প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

“জাতীয় শিক্ষানীতির মূল প্রতিশ্রুতি হল শিক্ষাকে সংকীর্ণতামুক্ত করে একুশ শতকের আধুনিক মননশীলতার উপযোগী করে তোলা” বারাণসীতে অখিল ভারতীয় শিক্ষা সমাগম-এর উদ্বোধনকালে বললেন প্রধানমন্ত্রী

Posted On: 07 JUL 2022 4:11PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৭ জুলাই, ২০২২

‘অমৃতকাল’ –এর সঙ্কল্প পূরণে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও দেশের তরুণ প্রজন্ম এক বিশেষ দায়িত্ব বহন করে চলেছে। জাতীয় শিক্ষানীতি-র মূল প্রতিশ্রুতিই হল সংকীর্ণ চিন্তাভাবনার পরিসর থেকে শিক্ষাকে মুক্ত করে একুশ শতকের আধুনিক মননশীলতার সঙ্গে যুক্ত করা।

গত বৃহস্পতিবার বারাণসীতে জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়নের ওপর আয়োজিত অখিল ভারতীয় শিক্ষা সমাগম-এর উদ্বোধনকালে এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, আমাদের দেশে মেধা ও বুদ্ধির কোনকালেই অভাব ছিল না। কিন্তু ব্রিটিশ শাসক প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে ভারতীয় ভাবধারার মূল সুরটি কখনই ফুটে ওঠেনি। ভারতে চিন্তা, বুদ্ধি ও আবেগের মূল ধারাটি বহুধা বিস্তৃত যা আধুনিক ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে প্রতিফলিত হওয়া প্রয়োজন। শ্রী মোদী বিশেষ জোর দিয়ে বলেন, দেশের তরুণ ও যুবকদের শুধুমাত্র ডিগ্রিধারী করে তোলাই যথেষ্ট নয়, বরং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং মানবসম্পদের প্রয়োজন মেটাতে একটি সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন। এই লক্ষ্য পূরণে দেশের শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এক বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন ভারত গঠনে আধুনিক পদ্ধতি সহ এক নতুন শিক্ষানীতি গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। একদা যা ছিল কল্পনার বাইরে, তাই এখন বাস্তবতায় রূপান্তরিত হতে চলেছে। করোনার মতো অতিমারীর মোকাবিলায় আমরা যে দ্রুত সফল হতে পেরেছি তাই নয়, বিশ্বের এক অর্থনীতি হিসেবেও ভারত আজ পরিচিত হয়ে উঠেছে। মহাকাশ প্রযুক্তির মতো একটি ক্ষেত্র এক সময় সরকারের দ্বারাই পরিচালিত হত। কিন্তু বর্তমানে বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিও এগিয়ে এসেছে তরুণ যুব সমাজের কাছে নতুন নতুন সম্ভাবনা নিয়ে। যে ক্ষেত্রটিতে একদা নারীর প্রবেশাধিকার ছিল না, সেখানেও তরুণীদের নতুন নতুন মেধা আবিষ্কৃত হয়েছে।

শ্রী মোদী বলেন, নতুন শিক্ষানীতিতে শিশুদের বুদ্ধি ও পছন্দের বিষয়টি বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এর ফলে, তাদের দক্ষতারও ক্রমবিকাশ ঘটবে। দেশের তরুণ ও যুব সমাজকে সুদক্ষ, আত্মবিশ্বাসী, ব্যবহারিক বুদ্ধিসম্পন্ন করে গড়ে তোলাই নতুন শিক্ষানীতির এক বিশেষ লক্ষ্য। নতুন নতুন চিন্তাভাবনার মাধ্যমে ভবিষ্যতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ওপরও বিশেষ জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের তরুণদের মেধার বিকাশ যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয় তা দেখা আমাদের কর্তব্য। ভারত যে এক সময় এক বিশেষ বিশ্ব শিক্ষাকেন্দ্র রূপে গড়ে উঠতে চলেছে, এ বিষয়ে তাঁর দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের কথা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতের উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। দেশের ১৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক বিষয়সমূহ নিয়ে পঠনপাঠনের জন্য বিশেষ দপ্তরও খোলা হয়েছে। হাতে-কলমে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার ওপর বিশেষ জোর দিয়ে শ্রী মোদী বলেন, ‘গবেষণাগার থেকে বাস্তবের মাটিতে’ – এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত আমাদের সামনে খুলে দেবে যার পূর্ণ সদ্ব্যবহার হওয়া উচিৎ বলেই তিনি মনে করেন।

এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দীবেন প্যাটেল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা।


PG/SKD/DM



(Release ID: 1840750) Visitor Counter : 762