PIB Headquarters
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ
Posted On:
18 NOV 2020 6:01PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৮ নভেম্বর, ২০২০
ভারতে ৪৬ দিন দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা আক্রান্তের তুলনায় বেশি; পরপর ১১ দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের নীচে
ভারতে দৈনিক ভিত্তিতে সুস্থতার সংখ্যা দেড় মাসেরও বেশি সময়ে দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় বেশি রয়েছে। এমনকি, লাগাতার ১১ দিন দৈনিক ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের কম। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৪৪,৭৩৯ জন সুস্থ হয়েছেন। অন্যদিকে, নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮,৬১৭। এর ফলে, দৈনিক ভিত্তিতে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬,১২২ কমে এখন ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮০৫ হয়েছে। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের হার মোট করোনায় আক্রান্তের কেবল ৫.০১ শতাংশ। দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরেই দৈনিক ভিত্তিতে গড় আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার নিম্নমুখী। কোভিড আদর্শ আচরণ মেনে চলার দরুণ আক্রান্তের সংখ্যা ও সুস্থতার মধ্যে ফারাক ক্রমশ বাড়ছে। তবে, ইউরোপ ও আমেরিকায় কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের ঘটনা বেড়েছে। দেশে আজ সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৩.৫২ শতাংশ। একইভাবে, সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ১০৯। সদ্য আরোগ্য লাভকারীদের ৭৪.৯৮ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। গত ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক ৬,৬২০ জন করোনা রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন কেরল থেকে। মহারাষ্ট্র থেকে একদিনেই সুস্থতার সংখ্যা ৫,১২৩। অন্যদিকে, দিল্লি থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪,৪২১ জন। সদ্য করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ৭৬.১৫ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। দিল্লি থেকেই গত ২৪ ঘন্টায় ৬,৩৯৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কেরল থেকে একদিনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৭৯২। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে গতকাল ৩,৬৫৪ জনের আক্রান্তের খবর মিলেছে। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাজনিত কারণে ৪৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭৮.৯ শতাংশই মারা গেছেন ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। গত ২৪ ঘন্টায় করোনাজনিত কারণে মৃতদের মধ্যে দিল্লি থেকেই ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৬৮ ও ৫২।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত জোসেফ আর বিডেনের মধ্যে টেলিফোনে কথা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত মিঃ জোসেফ আর বিডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী টেলিফোনে কথা বলেছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিডেন জয়লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রীতির শক্তি ও প্রাণবন্ত দিকটি এর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেনেটার কমলা হ্যারিসকে উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ায় আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। শ্রী মোদী এই প্রসঙ্গে ২০১৪ এবং ২০১৬ সালে তাঁর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরের সময় মিঃ বিডেনের সঙ্গে আলাপচারিতার বিষয়টি স্মরণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ২০১৬ সালে মার্কিন সফরের সময় মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে মিঃ বিডেন পৌরহিত্য করেছিলেন। উভয় নেতা সম মূল্যবোধ ও অভিন্ন পারস্পরিক স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে ভারত-মার্কিন সর্বাঙ্গীন আন্তর্জাতিক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে সহমত পোষণ করেছেন। কোভিড-১৯ মহামারী, স্বল্প মূল্যের টিকা, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেছেন।
ব্লুমবার্গ নতুন অর্থনীতি ফোরামের তৃতীয় বার্ষিক সম্মেলনে ১৭ই নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
শহরাঞ্চলের জন্য ভারতে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় সুযোগ রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতে নগরায়নের জন্য বিনিয়োগ করতে বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছেন। শ্রী মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ব্লুমবার্গ নতুন অর্থনীতি ফোরামের তৃতীয় বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেছেন, “আপনারা যদি নগরায়নের জন্য বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হন, ভারতে সেই সুযোগ আপনাদের রয়েছে। আপনারা যদি পরিবহণ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে চান, ভারতে সেই সুযোগ আপনাদের রয়েছে। আপনারা যদি উদ্ভাবন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে চান, ভারতে সেই সুযোগ আপনাদের রয়েছে। আপনারা যদি স্থিতিশীল সমাধানের জন্য বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হন, ভারতে সেই সুযোগ আপনাদের রয়েছে। একটি প্রাণবন্ত গণতন্ত্র, ব্যবসা-বাণিজ্য-বান্ধব পরিবেশ, বিরাট বড় বাজারের জন্য এই সুযোগগুলি তৈরি হয়েছে। ভারতকে আন্তর্জাতিকভাবে বিনিয়োগের কেন্দ্রে পরিণত করার জন্য সরকার সবরকমের চেষ্টা চালাচ্ছে।“ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোভিড-পরবর্তী বিশ্বে নতুন করে শুরু করার প্রয়োজন রয়েছে, তবে পরিবর্তন ছাড়া নতুন করে শুরু করা সম্ভব নয়। মানসিকতা, প্রক্রিয়া এবং অভ্যাসের পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন নতুন নিয়ম গড়ে তোলার সুযোগ এই মহামারী আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে। শ্রী মোদী বলেছেন, “কোভিড-১৯ আমাদের সামনে নতুন নতুন নিয়ম তৈরি করার সেই সুযোগ আবারও এনে দিয়েছে। পৃথিবীর এই সুযোগ গ্রহণ করা উচিৎ। যদি আমরা একটি প্রাণবন্ত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে চাই, তাহলে তা খুবই জরুরি। কোভিড-পরবর্তী সময়ে বিশ্বের চাহিদাগুলি কি হবে আমাদের সেগুলি ভাবনা-চিন্তা করা উচিৎ। আমাদের শহরাঞ্চলগুলির প্রাণসঞ্চারের জন্য নতুনভাবে ভালো কিছু শুরু করা প্রয়োজন।“ শহরাঞ্চলের পুনরুজ্জীবনের জন্য প্রধানমন্ত্রী মানবকেন্দ্রিক উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। জনসাধারণকে সবচাইতে বড় সম্পদ বলে উল্লেখ করে এবং সম্প্রদায়কে সবথেকে বড় বিল্ডিং ব্লক বলে চিহ্নিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,” এই মহামারী আমাদের সবথেকে বড় সম্পদ ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া শিখিয়েছে। আমাদের জনসাধারণই হলেন আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল চালিকাশক্তি। কোভিড-পরবর্তী সময়ে এই মূল সম্পদগুলিকে নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।“ প্রধানমন্ত্রী মহামারীর সময়ে আমরা যা যা শিখেছি সেগুলিকে পরবর্তীকালে ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। লকডাউনের সময় যে স্বচ্ছ পরিবেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তিনি প্রশ্ন তুলেছেন আমরা স্থিতিশীল শহর গড়ে তোলার সময়ে কেন পরিচ্ছন্ন পরিবেশকে ব্যতিক্রমের বদলে নিয়মে পরিণত করব না? শ্রী মোদী বলেছেন, “আমরা ভারতে উদ্যোগ নিয়েছি শহরের এমন কেন্দ্র গড়ে তুলব যেখানে গ্রামের ভাবনাও থাকবে আর সেইসঙ্গে শহরের সমস্ত সুযোগ-সুবিধাও থাকবে।“
ভারত ও লুক্সেমবুর্গের মধ্যে ভার্চ্যুয়াল শীর্ষ সম্মেলন
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং লুক্সেমবুর্গের প্রধানমন্ত্রী মিঃ হ্যাভিয়ের বেট্টেল-এর মধ্যে ১৯শে নভেম্বর ভার্চ্যুয়ালি একটি শীর্ষ সম্মেলন হবে। বিগত দুই দশকের মধ্যে এই প্রথম ভারত ও লুক্সেমবুর্গের মধ্যে এ ধরনের শীর্ষ সম্মেলন হতে চলেছে। এই সম্মেলনে উভয় নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবেন। এর মধ্যে রয়েছে কোভিড-পরবর্তী সময়ে ভারত ও লুক্সেমবুর্গের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও মতবিনিময় করবেন। ভারত ও লুক্সেমবুর্গ সম্প্রতি উচ্চ পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে। দুই প্রধানমন্ত্রী এর আগে তিনবার সাক্ষাৎ করেছিলেন।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় সার্বিক অন্তর্ভুক্তিকরণ, বিবিধতা ও উৎকর্ষতার সমাহার : রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ
দেশের সমস্ত অংশ থেকে এবং সমাজের সবস্তর থেকে ছাত্রছাত্রীরা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের জন্য এসে উৎকর্ষতার অভিন্ন সুযোগ-সুবিধার এক অনুকূল বাতাবরণ গড়ে তুলেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় সার্বিক অন্তর্ভুক্তিকরণ, বিবিধতা এবং উৎকর্ষতার এক অনন্য সমাহার বলে উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মপ্রত্যাশি ছাত্রছাত্রীরা এখানে এসে একত্রিত হয়। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক দীক্ষান্ত অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, এই প্রতিষ্ঠান অবাধ তর্ক-বিতর্কের এবং বিভিন্ন মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোর প্রেরণা যোগায়। ভিডিও বার্তায় কোভিড-১৯ মহামারী সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি বলেন, আজ সমগ্র বিশ্ব মারণ এই ভাইরাসের দরুণ গভীর সঙ্কটে। জাতীয় শিক্ষা নীতি, ২০২০ প্রসঙ্গে শ্রী কোবিন্দ বলেন, সংক্রামক রোগ-ব্যধি, মহামারী, ভাইরোলজি, ডায়াগনস্টিক, ভ্যাকসিনোলজি ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে গবেষণাধর্মী কর্নকান্ড পরিচালনায় উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে এই নীতি বড় সুযোগ এনে দিয়েছে।
এইচআইভি প্রতিরোধ সংক্রান্ত গ্লোবাল প্রিভেনশন কোয়ালিশনে ডাঃ হর্ষবর্ধনের ভাষণ
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এইচআইভি প্রতিরোধ সংক্রান্ত গ্লোবাল প্রিভেনশন কোয়ালিশন বা বিশ্বব্যাপী এই মারণ রোগের বিরুদ্ধে সমবেতভাবে লড়াইয়ে বিভিন্ন দেশকে নিয়ে গঠিত জোটের মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকে ভাষণ দেন। গ্লোবাল এইচআইভি প্রিভেনশন কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে ইউএন এইডস্ এবং ইউএন এফপিএ এই বৈঠকের আয়োজন করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে মারণ এইডস্-কে চিরতরে নির্মূল করতে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ২০১৬-তে গৃহীত অঙ্গীকারগুলি পূরণের লক্ষ্যে এ বছরের এই বৈঠকের অত্যন্ত তাৎপর্য রয়েছে। জোটের সদস্য দেশগুলি ২০১০ – এর তুলনায় ২০২০-তে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সম্মত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী এইডস্ দূরীকরণে অভাবনীয় সাফল্যের স্বীকৃতি-স্বরূপ নতুন সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং প্রতিরোধমূলক পরিষেবার মান আরও বাড়াতে তথা এইচআইভি আক্রান্ত মানুষের কাছে উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে এই জোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে বলে ডাঃ হর্ষবর্ধন অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, এই জোট অবশিষ্ট বিশ্বকে দেখিয়েছে কিভাবে একজোট হয়ে অভিন্ন উদ্দেশ্য পূরণে কাজ করা যায়। ডাঃ হর্ষবর্ধন সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এইচআইভি-র প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে পাঠানো অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল ড্রাগস্ (এআরভি) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। ভারতের অভিনব এইচআইভি প্রতিরোধ মডেল সম্পর্কে ডাঃ হর্ষবর্ধন বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধে গৃহীত ব্যবস্থার মাধ্যমে সংক্রমণ প্রতিরোধে ও সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে একাধিক উদ্যোগ রূপায়িত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অসরকারি সংগঠনগুলির সহায়তায় সংক্রমণ প্রতিরোধে এই ব্যবস্থা ভারতে এইচআইভি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে মডেল হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে এবং বহু দেশ ভারতের এই মডেলকে কাজে লাগাচ্ছে। এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধে এই মডেল কেবল এইডস-ই নয়, অন্যান্য রোগ-ব্যাধি নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ডাঃ হর্ষবর্ধন আরও বলেন, মায়ের থেকে শিশুর মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারতে ‘মিশন সম্পর্ক’ কর্মসূচির মাধ্যমে অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল ট্রিটমেন্ট সংক্রান্ত পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি, মা ও শিশুর নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকারি স্তরে নমুনা পরীক্ষাগারের সংখ্যা ১০ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করা হয়েছে।
আইআইএসএফ ২০২০-র প্রাক অনুষ্ঠানে ডাঃ হর্ষ বর্ধন, এবারের এই উৎসব হবে ভার্চুয়াল
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডাঃ হর্ষ বর্ধন আজ নতুন দিল্লিতে ষষ্ঠ ভারত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান মহোৎসব (আইআইএসএফ)-এর বিভিন্ন কর্মসূচীর সূচনা উপলক্ষে প্রাক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এই উপলক্ষে ডাঃ হর্ষ বর্ধন এবং মধ্য প্রদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী শ্রী ওমপ্রকাশ সাকলেচা মেগা এই অনুষ্ঠানের কর্মসূচী সম্বলিত এক ক্ষুদ্র পুস্তিকার ই-সংস্করণ প্রকাশ করেন। ভারত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান মহোৎসব একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন দপ্তর যৌথভাবে এর আয়োজন করে থাকে। বিজননা ভারতী (বিভা) নামে একটি সংগঠনও এই অনুষ্ঠানের আয়োজনে সাহায্য করে। এবারের অনুষ্ঠানের ওয়েবসাইটেরও আজ সূচনা হয়েছে। উৎসবে অংশগ্রহণ সহ যাবতীয় কর্মসূচীতে সামিল হতে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। অনুষ্ঠানের ওয়েবসাইটে (www.seicnceindiafest.org) বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া রয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রাক সমাবেশে ডাঃ হর্ষ বর্ধন এবারের মহোৎসবের মূল ভাবনার কথাও ঘোষণা করেন। এবারের অনুষ্ঠানের মূল ভাবনা আত্মনির্ভর ভারতের জন্য বিজ্ঞান ও বিশ্ব কল্যাণ। তিনি আরও জানান, এবছরের বিজ্ঞান মহোৎসব আগামী ২২শে ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে। বিশ্ববিখ্যাত ভারতীয় গণিতজ্ঞ শ্রীনীবাস রামানুজনের জন্মতিথির দিন উৎসবের সূচনা হবে এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী-র জন্মতিথি ২৫শে ডিসেম্বর উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পর্ষদ (সিএসআইআর) বিজ্ঞান উৎসব উপলক্ষে এক মেগা বিজ্ঞান উৎসব আয়োজনে সহায়তা করছে। ডাঃ হর্ষ বর্ধন জানান, এবারের বিজ্ঞান উৎসব ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ সহজেই অনুষ্ঠানে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পক্ষান্তরে ডিজিটাল পদ্ধতির প্রসার ও ব্যবহারও বাড়বে। এই বিজ্ঞান উৎসব সম্পর্কে ডাঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগসূত্র গড়ে তোলার এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হয়ে উঠছে। তিনি আরও বলেন, এই উৎসব বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক, গবেষক এবং ছাত্র-ছাত্রী সহ সমাজের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষকে এক অভিন্ন মঞ্চে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।
সিএসআইআর-সিআইএমএফআর-এর প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীর উদ্বোধন করেছেন ডঃ হর্ষ বর্ধন
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ভূ-বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন আজ সিএসআইআর-এর ধানবাদের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ মাইনিং অ্যান্ড ফুয়েল রিসার্চ (সিআইএমএফআর)-এর প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীর উদ্বোধন করেছেন। মন্ত্রী অনলাইনের মাধ্যমে কয়লা থেকে সিন-গ্যাস প্ল্যাট, কয়লা থেকে গ্যাস উৎপাদন এবং আমদানিকৃত কোক কয়লার পরিবর্তে দেশীয় কয়লাকে নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তিতে আরো উন্নত ব্যবহারের প্রক্রিয়াও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। মন্ত্রী এই উপলক্ষে সিএসআইআর-সিআইএমএফআর-কে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, দীর্ঘ সাত দশক ধরে এই সংস্থা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবনী কাজ চালিয়ে আসছে। ডঃ হর্ষ বর্ধন সিআইএমএফআর-এর কৌশলগত এবং পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে বেশ কিছু অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে পাথর খোদাই করার প্রযুক্তি রয়েছে। এই প্রযুক্তি সড়ক, রেলপথ, সুড়ঙ্গ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং খনির কাজ করতে সাহায্য করবে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারত ছাড়াও আমাদের বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদরা মিজোরাম থেকে মায়ানমারের কালাদান মাল্টি-মডেল ট্রানজিট প্রকল্প, আফগানিস্তানে সালমা জলাধার এবং ভুটানে টালা ও পুনাতসাংচু ১ ও ২ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজও করেছেন। অনুষ্ঠানে ডঃ হর্ষ বর্ধন সংস্থার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীর লোগোটিরও উদ্বোধন করেছেন। তাঁর উপস্থিতিতে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থার পাঁচটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
৫১তম ভারত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য অতিথিদের রেজিস্ট্রেশন শুরু
৫১তম ভারত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য অতিথিদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ১৭ই নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। আগামী বছরের গোড়ায় জানুয়ারিতে গোয়ায় এই উৎসব প্রতিবারের মতো আয়োজিত হবে। উৎসবে চলচ্চিত্র-প্রেমী অতিথিদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার জন্য কর সমেত ১ হাজার টাকা এবং পেশাগত ক্ষেত্রে অতিথিদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য কর সহ ১ হাজার টাকা মাশুল প্রদান করতে হবে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। কোভিড-১৯ মহামারীর দরুণ অতিথি সংখ্যা সীমিত রাখা হয়েছে এবং আগে এলে সুবিধা পাবেন, এই ভিত্তিতে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চলবে।
পিএম-স্বনিধি কর্মসুচির আওতায় ২৫ লক্ষের বেশি আবেদনপত্র পাওয়া গেছে
'প্রধানমন্ত্রী রাস্তার হকার আত্মনির্ভর নিধি' বা পিএম-স্বনিধি কর্মসূচির আওতায় ২৫ লক্ষের বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১২ লক্ষের বেশি আবেদনপত্র মঞ্জুর করা হয়েছে এবং প্রায় ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার আবেদনের ক্ষেত্রে ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে এই কর্মসূচির আওতায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজারের বেশি আবেদনপত্র পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত আবেদনপত্রগুলির মধ্যে প্রায় ৩ লক্ষ ২৭ হাজার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে এবং ১ লক্ষ ৮৭ হাজার আবেদনের ক্ষেত্রে ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, উত্তরপ্রদেশে পিএম-স্বনিধি কর্মসূচির আওতায় ঋণ চুক্তির ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। কোভিড-১৯ লকডাউনের সময় যে সমস্ত হকার নিজেদের এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা সকলেই পুনরায় নিজেদের এলাকায় ফিরে এলে এই কর্মসূচির আওতায় ঋণ পেতে পারেন। যে কোনও রাস্তার হকার অনলাইনে আবেদনপত্র আপলোড করে অথবা যে কোনও অভিন্ন পরিষেবা কেন্দ্র বা পুর অফিসে গিয়ে কিংবা ব্যাঙ্কের যে কোনও শাখায় গিয়ে অনলাইন আবেদনপত্র জমা করতে পারেন। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকেও ঋণ সহায়তার জন্য রাস্তার হকারদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে যাতে তাঁরা পুনরায় ব্যবসা শুরু করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এই কাজে ব্যাঙ্ক কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করে বলেছেন, “একটা সময় ছিল যখন রাস্তার হকাররা ব্যাঙ্কের ভেতরে যেতে পারতেন না। কিন্তু আজ ব্যাঙ্কই তাঁদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।” স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পিএম-স্বনিধি কর্মসূচির দ্রুত রূপায়ণ সুনিশ্চিত করতে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সহ ওয়েব পোর্টাল / মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কর্মসূচির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় আবাসন ও শহরাঞ্চল বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব শ্রী দুর্গাশঙ্কর মিশ্র ট্যুইটে বলেছেন, আত্মনির্ভর ভারতের উদ্দেশ্য পূরণে সংশ্লিষ্ট সকলকে সামিল করে কর্মসূচির সুষ্ঠু ও সফল রূপায়ণে মন্ত্রক নিরন্তর কাজ করে চলেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কোভিড-১৯ মহামারীজনিত লকডাউনের সময় বিশেষ সংযমের পরিচয় দিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে সরকার তাঁদেরকে সবরকম সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে যাতে তাঁরা পুনরায় ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে সহজে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন। অধিকাংশ রাস্তার হকার, যাঁদের ইতিমধ্যেই স্বনিধি কর্মসূচির আওতায় ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা ইতিমধ্যেই ঋণ পরিশোধ শুরু করেছেন। এ প্রসঙ্গে আবাসন ও শহরাঞ্চল বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী পিএম-স্বনিধি কর্মসূচি রূপায়ণে অগ্রগতি পর্যালোচনার সময় এক ট্যুইটে বলেছেন, আত্মনির্ভর ভারত গঠনের লক্ষ্যে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ যেখানে দেশের অগ্রগতিতে প্রত্যেক ভারতীয়ই অংশীদার।
পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য
• মহারাষ্ট্র : করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মুম্বাইয়ের পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সমুদ্রতট ও নদীর পারে এবার ছট পুজোর অনুমতি দেওয়া হবে না। আগামী ২০ তারিখ সূর্যাস্তের সময় এবং ২১ তারিখ সূর্যোদয়ের সময় নদীর পারে ভিড় এড়াতে মুম্বাই মহানগরীর পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে চিরাচরিত ছট পুজোর জন্য শহরের বিভিন্ন এলাকায় কৃত্রিম জলাশয় বানানো হয়েছে। রাজ্যে করোনায় সুস্থতার হার বেড়ে ৯২.৪৯ শতাংশ এবং মৃত্যু হার কমে ২.৬৩ শতাংশ হয়েছে।
• গুজরাট : রাজ্যে সুস্থতার হার আরও বেড়ে হয়েছে ৯১.৪ শতাংশ। কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে।
• রাজস্থান : রাজ্যে ২৬ দিন পর সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আরও একবার ১৯ হাজারের সীমা ছাড়িয়েছে। রাজধানী জয়পুরে প্রতিদিন ৪৫০ জনের বেশি ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই শহরে করোনা সংক্রমণজনিত কারণে ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৪০ লক্ষেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
• মধ্যপ্রদেশ : রাজ্যে বুধবার অধিকাংশ আক্রান্তের খবর মিলেছে ভোপাল জেলা থেকে। ইন্দোর ও গোয়ালিয়র থেকেও অধিক সংখ্যায় আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যে ৩৩ লক্ষ ৫৪ হাজারেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
• ছত্তিশগড় : রাজ্যে গত দু’সপ্তাহে ভাইরাস সংক্রমণজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। গত ১৫ দিনে করোনা ভাইরাসে ২০০ জনেরও বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সমস্ত জেলাশাসককে হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যায় অক্সিজেন বেডের বন্দোবস্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
• গোয়া : রাজ্যে করোনায় সুস্থতার হার বেড়ে ৯৫.৫৬ শতাংশ হয়েছে। গোয়ার রেডকর হাসপাতালে ভারত বায়োটেকের কোভিড-১৯ টিকা কোভ্যাকসিন – এর কার্যকরিতা যাচাই শুরু হতে চলেছে।
• আসাম : রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ট্যুইটে জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে বিমানে গুয়াহাটি আসা সমস্ত যাত্রীর বিমানবন্দরে কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
• নাগাল্যান্ড : রাজ্যে আরও ১৬৩ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১০ হাজার ১৮৮ হয়েছে। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১৩৪।
• কেরল : রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী এবং যাঁরা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন, তাঁদেরকে ভোট গ্রহণের দিন বেলা ৩টে পর্যন্ত পোস্টাল ব্যালতের মাধ্যমে ভোটাধিকা প্রয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর জেলাশাসকদের সহায়তায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোভিড রোগী ও কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করে দেবেন। এদিকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী এ কে অ্যান্টনি আজ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যে করোনাজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৯১৫ হয়েছে।
• তামিলনাডু : কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি আরও একবার রাজ্যে ক্লিনিকাল ট্রিটমেন্টের একটি বিকল্প পদ্ধতি হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে কোয়েম্বাটোরের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দীপাবলী উৎসবের সময় জেলায় ভাইরাস সংক্রমণের প্রভাব মূল্যায়নের জন্য ১৪ দিন সময় প্রয়োজন।
• কর্ণাটক : রাজ্য সরকার বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য ৫০ শতাংশ শয্যা সংরক্ষিত রাখার নির্দেশ সংশোধন করেছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসার জন্য আগত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে রাজ্যে এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ডিসেম্বরের ১২ তারিখ নাগাদ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লক্ষ ২৫ হাজার ছাড়াতে পারে।
• অন্ধ্রপ্রদেশ : রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, স্থানীয় স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলির নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতে আয়োজন করা হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহামারীজনিত পরিস্থিতি পঞ্চায়েত নির্বাচনের পক্ষে উপযোগী নয়।
• তেলেঙ্গানা : রাজ্যে মঙ্গলবার আরও ৯৫২ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ৫৮ হাজার ছাড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৪৩ হাজারেরও বেশি। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমে ১৩ হাজার ৭৩২ হয়েছে। ই-ক্লিনিক সংস্থাগুলি রাজ্যের গ্রামীণ এলাকাতেও ক্লিনিক খুলবে। মহামারী পরিস্থিতির সময় যখন চিকিৎসকরা সরাসরি উপস্থিত হতে পারবেন না, এই ই-ক্লিনিকগুলির মাধ্যমে রোগীদের কাছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ পৌঁছে দেওয়া হবে।
***
CG/BD/SB
(Release ID: 1673879)
Visitor Counter : 290