প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
শততম কিষাণ রেলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
Posted On:
28 DEC 2020 9:25PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমরজি, রেলমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েলজি, উপস্থিত অন্যান্য সাংসদ ও বিধায়কগণ এবং আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমি সবার আগে দেশের কোটি কোটি কৃষককে অভিনন্দন জানাই।
আগস্ট মাসে দেশের প্রথম কৃষি ও কৃষকের জন্য সম্পূর্ণরূপে সমর্পিত রেল চালু করা হয়েছিল। উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম – দেশের প্রত্যেক প্রান্তের কৃষিকে, কৃষকদের কিষাণ রেলের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হচ্ছে। করোনার চ্যালেঞ্জের মাঝে বিগত চার মাসে কিষাণ রেলের এই নেটওয়ার্ক আজ ১০০-র পরিসংখ্যান স্পর্শ করেছে। আজ ১০০তম কিষাণ রেল একটু আগেই মহারাষ্ট্রের সাঙ্গোলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের শালিমার স্টেশনের জন্য রওনা হয়েছে। অর্থাৎ এক প্রকার পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের, পশুপালকদের, মৎস্যচাষীদের নাগাল এখন মুম্বাই, পুণে, নাগপুরের মতো মহারাষ্ট্রের বড় বাজার পর্যন্ত হয়ে গেছে। তেমনই, মহারাষ্ট্রের বন্ধুরাও এখন পশ্চিমবঙ্গের বাজারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সস্তা এবং সুলভ পরিষেবা পেয়েছেন। যে রেল এখন পর্যন্ত সমস্ত দেশকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করত, তাই এখন গোটা দেশের কৃষি বাজারকে যুক্ত করছে, ঐক্যবদ্ধ করছে।
বন্ধুগণ,
কিষাণ রেল পরিষেবা দেশের কৃষকদের রোজগার বৃদ্ধির লক্ষ্যেও একটি অনেক বড় পদক্ষেপ। এতে কৃষকদের সঙ্গে যুক্ত অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে। এর মাধ্যমে দেশের হিমঘর সরবরাহ শৃঙ্খলেরও শক্তি বৃদ্ধি পাবে। সবথেকে বড় কথা এই যে, কিষাণ রেলের মাধ্যমে দেশের ৮০ শতাংশেরও বেশি ছোট এবং প্রান্তিক কৃষকরা অনেক বেশি ক্ষমতা পেয়েছেন। এটা আমি এজন্য বলছি কারণ এতে কৃষকদের জন্য কোনও ন্যূনতম মাত্রা ধার্য করা হয়নি। যদি কোনও কৃষক ৫০-১০০ কেজিরও পার্সেল পাঠাতে চান, তাহলেও তিনি পাঠাতে পারেন। অর্থাৎ, ক্ষুদ্র কৃষকের সামান্য উৎপাদিত ফসলও কম দামে সংরক্ষিতভাবে বড় বাজারে পৌঁছে যেতে পারবে। আমি কোথাও পড়েছিলাম যে এখনও পর্যন্ত রেলের সবথেকে ছোট যে কনসাইনমেন্ট ছিল তা হল বেদানার একটি ৩ কিলো প্যাকেট, যা কিষাণ রেলের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, একজন মুরগীপালক মাত্র ১৭ ডজন ডিমও কিষাণ রেলের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন।
বন্ধুগণ,
গুদামজাতকরণ এবং হিমঘরের অভাবে দেশের কৃষকদের যে লোকসান হয় তা সবসময়েই একটি সমস্যার কারণ হয়ে ওঠে। আমাদের সরকার গুদামজাতকরণের আধুনিক ব্যবস্থায় সরবরাহ শৃঙ্খলকে আধুনিকীকরণের জন্য কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ তো করছেই, পাশাপাশি কিষাণ রেলের মতো নতুন উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। স্বাধীনতার আগে থেকেই ভারতের কাছে অনেক বড় রেল নেটওয়ার্ক রয়েছে। হিমঘরের সঙ্গে যুক্ত প্রযুক্তিও অনেক আগে থেকেই দেশে আছে। এতদিনে কিষাণ রেলের মাধ্যমে এই শক্তির উন্নত ব্যবহার হওয়া শুরু হয়েছে।
বন্ধুগণ,
ছোট কৃষকরা যাতে কম খরচে বড় এবং নতুন বাজার পান, সেটা আমরা সুনিশ্চিত করছি। আমাদের মন উদার, নীতিও স্পষ্ট। আমরা বাজেটে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাগুলিও করে দিয়েছিলাম। প্রথমটি কিষাণ রেল এবং দ্বিতীয়টি কৃষি উড়ান। অর্থাৎ যখন আমরা এটা বলছি যে আমাদের সরকার আমাদের কৃষকরা পণ্য বিক্রি করার পরিধি দেশের দূরদুরান্ত অঞ্চলগুলিতে এবং আন্তর্জাতিক বাজার পর্যন্ত যাতে বাড়াতে পারেন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করছি। আমরা ফাঁকা আওয়াজ করছি না। এটা আমি সম্পূর্ণ প্রত্যয় নিয়ে বলছি যে আমরা সঠিক পথে আছি।
বন্ধুগণ,
গোড়ার দিকে কিষাণ রেল সাপ্তাহিক ছিল। কিছুদিনের মধ্যেই এই রেলের চাহিদা এত বেড়ে গেল যে এখন সপ্তাহে তিনদিন এই রেল চালাতে হচ্ছে। ভাবুন, এত কম সময়ে ১০০তম কিষাণ রেল। এটা কোনও সাধারণ কথা নয়। এটা স্পষ্ট বার্তা দেয় যে দেশের কৃষকরা কি চান।
বন্ধুগণ,
এ কাজ কৃষকদের পরিষেবা প্রদানের জন্য আমাদের দায়বদ্ধতাকে দর্শায়। কিন্তু একথাও প্রমাণ করে যে আমাদের কৃষকরা নতুন নতুন সম্ভাবনার জন্য কত দ্রুতগতিতে প্রস্তুত হয়ে যান। কৃষকরা অন্যান্য রাজ্যেও যাতে নিজেদের ফসল বিক্রি করতে পারেন তা সুনিশ্চিত করতে এই কিষাণ রেল ও কৃষি উড়ানের বড় ভূমিকা রয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলছি যে দেশের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে কৃষকরা কৃষি উড়ানের মাধ্যমে লাভবান হওয়া শুরু করেছেন। এমনই পূর্ব প্রস্তুতির পর আমরা ঐতিহাসিক কৃষি সংস্কারের দিকে এগিয়ে গিয়েছি।
বন্ধুগণ,
কিষাণ রেলের মাধ্যমে কৃষকরা কিভাবে নতুন বাজার পাচ্ছেন, কিভাবে তাঁদের আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর খরচও সাশ্রয় হচ্ছে, আমি তার একটি উদাহরণ দিতে চাই। কখনওসখনও আমরা খবরে দেখি যে কিছু কারণে যখন টম্যাটোর দাম কোনও জায়গায় পড়ে যায় তখন টম্যাটো চাষীদের কী অবস্থা হয়। এই পরিস্থিতি অত্যন্ত দুঃখজনক। কৃষকরা নিজেদের পরিশ্রমে উৎপাদিত ফসল নিজেদের চোখের সামনে নষ্ট হয়ে যেতে দেখে অসহায় হয়ে পড়েন। কিন্তু এখন নতুন কৃষি সংস্কারের পর কিষাণ রেলের পরিষেবা চালু হওয়ার পর তাঁরা একটা নতুন বিকল্প পেয়েছেন। এখন আমাদের কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল দেশের অন্যান্য অংশে পৌঁছে দিতে পারবেন যেখানে টম্যাটোর চাহিদা বেশি, যেখানে তাঁরা বেশি দাম পেতে পারেন। তেমনই ফল ও সব্জির ক্ষেত্রেও পরিবহণ খরচে ভর্তুকি থেকেও লাভ হতে পারে।
ভাই ও বোনেরা,
এই কিষাণ রেলের আরেকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই কিষাণ রেল এক প্রকার চলমান হিমঘরও। অর্থাৎ, এতে ফল থেকে শুরু করে শাক-সব্জি, দুধ, মাছ – যাই-ই নিয়ে যান না কেন, অতি পচনশীল বস্তু হলেও তা সহজে খারাপ হবে না। আর অত্যন্ত সংরক্ষিতভাবে রেল এগুলিকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পৌঁছে দিচ্ছে। আগে এই জিনিসগুলি কৃষককে সড়কপথে ট্রাকের মাধ্যেম পাঠাতে হত। সড়কপথে পরিবহণের অনেক সমস্যা আছে। প্রথমত, এতে সময় অনেক বেশি লাগে। সড়কপথে ভাড়াও বেশি লাগে। অর্থাৎ, গ্রামের উৎপাদনকারী আর শহরের ক্রেতা বা যাঁরা খাবেন, দু'জনকেই এর মাশুল চোকাতে হয়। এখন যেমন আজ যে ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গের জন্য রওনা হয়েছে সেটি মহারাষ্ট্র থেকে বেদানা, আঙুর, কমলা এবং কাস্টার্ড আপেল, যাকে অনেক জায়গায় সীতাফল বা আতা বলা হয়, এই ধরনের অতি পচনশীল ফল পাঠানো হচ্ছে। এই ট্রেনটি প্রায় ৪০ ঘন্টায় গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। কিন্তু সড়কপথে এই দু'হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব যেতে অনেকদিন লেগে যেত। পথে এই ট্রেনটি মাঝের বেশ কিছু রাজ্যের বড় বড় স্টেশনেও দাঁড়াবে। সেখানকার কৃষকরাও যদি কোনও উৎপাদিত ফসল পাঠাতে চান অথবা এখান থেকে অর্ডার দিয়ে আনাতে চান, সেই পরিষেবাও কিষাণ রেল প্রদান করছে। অর্থাৎ, মাঝেও অনেক বাজারে এই কিষাণ রেলের মাধ্যমে পণ্য পৌঁছনো হচ্ছে আর ওঠানোও হচ্ছে। যেখানে ভাড়ার প্রসঙ্গ উঠছে, এই পথে রেলের পণ্যমাশুল ট্রাকের তুলনায় প্রায় ১,৭০০ টাকা কম। কিষাণ রেলে সরকার ৫০ শতাংশ ভর্তুকিও দিচ্ছে। কৃষকরা এর দ্বারাও লাভবান হচ্ছেন।
বন্ধুগণ,
কিষাণ রেলের মতো পরিষেবা পাওয়ায় 'ক্যাশ ক্রপস' অথবা উচ্চমূল্যসম্পন্ন ফসল উৎপাদনের জন্য উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে। ছোট কৃষকরা আগে এসবের ধারেকাছেও যেতেন না, কারণ তাঁদের হিমঘর এবং বড় বাজার পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হত। দূরবর্তী বাজারে উৎপাদিত ফসল পৌঁছে দিতে তাঁদের ভাড়া অনেক বেশি খরচ হত। এই সমস্যা দেখে তিন বছর আগে আমাদের সরকার টম্যাটো, পেঁয়াজ ও আলু পরিবহণের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া চালু করেছিল। এখন আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের মাধ্যমে এই ভর্তুকি কয়েক ডজন অন্যান্য ফল ও শাকসব্জির জন্যও প্রযোজ্য। এর দ্বারা দেশের কৃষকরা সরাসরি লাভবান হচ্ছেন।
ভাই ও বোনেরা,
আজ পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরাও এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হলেন। পশ্চিমবঙ্গে আলু, কাঠাল, ফুলকপি, বেগুনের মতো অনেক সব্জি খুব উৎপন্ন হয়। তেমনই, আনারস, লিচু, আম ও কলার মতো অনেক ফলও পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা উৎপন্ন করেন। মিষ্টি জলের মাছ থেকে শুরু করে নোনা জলের মাছ – পশ্চিমবঙ্গে কোনও অভাব নেই। সমস্যা হল সেগুলিকে সারা দেশের বাজারে পৌঁছে দেওয়া। এখন কিষাণ রেলের মতো পরিষেবা চালু হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ ছোট কৃষকরা একটি বড় বিকল্প পেয়ে গেলেন। আর এই বিকল্প কৃষকদের পাশাপাশি, স্থানীয় বাজারে যে ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা রয়েছেন, তাঁরাও লাভবান হয়েছেন। তিনি কৃষকদের থেকে বেশি দামে বেশি পণ্য কিনে কিষাণ রেলের মাধ্যমে অন্যান্য রাজ্যেও পাঠাতে পারেন।
ভাই ও বোনেরা,
গ্রামগুলিতে বেশি মাত্রায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কৃষকদের উন্নত জীবনযাত্রার মান, নতুন নতুন পরিষেবা এবং নতুন নতুন সমাধান প্রয়োজন। এই লক্ষ্য নিয়ে একের পর এক কৃষি সংস্কার করা হচ্ছে। কৃষির সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞদের এবং সারা পৃথিবীর অভিজ্ঞ ও নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারতীয় কৃষিকে সংহত করা হচ্ছে। সংরক্ষণের সঙ্গে যুক্ত পরিকাঠামো থেকে শুরু করে খেতের ফসলে মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প – এটা আমাদের সরকারের অগ্রাধিকার। রেল স্টেশনগুলির কাছে সারা দেশের উচ্চপচনশীল কার্গো সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে যেখানে কৃষক নিজেদের উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ করতে পারছেন। চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে যত ফল, সব্জি সরাসরি বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে তা পৌঁছে দেওয়া হোক। এর অতিরিক্ত যা কিছু উৎপাদিত হয় সেগুলি জুস, আচার, সস, চাটনি, চিপস – এসব বানানোর জন্য শিল্পপতিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হোক।
পিএম-কৃষি সম্পদা যোজনার মাধ্যমে মেগা কোল্ড চেন ইনফ্রাস্ট্রাকচার, অ্যাগ্রো-প্রসেসিং ক্লাস্টার, প্রসেসিং ইউনিট – এ ধরনের প্রায় ৬,৫০০ প্রকল্প মঞ্জুর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অনেক প্রকল্প সম্পূর্ণ হয়ে গেছে আর লক্ষ লক্ষ কৃষক পরিবার এর দ্বারা লাভবান হয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত অভিযান প্যাকেজের মাধ্যমে মাইক্রো ফুড প্রসেসিং উদ্যোগের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।
বন্ধুগণ,
আজ যদি সরকার দেশবাসীর ছোট ছোট প্রয়োজনগুলিকে সম্পূর্ণ করতে পারে, তাহলে এর কারণ হল সম-অংশীদারিত্ব। কৃষির সঙ্গে যুক্ত যত সংস্কার হচ্ছে তার সবথেকে বড় শক্তি গ্রামের জনগণ, কৃষক ও যুব সম্প্রদায়ের অংশীদারিত্ব। এফপিওগুলি অর্থাৎ, কৃষক উৎপাদক সঙ্ঘ, অন্যান্য সরকারি উদ্যোগ, মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি, কৃষি ব্যবসায় এবং কৃষি পরিকাঠামো নির্মাণের সময় একে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। নতুন কৃষি সংস্কারের মাধ্যমে কৃষকদের সঙ্গে যুক্ত যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি হতে চলেছে, তার দ্বারা লাভবান হবেন কৃষকরা, গ্রামীণ যুবক-যুবতীরা এবং মহিলাদের এই সংগঠন।
কৃষি ব্যবসায় যাঁরা বেসরকারি বিনিয়োগ করছেন, তাঁদের কাছে সরকারের এই প্রচেষ্টাগুলির শক্তি পৌঁছে যাবে। আমরা সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে ভারতীয় কৃষিকে ও কৃষকদের স্বশক্ত করার পথে এগিয়ে যেতে থাকবে। আরেকবার দেশের কৃষকদের ১০০তম কিষাণ রেল এবং নতুন নতুন সম্ভাবনার জন্য আমি অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। রেল মন্ত্রককে অভিনন্দন জানাই, কৃষি মন্ত্রককে অভিনন্দন জানাই এবং আমি দেশের কোটি কোটি কৃষকদেরও অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
***
CG/SB/DM
(Release ID: 1684528)
Visitor Counter : 203
Read this release in:
Manipuri
,
Hindi
,
Marathi
,
Gujarati
,
Telugu
,
Kannada
,
Punjabi
,
Tamil
,
Malayalam
,
Assamese
,
English
,
Urdu
,
Odia