স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

নতুন তিনটি ফৌজদারী আইনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমাবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহের সাংবাদিক সম্মেলন

এই আইনগুলি ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করবে

Posted On: 01 JUL 2024 7:32PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০১ জুলাই, ২০২৪ 

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ বলেছেন, নতুন তিনটি ফৌজদারী আইন ন্যায়বিচারকে সুনিশ্চিত করবে। আজ পয়লা জুলাই থেকে এই তিনটি আইন বলবৎ হ’ল। এই উপলক্ষে নতুন দিল্লিতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রী শাহ বলেন, গত চার বছর ধরে নতুন আইনগুলির সবদিক নিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। স্বাধীন ভারতে এর আগে কখনও কোনও আইন নিয়ে এভাবে আলোচনা হয়নি। 
নতুন তিনটি ফৌজদারী আইনে মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হওয়া অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হয়েছে। এর জন্য আইনগুলিতে নতুন অধ্যায় সংযোজিত হয়েছে। আইনগুলি কার্যকর হওয়ার মাধ্যমে ভারতে অত্যাধুনিক ফৌজদারী বিচার প্রক্রিয়ার সূচনা হ’ল। এই আইনগুলিতে তদন্ত, বিচার প্রক্রিয়া এবং আদালতের বিভিন্ন কাজকর্মের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহারের উপরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী ৫০ বছরে উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন হলেও, আইনগুলি প্রয়োগে কোনও সমস্যা হবে না। 
সংবিধানের অষ্টম তফশিলের স্বীকৃত ৮টি ভাষায় তিনটি আইনেরই অনুবাদ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ভাষাগুলিতেও ভবিষ্যতে বিচার প্রক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন করা যাবে। নতুন আইনগুলিতে বর্তমান সময়কালের উপযোগী বিভিন্ন অপরাধ মোকাবিলা করতে প্রয়োজনীয় ধারা যুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, পুরনো আইনগুলিতে যেসব ধারায় জনগণের সমস্যা হ’ত, সেগুলিকে বাতিল করা হয়েছে।
নতুন তিনটি ফৌজদারী আইনে শাস্তি প্রদানের পরিবর্তে সুবিচারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন অপরাধের শিকার হওয়া মানুষ যাতে দ্রুত ন্যায়বিচার পান, তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ন্যায়বিচার পেতে যাতে অনন্তকাল অপেক্ষা করতে না হয়, তার জন্য বিভিন্ন মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য নির্দিষ্ট দিন ধার্য করা হয়েছে। এফআইআর দায়ের হওয়ার পর, সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলা গড়ালেও তা এই সময়ের মধ্যেই নিষ্পত্তি করতে হবে। নতুন আইনগুলি কার্যকর হওয়ায় বৃটিশ ঔপনিবেশিক কালের রাষ্ট্রদ্রোহের আইন বিলোপ হয়েছে। 
শ্রী শাহ বলেন, অনেকেই নতুন আইনগুলি সম্পর্কে অপপ্রচার করছেন। তাঁরা বলছেন, নতুন আইনের ফলে অভিযুক্তকে হেফাজতে রাখার মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আসলে অসত্য। নতুন আইনগুলিতে আগের মতোই ১৫ দিন পর্যন্ত হেফাজতে রাখার সংস্থান থাকছে। যেসব অপরাধের শাস্তি সাত বছর বা তার বেশি হয়, সেক্ষেত্রে ফরেন্সিক তদন্ত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে, বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে এবং শাস্তিদানের হার বৃদ্ধি পেয়ে ৯০ শতাংশে পৌঁছবে। আইন প্রয়োগে ২২ লক্ষ ৫০ হাজার পুলিশ কর্মীকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ১২ হাজার উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্নকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। শেষ পর্যন্ত, ২৩ হাজারেরও বেশি যোগ্যতাসম্পন্নকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এর ফলে, পুলিশ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে গতি আসবে। 
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, লোকসভায় মোট ৯ ঘন্টা ২৯ মিনিট ধরে ৩৪ জন সাংসদ নতুন আইনগুলি নিয়ে বিতর্কে অংশ নেন। রাজ্যসভায় ৬ ঘন্টা ১৭ মিনিট ধরে চলা বিতর্কে ৪০ জন সাংসদ যোগ দেন। সাংসদদের বহিষ্কার করে এই আইন পাশ করা হয়েছে বলে যে প্রচার চালানো হচ্ছে, তা সত্য নয়। শ্রী শাহ জানান, বহিষ্কৃত সদস্যদেরও সংসদে যোগ দিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ ছিল, কিন্তু তাঁরা কেউই সেই সুযোগ গ্রহণ করেননি।  

PG/CB/SB



(Release ID: 2030468) Visitor Counter : 41