছে – ভগবান গণেশের অনুপম হস্ত কারুমূর্তি, দেবী লক্ষ্মীর মূর্তি, ডোকরা ধাঁচে গৃহ সাজানোর উপকরণ প্রভৃতি। দৈহিক রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যে সমস্ত সামগ্রী আজ সূচনা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে – নাচিকনা পাউডার, হ্যারিডঃ ও ত্রিফলা ট্যাবলেট, বিভিন্ন ধরনের মধু, দেরাদুণ থেকে সংগ্রহ করা ক্রিমি মাশরুম এবং কিছু প্রাকৃতিক বাম। রাষ্ট্রায়ত্ত ট্রাইফেড ‘ভোকাল ফর লোকাল’ মন্ত্রকে অনুসরণ করে আদিবাসী মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি ট্রাইফেডের পক্ষ থেকে ভারতের বৃহত্তম কারুশিল্প ও অর্গানিক সামগ্রীর অনলাইন বিপণন ব্যবস্থা ট্রাইবস্ ইন্ডিয়া ই-মার্কেট প্লেসের সূচনা হয়েছে। অনলাইন এই ব্যবস্থায় ৫ লক্ষাধিক আদিবাসী উদ্যোগী তাঁদের উৎপাদিত বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছে যাওয়ার সুবিধা পাছেন।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1675088  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
 
কোভিড-১৯ এর মতো বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বহুপাক্ষিক সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ : ডাঃ হর্ষবর্ধন
ভারতের অগ্রণী প্রতিষ্ঠান ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পর্ষদ (আইসিএমআর) কোভিড-১৯ টিকার কার্যক্ষমতা যাচাইয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা নির্বাহের কাজে যুক্ত রয়েছেন। এমনকি, ভারত গুরুত্বপূর্ণ সবকটি টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়াল চালাচ্ছে। দেশে প্রায় ৩০টি টিকা উদ্ভাবনের ও কর্মক্ষমতা প্রমাণের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে দুটি কর্মক্ষমতা প্রমাণের দিক থেকে অনেক এগিয়ে গেছে। আইসিএমআর – ভারত বায়োটেক সংস্থার সহযোগিতায় উদ্ভাবিত কো-ভ্যাকসিন টিকা এবং সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কোভিডশিল্ড টিকা রয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদক প্রতিষ্ঠান।এই প্রতিষ্ঠানটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত টিকার কার্যক্ষমতা যাচাই করছে। কোভিডশিল্ড ও কো-ভ্যাকসিন – এই দুটি টিকার তৃতীয় পর্যায়ে ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। দেশের আরও একটি অগ্রণী ফার্মা সংস্থা ডঃ রেড্ডিস ল্যাবরেটরিজ ভারতে রাশিয়ার উদ্ভাবিত টিকা বন্টনের কাজ করবে। বর্তমানে রাশিয়ার উদ্ভাবিত টিকাটি মানবদেহে প্রয়োগে পরিণাম জানার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন পেলে ডঃ রেড্ডি সংস্থা টিকা বন্টনের কাজ শুরু করবে। সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনের তরুণ বিজ্ঞানীদের প্রথম ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে আজ একথা বলেন, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের সম্মেলন আয়োজনের বৃহত্তর উদ্দেশ্যই হ’ল সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনের সদস্য দেশগুলির তরুণ মেধাবী বিজ্ঞানীদের এক অভিন্ন মঞ্চে নিয়ে এসে গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক চ্যালেঞ্জের সমাধানে তাঁদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো। কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে ভারতের পদক্ষেপ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ডাঃ হর্ষবর্ধন জানান, কোভিড সমস্যা মোকাবিলায় ভারত তার সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক ক্ষমতার সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করছে। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে টিকা উদ্ভাবন থেকে শুরু করে পরম্পরাগত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসা পরীক্ষা প্রদান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, সরকারি ও বেসরকারি গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলিকে সাহায্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে মহামারী মোকাবিলায় নিরন্তর প্রয়াস চলছে। সরকারের সহায়তায় ১০০টিরও বেশি স্টার্ট আপ কোভিড-১৯ মোকাবিলায় উদ্ভাবনমূলক সামগ্রী ও সমাধানসূত্র প্রদান করেছে বলেও ডাঃ হর্ষবর্ধন জানান।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1675327  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
 
 
পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য 
 
• মহারাষ্ট্র : রাজ্য সরকার বিমান, ট্রেন ও সড়কপথে সফরকারী ব্যক্তিদের জন্য একগুচ্ছ নতুন আদর্শ কার্যপরিচালনবিধি জারি করেছে। এই বিধি আগামীকাল থেকেই কার্যকর হচ্ছে। এই বিধি অনুযায়ী, যে সমস্ত ব্যক্তি দিল্লি, রাজস্থান, গুজরাট ও গোয়া থেকে ট্রেনে বা বিমানে মহারাষ্ট্রে আসবেন তাঁদের সকলকেই কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহাপরিনির্বাণ দিবসে মুম্বাইয়ে চৈত্যভূমিতে ভিড় না করার জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।
 
• গুজরাট : সুরাট পুর নিগম কোভিড রোগী শয্যার সংখ্যা ৪ গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্য সরকারও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ৪টি প্রধান শহরে নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দীপাবলী পরবর্তী সময়ে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমেদাবাদ পুর নিগম নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়েছে। 
 
• রাজস্থান : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোভিড সংক্রমণ পরিস্থিতি বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজ্য সরকার জনস্বার্থে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সোমবার সন্ধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। এদিকে রাজ্যে করোনায় মৃত্যের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ১৮১ হয়েছে। 
 
• মধ্যপ্রদেশ : মুখ্যমন্ত্রী ভোপালে মাস্ক বিতরণ করেছেন। তিনি কোভিড-১৯ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য সাধারণ মানুষকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করেছেন। এদিকে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ১৭২। 
 
• ছত্তিশগড় : রাজ্যে সোমবার আরও ২ হাজার ৬১ জন করোনায় সংক্রমিত হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৭৪৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষেরও বেশি রোগী। রাজ্যে বর্তমানে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজার ৯২৬। 
 
• গোয়া : রাজ্যে সোমবার আরও ৭৫ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০৪ জন সুস্থ হয়েছেন। এর ফলে, সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১৪০। রাজ্যে আক্রান্তের হার ৫ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৯৬ শতাংশ। 
 
• কেরল : কোভিড-১৯ আনলকের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রাজ্য সরকার প্রাইভেট টিউশন কেন্দ্র, কম্প্যুটার ট্রেনিং সেন্টার এবং নৃত্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি নির্দিষ্ট শর্তাবলী মেনে খোলার অনুমতি দিয়েছে। আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি কেন্দ্রে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি হবে না অথবা কেন্দ্রের বসার জায়গার ৫০ শতাংশ ব্যবহার করা যাবে। এদিকে রাজ্যে কোভিড-১৯ সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে সোমবার ৫ লক্ষের সীমা ছাড়িয়েছে। রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের হার ১০.৫৪ শতাংশ। করোনাজনিত কারণে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৭১ জনের। 
 
• কর্ণাটক : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী কোভিড-১৯ মোকাবিলা সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর পৌরহিত্যে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যে টিকা বন্টনের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। এজন্য ২৯ হাজারেরও বেশি টিকা বিতরণ কেন্দ্র ও ১০ হাজারেরও বেশি টিকা দেওয়ার পেশাদার ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। টিকাগুলি রাখার জন্য রাজ্যে হিমঘরের সংখ্যা ২ হাজার ৮৫৫। 
 
• অন্ধ্রপ্রদেশ : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী টিকা বিতরণ ও টিকাকরণের ব্যাপারে প্রস্তুত থাকতে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আজ ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন। এই ভিডিও কনফারেন্সের পর মুখ্যমন্ত্রী আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে টিকা বন্টনের পন্থাপদ্ধতি প্রণয়নে নির্দেশ দেন। 
 
• তেলেঙ্গানা : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৯২১ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এবং ৪ জন মারা গেছেন। এর ফলে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্ত ১১ হাজার ৪৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৩৭ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৫২ হাজারেরও বেশি। রাজ্যে সুস্থতার হার জাতীয় স্তরে গড় হার ৯৩.৭ শতাংশের তুলনায় ৯৫.২৮ শতাংশ। 
 
• আসাম : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ১৬৯ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এবং নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৫ হাজার ২২৫। 
 
• সিকিম : রাজ্যে আরও ৪১ জন করোনায় সংক্রমিত। এর ফলে, সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৮। সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৩৫১ জন। 
 
***
 
 
CG/BD/SB


(Release ID: 1675498) Visitor Counter : 175