প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

অভিন্ন এক ভবিষ্যতের লক্ষ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য ভারত – শ্রীলঙ্কার যৌথ বিবৃতি

Posted On: 16 DEC 2024 3:26PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ 

 

শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি শ্রী অনুরা কুমারা দিসানায়াকার ভারত সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ১৬ ডিসেম্বর নতুন দিল্লিতে বৈঠক করেন। সর্বাঙ্গীন এই বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।

উভয় নেতা মনে করেন, ভারত ও শ্রীলঙ্কার দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব  প্রাচীন সভ্যতার সময়কাল থেকে দুটি দেশের মধ্যে গড়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে ভৌগোলিক নৈকট্য ও দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বিশেষ সহায়ক হয়েছে।

২০২২ সালে শ্রীলঙ্কা যে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছিল, সেই সময়কালে ভারত সেদেশের নাগরিকদের যেভাবে নিঃস্বার্থ সহায়তা করেছে, রাষ্ট্রপতি দিসানায়াকা তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ এবং সুস্থায়ী অর্থনৈতিক উন্নয়ন শ্রীলঙ্কাবাসী প্রত্যাশা করেন। তাঁদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ। এক্ষেত্রে ভারতের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এক্ষেত্রে ভারতের প্রতিশ্রুতির কথা রাষ্ট্রপতিকে জানান। তিনি বলেন, ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি এবং সাগর কর্মসূচির আওতায় শ্রীলঙ্কা বিশেষ স্থান অধিকার করে রয়েছে। 

দু’দেশের মধ্যে বহু যুগের সম্পর্ক শ্রীলঙ্কার আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে বলে উভয় নেতা মনে করেন। এই সহযোগিতা প্রসারের আরও সম্ভাবনা রয়েছে। পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সর্বাঙ্গীন এক অংশীদারিত্ব দুটি দেশের জনগণের কল্যাণে সহায়ক হবে বলে উভয় নেতা আশা প্রকাশ করেন।

গত এক দশকে দু’দেশের মধ্যে রাজনৈতিক মতবিনিময় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলস্বরূপ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে। দুই নেতাই এই রাজনৈতিক সম্পর্ককে মন্ত্রী পর্যায়ে আরও প্রসারিত করতে সহমত পোষণ করেছেন।

শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ভারতের ইতিবাচক সহায়তার প্রশংসা করেছেন রাষ্ট্রপতি দিসানায়াকা। বর্তমানে সেদেশে বিভিন্ন ঋণের পুনর্গঠন সত্ত্বেও ভারতের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন। লাইন অফ ক্রেডিট – এর মাধ্যমে যে প্রকল্পগুলি ভারত বাস্তাবয়িত করছিল, সেগুলির ক্ষেত্রে অনুদান বজায় রাখার সিদ্ধান্তে শ্রীলঙ্কার সুবিধা হবে। এর ফলে এই দেশের ঋণের বোঝা হ্রাস পাবে। 

দু’দেশের জনমুখী অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করতে উভয় নেতা অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। শ্রীলঙ্কার আবাসন প্রকল্পের তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে ভারতের সহযোগিতা বজায় থাকবে।  তিনটি দ্বীপকে মিশ্র পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানী প্রকল্পেও ভারতের অংশগ্রহণ অব্যাহত থাকবে এবং যথাযথ সময়ে সেই কাজ শেষ হবে। তামিল জনগোষ্ঠীর জন্য পূর্ব প্রদেশে যেসব প্রকল্পগুলি চলছে এবং শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে সৌরশক্তি প্রকল্পগুলিতে সবধরনের সহায়তা করা হবে। শ্রীলঙ্কা সরকারের প্রয়োজন অনুসারে, চিহ্নিত বিভিন্ন প্রকল্পে ভারত সহায়তা করবে।

শ্রীলঙ্কার কর্মীগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভারত বিভিন্ন রকমের প্রশিক্ষণ দেবে। সেদেশের ১ হাজার ৫০০ জন সিভিল সার্ভেন্টকে ৫ বছর ধরে ন্যাশনাল সেন্টার ফর গুড গভর্ন্যান্স – এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শ্রীলঙ্কার চাহিদা অনুযায়ী অসামরিক, প্রতিরক্ষা ও আইনি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত পেশাদার ব্যক্তিদের আরও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করা হবে। 

শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিকে স্বাভাবিক করতে ভারত আপৎকালীন আর্থিক সহায়তা করেছে। সেদেশের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডারে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি দিসানায়াকা এর জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অফিশিয়াল ক্রেডিটার্স কমিটিতে সহ-সভাপতিত্বের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার ঋণের বোঝা কমানোর ক্ষেত্রে ভারত যে ভূমিকা নিয়েছে, সে বিষয়ে রাষ্ট্রপতি স্বীকৃতি জানিয়েছেন। বর্তমান লাইন অফ ক্রেডিট অনুসারে, যেসব প্রকল্পগুলির কাজ শেষ হয়েছে, সেই প্রকল্পের জন্য অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে ভারত ২ কোটি ৬ লক্ষ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তা করায় শ্রী দিসানায়াকা ধন্যবাদ জানান। শ্রীলঙ্কার প্রয়োজনে ভারত সর্বদা সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন। ঋণ ব্যবস্থাপনার পুনর্গঠনের জন্য দ্বিপাক্ষিক একটি সমঝোতাপত্র তৈরির বিষয়ে দুই নেতাই আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন।

দু’দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রশ্নে উভয় নেতা সহমত পোষণ করেছেন। নাগাপট্টিনাম এবং কাঁকেসান্থুরাই – এর মধ্যে যাত্রীবাহী নৌ পরিষেবা আবারও চালু হওয়ায় তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। রামেশ্বরম এবং তালাইমান্নারের মধ্যে নৌ পরিষেবা যাতে দ্রুত চালু করা যায়, তার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাঁকেসান্থুরাই বন্দরের পুনর্বাসন প্রকল্পে দুই দেশ একযোগে কাজ করবে। 

জ্বালানী ক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী এবং ভরসাযোগ্য সম্পদের ব্যবহারের প্রশ্নে উভয় নেতা সহমত পোষণ করেছেন। ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে জ্বালানী সংক্রান্ত যেসব যৌথ প্রকল্পগুলির কাজ চলছে, সেগুলি যাতে নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়, তার জন্য উভয় সরকারই গুরুত্ব দিচ্ছে। সামপুরের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ যথাযথ সময়ে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ভারত থেকে শ্রীলঙ্কায় তরল প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ, দু’দেশের মধ্যে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাওয়ার গ্রিড স্থাপন এবং শ্রীলঙ্কায় ব্যয় সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানী সরবরাহ করতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করা হবে। পক  প্রণালীতে বায়ু শক্তির সম্ভাবনাকে খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়াও, জলজ সম্পদ রক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

ভারতে জনমুখী ডিজিটাইজেশন – এর সফল রূপায়ণের স্বীকৃতি দিয়ে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি এক্ষেত্রে তাঁর সরকারের আগ্রহের কথা জানান। ডিজিটাল পদ্ধতি কার্যকর হওয়ার ফলে ভারতের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় উন্নতি হয়েছে। বিভিন্ন সমাজ কল্যাণমূলক কাজে স্বচ্ছতা এসেছে। শ্রীলঙ্কাও ভারতের মতোই সেদেশের এ ধরনের ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে আগ্রহী। এ ক্ষেত্রে  ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।  

শ্রীলঙ্কায় মানবসম্পদ উন্নয়ন ও উদ্ভাবনমূলক কাজে ভারত সহায়তা করবে। এক্ষেত্রে কৃষি, মৎস্য সম্পদ, ডিজিটাল অর্থনীতি, স্বাস্থ্য সহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথভাবে গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে। 

ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির প্রশংসা করে উভয় নেতা বাণিজ্য ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাকে যাতে শ্রীলঙ্কা ব্যবহার করতে পারে, সেবিষয়ে উভয় নেতা সহমত পোষণ করেছেন।

তাঁরা দ্বিপাক্ষিক সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রস্তাবিত চুক্তিটির দ্রুত বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনায় সম্মত হয়েছেন। 

দুগ্ধ শিল্প বা দোহের উন্নয়ন নিয়ে দুটি দেশ একযোগে কাজ করবে। শ্রীলঙ্কা এক্ষেত্রে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে আগ্রহী।

কৃষি ক্ষেত্রে সর্বাঙ্গীন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উভয় নেতা একটি যৌথ কর্মীগোষ্ঠী গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি দিসানায়াকা কৃষি ক্ষেত্রের আধুনিকীকরণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। 

ভারত ও শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অভিন্ন স্বার্থের কথা বিবেচনা করে উভয় নেতা নিজ নিজ দেশের সুরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দুটি দেশ অভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন। এই সমস্যার নিরসনে তাঁরা এক যোগে কাজ করবেন। ভারত যেহেতু শ্রীলঙ্কার সামুদ্রিক প্রতিবেশী, তাই রাষ্ট্রপতি দিসানায়াকা জানিয়েছেন, তাঁর দেশের মাটিতে ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এমন কোনও কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে না।  

দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ, বিনিময় কর্মসূচি, জাহাজ সফর সহ যেসব সহযোগিতামূলক প্রকল্প চলছে, সেই বিষয়ে শ্রী দিসানায়াকা সন্তোষ প্রকাশ করেন। সমুদ্রে দুর্ঘটনার কবলে পড়া জাহাজ থেকে উদ্ধারের কাজে ভারতের সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন তিনি। একটি ডোর্নিয়ার  বিমানের মাধ্যমে সমুদ্রপথে নজরদারি চালানোর জন্য রাষ্ট্রপতি ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মানবিক সাহায্যে ভারত প্রথম এগিয়ে আসে। ভারতের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন তিনি। সম্প্রতি ভারত ও শ্রীলঙ্কার নৌ-বাহিনী যে বিপুল পরিমাণ নেশার সামগ্রী যৌথভাবে উদ্ধার করেছে, তা প্রশংসিত হয়েছে। 

ভরসাযোগ্য অংশীদার হিসেবে ভারত শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও সামুদ্রিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। সন্ত্রাসবাদ, মাদক চোরাচালান, অর্থ পাচার সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দুটি দেশ উদ্যোগী হয়েছে। এক্ষেত্রে পরস্পরের মধ্যে তথ্য বিনিময় করা হবে। 

দুই দেশের মধ্যে নিবিড় সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ও ভৌগোলিক নৈকট্যের কারণে পর্যটন ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে। শ্রীলঙ্কার পর্যটনে ভারতের অংশীদারিত্ব সবচেয়ে বেশি। তাই, দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চেন্নাই ও জাফনার মধ্যে সফলভাবে বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন বিমানবন্দরের উন্নয়নমূলক কাজে এবং পর্যটন পরিকাঠামোর উন্নয়নে ভারতের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। 

দু’দেশের মৎস্যজীবীরা জীবিকার তাগিদে যে সমস্যার সম্মুখীন হন, তা নিরসনে মানবিক উদ্যোগ গ্রহণের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনও উত্তেজনা বা সংঘর্ষ যাতে না হয়, তার জন্য যৌথ কর্মীগোষ্ঠীর ষষ্ঠ বৈঠক কলম্বোয় সম্প্রতি শেষ হয়েছে। এ ধরনের সমস্যার সমাধানে পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য দীর্ঘমেয়াদী এক সমাধানসূত্র পাওয়া যাবে বলে উভয় নেতাই আশা প্রকাশ করেন। 

শ্রীলঙ্কার মৎস্য চাষে সুস্থায়ী উন্নয়নে ভারতের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন রাষ্ট্রপতি দিসানায়াকা। পয়েন্ট পেড্রো মৎস্য বন্দর, কারাইনগরে মৎস্যজীবীদের নৌকা সংক্রান্ত প্রকল্প এবং মৎস্যচাষ প্রকল্পে ভারত সহযোগিতা করে আসছে। 

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য দুটি দেশ বর্তমান ব্যবস্থাপনায় কাজ করবে। কলম্বোয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে কনক্লেভ অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্রের বিষয়ে উভয় নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেন। 

আইওআরএ-তে শ্রীলঙ্কা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। ভারত এক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কাকে সবধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও উন্নয়নকেও যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। 

বিমস্টেক গোষ্ঠীর আওতায় বঙ্গোপসাগরে আঞ্চলিক সহযোগিতাকে আরও প্রসারিত ও শক্তিশালী করতে উভয় নেতা তাঁদের অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন। 

শ্রীলঙ্কা ব্রিকস্‌ গোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছে। তাদের আবেদন যাতে গৃহীত হয়, তার জন্য শ্রী দেসানায়াকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সহায়তা চেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২৮-২৯ সালে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে ভারতের প্রার্থীপদকে সমর্থন করার জন্য শ্রীলঙ্কার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। 

উভয় নেতা মনে করেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও কার্যকর ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্পের নির্ধারিত সময়ে শেষ করার প্রয়োজন রয়েছে। এই প্রতিবেশী সুলভ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছে দিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যকর করা হবে। উভয় নেতা বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে তাঁদের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার সুস্থায়ী উন্নয়নের জন্য এবং ভারত মহাসাগরে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার কথা বিবেচনা করে শীর্ষ স্তরে দুটি দেশ আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রাখবে। তাঁর সুবিধাজনক সময়ে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে শ্রীলঙ্কায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দিসানায়াকা। 

 

PG/CB/SB


(Release ID: 2085914) Visitor Counter : 17