PIB Headquarters

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

Posted On: 16 NOV 2020 6:05PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৬ নভেম্বর,  ২০২০

 

ভারতে লাগাতার ৪৪ দিন দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা নতুন করে আক্রান্তের তুলনায় বেশি রয়েছে; সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪.৬৫ লক্ষের নিচে

ভারতে লাগাতার ৪৪ দিন দৈনিক ভিত্তিতে নতুন করে আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা বেশি থাকার প্রবণতা অটুট রয়েছে। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৪৩,৮৫১ জন করোনা রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন। অন্যদিকে, নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০,৫৪৮। দৈনিক ভিত্তিতে সুস্থতা ও আক্রান্তের সংখ্যার এই ফারাক ১৩,৩০৩। এর ফলে, সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আরও কমে হয়েছে ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪৭৮।  দেশে দৈনিক ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড ৩০,৫৪৮-এ নেমে এসেছে। অন্যদিকে, ইউরোপ ও আমেরিকায় দৈনিক ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সরকারের একাধিক প্রয়াস গ্রহণের ফলে এবং অধিক সংখ্যা নমুনা পরীক্ষার দরুণ আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে, সুস্থতার সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। দেশে আজ সুস্থতার হার আরও বেড়ে হয়েছে ৯৩.২৭ শতাংশ। একইভাবে, সুস্থতার মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৭৯। ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৭৮.৫৯ শতাংশে। দিল্লি থেকেই সর্বাধিক ৭,৬০৬ জন আরোগ্য লাভ করেছেন। কেরল থেকে আরোগ্য লাভের সংখ্যা ৬,৬৮৪। পশ্চিমবঙ্গে সুস্থ হয়েছেন ৪,৪৮০ জন।  নতুন করে আক্রান্তদের ৭৬.৬৩ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। কেরল থেকে সর্বাধিক ৪,৫১৮ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দিল্লি থেকে রবিবার ৩,২৩৫ জনের আক্রান্তের খবর মিলেছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,০৫৩ জন।  দেশে করোনাজনিত কারণে সদ্য মৃত্যুর ৭৮.৮৫ শতাংশই ঘটেছে ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। কেবল দিল্লি থেকেই ৯৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মহারাষ্ট্র থেকে মারা গেছেন ৬০ জন। ১৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রতি ১০ লক্ষে মৃত্যুর সংখ্যা জাতীয় গড় ৯৪-এর তুলনায় বেশি। অন্যদিকে, ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হার জাতীয় গড়ের তুলনায় বেশি। কেন্দ্রীয় সরকার আইসিইউ-তে থাকা সঙ্কটাপন্ন রোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসায় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করছে। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি কেন্দ্রীয় দল মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি নিয়মিতভাবে জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করছে। 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1673111  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র কার্যনির্বাহী পর্ষদের ১৪৭তম অধিবেশনে পৌরহিত্য করলেন ডাঃ হর্ষবর্ধন 

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1673161  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লিতে কোভিড – ১৯ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ, দিল্লিতে কোভিড – ১৯ এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে আজ একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে রাজধানীর হাসপাতালগুলির চিকিৎসা পরিকাঠামোর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, দিল্লির উপরাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, নীতি আয়োগের সদস্য ড. ভি কে পাল, এইমস-এর মহানির্দেশক, আইসিএমআর-এর সচিব, ডিআরডিও-র মহানির্দেশক সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ড. ভি কে পাল, দিল্লির কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। যদিও সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু সংক্রমিতদের মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আলোচনায় কোভিড – ১৯ এর জন্য নির্ধারিত শয্যা, ভেন্টিলেটর ও আইসিইউএর ব্যবস্থা সহ অন্যান্য চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শ্রী শাহ, দিল্লিতে আরটি-পিসিআর –এর মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষার পরিমাণ দ্বিগুণ করার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। দিল্লিতে চিকিৎসাকর্মীর সঙ্কট দেখা দেওয়ায় কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর অতিরিক্ত চিকিৎসক ও প্যারামেডিকেল কর্মীদের দিল্লিতে বিমানে করে শীঘ্রই নিয়ে আসা হবে। শ্রী শাহ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন, হাসপাতালগুলিতে যথেষ্ট পরিমাণে বাইপ্যাপ মেসিনের ব্যবস্থা করতে হবে। দিল্লি সরকারকে আগামী ২৪ ঘন্টায় হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলাসের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এইমস, জাতীয় রাজধানী অঞ্চল সরকার এবং দিল্লির পুরসভাগুলির কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করবেন। কোভিড – ১৯ এ সংক্রমিতদের চিকিৎসা করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রককে প্লাজমা থেরাপি ও প্লাজমা প্রয়োগের জন্য সাধারণ পরিচালন পদ্ধতি তৈরি করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রক, আইসিএমআর-এর সঙ্গে একযোগে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য ভ্রাম্যমান পরীক্ষাগারের ব্যবস্থা করবে। যেখানে নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ধৌলাকুয়ার ডিআরডিও চিকিৎসা কেন্দ্রে অতিরিক্ত ২৫০ – থেকে ৩০০টি আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করা হবে। সংক্রমিতদের অক্সিজেন দেওয়ার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ছাত্তারপুরে ১০,০০০ শয্যার কোভিড স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ক্ষমতাও বাড়ানো হবে। দিল্লির বেসরকারী হাসপাতালগুলিতে কোভিড – ১৯ এর চিকিৎসা পরিকাঠামো ও সেখানে কতজনের চিকিৎসা চলছে, সে বিষয়ে সরেজমিন খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি দল ঘুরে দেখবেন। শ্রী শাহ, জোর দিয়ে বলেছেন, যে সব কোভিড – ১৯ এ সংক্রমিত হোম আইসোলেশনে আছেন, প্রয়োজন অনুসারে তাদের যাতে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কোভিড – ১৯ এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন নিয়ম যেমন, ফেস মাস্ক পরা, যথাযথভাবে মেনে চলা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দিল্লি ও সংলগ্ন জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যালোচনা করার জন্য আগামী সপ্তাহগুলিতেও বৈঠকের ব্যবস্থা করা হবে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1673080  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

শুক্রবার ব্রিকস এসটিআই মন্ত্রী পর্যায়ের অষ্টম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা- এই ব্রিকস গোষ্ঠী ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট  দেশের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী মন্ত্রীরা শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বৈঠকে বসেন। রাশিয়ার বিজ্ঞান ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রক এই সভার আয়োজন করেছে।রাশিয়া দ্বাদশ ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছে। সভায় সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ভূ বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী, ডাঃ হর্ষ বর্ধন এই অধিবেশনে অংশ নেওয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে অভিনন্দন জানন। তিনি বলেন, “ব্রিকস গোষ্ঠী ভুক্ত দেশগুলির বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী (এসটিআই) ২০২০ নীতি ঘোষণা এবং ব্রিকস এসটিআই কাজ কর্ম সম্পর্কে ২০২০-২১ এর সূচি  প্রকাশ, যা আগামী দিনে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে যথাযথ সাহায্য করবে। " সভায় ব্রিকস এসটিআই ২০২০ নীতি  সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। বৈঠকে ডাঃ হর্ষ বর্ধন উল্লেখ করেন, কোভিড ১৯ মহামারী এমন এক পরীক্ষার মুখোমুখি  দাঁড় করিয়েছে, তা প্রমাণ করেছে যে এই জাতীয় বিশ্ব ব্যাপী সমস্যা কাটিয়ে উঠতে গেলে মূলত বহুপাক্ষিক সহযোগিতাই প্রয়োজন। তিনি বলেন,"যেহেতু আমরা এই মহামারী থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশ, তাই ব্রিকস দেশগুলির মধ্যে এই মহামারী মোকাবেলায় বৃহত্তর সহযোগিতার সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে”। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান “ভারত এই অভূতপূর্ব কোভিড-১৯ মহামারী কাটিয়ে উঠতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দেশীয় প্রতিষেধক  তৈরি  থেকে, ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে অভিনব চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা  এবং চিকিৎসার সূত্র, গবেষণা সংস্থা প্রতিষ্ঠা, পরিষেবা সরবরাহ, ভারতীয় গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থায় সরকারী- বেসরকারী উভয়ের অংশগ্রহণ, মহামারী মোকাবিলায় কার্যকরী হস্তক্ষেপের বিকাশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে সরকার। একাধিক  প্রকল্প সাহায্য  করা হচ্ছে।  ১০০ টিরও বেশি স্টার্টআপগুলি কোভিড-১৯ এর জন্য উদ্ভাবনী পণ্যগুলি তৈরি করেছে বলেও তিনি জানান। ডাঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, উদ্ভাবন ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বিষয়টি এই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ রয়েছে।বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ক্রস ইনকিউবেশন জোরদার করার লক্ষ্যে ব্রিকস গোষ্ঠী ভুক্ত দেশগুলি পারস্পরিক জ্ঞান ভাগাভাগি, ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সহমত পোষণ করেছে বলেও তিনি জানান। ব্রিকস সদস্য দেশগুলির নেতৃবৃন্দ ভারতে মহিলাদের গবেষণায় সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য প্রশংসা করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এ ক্ষেত্রে "এসইআরবি-শক্তি" শীর্ষক কর্মসূচি চালু করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি পুনরায় উল্লেখ করেন যে "ভারত ব্রিকস এর এসটিআই ২০২০-২১ সূচি বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করবে এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী বিষয়ে ব্রিকস সমঝোতার আওতায় ধারাবাহিকভাবে বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম সমর্থন যোগাবে"।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1672866  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

আত্মনির্ভর ভারত গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী আধ্যাত্মিক গুরুদের ভোকাল ফর লোকাল নীতিকে আরও জনপ্রিয় করে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ জৈনাচার্য শ্রী বিজয় বল্লভ সুরিশ্বর জি মহারাজের ১৫১তম জন্ম বার্ষিকীতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘স্ট্যাচু অফ পিস’-এর আবরণ উন্মোচন করেছেন। জৈন আচার্যের সম্মানে এই মূর্তির আবরণ উন্মোচন করা হয়েছে- এর নামকরণ করা হয়েছে ‘স্ট্যাচু অফ পিস’। ১৫১ ইঞ্চি লম্বা এই মূর্তিটি অষ্টধাতু নির্মিত, যেখানে তামার ভাগ বেশি। রাজস্থানের পালির জেতপুরায় বিজয়বল্লভ সাধনা কেন্দ্রে এটি বসানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জৈনাচার্য ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য আধ্যাত্মিক নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং জৈনাচার্য শ্রী বিজয় বল্লভ সুরিশ্বর জি মহারাজ- এই দুই বল্লভের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বে উচ্চতম মূর্তি সর্দার প্যাটেলের ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ উৎসর্গ করা ও জৈনাচার্য শ্রী বিজয় বল্লভ সুরিশ্বর জি মহারাজের ‘স্ট্যাচু অফ পিস’এর আবরণ উন্মোচনের সুযোগ পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছেন। ভোকাল ফর লোকালের ওপর গুরুত্ব দিয়ে শ্রী মোদী বলেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় স্থানীয় পণ্যের ওপর যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল, আত্মনির্ভরতার জন্য আবারও আধ্যাত্মিক নেতাদের এ বিষয়ে প্রচার চালানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দীপাবলি উৎসবে দেশ যেভাবে স্থানীয় পণ্যের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে তা অত্যন্ত উৎসাহ-ব্যাঞ্জক।  প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারত সর্বদাই শান্তি, অহিংসা ও বিশ্বের প্রতি সৌহার্দ্যের পথ দেখিয়ে এসেছে। আজ আবারও সারা পৃথিবী ভারতের কাছ থেকে সেই পথ প্রদর্শনের অপেক্ষায় রয়েছে। যদি আমরা ভারতের ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই যখনই প্রয়োজন দেখা দিয়েছে তখনই সমাজকে পরিচালনার জন্য কিছু সন্তের আর্বিভাব হয়েছে। আচার্য বিজয় বল্লভ হলেন এরকমই এক সন্ত। জৈনাচার্যের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর উদ্যোগের কথা স্মরণ করেছেন। তিনি বলেছেন, জৈনাচার্যের উদ্যোগে পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশে ভারতীয় মূল্যবোধে শিক্ষিত করার জন্য কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে তিনি দেশকে শিক্ষাক্ষেত্রে আত্মনির্ভর করে তুলেছেন। শ্রী মোদী বলেছেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলি অনেক শিল্পপতি, বিচারপতি, চিকিৎসক ও ইঞ্জিনিয়ার দেশকে উপহার দিয়েছে।  

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1673177  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

আত্মনির্ভর ভারতের জন্য ‘ভোকাল ফর লোকাল’কে জনপ্রিয় করতে আধ্যাত্মিক নেতাদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তি ছিল ভক্তি আন্দোলন। একইভাবে আজ সন্ত, মহাত্মা, মহন্ত ও আচার্যদের মাধ্যমে আমাদের দেশের আত্মনির্ভরতার মূল ভিত্তি গড়ে তুলতে হবে। শ্রী মোদী আজ জৈনাচার্য শ্রী বিজয় বল্লভ সুরিশ্বর জি মহারাজের জন্ম বার্ষিকীতে ‘স্ট্যাচু অফ পিস’-এর আবরণ উন্মোচন করেছে। এই উপলক্ষ্যে তিনি যে ভাষণ দিয়েছেন সেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামের মতো সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে মূল ভিত্তি যে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক আবেগই ছিল সেকথা উল্লেখ করেছেন এবং বর্তমানে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে এই বিষয়টির ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।  ‘লোকাল ফর ভোকাল’-এর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে শ্রী মোদী বলেছেন, স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল ভিত্তি ছিল ভক্তি আন্দোলন। সন্ত, মহন্ত, সন্ন্যাসী ও আচার্যরা দেশের প্রতিটি প্রান্তে জনসাধারণকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন এবং তাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলেছিলেন। এই সচেতনতা থেকেই পরবর্তীতে স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্ম নিয়েছিল বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন। আত্মনির্ভরতার জন্য প্রচারে আধ্যাত্মিক নেতাদের কাছে তিনি সাহায্যের আবেদন করেছেন। তিনি বলেছেন, ভক্তি আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ বপণ করা হয়েছিল এবং তা শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল। আজ একবিংশ শতাব্দীতে আমাদের সন্ত, মহন্ত এবং আচার্যরাই আত্মর্নিভর ভারতের ভিত গড়ে তুলবেন। স্থানীয় পণ্যের জন্য প্রচার চালানোর উদ্দেশ্যে তিনি তাঁদের বিভিন্ন আধ্যাত্মিক সম্মেলন ও শিষ্যদের কাছে ‘ভোকাল ফর লোকাল’এর জন্য অনুরোধ করেছেন। আধ্যাত্মিক নেতাদের সম্মতির মধ্য দিয়ে ‘ভোকাল ফর লোকাল’এর বার্তা শক্তিশালী হবে। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় দেশ যেমন উজ্জীবিত হয়ে উঠেছিল সেভাবেই আত্মনির্ভর জাতি গড়ার জন্য এভাবেই দেশ অনুপ্রাণিত হবে।

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1673135  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

জয়সলমীরের লঙ্গেওয়ালায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপনকালে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1672907  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

জয়সলমীরে বায়ুসেনা সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1672940  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় যে কোনও ধরনের আক্রামণ জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী : উপ-রাষ্ট্রপতি

উপ-রাষ্ট্রপতি শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু আজ বলেছেন, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় যে কোনও ধরনের আক্রমণ জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। তাই, আমাদের সকলকে এ ধরনের প্রবণতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং জোড়ালো সওয়াল করতে হবে। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় গণমাধ্যমের অধিকার ও গণমাধ্যমের ওপর মহামারীর প্রভাব শীর্ষক এক ওয়েবিনারে  প্রাক্‌-রেকর্ড এক ভিডিও বার্তায় উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, অবাধ ও ভীতিমুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্রের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তির সুরক্ষায় ও তা সুদৃঢ়করণে ভারতে গণমাধ্যমগুলি সর্বদাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। জাতীয় প্রেস দিবস উপলক্ষে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া আয়োজিত এই সেমিনারে উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, সাংবাদিকতা এক আন্তরিক পেশা। তিনি সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নে এবং জাতীয় স্বার্থ সুদৃঢ়করণে গণমাধ্যমের অসামান্য অবদানের প্রশংসা করে বলেন, কোভিড মহামারীর প্রেক্ষিতে মুদ্রণ ও বৈদ্যুতিন গণমাধ্যমগুলির সাংবাদিকদের নিরবচ্ছিন্নভাবে সমস্ত ভীতি উপেক্ষা করে সংবাদ সংগ্রহের অদম্য মানসিকতার প্রশংসা করেন। 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1673116  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

উপ-রাষ্ট্রপতি এক পুনর্জাগরিত ভারত গঠনে দেশের যুবসম্প্রদায়কে বিকাশের চালিকাশক্তিগুলিতে যুক্ত হয়ে সমস্ত উদ্যমকে সদ্ব্যবহারে আহ্বান জানিয়েছেন

উপ-রাষ্ট্রপতি শ্রতী ভেঙ্কাইয়া নাইডু আজ এক নতুন ও পুনর্জাগরিত ভারত গঠনে দেশের যুবসম্প্রদায়কে তাঁদের উদ্যম বিকাশের চালিকাশক্তির সঙ্গে যুক্ত করে গঠনমূলক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক নতুন সুযোগ-সুবিধা কেন্দ্রের উদ্বোধন করে উপ-রাষ্ট্রপতি যুবসম্প্রদায়কে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা পরিহার করে নতুন ভারত গঠনে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণের পরামর্শ দেন। সমগ্র দেশ কঠিন পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হচ্ছে বলে উল্লেখ করে শ্রী নাইডু ভারতকে সবদিক থেকেই আরও মজবুত ও সুদৃঢ় করে তোলার জন্য যবসম্প্রদায়কে অগ্রণী ভূমিকা পালনে পরামর্শ দেন। করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করে উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত তুলনামূলক ভালো জায়গায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং দেশবাসীকে তাঁর পরিকল্পনার সঙ্গে সামিল করে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1673128  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য 

 

• আসাম : রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ট্যুইটে জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা ৫০ লক্ষ পূর্ণ হয়েছে। রাজ্যে সোমবার রেকর্ড ৩৫ জন নতুন করে আক্রান্ত হওয়ায় সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭১ হয়েছে। গতকাল আরও ১ জনের মৃত্যু হওয়ায় রাজ্যে করোনাজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০১ হয়েছে। 

 

• কেরল : রাজ্য সরকার কোভিড-১৯ সংক্রমণের গভীরতা খুঁজে বের করতে সেরো সার্ভে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবশ্য, ডিসেম্বরে স্থানীয় স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলির নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর সারা রাজ্যে রক্তের লালারস সংগ্রহ করে এই সমীক্ষা পরিচালিত হবে। এদিকে আজ থেকে ৪১ দিনের বার্ষিক ধর্মীয় স্থান পরিদর্শনের অঙ্গ হিসাবে জনপ্রিয় সবরীমালা মন্দির পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। 

 

• তামিলনাডু : রাজ্যে কোভিড-১৯ টিকাকরণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য কর্মীদের তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এদিকে রাজ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ টিকা কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। 

 

• কর্ণাটক : প্রায় ৯ মাস পর কেরলের সঙ্গে রাজ্যের আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবা পুনরায় শুরু হয়েছে। দুই রাজ্যের সড়ক পরিবহণ নিগম ২০টি করে বাস পরিষেবার জন্য ব্যবহার করেছে। 

 

• অন্ধ্রপ্রদেশ : রাজ্যে রবিবার নতুন করে ১ হাজার ৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৪ জন। গত ৪ মাসে এটাই ছিল দৈনিক-ভিত্তিতে সংক্রমণের সংখ্যার দিক থেকে সর্বনিম্ন। এদিকে রাজ্যে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের নীচে নেমে এসে ১৮ হাজার ৬৫৯ হয়েছে। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৭.০১ শতাংশ। 

 

• তেলেঙ্গানা : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৫০২ জনের সংক্রমিত হওয়ার এবং ৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর ফলে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ছাড়িয়েছে। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৩৮৫। করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪০৭ জনের। সুস্থতার হার ৯৩.৮৭ শতাংশ। অন্যদিকে, জাতীয় স্তরে এই হার ৯৩.২ শতাংশ। 

 

• মহারাষ্ট্র : রাজ্যের সমস্ত ধর্মীয় স্থান ও উপাসনালয় আজ থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৭ মাস বন্ধ থাকার পর সিরিডির সাঁইবাবা মন্দির, ভিত্তর মন্দির ও তুলজা ভবানী মন্দির আজ সকাল থেকে পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে। এদিকে রাজ্যে রবিবার নতুন করে ২ হাজার ৫৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, যা গত জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে দৈনিক-ভিত্তিতে সর্বনিম্ন। 

 

• গুজরাট : রাজ্যে রবিবার আরও ১ হাজার ৭০ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ছাড়িয়েছে। রাজ্যে করোনাজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৮০৩ হয়েছে। 

 

• রাজস্থান : রাজ্যে রবিবার আরও ১০ জনের করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও, ২ হাজার ১৮৪ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২ লক্ষ ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। রাজ্যে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ৩৩৭। 

 

• মধ্যপ্রদেশ : রাজ্যে রবিবার আরও ৮৭০ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলায় করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এদিকে আরও ২ জনের মৃত্যু হওয়ায় রাজ্যে করোনাজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৯০ হয়েছে। 

***

 

CG/BD/SB



(Release ID: 1673304) Visitor Counter : 231