অর্থমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা (পিএমজেডিওয়াই) – আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য জাতীয় অভিযান – রূপান্তরকারী প্রভাবের ১১ বছর পূর্ণ

Posted On: 28 AUG 2025 9:33AM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

 

প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৮ অগাস্ট ২০১৪। ভারতের আর্থিক পরিমণ্ডলে রূপান্তরকারী প্রভাবের ১১ বছর পূর্ণ হল। বিশ্বের বৃহত্তম আর্থিক অন্তর্ভুক্তি অভিযান হিসেবে পিএমজেডিওয়াই লক্ষ লক্ষ বঞ্চিত নাগরিককে ব্যাঙ্কিং-এর সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন দিশা দিয়ে চলেছে। 

এই উপলক্ষে কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন এক বার্তায় বলেছেন, “আর্থিক অন্তর্ভুক্তি অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। সর্বজনীন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সুযোগ দরিদ্র এবং প্রান্তিক মানুষকে সংগঠিত অর্থনীতিতে পুরোপুরি অংশগ্রহণ করার এবং এর সুযোগ থেকে উপকৃত হওয়ার ক্ষমতা এনে দেয়।”

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, “ঋণের সুবিধা প্রদান, সামাজিক নিরাপত্তা এবং সঞ্চয় ও লগ্নি বৃদ্ধি করতে ডায়রেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (ডিবিটি) ব্যবহার করে বিভিন্ন কর্মসূচি রপায়ণে পিএমজেডিওয়াই অন্যতম প্রধান পথ।”

শ্রীমতী সীতারমন বলেছেন, “গত ১১ বছরে ৫৬ কোটির বেশি জনধন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। জমার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২.৬৮ লক্ষ কোটি টাকা। বিনামূল্যে ৩৮ কোটির বেশি রুপেকার্ড দেওয়া হয়েছে ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধার্থে।”

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, “এটা উল্লেখযোগ্য যে পিএমজেডিওয়াই-তে ৬৭% অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে গ্রাম অথবা আধাশহর অঞ্চলে এবং ৫৬% অ্যাকাউন্ট খুলেছেন মহিলারা। এতে বোঝা যায়, কীভাবে দূরবর্তী শহরে বসবাসকারী বঞ্চিত ব্যক্তিকে সংগঠিত আর্থিক ক্ষেত্রে আনা হয়েছে।”

কেন্দ্রীয় অর্থপ্রতিমন্ত্রী শ্রী পঙ্কজ চৌধুরী এই উপলক্ষে তাঁর বার্তায় বলেছেন, “শুধুমাত্র দেশে নয়, সারা বিশ্বেই পিএমজেডিওয়াই একটি অন্যতম সবচেয়ে সফল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি উদ্যোগ । জনধন যোজনা মর্যাদা, ক্ষমতায়ন এবং সুযোগের পরিচায়ক।”

আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসার : 
অর্থমন্ত্রক প্রান্তিক এবং অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়েপড়া শ্রেণীকে শক্তিশালী আর্থিক অন্তর্ভুক্তি রণকৌশলের মাধ্যমে সহায়তা দিতে দায়বদ্ধ। পিএমজেডিওয়াই নিশ্চিত করছে যে, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক যাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই, তাঁর যেন একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকে – শূন্য ব্যালেন্স এবং কোন মাশুল ব্যতীত। প্রত্যেক অ্যাকাউন্টে বিনামূল্যে রুপে ডেবিট কার্ড দেওয়া হয়। ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দুর্ঘটনা বিমা থাকে। ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ওভারড্রাফ্টের সুবিধাও আছে। 

পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টের বৈশিষ্ট্য :
•    পুরোপুরি কেওয়াইসি থাকা পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স অথবা লেনদেনের পরিমাণ নিয়ে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। 
•    টাকা জমা করা যায় ব্যাঙ্কের শাখায় এবং এটিএম / সিডিএম-এর মাধ্যমে।
•    কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকারি সংস্থা ও দপ্তর প্রদত্ত চেক জমা অথবা যেকোন ইলেক্ট্রনিক চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ জমা। 
•    মাসে জমার সংখ্যা এবং পরিমাণের কোন সীমা নেই। 
•    মাসে ন্যূনতম বিনামূল্যে চারবার টাকা তোলা যাবে এটিএম সহ। 
•    বিনামূল্যে রুপে ডেবিটকার্ড, তার সঙ্গেই ২ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বিমা। 

এক দশকেরও বেশি রূপান্তর :
গত ১১ বছরে পিএমজেডিওয়াই রূপান্তরকারী এবং দিকনির্দেশকারী পরিবর্তনের মেলবন্ধন ঘটিয়েছে। দরিদ্রতম এবং দূরতম স্থানে বসবাসকারী নাগরিককে পরিষেবা দিতে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে। ডিবিটি-র প্রধান উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে, সরকারি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে এবং দুর্নীতিমুক্ত ভাবে। 

জনসুরক্ষা কর্মসূচি – প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার মতো কর্মসূচির মাধ্যমে অসংগঠিত ক্ষেত্রের লক্ষ লক্ষ শ্রমিককে জীবন ও দুর্ঘটনা বিমা দিতে পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। 

জেএএম ত্রয়ী : পট পরিবর্তনকারী :
পিএমজেডিওয়াই-কে কেন্দ্রে রেখে জন-ধন-আধার-মোবাইল (জেএএম) ত্রয়ী প্রমাণিত হয়েছে ভর্তুকি প্রদানের জন্য অপচয়রোধী ব্যবস্থা হিসেবে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিভিন্ন ডিবিটি কর্মসূচিতে ৬.৯ লক্ষ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়েছে। 

আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচির পূর্ণ রূপায়ণ সংক্রান্ত অভিযান (০১.০৭.২০২৫ – ৩০.০৯.২০২৫) : 
কেওয়াইসি বিবরণ আপডেট করতে, নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে এবং ক্ষুদ্র বিমা ও পেনশন কর্মসূচির প্রসারে ব্যাঙ্কগুলি ০১.০৭.২০২৫ – ৩০.০৯.২০২৫-এর মধ্যে শিবিরের আয়োজন করছে। 

মাইলফলক এবং সাফল্য :
ক) ২০২৫-এর ১৩ অগাস্ট পর্যন্ত পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৬.১৬ কোটিতে। 
খ) পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টগুলিতে জমার পরিমাণ পৌঁছেছে ২ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৫৬ কোটিতে। ২০১৫-র অগাস্টের তুলনায় প্রায় ১২ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে জমার পরিমাণ। 
গ) ১৩ অগাস্ট ২০২৫ পর্যন্ত অ্যাকাউন্ট প্রতি গড় জমার পরিমাণ ৪,৭৬৮ টাকা। 
ঘ) ১৩ অগাস্ট ২০২৫ পর্যন্ত ৩৮.৬৮ কোটি রুপেকার্ড দেওয়া হয়েছে। 


পিএমজেডিওয়াই-এর সাফল্য এসেছে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে অভিযান, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের দ্বারা এবং ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সংহতির মাধ্যমে। পূর্বে যারা সংগঠিত আর্থিক কার্যকলাপের বাইরে ছিলেন, তাঁরা জমা এবং ঋণের সুযোগ পেতে সক্ষম হচ্ছেন। মুদ্রা লোন সহ বিভিন্ন ঋণের সুবিধা পাওয়ায় একজন ব্যক্তি তাঁর আয় বৃদ্ধি করতে এবং আর্থিক সংগতি গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছেন। দ্বাদশ বছরে পৌঁছে পিএমজেডিওয়াই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, ডিজিটাল উদ্ভাবন এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের আলোকবর্তিকা হয়ে কাজ করে চলেছে। এই দীর্ঘস্থায়ী সাফল্য আর্থিক স্বাধীনতার লক্ষ্যে যাত্রাপথে যাতে কোন নাগরিক পিছনে পড়ে না থাকেন তা নিশ্চিত করতে ভারতের দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। 

 

SC/AP/AS


(Release ID: 2161492) Visitor Counter : 17