PIB Headquarters

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

Posted On: 17 SEP 2020 6:29PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

 

 

ভারতে পরপর দু'দিন রেকর্ড ৮২ হাজারের বেশি করোনা রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন; মোট সুস্থতার সংখ্যা ৪০ লক্ষ ছাড়িয়েছে; নিশ্চিত আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা ৩০ লক্ষের বেশি
ভারতে পরপর দু'দিন রেকর্ড সংখ্যায় ৮২ হাজারের বেশি আরোগ্য লাভ করেছেন।গত ২৪ ঘন্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ৮২,৯৬১ জন রোগী।সুস্থতার সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার দরুণ জাতীয় স্তরে আরোগ্য লাভের হার ক্রমশ বাড়ছে এবং এই হার আজ আরও বেড়ে হয়েছে ৭৮.৬৪ শতাংশ। দেশে এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষ ২৫ হাজার ৭৯ জন রোগী করোনা মুক্ত হয়েছেন। আজ পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে ৩০ লক্ষের বেশি হয়েছে যা নিশ্চিতভাবে আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় চারগুণ বেশি। গত ৩০ দিনের ১০০ শতাংশ হারে সুস্থতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে। মহারাষ্ট্র থেকেই এক-পঞ্চমাংশের বেশি করোনা রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন। এই রাজ্য থেকে আরোগ্য লাভের সংখ্যা ১৭,৫৫৯। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ১০,৮৪৫ জন, কর্ণাটক থেকে ৬,৫৮০ জন, উত্তরপ্রদেশ থেকে ৬,৪৭৬ জন এবং তামিলনাড়ু থেকে ৫,৭৬৮ জন আরোগ্য লাভ করায় এই পাঁচটি রাজ্য থেকে মোট আরোগ্য লাভের হার ৩৫.৮৭ শতাংশ। দেশে আরোগ্য লাভের দিক থেকে এই রাজ্যগুলিতে সুস্থতার হার ৫৭.১ শতাংশ। দেশে আজ পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ৯ হাজার ৯৭৬। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের প্রায় অর্ধেক বা ৪৮.৪৫ শতাংশই সর্বাধিক প্রভাবিত তিনটি রাজ্য থেকে। এগুলি হল – মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশ। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের প্রায় ৬০ শতাংশই ওই তিনটি রাজ্য এবং উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু থেকে। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ১,১৩২ জনের করোনায় মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর মধ্যে সর্বাধিক ৪৭৪ জন মারা গেছেন মহারাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে উত্তরপ্রদেশ (৮৬), পাঞ্জাব (৭৮), অন্ধ্রপ্রদেশ (৬৪) এবং পশ্চিমবঙ্গ (৬১)। এই রাজ্যগুলি থেকে গত ২৪ ঘন্টায় দেশে মোট করোনায় মৃত্যুর ২৫.৫ শতাংশ ঘটেছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1655483 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

কেন্দ্র ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে জনৌষধি কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০,৫০০ করার পরিকল্পনা করেছে
কেন্দ্রীয় সার ও রাসায়নমন্ত্রী শ্রী ডি ভি সদানন্দ গৌড়া বলেছেন, সাধারণ মানুষ বিশেষত দরিদ্রদের কথা বিবেচনা করে, সরকার, সাশ্রয়ী দামে গুনমানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছে। ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী জনৌষধি কেন্দ্রগুলির (পিএমবিজেকে) সংখ্যা বাড়িয়ে ১০৫00 করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফার্মাসিউটিক্যালস দপ্তরের ব্যুরো অফ ফার্মা পিএসইউস অফ ইন্ডিয়া (বিপিপিআই) পিএমবিজেকে গড়ে তুলছে। প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জনৌষধি কেন্দ্রগুলি (পিএমবিজেপি) বিপিপিআই গড়ে তুলছে। দেশের সব জেলাতে জনৌষধি কেন্দ্র গড়ে উঠবে। এটি দেশের প্রতি প্রান্তে জনসাধারণের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যের ওষুধের সহজ পৌঁছনার বিষয়টিকে নিশ্চিত করবে। ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে এই ধরণের কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৬০৩। ২০২০ সালের মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে, কোভিড মহামারীর লকডাউনের কারণে এবং পরবর্তীতে, কেন্দ্রীয় এবং আঞ্চলিক গুদামগুলি থেকে খুচরা দোকানে ওষুধ সরবরাহের ক্ষেত্রে এপিআই এবং অন্যান্য কাঁচামালের ঘাটতি এবং ওষুধ সরবরাহের সমস্যার কারণে পিএমবিজেকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। পরিবহন সংক্রান্ত বিষয় সহ অন্যান্য নানা সমস্যার কথা বিবেচনা করে এই কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সমস্ত কেন্দ্রগুলিতে ওষুধ পাঠানোর নিশ্চিতকরণের জন্য কার্যকর আইটি-ভিত্তিক লজিস্টিকস এবং সরবরাহ শৃঙ্খল গড়ে তোলার কাজ শুরু করা হচ্ছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1655545 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

ন্যায্য মূল্যে জরুরি চিকিসা সামগ্রীর যোগান সুনিশ্চিত করতে এনপিপিএ হাঁটু প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের সর্বাধিক মূল্যসীমা ২০২১-এর ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে
সাধারণ মানুষের কাছে জরুরি চিকিৎসা সামগ্রীর যোগান সুনিশ্চিত করতে ওষুধ মূল্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ) হাঁটু প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ন্যায্যমূল্যের সময়সীমা আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২১-এর ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে এনপিপিএ ২০১৩-র ওষুধ মূল্য নিয়ন্ত্রণ বিধির আওতায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। এনপিপিএ ২০১৭-র ১৬ আগস্ট জারি করা এক নির্দেশে প্রথমবার হাঁটু প্রতিস্থাপনের ন্যায্যমূল্যের সময়সীমা এক বছরের জন্য অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৮-র ১৩ আগস্ট থেকে এই ন্যায্যমূল্যের সময়সীমার মেয়াদ আরও এক বছরের জন্য বাড়িয়ে ২০১৯-এর ১৫ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়। পরবর্তীকালে মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২০-র ১৫ আগস্ট পর্যন্ত হয়। এর ফলে, হাঁটু প্রতিস্থাপনের সরঞ্জামের সর্বোচ্চ মূল্যসীমার বাৎসরিক মেয়াদ গত ১৫ আগস্ট শেষ হয়ে যায়। এই প্রেক্ষিতে এনপিপিএ ন্যায্যমূল্যের সময়সীমা আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২১-এর ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1655460 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

কোভিড-১৯ এর সময় পেনশন-প্রাপকদের কল্যাণে গৃহীত একাধিক ব্যবস্থা
কেন্দ্রীয় কর্মচারী, গণঅভিযোগ ও পেনশন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং রাজ্যসভায় আজ এক লিখিত জবাবে জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ মহামারীর সময় পেনশন-প্রাপকদের সুবিধার্থে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাঁর দপ্তর কোভিড-১৯ মহামারীর দরুণ লকডাউনের সময় থেকেই পেনশন-প্রাপকদের প্রাপ্য অর্থ এবং অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা যাতে সময় মতো পৌঁছে যায়, তা সুনিশ্চিত করতে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1655667 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

দেশ জুড়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির ওপর কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা নীতি-নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোভিড-১৯ এর প্রভাব ন্যূনতম রাখতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। গত জুলাই মাসে রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে আলাপ-আলোচনার সময় অধিকাংশ রাজ্যই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি পুনরায় চালু করার ব্যাপারে নিজেদের অক্ষমতার কথা প্রকাশ করে। অবশ্য, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির সুবিধাভোগী, কর্মচারী ও সহায়কদের জন্য পুষ্টি-সমৃদ্ধ খাবারের যোগান অব্যাহত রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। এছাড়াও, রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জারি করা এক নির্দেশে বলা হয়, সুবিধাভোগীদের বাড়িতে ১৫ দিনে অন্তত একবার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা প্রয়োজনীয় খাবার ও সুষম অন্ন যেন পৌঁছে দিয়ে আসেন। রাজ্যসভায় আজ এক লিখিত জবাবে এই তথ্য দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীমতী স্মৃতি জুবিন ইরানি।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1655608 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

কোভিড-১৯ মহামারীর সময় বিদ্যালয় পড়ুয়াদের পঠন-পাঠন অব্যাহত রাখতে শিক্ষা মন্ত্রক একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে
কোভিড-১৯ মহামারীর সময় বিদ্যালয় পড়ুয়া যাতে পঠন-পাঠনের দিক থেকে পিছিয়ে না পরে তার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক একাধিক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে – প্রধানমন্ত্রী ই-বিদ্যা, অনলাইন পঠন-পাঠন কর্মসূচি, ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা সম্পর্কিত প্রাজ্ঞতা নীতি-নির্দেশিকা এবং বিদ্যালয় পড়ুয়াদের মনস্তাত্ত্বিক সহায়তার জন্য মনদর্পণ কর্মসূচি। রাজ্যসভায় আজ এক লিখিত জবাবে এই তথ্য দেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1655697 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

কোভিড মহামারীর মধ্যে উপজাতি সম্প্রদায়ের সহায়তার জন্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ
উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রক কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে অর্থনীতির গতি ফিরিয়ে আনার জন্য পথ নির্দেশিকা তৈরি করছে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে একটি দল গঠন করেছে। লকডাউন শিথিলের পর দেশের বনাঞ্চলে বসবাসকারী তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য জনজাতির কাছ থেকে নন টিম্বার ফরেস্ট প্রোডাক্ট/ছোট বনজ উৎপাদক সামগ্রী সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করণের জন্য উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রকের অনুরোধের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। একই সঙ্গে উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রক করোনা মহামারী কারণে কঠিন পরিস্থিতিতে উপজাতি সম্প্রদায়ের তৈরি ছোট বনজ সামগ্রীগুলির ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করেছে। এতে উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের আয়ের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন কি উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রক উপজাতি মানুষের সংগৃহীত কৃষিজ ও উদ্যানজাত পণ্যগুলির সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করেছে। কোভিড মহামারী মোকাবিলায় মন্ত্রক তফসিলি উজজাতি মানুষের জীবন জীবিকা এবং স্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে মন্ত্রক তফসিলি উপজাতি অঞ্চলে কমিউনিটি কিচেনের ব্যবস্থা চালু করেছে। রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার সু-বন্দ্যোবস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তফসিলি উপজাতিদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী ট্রাই ফেডেরম মাধ্যমে বাজারজাত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে পণ্য সংগ্রহ, বিক্রি এবং সরবরাহ শৃঙ্খলা পরিচালনার জন্য অনলাইন প্লাটফর্মের সুবিধা চালু করা হয়েছে। মৎস্যচাষ, মাশরুম চাষ, মৌমাছি পালন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ছোট ছোট গোষ্ঠী তৈরি করে সাহায্য করা হয়েছে। এমনকি তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের তরুণ যুবক-যুবতীদের দক্ষতার বিকাশেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1655632 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

লকডাউনের সময় ছাত্রছাত্রীদের খাবার সরবরাহ
মহামারীর সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকালীন সমস্ত যোগ্য পড়ুয়াদের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসার জন্য রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ছাত্রছাত্রীদের খাদ্য সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় পন্থা-পদ্ধতি গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, কোভিড-১৯ জনিত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যসভায় আজ এক লিখিত জবাবে এই তথ্য দেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শ্রীমতী স্মৃতি জুবিন ইরানি।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1655617 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

লকডাউনের সময় মহিলাদের উপর গার্হস্থ হিংসা
জাতীয় আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ (নালসা) – এর কাজ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ২ হাজার ৮৭৮টি গার্হস্থ হিংসার ঘটনায় আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এমনকি, ২০০৫ – এর গার্হস্থ হিংসা থেকে মহিলাদের সুরক্ষা আইনের আওতায় ৪৫২টি ঘটনায় পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কাউন্সেলিং – এর মাধ্যমে ৬৯৪টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এদিকে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে গত ২৫শে মার্চ এক পরামর্শ জারি করে বলা হয়, দেশ জুড়ে লকডাউনের সময় ওয়ানস্টপ কেন্দ্রগুলি পুরোদমে চালু থাকবে। এছাড়াও, মন্ত্রকের ঐ পরামর্শে বলা হয়েছিল, গার্হস্থ হিংসা মহিলাদের সুরক্ষা আইনের আওতায় সুরক্ষা প্রদান আধিকারিকরা তাঁদের দায়িত্ব ও কর্তব্য লকডাউনের সময় যথাযথভাবে পালন করবে।রাজ্যসভায় আজ এক লিখিত জবাবে এই তথ্য দেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শ্রীমতী স্মৃতি জুবিন ইরানি।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1655619 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেই অসামরিক বিমান পরিবহণ শিল্পে পুনরুজ্জীবনে একাধিক পদক্ষেপ
অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রের ওপর মহামারীর প্রভাব হ্রাস করতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর দরুণ অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবা উল্লেখযোগ্যভাবে সীমিত রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চলতি বছরের গ্রীষ্মকালীন সময়ে কেবল এক-তৃতীয়াংশ বিমান পরিষেবা দিয়েছে। পরবর্তীকালে ২৬শে জুন থেকে এই পরিষেবার হার বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ এবং দোসরা সেপ্টেম্বর থেকে পরিষেবার হার আরও বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। তবে, উড়ান কর্মসূচির আওতায় আঞ্চলিক যোগাযোগ রক্ষা নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য এই কর্মসূচির বিমান পরিষেবাকে লকডাউন সম্পর্কিত নীতি-নির্দেশিকার আওতার বাইরে রাখা হয়। দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলির কার্বোটার্মিনালগুলিতে পণ্য পরিবহণের কাজ অব্যাহত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও, অস্থায়ী-ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের যাওয়া-আসা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সুনির্দিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা হয়েছিল। তবে, এই পরিষেবাও ছিল সীমিত সংখ্যক কয়েকটি দেশের সঙ্গে। লোকসভায় এক লিখিত জবাবে এই তথ্য দেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1655672 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

বন্দে ভারত মিশনের আওতায় বিদেশ থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার সম্পর্কিত তথ্য
বন্দে ভারত মিশনের আওতায় ভারতীয় বিমান সংস্থা সহ দেশী ও বিদেশী চার্টার্ড পরিষেবার মাধ্যমে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করে আনা হয়। বিদেশ মন্ত্রকের কাছ থেকে পাওয়া গত ৩১শে অগাস্ট পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, ভারতগামী ৫ হাজার ৮১৭টি বিমান পরিষেবার মাধ্যমে ভারতীয়দের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। গতকাল রাজ্যসভায় এক লিখিত জবাবে এই তথ্য দেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1655209 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

কোভিড-১৯ মহামারীর সময় খেলোয়াড় ও প্রশিক্ষকদের জন্য সরকারের গৃহীত ব্যবস্থা
স্পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা সাই খেলোয়াড় ও প্রশিক্ষকদের যে সহায়তা দিয়ে থাকে, তাতে আর্থিক সাহায্যে কোনও কাটছাট করা হয়নি, এমনকি, লকডাউনের সময় খেলোয়াড়রা যাতে প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখতে পারেন, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। লোকসভায় আজ এক লিখিত জবাবে এই তথ্য দেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী শ্রী কিরেণ রিজিজু।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1655642 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

গোয়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলা ৩৬তম জাতীয় গেমস্ কোভিড-১৯ মহামারীর জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে
গোয়ায় আগামী ২০শে অক্টোবর থেকে ৪ঠা নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে চলা ৩৬তম জাতীয় গেমস্ কোভিড-১৯ মহামারীর দরুণ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। এবারের জাতীয় গেমস্ আয়োজনের জন্য ক্রীড়া পরিকাঠামোর উন্নয়ন ও সংস্কারে গোয়া সরকারকে ৯৭ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা কেন্দ্রীয় সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। লোকসভায় আজ এক লিখিত জবাবে এই তথ্য দেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী শ্রী কিরেণ রিজিজু।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=165643 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

 


পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য

চন্ডীগড় : কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলের প্রশাসক সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, সর্বাধিক ঝুঁকিসম্পন্ন প্রবীণ নাগরিকরা নিজেদের সুরক্ষিত ও নিরাপদ রাখার জন্য নীতি-নির্দেশিকা অনুসরণ করে বাড়িতেই থেকেছেন। তিনি সমস্ত মানুষকে অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়িতেই থাকার এবং সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

পাঞ্জাব : রাজ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ অব্যাহত রাখতে মেডিকেল কলেজগুলির মধ্যে সরবরাহ-শৃঙ্খল আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণা মন্ত্রী।

হিমাচল প্রদেশ : রাজ্য সরকার ১৫ই সেপ্টেম্বর থেকে পানশালাগুলি খোলার অনুমতি দিয়েছে। তবে, কর্তৃপক্ষকে যাবতীয় নীতি-নির্দেশিকা ও আদর্শ কার্যপরিচালন বিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।

অরুণাচল প্রদেশ : রাজ্যে আরও ২২১ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মিলেছে। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৮৯২। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।

আসাম : রাজ্যে গতকাল আরও ২ হাজার ৩৯৪ জন সংক্রমিত হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯০০ ছাড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ১৯ হাজারেরও বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৫১১ জনের।

মহারাষ্ট্র : রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লক্ষ ২১ হাজার। গতকাল আরও ৪৭৪ জনের মৃত্যুর খবর মেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ হাজার ৮৮৩ হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন, আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর এবং প্রতিকারমূলক নিয়ম-নীতি না মেনে চলার দরুণ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে।

গুজরাট : রাজ্য সরকার বেসরকারি পরীক্ষাগারগুলিতে কোভিড-১৯ এর জন্য আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষার মাশুল হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে, এই মাশুল ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমে ১ হাজার ৫০০ টাকা হয়েছে। অবশ্য, বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে মাশুল ২ হাজার টাকা স্থির হয়েছে। এদিকে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ২৯৪ জন।

কেরল : স্বল্প উপসর্গ-বিশিষ্ট কোভিড-১৯ প্রবাসী শ্রমিকদের রাজ্যে কাজকর্মের ব্যাপারে অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে তা রাজ্য সরকার সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে রাজ্যে গতকাল এ যাবৎ একদিনেই সর্বাধিক ৩ হাজার ৮৩০ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মিলেছে। বর্তমানে ৩২ হাজার ৭০৯ জন রোগীর চিকিৎসা চলছে। রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৪৮০।

তামিলনাডু : রাজ্যে গতকাল আরও ৫ হাজার ৬৫২ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লক্ষ ১৯ হাজার ছাড়িয়েছে। গতকাল আরও ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। চেন্নাই থেকে রেকর্ড ৯৮৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।

কর্ণাটক : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কৃষি ও কৃষি বহির্ভূত ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণ অব্যাহত রাখার জন্য রাজ্য সরকার ৩৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেবে। এদিকে, সরকারের নির্দেশ সত্ত্বেও ৫০ শতাংশ রোগী শয্যা সুনির্দিষ্ট করে না রাখার জন্য ৩৬টি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

অন্ধ্রপ্রদেশ : রাজ্য বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর বিদ্যালয়গুলি পুনরায় খোলার জন্য নীতি-নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকার ফলে আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যালয়গুলি পুনরায় খোলার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে, সংক্রমিত এলাকার বাইরে থাকা বিদ্যালয়গুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। এদিকে রাজ্য বিধানসভায় ১৫৭ জন কর্মী নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

তেলেঙ্গানা : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ২ হাজার ১৫৯ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ৪৪৩। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫ জনের। রাজ্য বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন বুধবার অনির্দিষ্টকালীন সময়ের জন্য মূলতবি করে দেওয়া হয়েছে। বিধায়ক, বিধানসভার কর্মী এবং পুলিশের মধ্যে সংক্রমণ প্রতিরোধে এই সিদ্ধান্ত।

 

 

CG/BD/SB



(Release ID: 1655893) Visitor Counter : 197