PIB Headquarters

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

Posted On: 02 DEC 2020 5:34PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০২ ডিসেম্বর,  ২০২০

 

ভারতে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৩২ দিন পর ৪ লক্ষ ২৮ হাজারের নীচে নেমেছে; দৈনিক-ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা গত ৩ দিন প্রায় ৩০ হাজারের কাছাকাছি

ভারতে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আজ উল্লেখযোগ্য হারে আরও কমে ৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৪৪ হয়েছে। ১৩২ দিন পর এই সংখ্যা ৪ লক্ষ ২৮ হাজারে নেমে এসেছে। দেশে গত ২৩শে জুলাই আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ২৬ হাজার ১৬৭তে নেমে এসেছিল। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে। বর্তমানে মোট আক্রান্তের কেবল ৪.৫১ শতাংশই সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্ত। দেশে গত ৩ দিন ধরে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা দৈনিক ৩০ হাজারের কাছাকাছি রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৩৬ হাজার ৬০৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, সুস্থ হয়েছেন ৪৩ হাজার ৬২ জন। দৈনিক-ভিত্তিতে সুস্থতার সংখ্যা গত ৫ দিন ধরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় বেশি। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় আরোগ্য লাভের সংখ্যা আক্রান্তের সংখ্যাকে ছাপিয়ে গেছে। এর ফলে, জাতীয় স্তরে আজ সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৪.০৩ শতাংশ। দেশে মোট সুস্থতার সংখ্যা ৮৯ লক্ষ ৩২ হাজার ৬৪৭। সুস্থতার সংখ্যা এবং সুস্পষ্টভাবে আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে ফারাক ক্রমশ বাড়ছে। এই সংখ্যা আজ বেড়ে হয়েছে ৮৫ লক্ষ ৪ হাজারটি। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় আরোগ্যলাভকারী ৭৮.৩৫ শতাংশই ১০টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। মহারাষ্ট্র থেকে একদিনেই সর্বাধিক ৬ হাজার ২৯০ জন আরোগ্য লাভ করেছেন। কেরল থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ১৫১ জন। অন্যদিকে, দিল্লিতে আরোগ্যলাভ করেছেন ৫ হাজার ৩৬ জন। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্তদের ৭৭.২৫ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। কেরল থেকে একদিনেই সর্বাধিক ৫ হাজার ৩৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৯৩০ জন। করোনাজনিত কারণে দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৫০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭৯.৮৪ শতাংশই মারা গেছেন ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। মহারাষ্ট্র থেকে সর্বাধিক ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লি থেকে মারা গেছেন ৮৬ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1677603  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

স্বাস্থ্য মন্ত্রক বাজারগুলিকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে এসওপি জারি করেছে

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে ও আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে আদর্শ কার্যপরিচালন বিধি (এসওপি) জারি করেছে। বাজারগুলিতে সাধারণ মানুষ দৈনিক বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত করে থাকেন। এই বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্য দপ্তর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কেনাকাটার জায়গা, বিনোদন পার্ক ও খাবারের দোকানগুলির জন্য এসওপি জারি করেছে। মন্ত্রকের ঐ বিধিতে বলা হয়েছে, সংক্রমণজনিত ওষুধ প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সকলকে কোভিড-১৯ আদর্শবিধি মেনে চলতে হবে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1677644  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ই-সঞ্জিবনী টেলিমেডিসিন পরিষেবায় ৯ লক্ষ পরামর্শ

এক অভাবনীয় সাফল্য হিসাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জাতীয় টেলিমেডিসিন পরিষেবা ই-সঞ্জিবনী ব্যবস্থার মাধ্যমে আজ পর্যন্ত ৯ লক্ষ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ই-সঞ্জিবনী ব্যবস্থার মাধ্যমে সর্বাধিক পরিষেবা গ্রহণকারী ১০টি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে – তামিলনাডু, উত্তর প্রদেশ, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্র। ইন্টারনেটের মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসা ও পরামর্শ দানের ক্ষেত্রে টেলিমেডিসিন একটি নতুন পন্থা। ই-সঞ্জিবনী ব্যবস্থার মাধ্যমে রোগীর সঙ্গে চিকিৎসকের ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় হয়ে থাকে। ভৌগোলিক দিক থেকে প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকাগুলির রোগীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসকদের মতবিনিময় বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে অত্যন্ত কার্যকর হয়ে উঠেছে। রোগীর সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ শেষে ই-সঞ্জিবনী ব্যবস্থা ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে একটি প্রেসক্রিপশন তৈরি হয়ে যায়, যেখানে সাধারণ প্রেসক্রিপশনের মতোই ওষুধ সেবনের ব্যাপারে পরামর্শ উল্লেখ থাকে। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় প্রত্যন্ত অঞ্চলে বহির্বিভাগের রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রক ই-সঞ্জিবনী ব্যবস্থার সূচনা করে। এখনও পর্যন্ত ২৮টি রাজ্যে এই পরিষেবা কার্যকর হয়েছে। ই-সঞ্জিবনী ব্যবস্থার ওপিডি বিভাগের সাহায্যে দেশে লকডাউনের সময় থেকে চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া হয়ে আসছে। এখনও পর্যন্ত ওপিডি পরিষেবায় ৭ লক্ষ ১৬ হাজার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অনলাইনে ২৪০টিরও বেশি ওপিডি কর্মসূচি আয়োজিত হয়েছে, যেখানে রোগীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর শারীরিক সমস্যাগুলি মতবিনিময় করেছেন।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1677674  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র বিশ্ব ম্যালেরিয়া প্রতিবেদন ২০২০ : ম্যালেরিয়ার প্রকোপ হ্রাস ও নিয়ন্ত্রণে ভারতের আশাপ্রদ সাফল্য অব্যাহত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ২০২০’র বিশ্ব ম্যালেরিয়া প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে সমগ্র বিশ্বের ম্যালেরিয়ার আক্রান্ত ও মৃত্যুর বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হয়ে থাকে। গাণিতিক বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ ও নিয়ন্ত্রণ লক্ষ্যণীয়ভাবে কমানো সম্ভব হয়েছে। ২০১৮’কে ভারতকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসাবে উল্লেখ করা হলেও ২০১৯ – এ পতঙ্গ বাহিত এই রোগের প্রাদুর্ভাব ১৭.৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বার্ষিক পরজীবী সংক্রমণ সম্পর্কিত ঘটনাগুলির সূচকে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ ভারতে ২০১৭’র তুলনায় ২০১৮’তে ২৭.৬ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে, ২০১৮’র তুলনায় ২০১৯ – এ প্রকোপ হ্রাস পেয়েছে ১৮.৪ শতাংশ। ২০১২ থেকে লাগাতার বার্ষিক পরজীবী সংক্রমণ সংক্রান্ত সূচকে একবার বাদে প্রত্যেকবার ভারতের অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। আঞ্চলিক-ভিত্তিতে ভারতে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ সবচেয়ে কমেছে। সংখ্যার নিরিখে ম্যালেরিয়ার আক্রান্তের ঘটনা প্রায় ২ কোটি থেকে কমে ৬০ লক্ষের কাছাকাছি হয়েছে। একইভাবে, ২০০০ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের ঘটনা ৭১.৮ শতাংশ কমেছে এবং মৃত্যুর ঘটনাও কমেছে ৭৩.৯ শতাংশ। ২০০০ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ভারতে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের ঘটনা ৮৩.৩৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর ঘটনা প্রায় ৯২ শতাংশ কমেছে। ২০০০ সালে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০ লক্ষ ৩১ হাজার ৭৯০ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৯৩২ জনের। এই সংখ্যা ২০১৯ – এ কমে হয়েছে ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৯৪ (আক্রান্ত) এবং ৭৭ (মৃত্যু)। পরিসংখ্যানের নিরিখে ভারত সহস্রাব্দ উন্নয়নমূলক উদ্দেশ্যগুলির ৬টি পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। ২০০০ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের ঘটনা ভারতে ৫০-৭৫ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের ঘটনা ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৮৪, যা গত বছরের আলোচ্য সময়ে আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় ৪৫.০২ শতাংশ কম।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1677601  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য আয়ুষ ডে কেয়ার থেরাপি সেন্টার অনুমোদিত

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশন-প্রাপকদের জন্য আয়ুষ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি চিকিৎসা-পদ্ধতির আওতায় ডে কেয়ার থেরাপি সেন্টারের সুবিধা প্রদানের একটি প্রস্তাব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক অনুমোদন করেছে। বেসরকারি ডে কেয়ার থেরাপি সেন্টার, যেগুলি – আয়ুর্বেদ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত সেগুলিও সিজিএইচএস ব্যবস্থার আওতায় নাম নথিভুক্ত করতে পারে। প্রচলিত (অ্যালোপ্যাথি) চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত ডে কেয়ার থেরাপি সেন্টারগুলি সিজিএইচএস – এর আওতায় ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত হয়েছে। চাকুরিরত ও পেনশন-প্রাপক সমস্ত সিজিএইচএস – এর সুবিধাভোগীরা এই ডে কেয়ার থেরাপি সেন্টারগুলি সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। আয়ুষ চিকিৎসা পদ্ধতির ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং সিজিএইচএস – এর সুফলভোগীদের মধ্যে এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতেই আয়ুষ মন্ত্রক ডে কেয়ার থেরাপি সেন্টারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ডে কেয়ার থেরাপি সেন্টারগুলির নথিভুক্তিকরণ হবে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে। দিল্লি ও জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে এ ধরনের সেন্টারগুলির এক বছর মেয়াদে নথিভুক্ত করা হবে। পরবর্তী সময়ে অন্যত্রও নথিভুক্তিকরণের ব্যবস্থা করা হবে। আয়ুষ মন্ত্রকের ডে কেয়ার থেরাপি সেন্টারগুলিতে সিজিএইচএস- এর সুফলভোগীরা পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এজন্য পরিষেবা গ্রহণকারীদের ডে কেয়ার সেন্টারগুলিতে কয়েক ঘন্টা চিকিৎসার জন্য থাকতে হবে। আয়ুষ মন্ত্রকের এ ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণের উদ্দেশ্য হ’ল – স্বাস্থ্যের মানোন্নয়ন ঘটানো এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যয় হ্রাস। ডে কেয়ার সেন্টারগুলির মাধ্যমে রোগীরা স্বাচ্ছন্দ্যে কয়েক ঘন্টা থেকে এখানে চিকিৎসা করাতে পারবেন এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শও পাবেন। এ ধরনের ব্যবস্থা শুরু হলে সাধারণ রোগীর পাশাপাশি, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরাও উপকৃত হবেন। আয়ুষ চিকিৎসা পদ্ধতির সুযোগ-সুবিধা আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের আরও একটি অভিনব প্রয়াস।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1677659  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

অর্থমন্ত্রী শ্রীলঙ্কা অর্থনৈতিক শিখর সম্মেলন ২০২০ উদ্বোধনে মুখ্য ভাষণ দিলেন

কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ ভার্চুয়াল ফরম্যাটে বিংশতিতম শ্রীলঙ্কা ইকোনমিক সামিট (এসএলইএস ২০২০)র উদ্বোধনে মুখ্য ভাষণ দিলেন। এসএলইএস প্রতি বছর আয়োজন করে সিলোন চেম্বার অফ কমার্স (সিসিসি) যেটি শ্রীলঙ্কায় অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনার প্রধান মঞ্চ। এবছরের অনুষ্ঠানের মূল ভাবনা ‘রোড ম্যাপ ফর টেক অফ : ড্রাইভিং এ পিপল-সেন্ট্রিক ইকোনমিক রিভাইভাল’। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি শ্রী গোটাবায়া রাজাপক্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।  অর্থমন্ত্রী অতিমারী সংক্রান্ত সমস্যার মোকাবিলায় ভারতের গৃহীত পদক্ষেপগুলি তুলে ধরেন। শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য মুখ্য নীতিগুলির সম্পর্কে বলতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী তাঁর মুখ্য ভাষণে বলেন যে, ভারতে ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’ এবং ‘সেল্ফ রিলায়েন্ট শ্রীলঙ্কা’-র দর্শন একইরকম এবং একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং এটিকে ব্যবহার করা যায় অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনে দু-দেশের প্রচেষ্টাকে জোরদার করতে। ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে সহযোগিতা দীর্ঘকালীন উন্নতির জন্য উপকার করবে যা দুই দেশের মানব কেন্দ্রিক উন্নয়নের জন্য জরুরি বলে জানান তিনি।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1677405  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

অশোধিত তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত মূল্যের পক্ষে ভারত সর্বদাই পাশে আছে : শ্রী প্রধান

কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, ভারত সর্বদাই অশোধিত তেল ও গ্যাসের ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত মূল্য নির্ধারণের পক্ষে সওয়াল করে এসেছে। আত্মনির্ভর ভারত সম্পর্কিত স্বরাজ্য ওয়েবিনারে যোগ দিয়ে শ্রী প্রধান বলেন, ভারত কোভিড-১৯ পরিস্থিতি দক্ষতা ও সংযমের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। এই অভিজ্ঞতা ভারতকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে। তিনি বলেন, আত্মনির্ভর ভারতের ৫টি স্তম্ভ হ’ল – অর্থনীতি, পরিকাঠামো, ব্যবস্থা বা পদ্ধতি, প্রাণবন্ত জনগণ এবং চাহিদা। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর সময় সমস্ত ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে সুবিধা পৌঁছে দিতে আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজ ও প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই কারণেই আত্মনির্ভর ভারত আজ ১৩০ কোটি ভারতীয়র কাছে ‘মন্ত্র’ হয়ে উঠেছে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1677636  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

রেলের পণ্য পরিবহণ ২০২০-তে উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং গত বছরের তুলনায় এ বছর নভেম্বরে পণ্য পরিবহণ ৯ শতাংশ বেড়েছে

ভারতীয় রেলে নভেম্বর মাসে আয় এবং পণ্য পরিবহণ উভয় দিক থেকেই স্বাভাবিক গতি অব্যাহত থেকেছে। মিশন মোড-ভিত্তিতে ভারতীয় রেল সদ্য সমাপ্ত নভেম্বর মাসে গত বছরের ঐ একই মাসের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি পণ্য পরিবহণ করেছে। পণ্য পরিবহণ বাবদ রেলের ১০ হাজার ৬৫৭ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে, যা গত বছরের আলোচ্য মাসের তুলনায় ৪ শতাংশ বা ৪৪৯ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা বেশি। ভারতীয় রেল কোভিড-১৯’কে সব ক্ষেত্রে দক্ষতা ও কাজকর্ম আরও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার সুযোগ হিসাবে কাজে লাগিয়েছে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1677374  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের ক্ষমতায়নের জন্য জাতীয় পুরস্কারজয়ীদের চিহ্নিত করতে নির্বাচক কমিটির জাতীয় স্তরের বৈঠক কোভিড-১৯ মহামারীর দরুণ স্থগিত রাখা হয়েছে

বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের ক্ষমতায়নের জন্য জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন উপলক্ষে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। যে সমস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের সার্বিক কল্যাণে অথবা তাঁদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে অসামান্য অবদান রাখেন, সেই কাজের স্বীকৃতি-স্বরূপ এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ২৫শে জুলাই এক বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে এবারের জাতীয় পুরস্কারের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু বর্তমান মহামারীজনিত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পুরস্কার-প্রাপকদের মনোনীত করার জন্য জাতীয় নির্বাচক কমিটির পয়লা ডিসেম্বরের বৈঠক অনির্দিষ্টকালীন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে কমিটির বৈঠক আহ্বান করা হবে। অবশ্য, বৈঠক আয়োজনের পূর্বে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি হবে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1677689  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য

·         মহারাষ্ট্র : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা সামান্য বেড়েছে। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯২.৪৯ শতাংশ। অন্যদিকে, মৃত্যু হার দাঁড়িয়েছে ২.৫৮ শতাংশ। ৭ মাস পর প্রথম মঙ্গলবার মুম্বাইয়ে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা একদিনে এক অঙ্ক অর্থাৎ ৯ হয়েছে।

·         গুজরাট : গুজরাট হাইকোর্ট এক নির্দেশে বলেছে, যাঁরা মাস্ক ব্যবহার করবেন না, তাঁদের জন্য কোভিড-১৯ কেয়ার সেন্টারগুলিকে বাধ্যতামূলক কম্যুনিটি সার্ভিস দিতে হবে। রাজ্যে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৮৮৫।

·         রাজস্থান : একটি কেন্দ্রীয় দল আজ রাজ্যে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জয়পুর সফরে এসেছে। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ বিনোদ কুমার পল। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে আজ সকালে কেন্দ্রীয় দলের বৈঠক হয়েছে।

·         আসাম : রাজ্যে আরও ২২২ জন করোনায় সংক্রমিত হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ১৩ হাজার। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৮৬। মৃত্যু হয়েছে ৯৮১ জনের।

·         কেরল : রাজ্য সরকার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পর্যালোচনা নীতি-নির্দেশিকা সংশোধন করেছে। সংশোধিত নীতি-নির্দেশিকা অনুযায়ী, আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা এবং অপুষ্টির শিকার শিশুদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। রাজ্যে আগামী সপ্তাহে স্থানীয় স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলির নির্বাচন হতে চলেছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর এটিই রাজ্যের প্রথম নির্বাচন

·         কর্ণাটক : করোনা টিকা কো-ভ্যাক্সিনের কার্যকরিতা যাচাই সাফল্যের সঙ্গে হতে চলেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ টিকা বন্টনের ব্যাপারে রাজ্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। কোভিড সংক্রমণের প্রেক্ষিতে রাজ্যস্তরীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি নববর্ষের উৎসব উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি ২৬শে ডিসেম্বর থেকে পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত নৈশকালীন কার্ফিউ বলবৎ করার প্রস্তাব দিয়েছে।

·         অন্ধ্রপ্রদেশ : আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলির নির্বাচন করার ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্যের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে হলফনামা দাখিল করা হয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েতি রাজ দপ্তরের মুখ্যসচিব হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের জারি করা নির্দেশ বাতিল করতে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে সমগ্র সরকারি ব্যবস্থা যখন যুক্ত রয়েছে, তখন জনস্বাস্থ্যের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্য কিছু হতে পারে না বলে রাজ্যের তরফে হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে

·         তেলেঙ্গানা : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৫৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ৯২৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। এর ফলে, আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৬০ হাজারেরও বেশি। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ২৬৬ এবং করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৬২ জনের। রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৬.০৩ শতাংশ। অন্যদিকে, জাতীয় স্তরে সুস্থতার হার ৯৪ শতাংশ। এদিকে গ্রেটার হায়দরাবাদ পুর নিগমের নির্বাচনে রেকর্ড ৪৬.৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। ২০১৬’র নির্বাচনে ভোটদানের হার ছিল ৪৫.২৯ শতাংশ।

***

 

CG/BD/SB



(Release ID: 1677827) Visitor Counter : 191