প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্ণৌতে উত্তরপ্রদেশে বিনিয়োগকারী সম্মেলনের @৩.০এর শিলান্যাস অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন
৮০ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ১ হাজার ৪০৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন
“শুধুমাত্র আমাদের গণতান্ত্রিক ভারতেই বিশ্বস্ত অংশীদারের মাপকাঠিগুলি পূরণ করার ক্ষমতা রয়েছে, যা আজ বিশ্ব খুঁজে চলেছে”
“আজ বিশ্ব ভারতের সম্ভাবনার দিকে তাকিয়ে রয়েছে এবং তার কর্মক্ষমতার প্রশংসা করছে”
“আমরা গত ৮ বছরে নীতিগত স্থিতিশীলতা, সমন্বয় এবং সহজে ব্যবসা করার ওপর জোর দিয়েছি”
“উত্তরপ্রদেশের দ্রুত অগ্রগতির জন্য আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার, পরিকাঠামো, বিনিয়োগ এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করছে”
“রাজ্যের একজন সাংসদ হিসেবে আমি রাজ্যের প্রশাসন ও সরকারের মধ্যে সামর্থ্য এবং সম্ভাবনা অনুভব করেছি, যা দেশ তাদের কাছ থেকে আশা করে”
“নীতি, সিদ্ধান্ত ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা উন্নয়নের সঙ্গে রয়েছি”
Posted On:
03 JUN 2022 1:39PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ৩ জুন, ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ লক্ষ্ণৌতে উত্তরপ্রদেশে বিনিয়োগকারী সম্মেলনের @৩.০-এর শিলান্যাস অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ৮০ হাজার কোটি টাকাও বেশি মূল্যে ১ হাজার ৪০৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে কৃষি ও সহযোগী ক্ষেত্র, তথ্যপ্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিন, এমএসএমই উৎপাদন, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, ওষুধ শিল্প, পর্যটন, প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ, বস্ত্র ও হস্তচালিত তাঁত ইত্যাদি। দেশের শীর্ষ শিল্পপতিরা এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং এবং উত্তরপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এদিন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের যুবদের সক্ষমতা, নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম এবং বোধশক্তির ওপর বিশ্বাস দেখানোর জন্য বিনিয়োগকারীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি শিল্পপতিদের কাশী সফরের আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কাশীর প্রতিনিধি হিসেবে আমি আপনাদের কাশী দেখার জন্য অনুরোধ করবো। সত্যিই যে কাশী তার প্রাচীন গৌরব সহ নিজের এক নতুন সংস্করণে আবির্ভূত হতে পারে তা উত্তরপ্রদেশের সক্ষমতার জীবন্ত উদাহরণ।”
শ্রী মোদী বলেন,আজ যে প্রস্তাবগুলি পেশ করা হয়েছে তা উত্তরপ্রদেশে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে এবং সেই রাজ্যের সাফল্যের কাহিনীকে ক্রমবর্ধমান আস্থা প্রতিফলিত করবে। তিনি বলেন, “শুধুমাত্র আমাদের গণতান্ত্রিক ভারতেই বিশ্বস্ত মাপকাঠি পূরণ করার ক্ষমতা রয়েছে যা আজ বিশ্ব খুঁজে চলেছে। বিশ্ব আজ ভারতের সম্ভাবনার দিকে তাকিয়ে দেশের প্রশংসা করছে।” তিনি জানান, ভারত জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির অর্থনীতির মধ্যে দ্রুত বিকাশশীল দেশ। বিশ্বের খুচরো সূচক-এ ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম শক্তি ব্যবহারকারী দেশ। গত বছর বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ থেকে ৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ড পরিমাণ প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে ভারতে। গত আর্থিক বছরে ভারত ৪১৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থাৎ ৩০ লক্ষ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানী করে একটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
কেন্দ্রে এনডিএ সরকারের ৮ বছর পূর্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, “কয়েক বছরে আমরা সংস্কার-সম্পাদন-রূপান্তরের মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছি। আমরা নীতি স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিয়েছি, সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি এবং সহজে ব্যবসার ওপর জোর দিয়েছি।” তিনি সেই সংস্কারের কথা বলে এই বিষয়টিকে তুলে ধরেন, যা সমগ্র দেশকে এক জাতি হিসেবে একত্রিত করেছে। শ্রী মোদী বলেন, “আমরা সংস্কারের মাধ্যমে এক দেশ হিসেবে ভারতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে চলেছি। এক দেশ এক জিএসটি কর, এক দেশ এক গ্রিড, এক দেশ এক মোবিলিটি কার্ড, এক দেশ এক রেশন কার্ড। এই প্রয়াসগুলি আমাদের দৃঢ় ও স্পষ্ট নীতির প্রতিফলন।”
২০১৭ সালের পর উত্তরপ্রদেশের যে অগ্রগতি হয়েছে সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, “দ্রুত বৃদ্ধির জন্য আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার, পরিকাঠামো, বিনিয়োগ এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করছে। এবারের বাজেটে ৭.৫০ লক্ষ কোটি টাকার অভূতপূর্ব মূলধন ব্যয়ের বরাদ্দ এক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ।” তিনি বলেন, উন্নত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যবসায়ীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করেছে, শিল্পের জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে এবং রাজ্যে প্রশাসনিক ব্যবস্থার উন্নতি করেছে। শ্রী মোদী বলেন, রাজ্যের একজন সাংসদ হিসেবে তিনি প্রশাসন এবং সরকারের যে সামর্থ্য ও সম্ভাবনা অনুভব করেছেন তা দেশবাসী তাদের কাছ থেকে আশা করে। তিনি রাজ্যের কর্মসংস্কৃতি এবং কাজ করার মনোভাবে যে পরিবর্তন এসেছে তারও প্রশংসা করেন। উত্তরপ্রদেশে দেশের এক পঞ্চমাংশ অথবা এক ষষ্ঠমাংশ মানুষ বাস করেন, তাই দেশের উন্নয়নে এটি প্রভাব ফেলেছে। উত্তরপ্রদেশের অন্তর্নিহিত শক্তির বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, রাজ্যকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে কোনোকিছুই অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। তিনি বলেন, সম্প্রতি বাজেটে গঙ্গার উভয় তীরে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রাসায়নিক মুক্ত প্রাকৃতিক কৃষি করিডর ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ২৫-৩০টি জেলা জুড়ে ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ গঙ্গা নদী রয়েছে। এতে প্রাকৃতিক চাষের বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্পোরেট জগতের জন্য এখন কৃষি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, পিএলআই প্রকল্প এবং মূলধন ব্যয়ের জন্য ৭.৫ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ রাজ্যকে উপকৃত করবে। রাজ্যে প্রতিরক্ষা করিডর নতুন সুযোগ-সুবিধা তৈরি করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আধুনিক পাওয়ার গ্রিড, গ্যাস পাইপ লাইন, মাল্টিমডেল কানেক্টিভিটি, রেকর্ড সংখ্যক এক্সপ্রেসওয়ে, অর্থনৈতিক অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন, আধুনিক রেল পরিকাঠামো, পূর্ব ও পশ্চিম ডেডিকেটেড ফ্রেইড করিডরের মতো পদক্ষেপগুলি উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নে এক নতুন মাত্রা যোগাবে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, গত কয়েক বছরে দেশে সময়মতো প্রকল্পগুলির কাজ শেষ করার নতুন সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। ডিজিটাল বিপ্লবকে এই প্রবণতার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অগ্রগতির কাহিনী পুনরায় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে আমাদের দেশে মাত্র ৬৫ মিলিয়ন ব্রডব্যান্ড গ্রাহক ছিলেন। আজ তাদের সংখ্যা ৭৮ কোটি ছাড়িয়েছে। ২০১৪ সালে ১ জিবি ডেটার দাম ছিল প্রায় ২০০ টাকা। আজ তার দাম ১১ থেকে ১২ টাকায় নেমে এসেছে। ভারত বিশ্বের এমন এক দেশ যেখানে ডেটা এতো সস্তা। ২০১৪ সালে দেশের ১০০টিরও কম গ্রাম পঞ্চায়েত অপটিক্যাল ফাইবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আজ অপটিক্যাল ফাইবার যুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা আড়াই লক্ষ ছাড়িয়েছে। ২০১৪ সালের আগে আমাদের মাত্র কয়েশো স্টার্টআপ ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশে নথিভুক্ত স্টার্টআপের সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজারে পৌঁছেছে। সম্প্রতি ভারত ১০০টি ইউনিকর্নের রেকর্ড করেছে। প্রধানমন্ত্রী শিল্পপতি ও বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে জানান, “আমরা নীতি, সিদ্ধান্ত এবং উদ্দেশ্যের মাধ্যমে উন্নয়নের সঙ্গে রয়েছি। আমরা সকলে আপনাদের প্রতিটি প্রয়াসে সঙ্গে থাকবো এবং প্রতিটি পদক্ষেপে আপনাদের সমর্থন করবো।”
২০১৮ সালে ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি ‘উত্তরপ্রদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০১৮’ অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্পগুলির শিলান্যাসের প্রথম অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছিল ওই বছরেরই ২৯ জুলাই। ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই দ্বিতীয় শিলান্যাস অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। প্রথম শিলান্যাস অনুষ্ঠানের সময় থেকে ৬১ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থমূল্যে ৮১টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে। পাশাপাশি দ্বিতীয় শিলান্যাস অনুষ্ঠান থেকে ৬৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থমূল্যের ২৯০টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
CG/SS/NS
(Release ID: 1830887)
Read this release in:
Malayalam
,
English
,
Urdu
,
Hindi
,
Marathi
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada