PIB Headquarters

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

Posted On: 13 NOV 2020 5:47PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৩ নভেম্বর, ২০২০
 
 
ভারতে সক্রিয়ভাবে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে ৪.৮৫ লক্ষে নেমে এসেছে; দৈনিক সংক্রমণের তুলনায় আরোগ্যের হার দ্রুত বাড়ছে
ভারতে সক্রিয়ভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষের নীচে নেমে এসে আজ পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫৪৭। এই নিয়ে তিনদিন দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষের নীচে রয়েছে। দেশে মোট সক্রিয় রোগীর হার ৫.৫৫ শতাংশ। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা থেকে আরোগ্যের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৪৪,৮৭৯ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৯,০৭৯ জন। ভারতে দৈনিক সংক্রমণের থেকে আরোগ্যের হার প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত ৪১ দিনে এই ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। দেশে মোট আরোগ্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১ লক্ষ ১৫ হাজার ৫৮০। আরোগ্যের হার ৯২.৯৭ শতাংশ। আরোগ্যের সংখ্যা এবং সক্রিয় রোগীর সংখ্যার মধ্যে বর্তমানে পার্থক্য দাঁড়িয়েছে ৭৬ লক্ষ ৩১ হাজার ৩৩। ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নতুন করে আরোগ্যের হার দাঁড়িয়েছে ৭৭.৮৩ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে একদিনে আরোগ্যলাভ করেছেন ৭,৮০৯ জন। এই নিয়ে সেই রাজ্যে আরোগ্যের হার দাঁড়ালো ১৬ লক্ষ ৫ হাজার ৬৪। ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নতুন করে সংক্রণের হার ৭৬.২৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় দিল্লিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭,০৫৩ জন। গতকাল কেরালায় ৫,৫৩৭ এবং মহারাষ্ট্রে ৪,৪৯৬ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আরও ৫৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ১২২ জনের। দিল্লিতে ১০৪ এবং পশ্চিমবঙ্গে আরও ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1672562  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
 
আয়ুর্বেদ দিবসে প্রধানমন্ত্রী দুটি আয়ুর্বেদ প্রতিষ্ঠান জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পঞ্চম আয়ুর্বেদ দিবস উদযাপন উপলক্ষে দুটি আয়ুর্বেদ প্রতিষ্ঠান জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। এই প্রতিষ্ঠান দুটি হল জামনগরের ইনস্টিটিউট অফ টিচিং অ্যান্ড রিসার্চ ইন আয়ুর্বেদ (আইটিআরএ) এবং জয়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদন (এনআইএ)। এই দুটি প্রতিষ্ঠানই দেশে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা ও গবেষণার ক্ষেত্রে অগ্রণী কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। জামনগরের আইটিআরএ প্রতিষ্ঠানটিকে সংসদীয় আইন অনুযায়ী জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, জয়পুরের এনআইএ প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দিয়েছে। আয়ুষ মন্ত্রক ২০১৬ থেকে ধন্বন্তরি জয়ন্তীতে (ধনতেরাস) আয়ুর্বেদ দিবস উদযাপন করে আসছে। জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি আয়ুর্বেদ প্রতিষ্ঠানের সূচনা উপলক্ষে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রী শ্রী শ্রীপাদ নায়েক, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় রুপানি, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী অশোক গেহলত, রাজস্থানের রাজ্যপাল শ্রী কালরাজ মিশ্র, গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবরথ প্রমুখ যোগ দেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহানির্দেশক ফেডরস আধানম গিব্রেসাস পঞ্চম আয়ুর্বেদ দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির আওতায় সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবার সুবিধা প্রদানের জন্য  প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উদ্দেশ্যগুলি পূরণ পরম্পরাগত চিকিৎসা পদ্ধতির প্রসারে প্রামাণ্য সাক্ষ্যভিত্তিক কর্মকাণ্ডের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তার মহানির্দেশককে পরম্পরাগত চিকিৎসা পদ্ধতির আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসেবে ভারতকে মনোনীত করার জন্য ধন্যবাদ দেন। তিনি বলেন, আয়ুর্বেদ ভারতের  ঐতিহ্য এবং এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে ভারতের পরম্পরাগত জ্ঞান বিশ্বের অন্যান্য দেশকেও সমৃদ্ধ করছে। শ্রী মোদী আয়ুর্বেদ জ্ঞানকে বইয়ের পাতার বাইরে নিয়ে এসে তাকে আরও বেশি দৈনন্দিন ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আধুনিক চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রাচীন এই জ্ঞানকে আরও প্রসারিত ও সুবিন্যস্ত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশে একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক বিজ্ঞান থেকে লব্ধ অভিজ্ঞতা ও তথ্যের ওপর নির্ভর করে আমাদের প্রাচীন চিকিৎসা-জ্ঞানের সঙ্গে একত্রিত করে নতুন ধরনের গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। তিন বছর আগে দিল্লিতে অল ইন্ডিয়া আয়ুর্বেদিক ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে। আয়ুর্বেদ আজ কেবল একটি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতিই নয়, বরং এটি ভারতের স্বাস্থ্যনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1672557  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
 
জামনগর ও জয়পুরে দুটি অত্যাধুনিক আয়ুর্বেদ প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মূল অংশ
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1672573  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
 
প্রধানমন্ত্রী সপ্তদশ আসিয়ান ভারত শীর্ষ বৈঠকে ভাষণ দিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আসিয়ানের বর্তমান সভাপতি ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নগুয়েন সুওন ফুক-এর আমন্ত্রণে আজ সপ্তদশ আসিয়ান ভারত শীর্ষ সম্মেলনে and Congress অংশগ্রহণ করেছেন। ভার্চুয়ালি এই সম্মেলনে আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত ১০টি রাষ্ট্রের সকলেই যোগ দিয়েছে।  এই সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতির কেন্দ্রে আসিয়ান রয়েছে বলে জানিয়েছেন। ভারত এবং আসিয়ানের মধ্যে একটি সংযোগশীল, দায়িত্বশীল ও সমৃদ্ধশালী সম্পর্ক রয়েছে যেটি আসলে ভারতের ‘ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রেক্ষাপট’ এবং এই অঞ্চলের সকলের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের কর্মসূচি- সাগর (সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্রোথ ফর অল ইন দ্য রিজিয়ন)নীতির প্রতিফলন। ভারতের ‘ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় উদ্যোগ’ এবং আসিয়ানের ‘আউটলুক অন ইন্দো-প্যাসিফিক’ নীতির ওপর প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন। ভারতের এই উদ্যোগের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির তিনি সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন।  কোভিড-১৯এর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এবং প্রতিবেশীদের সাহায্যের উদ্যোগ ভারত নিয়েছে। এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আসিয়ানের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন। বৈঠকে কোভিড-১৯ আসিয়ান রেসপন্স ফান্ডে ১০ লক্ষ মার্কিন ডলারের অনুদানের কথা প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন।  আসিয়ান ও ভারতের মধ্যে ব্যক্তিগত ও ডিজিটাল সংযোগের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়ে ভারতের ১০০ কোটি মার্কিন ডলার মূলধনের সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে কোভিড পরবর্তী সময়ে সরবরাহ শৃঙ্খলকে দৃঢ় করতে বিভিন্ন ব্যবস্থার ওপর তিনি জোর দিয়েছেন। আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির নেতৃবৃন্দ এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভারতের অবদানের কথা স্বীকার করেছেন। আসিয়ানের বিষয়ে ভারতের সমর্থনকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন। ২০২১-২৫ সাল পর্যন্ত নতুন আসিয়ান ভারত প্ল্যান অফ অ্যাকশন গ্রহণ করার বিষয়টিকেও নেতৃবৃন্দ স্বাগত জানিয়েছেন।  
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1672455  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
 
আজ যে আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজ ঘোষিত হয়েছে তা সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সাহায্যের জন্য সরকারের উদ্যোগের অঙ্গ : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, আজ যে আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে সেটি আসলে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সাহায্যের জন্য সরকারের উদ্যোগের অঙ্গ। এক ট্যুইট বার্তায় শ্রী মোদী বলেছেন, ‘আজ যে আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজ ঘোষিত হয়েছে সেটি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সাহায্যের জন্য সরকারের উদ্যোগের অঙ্গ। এই উদ্যোগগুলির ফলে কাজের সুযোগ তৈরি হবে, সমস্যায় থাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রের সুবিধা হবে, মূলধন নিশ্চিত হবে, পরিকাঠামোর উন্নয়ন হবে, রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রে চাঙ্গা ভাব দেখা দেবে এবং কৃষকদের সুবিধা হবে।’
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1672449  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
 
প্রধানমন্ত্রী জেএনইউ ক্যাম্পাসে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেছেন
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন দিল্লিতে জেএনইউ ক্যাম্পাসে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জেএনইউ-এর ছাত্রছাত্রী এবং দেশের যুব সম্প্রদায়কে তাঁর ভাষণে জাতীয় স্বার্থের চাইতে আদর্শকে অগ্রাধিকার দিলে কি ক্ষতি হতে পারে সেই বিষয়ে তাঁর মতামত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এর ফলে যথেষ্ট ক্ষতির সম্মুখীন হয়। "কারণ, আমার আদর্শ একটি ভাবনায় চলবে, আবার জাতীয় স্বার্থ অন্য ভাবনায়, আমাকে একই গণ্ডীর মধ্যে ভাবনা-চিন্তা করতে হবে, আমি একই জিনিস নিয়ে কাজ করব, এই ধারণাটাই ভুল।” শ্রী মোদী বলেছেন, একজন তাঁর আদর্শের বিষয়ে গর্বিত হতেই পারেন, কিন্তু একইসঙ্গে জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে আমাদের দেখতে হবে আমাদের আদর্শ যেন স্বার্থের পরিপন্থী না হয়। এই বিষয়টির ওপর তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের বলেছেন, দেশের ইতিহাসে যখনই সঙ্কটের সময় এসেছে, তখন দেশের স্বার্থে প্রতিটি আদর্শের মানুষ একজোট হয়েছেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে সব আদর্শের মানুষ জোট বেঁধেছিলেন। তাঁরা একসঙ্গে সংগ্রাম করেছেন। দেশ এই একই সংহতি দেখেছিল জরুরি অবস্থার সময়। প্রাক্তন কংগ্রেসি নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীরা তাঁরাও জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। সেখানে আরএসএস-এর স্বেচ্ছাসেবক এবং জনসঙ্ঘের মানুষেরাও ছিলেন। সমাজতন্ত্র ও কমিউনিস্ট ভাবধারার মানুষও একজোট হয়েছিলেন। এই সংহতির প্রতি প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, কেউই তাঁর আদর্শ থেকে চ্যুত হবেন না। তবে সকলের একটি উদ্দেশ্য থাকতে হবে - জাতীয় স্বার্থ। আর তাই যখনই দেশের ঐক্য, অখণ্ডতা এবং জাতীয় স্বার্থের প্রশ্ন আসবে, তখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় কোনও আদর্শের কথা ভাবলে তা দেশের জন্য ক্ষতিকর হবে। প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ভাবনা ভাগ করে নেওয়া এবং নতুন ভাবনার গতিতে কোনও বাধা সৃষ্টি করা উচিৎ নয়। আমাদের দেশের মাটি হল সেই মাটি যেখানে বিভিন্ন ভাবধারার বীজ বিকশিত হয়েছে। এই ঐতিহ্যকে আরও শক্তিশালী করার দায়িত্ব আমাদের যুব সম্প্রদায়ের। এই ঐতিহ্যের জন্য ভারতে বিশ্বের সবথেকে প্রাণবন্ত গণতন্ত্র রয়েছে বলে শ্রী মোদী মন্তব্য করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের সংস্কারের বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আত্মনির্ভর ভারতের ধারণা ১৩০ কোটির বেশি মানুষের সঙ্ঘবদ্ধ চেতনার মাধ্যমে গড়ে উঠেছে। আর এটাই আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষার মূল কারণ। দেশের সংস্কার অব্যাহত রাখার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী মোদী জেএনইউ-এর ছাত্রছাত্রীদের আবেদন জানিয়েছেন কিভাবে ভালো সংস্কারের মাধ্যমে খারাপ রাজনীতিকে পরিবর্তন ঘটিয়ে ভালো রাজনীতিতে পরিণত করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করার। তিনি বলেছেন, আজ সংস্কারের পেছনে ভারতের প্রতিটি ক্ষেত্রকে আরও উন্নত করে তোলার চাহিদা রয়েছে। যে উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্যের মাধ্যমে আজ সংস্কার হাতে নেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি বলেছেন, এই সংস্কার শুরুর সঙ্গে সঙ্গে একটি সুরক্ষার বলয় তৈরি করা হয়েছে এবং সেই সুরক্ষার ভিত্তি হল বিশ্বাস।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1672386  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
 
নতুন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির আবরণ উন্মোচন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মূল অংশ 
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1672441  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
 
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পৌরহিত্যে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি ৬টি রাজ্যের জন্য অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় সাহায্য বাবদ ৪,৩৮১.৮৮ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ-এর পৌরহিত্যে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি (এইচএলসি) ৬টি রাজ্যে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় সাহায্য বাবদ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে অর্থ মঞ্জুর করেছে। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিধ্বসের ফলে এই রাজ্যগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এইচএলসি, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে অতিরিক্ত অর্থ কেন্দ্রীয় সাহায্য বাবদ ৬টি রাজ্যে ৪,৩৮১.৮৮ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। 
ঘূর্ণিঝড় ‘উমপুন’এর জন্য পশ্চিমবঙ্গকে ২,৭০৭.৭৭ কোটি টাকা ও ওড়িশাকে ১২৮.২৩ কোটি টাকা দেওয়া হবে। ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’এর জন্য মহারাষ্ট্রকে ২৬৮.৫৯ কোটি টাকা দেওয়া হবে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর ফলে বন্যা ও ভূমিধ্বসে ক্ষতির কারণে কর্ণাটককে ৫৭৭.৮৪ কোটি টাকা, মধ্যপ্রদেশকে ৬১১.৬১ কোটি টাকা এবং সিকিমকে ৮৭.৮৪ কোটি টাকা দেওয়া হবে। ঘূর্ণিঝড় উমপুনের পরে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২২শে মে ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা সফর করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সেইসময় তাৎক্ষণিক ত্রাণ সাহায্যের জন্য ২৩শে মে পশ্চিমবঙ্গকে ১ হাজার কোটি টাকা ও ওড়িশাকে ৫০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নিহতদের নিকট আত্মীয়কে ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা এককালীন অর্থ সাহায্যের ঘোষণা করেন। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে এই অর্থ সাহায্য করা হয়েছিল।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1672518  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
 
অর্থমন্ত্রী আত্মনির্ভর ভারত ৩.০-র কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন
কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আত্মনির্ভর ভারত ৩.০-র আওতায় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্রের ১২ দফা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন। শ্রীমতী সীতারমন আজ সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, কেন্দ্র যে পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে, সেই অনুসারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আজকের তারিখ পর্যন্ত কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সাহায্যে উদ্যোগী হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯.৮৭ লক্ষ কোটি টাকার সংস্থান করা হয়েছে যা দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ১৬ শতাংশ। এর মধ্যে ৯ শতাংশ মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের অর্থ কেন্দ্র যোগান দিচ্ছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1672321  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
 
বিজ্ঞান ও সমাজের মধ্যে নতুন সংযোগ স্থাপন করার জন্য বৈজ্ঞানিক সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রয়োজন : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব ডঃ আশুতোষ শর্মা জানিয়েছেন, বিজ্ঞান ও সমাজের মধ্যে নতুন সংযোগ স্থাপন তৈরির জন্য বৈজ্ঞানীক সামাজিক দায়বদ্ধতা (এসএসআর)-এর নীতিগুলি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কার্যকর করা হবে। বিশ্ব বিজ্ঞান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে একথা জানান তিনি। শ্রী শর্মা বলেন, বিজ্ঞানকে সমাজের সঙ্গে যুক্ত করে তুলতে পারলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শান্তি এবং উন্নয়ন ক্ষেত্রে অন্যতম শক্তিশালী স্তম্ভ হিসেবে গড়ে উঠবে। তবে, বৃহত্তর সমাজের সঙ্গে বিজ্ঞানের যোগাযোগ গড়ে তোলাই একটি বড় প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তিনি বলেন, বিজ্ঞানকে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া দরকার। তবেই সেটি শান্তি ও উন্নয়নে বড় হাতিয়ার হিসেবে উঠে উঠবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর এবং ইউনেস্কোর যৌথভাবে আয়োজিত বিশ্ব বিজ্ঞান দিবসে শান্তি ও উন্নয়নের ওপর আয়োজিত ওয়েবিনারে একথা উল্লেখ করেন তিনি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য এবং ন্যায় বিচারের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে অধ্যাপক শর্মা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর পরিচালিত ১০টি ভিন্ন কর্মসূচীর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবন ও উৎকর্ষতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে মহিলাদের উৎসাহিত করে তোলার জন্য বিজ্ঞানজ্যোতি নামে কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর ১০ই নভেম্ভর বিশ্ববিজ্ঞান দিবস উদযাপিত হয়। এবছরের বিষয় ভাবনা হলো “বিজ্ঞানের জন্য এবং সমাজের সঙ্গে”। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর এবং ইউনেস্কো যৌথভাবে নতুন দিল্লিতে এই বিষয় ভাবনাকে সামনে রেখে একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করে। কোভিড-১৯ মহামারীর গ্রাসে সারা বিশ্বের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, যার প্রভাব পড়েছে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং বিজ্ঞান ক্ষেত্রে। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ওয়েবিনারে বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। ইউনেস্কোর নতুন দিল্লি শাখার অধিকর্তা এরিক ফাল্ট বলেন, কোভিড-১৯ মাহামারীর কারণে চলতি বছরে বিজ্ঞান ক্ষেত্রকে নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন টিকা তৈরিতে গুরুত্বপূ্র্ণ ভূমিকা পালন করেছে বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন ক্ষেত্র। এমনকি স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ও অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী ক্ষেত্র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে বলেও তিনি জানান। শান্তি ও উন্নয়নের জন্য সকলের সুবিধাযোগ্য মৌলিক জ্ঞান এবং বিজ্ঞান প্রযুক্তি উদ্ভাবনার সাহায্যে তার গুরুত্ব জনসাধাসণের কাছে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1672492  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
 
কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীর এবং কেন্দ্রশাসিত লাদাখে সবকা বিসওয়াস (বিবাদ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা) কর্মসূচির আওতায় আবেদনপত্র দাখিলের শেষ তারিখ বাড়িয়ে ৩১শে ডিসেম্বর ২০২০ করা হ’ল 
নবগঠিত কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে ব্যবসা-বাণিজ্য তথা শিল্প ক্ষেত্রের স্বার্থে এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকার সবকা বিসওয়াস (বিবাদ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা) কর্মসূচির আওতায় বৈধ করদাতাদের আবেদনপত্র দাখিলের সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে সবকা বিসওয়াস কর্মসূচি রূপায়ণের সময় জম্মু ও কাশ্মীর তথা লাদাখের যে সমস্ত প্রকৃত করদাতা সুবিধা গ্রহণ করতে পারেননি, তাঁরা অত্যন্ত লাভবান হবেন। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই মর্মে শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। 
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1672351  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
 
 
 
পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য 
 
• আসাম : রাজ্যে আজ আরও ২০২ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯ হাজার ছাড়িয়েছে। সুস্থতার হার ৯৭.২৫ শতাংশ এবং সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের হার ২.২৯ শতাংশ।
 
• মিজোরাম : রাজ্যে আরও ২৫ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।
 
• নাগাল্যান্ড : রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে। নতুন করে ৩৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কেবল ৭৮৬। 
 
• সিকিম : রাজ্যে আরও ২৫ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে।
 
• কেরল : আসন্ন পুর নির্বাচনগুলির প্রেক্ষিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী এই নির্বাচনে সমস্ত ভোট প্রার্থী, রাজনৈতিক কর্মকর্তা এবং সাধারণ মানুষকে নির্বাচনী প্রচারের সময় সতর্ক থাকার আবেদন জানিয়েছেন। করমর্দন করার পাশাপাশি, কোনও পরিস্থিতিতেই মাক ব্যবহার এড়ানো যাবে না বলেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। ভোটদাতাদেরকেও নির্বাচনের সময় কোভিড আদর্শ আচরণ মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিকে রাজ্যে করোনাজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৭৯৭ হয়েছে।
 
• তামিলনাডু : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ২৪ কোটি টাকার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম সহ বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার সূচনা করছেন। 
 
• কর্ণাটক : রাজ্যের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় রাজ্যে উন্নত মানের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকবে। এদিকে কর্ণাটক হাইকোর্ট দীপাবলী উৎসবের সময় পরিবেশ-বান্ধব আতস বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছে। এছাড়াও, রাজ্য সরকার কোভিড নীতি-নির্দেশিকা মেনে সমস্ত মেডিকেল, ডেন্টাল, আয়ুষ, প্যারা মেডিকেল, নার্সিং এবং ফার্মাসি কলেজগুলি খোলার অনুমতি দিয়েছে।
 
• অন্ধ্রপ্রদেশ : রাজ্য সরকার বেসরকারি নমুনা পরীক্ষাগারগুলিতে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ক্ষেত্রে মাশুল হার সংশোধন সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে। এদিকে রাজ্যে বৃহস্পতিবার আরও ১ হাজার ৭২৮ জন সংক্রমিত হওয়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮.৫ লক্ষে পৌঁছেছে। সুস্থ হয়েছেন ৮ লক্ষ ২২ হাজারেরও বেশি। করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৮৩৭ জনের। 
 
• তেলেঙ্গানা : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৯৯৭ জনের সংক্রমিত হওয়ার ও ৪ জনের মৃত্যুর খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৩৭ হাজারেরও বেশি। করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩৯৭ জনের। 
 
• মহারাষ্ট্র : রাজ্য সরকার লোকাল ট্রেনগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীদের সফরে অনুমতি দেওয়ার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে। রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের অন্তত ৫০ শতাংশ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তার প্রেক্ষিতে রেলকে এই অনুরোধ করা হয়েছে। 
 
• গুজরাট : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১ হাজার ১২০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থতার হার ৯১.২৯ শতাংশ। এদিকে আমেদাবাদ পুর নিগম সাধারণ মানুষকে অপ্রয়োজনে নিখরচায় করোনা ভাইরাস নমুনা পরীক্ষা না করানোর আবেদন জানিয়েছে।
 
• রাজস্থান : রাজ্যে বৃহস্পতিবার আরও ১৩ জনের মৃত্যু হওয়ায় করোনাজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৩২ হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ১৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন প্রায় ২ লক্ষ রোগী। 
 
• মধ্যপ্রদেশ : রাজ্যের পবিত্রতম স্থান চিত্রকূটে বৃহস্পতিবার থেকে অনাড়ম্বভাবে কোভিড-১৯ আবহে ৫ দিনের দীপাবলী উৎসবের সূচনা হয়েছে। স্বল্প সংখ্যায় পুণ্যার্থীরা চিত্রকূটে মন্দাকিনী নদীর পাড়ে জমায়েত হয়ে প্রদীপ জলে ভাসাচ্ছেন। গত বছর এই চিত্রকূটে দীপাবলী উৎসবে ৩৫ লক্ষেরও বেশি পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছিল।
 
• ছত্তিশগড় : রাজ্যের রাজধানী রাইপুরে সংক্রমিত এলাকার বাইরে মাল্টিপ্লেক্স ও সিনেমা হলগুলি পুনরায় খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, মোট আসনের ৫০ শতাংশ দর্শকদের জন্য বরাদ্দ করা যাবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাল্টিপ্লেক্স ও সিনেমা হলগুলিতে ছবি প্রদর্শনী শনিবার দীপাবলীর দিন বা রবি থেকে শুরু হবে বলে স্থির হয়েছে। 
 
 
 
CG/BD/SB


(Release ID: 1672810) Visitor Counter : 177