PIB Headquarters

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

Posted On: 05 OCT 2020 6:15PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৫ অক্টোবর, ২০২০

 

 

ভারতের আরও একটি সাফল্যের মাইলফলক; পরপর দুসপ্তাহ ধরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষেরও নীচে

ভারত আরও একটি সাফল্যের মাইল ফলক অতিক্রম করেছে। গত ১৪ দিন ধরে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষের নীচে রয়েছে। এছাড়াও, আজ পর্যন্ত গত দু’সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষেরও কম। কেন্দ্রীয় সরকার করোনা সংক্রমণ ও প্রতিরোধে টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রেস, ট্রিট ও টেকনোলজি সংক্রান্ত যে কৌশল গ্রহণ করেছে, সেগুলি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত প্রশাসনগুলি যথাযথ অনুসরণ করার দরুণ আক্রান্তদের আগাম চিহ্নিতকরণ এবং তাঁদের যথোপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে, ব্যাপক হারে নমুনা পরীক্ষা এবং আরোগ্য লাভের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জাতীয় স্তরে মৃত্যু হার ক্রমশ কমছে। কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আদর্শ চিকিৎসা পরিষেবা প্রোটোকল জারি করেছে। এর ফলে, চিকিৎসা পরিষেবায় অভিন্ন ও আদর্শ মান বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৭৬ হাজার ৭৩৭ জন আরোগ্য লাভ করেছেন। অন্যদিকে, আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৪৪২ জন। সদ্য আরোগ্য লাভের সংখ্যা সাম্প্রতিক দিনগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যাকে ছাপিয়ে গেছে। ভারতে করোনা থেকে আরোগ্য লাভের সংখ্যা আজ পর্যন্ত বেড়ে হয়েছে ৫৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭০৩। একদিনেই সর্বাধিক সংখ্যায় আরোগ্য লাভের প্রবণতা অব্যাহত থাকায় জাতীয় স্তরে সুস্থতার হারও ক্রমশ বাড়ছে। এই হার বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ৮৪.৩৪ শতাংশ। নতুন করে আক্রান্তদের ৭৫ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। কেবল মহারাষ্ট্র থেকেই ১৫ হাজারেরও বেশি রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন। এরপর রয়েছে – কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশ। এই দুই রাজ্য থেকে আরোগ্য লাভের সংখ্যা ৭ হাজারেও বেশি। ভারতে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের ৯ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪২৭। আজ পর্যন্ত সংখ্যার নিরিখে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের কেবল ১৪.১১ শতাংশই সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যাও নিরন্তর নিম্নমুখী। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তদের ৭৭ শতাংশই ১০টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৭৪ হাজার ৪৪২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে আক্রান্তদের ৭৮ শতাংশই ১০টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ১২ হাজারেরও বেশি ব্যক্তির করোনা সংক্রমণ হয়েছে মহারাষ্ট্রে। কর্ণাটকে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৯০৩ জনের করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৮২ শতাংশই মারা গেছেন ১০টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। মহারাষ্ট্র থেকে গতকাল আরও ৩২৬ জনের এবং কর্ণাটক থেকে ৬৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1661689 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

ডঃ হর্ষ বর্ধন প্রয়াগরাজে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল হিসেবে মোতিলাল নেহরু মেডিকেল কলেজে সুপার স্পেশালিটি ব্লকের উদ্বোধন করলেন

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়াগরাজে মোতিলাল নেহরু মেডিকেল কলেজে সুপার স্পেশালিটি ব্লকের উদ্বোধন করেছেন। ২২০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হয়েছে। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আইসিএমআর-এর পক্ষ থেকে স্থাপিত রাজ্যের প্রথম হাই থ্রুপুট কোবাস ৬৮০০ মেশিনের উদ্বোধন করেন। কোভিড নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্য এড়াতেই এই যন্ত্রটি স্থাপন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনার আওতায় ১৫০ কোটি টাকা খরচে মোতিলাল নেহরু মেডিকেল কলেজে সুপার স্পেশালিটি ব্লকটি গড়ে তোলা হয়েছে। এই ব্লকে নিউরোলজি, নিউরো-সার্জারি, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি, প্লাস্টিক সার্জারি, সার্জিক্যাল অঙ্কোলজি এবং ভ্যাসকুলার সার্জারির মতো একাধিক বিভাগ রয়েছে। সুপার স্পেশালিটি ব্লকে ২৩৩টি শয্যার পাশাপাশি, সাতটি অপারেশন থিয়েটার, ৫২টি আইসিইউ বেড এবং ১৩টি ডায়ালিসিস বেড রয়েছে। স্নাতকোত্তর স্তরের ২৪ জন ছাত্রছাত্রী এই সুপার স্পেশালিটি ব্লকে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। কোবাস ৬৮০০ হাই থ্রুপুট যন্ত্রের উদ্বোধন করে ডঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এই যন্ত্রটির সাহায্যে পিসিআর পদ্ধতিতে কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষার রিয়েল টাইম ফলাফল জানা যাবে। এই যন্ত্রের সাহায্যে ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১,২০০ নমুমা পরীক্ষা করা সম্ভব। এমনকি, কোবাস ৬৮০০ যন্ত্রের সাহায্যে ভাইরাল হেপাটাইটিস 'বি' অ্যান্ড 'সি', এইচআইভি, সাইটোমেগালো ভাইরাস, আইসোমিয়াজাইড প্রভৃতির পরীক্ষা সম্ভব। ন্যূনতম মনুষ্য হস্তক্ষেপে এই যন্ত্রটি কাজ করতে পারে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1661723 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

চতুর্থ পর্বের সানডে সংবাদ অনুষ্ঠানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন ডঃ হর্ষ বর্ধন

চতুর্থ পর্বের সানডে সংবাদ অনুষ্ঠানে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একগুচ্ছ প্রশ্নের জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধন। এবারের সানডে সংবাদ পর্বে জমা পড়া প্রশ্নমালার অধিকাংশই কোভিড টিকা সম্পর্কিত বিষয়ে। ডঃ হর্ষ বর্ধনও ধীরতার সঙ্গে এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেন এবং কোভিডের ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপি ব্যবহার, কোভিড মহামারীর প্রেক্ষিতে ২০২৫ – এর মধ্যে দেশ থেক যক্ষ্মা দূরীকরণ সহ দেশের বিদ্যালয়গুলি পুনরায় খোলার ব্যাপারেও একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। টিকা বন্টনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার সম্পর্কিত একগুচ্ছ প্রশ্নের জবাবে ডঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি ফরম্যাট বা পদ্ধতি তৈরির কাজ করছে। যেখানে রাজ্যগুলি কোন শ্রেণীর বা বয়সের মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, তার তালিকা জমা করবে। এক্ষেত্রে রাজ্যগুলি টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ মোকাবিলার কাজে যুক্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর বিশেষ অগ্রাধিকার দিতেই পারে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় অগ্রভাগে থাকা স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে চিকিৎসক, নার্স, প্যারা-মেডিক্স, স্যানিটারি কর্মী, আশা কর্মী, সার্ভিলেন্স আধিকারিক সহ করোনা রোগীদের চিহ্নিতকরণ, তাঁদের নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা পরিষেবার কাজে যুক্ত ব্যক্তিরা অগ্রাধিকার পাবেন। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তালিকা তৈরির কাজ চলতি মাসের শেষ নাগাদ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্যগুলিকেও এ সংক্রান্ত বিস্তারিত বিবরণ যত দ্রুত সম্ভব জমা দেওয়ার জন্য সাহায্য করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার ৪০-৫০ কোটি ডোজ টিকার সঠিক পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। আগামী বছরের জুলাই মাসের মধ্যে প্রায় ২০-২৫ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও জানান, সমগ্র পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার সময় কোভিড-১৯ অসুখের ক্ষেত্রে এ ধরনের টিকার কার্যকারিতার ব্যাপারেও সরকার নজর রেখে চলেছে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1661531 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের সঙ্গে সুসংহত কার্যকলাপ বজায় রাখতে আয়ুষ ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির দিক থেকে সাহায্য করে চলেছে 'আয়ুষ গ্রিড প্রকল্প'

জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের সঙ্গে সুসংহত কার্যকলাপ বজায় রাখতে আয়ুষ ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির দিক থেকে সাহায্য করে চলেছে 'আয়ুষ গ্রিড প্রকল্প', জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের সচিব ভি ডি রাজেশ কোটেচে। সম্প্রতি মন্ত্রকের সচিবের নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসে। বৈঠকে আয়ুষ গ্রিড প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এবং জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেন। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের প্রয়োজনে আয়ুষ মন্ত্রকের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ এবং তার কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা হয়। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আয়ুষের মূল ধারাকে যুক্ত করার বিষয় ত্বরান্বিত করা নিয়েও মতবিনিময় চলে। আয়ুষ মন্ত্রকের সচিব আয়ুষ গ্রিড প্রকল্পের আওতায় তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নেওয়া উদ্যোগগুলির বর্তমান অবস্থা বিষয়ে পর্যালোচনা করেন। বিগত ২ বছরে আয়ুষ গ্রিড প্রকল্পটি আয়ুষ ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন করা পথে নানান সমস্যার সমাধান করেছে এবং এই প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। ২০১৮ সালে আয়ুষ মন্ত্রক এই আয়ুষ গ্রিড প্রকল্পের উদ্যোগ নেয়। মূলত আয়ুষ ক্ষেত্রকে তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত করে তুলতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর মাধ্যমে সমগ্র আয়ুষ ক্ষেত্রকে ডিজিটালাইজেশন করা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসার লক্ষ্য নেওয়া হয়। এরফলে আয়ুষ ক্ষেত্রে গবেষণা, শিক্ষা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যমূলক কর্মসূচি সফলভাবে রূপায়ণ সম্ভবপর হয়েছে। এতে দেশের নাগরিক সহ আয়ুষ ক্ষেত্রে যুক্ত সকল পক্ষেরই উপকার হয়েছে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনেও তা সাহায্য করেছে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1660936 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

বাড়িতে থেকেই করোনা চিকিৎসার জন্য টেলি মেডিসিন সুবিধার ব্যবস্থা আইআইটি খড়্গপুরের

কোভিড-১৯ মহামারীর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর নানারকম সমস্যার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্ব লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এই লড়াই চালিয়ে যেতে যেতে বছরের অর্ধেক সময় কেটে গেছে। সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত এর কোনো টিকা পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা কর্মীদের সংক্রমণের আশঙ্কা অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর ক্রমশই চাপ বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানে আইআইটি খড়গপুরের কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের গবেষকরা “আইমেডিক্স” নামে একটি টেলি মেডিসিন ব্যবস্থাপনা তৈরি করেছেন। এই ব্যবস্থায় হাসপাতাল থেকেই বাড়িতে যত্ন সহকারে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। মহামারীর কারণে উদ্ভুত প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে রোগীদের দোরগোড়ায় চিকিৎসকদের সু-পরামর্শ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। এই ব্যবস্থাপনার সুবিধা পাওয়া যাবে যেকোমোরকম ইন্টারনেট ব্রাউজার এবং মোবাইল থেকে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1661053 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

বৈজ্ঞানিক তথ্য ভাগ করে নেওয়ার বিষয়টির ওপর আমাদের সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে : বিজ্ঞান প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব অধ্যাপক শ্রী অশুতোষ শর্মা বিজ্ঞান প্রযুক্তি সঙ্ঘের সভায় একথা বলেছেন

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব অধ্যাপক শ্রী আশুতোষ শর্মা জানিয়েছেন, ভারত সরকার বৈজ্ঞানিক তথ্য ভাগ করে নেওয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ভারতের ন্যাশনাল ডাটা শেয়ারিং অ্যান্ড অ্যাক্সেসেবিলিটি পলিসি (আইএনডিএসএপি) এবং ওপেন গভর্মেন্ট ডাটা পোর্টাল চালু করা থেকে একথাই প্রমাণিত হয়। বিজ্ঞান প্রযুক্তি সঙ্ঘের ১৭ তম বার্ষিক অনুষ্ঠানে একথা জানান তিনি। বৈজ্ঞানিক তথ্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য নতুন বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী নীতি ২০২০ গঠনের কথা ভাবা হচ্ছে বলে তিনি জানান। শ্রী শর্মা বলেন, তথ্য হলো জলের মতো। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সরকার এই বিষয়টিকে ভাগ করে নিতে চায়। গত তেসরা অক্টোবর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক অনলাইন ভিত্তিক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে। এই বৈঠকে জাপান আন্তর্জাতিক গবেষণা ও উন্নয়ন সহযোগিতা, সামাজ বিজ্ঞান ও মানবিকতা এবং উন্মুক্ত বিজ্ঞানের ভূমিকা নিয়ে আলোকপাত করে। বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয়ে উদীয়মান সম্ভাবনার বিষয়গুলি তুলে ধরে। কোভিড-১৯ এর মতো সমস্যা মোকাবিলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা থেকে প্রাপ্ত সুযোগসুবিধাগুলির বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1661597 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

প্রধানমন্ত্রী অটল সুড়ঙ্গ জাতির উদ্দেশ্যে ৎসর্গ করেছেন

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মানালির দক্ষিণ পোর্টালে মহা সড়কের ওপর নির্মিত বিশ্বের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ- অটল সুড়ঙ্গ জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন। মানালির সঙ্গে লাহুল-স্পিতি উপত্যকার সারা বছর ধরে যোগাযোগ নিশ্চিত করার জন্য ৯.০২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে। এর আগে প্রতি বছর প্রায় ৬ মাস প্রবল তুষারপাতের কারণে এই উপত্যকা বিচ্ছিন্ন থাকতো। এই সুড়ঙ্গটি হিমালয়ের পীরপঞ্জল অঞ্চলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। সমুদ্রতল থেকে ৩ হাজার মিটার বা ১০ হাজার ফুট উঁচুতে এই সুড়ঙ্গ অবস্থিত। এই সুড়ঙ্গ মানালি এবং লে-র মধ্যে ৪৬ কিলোমিটার সড়কপথে দূরত্ব কমিয়ে দেবে। যারফলে ৪-৫ ঘন্টা সময় বাঁচে। অটল সুড়ঙ্গে অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যার সাহায্যে তীর্যকভাবে বায়ু চলাচল, নজরদারি ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ, সুড়ঙ্গের অভ্যন্তরে কি ঘটছে সে সংক্রান্ত তথ্য প্রাপ্তি, সুপারভাইজারি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডেটা অ্যাকুইজিশন পদ্ধতিতে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থাপনা এবং সুড়ঙ্গ আলোকিত করার যথাযথ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1661260 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

হিমাচল প্রদেশের রোহতাং- অটল সুড়ঙ্গপথ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1661271 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

আইসিসিআর আয়োজিত বস্ত্র শিল্পের ঐতিহ্যের ওপর আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ আইসিসিআর আয়োজিত বস্ত্র শিল্পের ঐতিহ্যের ওপর একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে বক্তব্য রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যোগের জন্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেসন্স এবং উত্তর প্রদেশ ইন্সটিটিউট অফ ডিজাইনের প্রশংসা করেছেন। ‘বয়নের সম্পর্ক : বস্ত্র শিল্পের ঐতিহ্য’ – এই বিষয়ের ওপর আয়োজিত ওয়েবিনারে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেছেন। শ্রী মোদী বলেছেন, বস্ত্র শিল্পের মাধ্যমে আমাদের ইতিহাস, বৈচিত্র্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এই শিল্পের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ভারতের বস্ত্র শিল্পের ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেছেন, প্রাকৃতিকভাবে সুতো ও রেশম রঙিন করার এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ভারতের রয়েছে। বস্ত্র শিল্পের বৈচিত্র্য আমাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির প্রতিফলন। প্রতিটি সম্প্রদায়, গ্রাম ও রাজ্যের বস্ত্র শিল্পের নিজস্ব ঐতিহ্য রয়েছে। আমাদের উপজাতি গোষ্ঠীর সমৃদ্ধ বস্ত্র শিল্পের ঐতিহ্যের কথাও তিনি তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন। ভারতের বস্ত্র শিল্পের ঐতিহ্য রঙিন, প্রাণবন্ত এবং দৃষ্টিনন্দন।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1661376 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

আইসিসি আর এবং ইউপিআইডডি আয়োজিত ভারতীয় বস্ত্র শিল্পের ঐতিহ্যের ওপর আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1661385 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

বৈভব ২০২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী ভাষণ

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বৈশ্বিক ভারতীয় বৈজ্ঞানিক (বৈভব) সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন। ভার্চুয়াল এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেশ – বিদেশের ভারতীয় গবেষক ও শিক্ষাবিদরা অংশগ্রহণ করছেন। সম্মেলনে উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিজ্ঞানের প্রতি উৎসাহ তৈরি করতে এই সময়ের প্রয়োজন। একারণে আমাদের ইতিহাসের বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের ইতিহাসের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণার দরকার।” শ্রী মোদী বলেছেন, “২০২০’র বৈভব সম্মেলন ভারত এবং বিশ্বের বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনকে উদযাপিত করছে। আমি এটিকে মহান চিন্তাবিদদের প্রকৃত মিলনস্থল বলে মনে করি। এই আয়োজনে আমরা একসঙ্গে বসে ভারতের ক্ষমতায়নের এবং আমাদের গ্রহের উন্নতির জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করব।” শ্রী মোদী বলেছেন, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে কেন্দ্র বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, কারণ আর্থসামাজিক পরিবর্তনের জন্য বিজ্ঞানের প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন রোগের টিকা উদ্ভাবন ও টিকাকরণ কর্মসূচীর বাস্তবায়নে ভারতের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, টিকা তৈরি করতে দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করার অবসান হয়েছে। ২০১৪ সালে আমাদের টিকাকরণ কর্মসূচীতে ৪টি নতুন টিকা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত রোটা টিকাও রয়েছে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1661131 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

বৈশ্বিক ভারতীয় বৈজ্ঞানিক (বৈভব) শীর্ষ সম্মেলন, ২০২০ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1661163 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

বর্তমান বিশ্ব যে সমস্ত সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক পরিবেশগত সমস্যার মুখোমুখী তা দূর করতে গান্ধীজীর আদর্শগুলি পুনরুজ্জীবনের আহ্বান জানালেন উপ-রাষ্ট্রপতি

উপ-রাষ্ট্রপতি শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বর্তমান বিশ্বকে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সমস্যা থেকে মুক্ত করতে গান্ধীজীর আদর্শগুলি পুনরুজ্জীবনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আজ সমগ্র বিশ্বের এমন এক উপশমকারী পন্থার প্রয়োজন, যা গান্ধীজীর আদর্শগুলি আমাদেরকে দিশা দেখাতে পারে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত গান্ধী ও বর্তমান বিশ্ব শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে ভাষণ দেন। কোভিড-১৯ মহামারী সম্পর্কে শ্রী নাইডু বলেন, ১৯১৮ সালে সমগ্র বিশ্ব যখন স্প্যানিস ফ্লু-তে প্রভাবিত, তখন গান্ধীজী সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষের যন্ত্রণাকে উপলব্ধি করার প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1661086 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল ফুলবাগান মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন করেছেন

কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল রবিবার কলকাতায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবার ফুলবাগান মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন করেন। শ্রী গোয়েল ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে নবনির্মিত ফুলবাগান স্টেশন থেকে একটি ট্রেনের যাত্রা সূচনা করেন। এই উপলক্ষে শ্রী গোয়েল কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেই ফুলবাগান মেট্রো স্টেশনের কাজ শেষ করতে আরও বেশি উদ্যোগী হওয়ার জন্য সকলকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, সল্টলেক স্টেডিয়াম থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত দেড় কিলোমিটারেরও বেশি অংশে মেট্রো পরিষেবা শুরু হওয়ায় ব্যবহারকারীরা, বিশেষ করে নিত্য যাত্রীরা উপকৃত হবেন। ফুলবাগান স্টেশনের উদ্বোধনকে আসন্ন দুর্গাপুজোর উপহার হিসাবে আখ্যা দিয়ে শ্রী গোয়েল বলেন, কলকাতায় মেট্রো নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1661606 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

হিন্দুস্থান চেম্বার অফ কমার্সের ৭৪তম বার্ষিক সভায় শ্রী পীযূষ গোয়েলের ভাষণ

কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল গত শনিবার বণিকসভা হিন্দুস্থান চেম্বার অফ কমার্সে ৭৪তম বার্ষিক সভায় অনলাইনে অংশ নেন। ভাষণে তিনি বলেন, এই বণিকসভা সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি ও উদ্যোগগুলি তথা উদ্বেগের বিষয়গুলি জনসমক্ষে তুলে ধরার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং উদ্ভাবনমূলক সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন পন্থা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। একইভাবে, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বণিকসভা তার দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছে। তিনি বলেন, আজ সমগ্র বিশ্ব ভারতকে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ-শৃঙ্খলে এক বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসাবে গণ্য করছে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1661390 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

কোভিড-১৯ এর ভীতি সত্ত্বেও গান্ধী জয়ন্তীতে খাদি ইন্ডিয়ার কনট প্লেস বিক্রয় কেন্দ্রে রেকর্ড .০২ কোটি টাকার সামগ্রী বিক্রি

কোভিড-১৯ ভীতি সত্ত্বেও এবারের গান্ধী জয়ন্তীতে খাদি অনুরাগীদের উদ্যম ছিল চোখে পড়ার মতো। গান্ধী জয়ন্তী অর্থাৎ দোসরা অক্টোবর (শুক্রবার) দিল্লির কনট প্লেসে খাদি ইন্ডিয়ার যে ফ্ল্যাগশিপ বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে, সেখান থেকে ১ কোটি টাকারও বেশি খাদি সামগ্রী বিক্রি হয়েছে। সেদিন খাদি ইন্ডিয়ার এই বিক্রয় কেন্দ্র থেকে করোনা মহামারীজনিত পরিস্থিতি সত্ত্বেও রেকর্ড ১ কোটি ২ লক্ষ ১৯ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকার বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হয়েছে। গত বছর ঐ একই দিনে কনট প্লেসের খাদি ইন্ডিয়ার এই বিক্রয় কেন্দ্রে খাদি সামগ্রী বিক্রয়ের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1661562 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

ডঃ জিতেন্দ্র সিং নতুন দিল্লিতে ইন্টিগ্রেটেড হেলথ কেয়ার অ্যান্ড কম্যুনিকেশন সংক্রান্ত বিশ্ব সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন

ইন্টিগ্রেটেড হেলথ কেয়ার অ্যান্ড কম্যুনিকেশন সংক্রান্ত বিশ্ব সম্মেলনে গত শনিবার যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, কোভিড পরিস্থিতি চিকিৎসা সমাজের দৃষ্টিভঙ্গীকে পাল্টে দিয়েছে। এখন সারা বিশ্ব জুড়ে চিকিৎসকরা মেডিকেল ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এক অভিন্ন সাযুজ্য গড়ে তোলার ওপর অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। কোভিড মহামারীর সময় অ্যালোপ্যাথি ক্ষেত্রে সঙ্গে যুক্ত পেশাদার ব্যক্তিরা, যাঁরা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যাপারে খানিকটা উদাসীন ছিলেন, তাঁরাই এখন রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানোর উপযোগী ওষুধপত্র ও অন্যান্য পরিপূরক জৈবিক উপাদানের ওপর আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তিনি আরও বলেন, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশীয় প্রচলিত ব্যবস্থার প্রসারে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। আর এই কারণেই আয়ুর্বেদ ও হোমিওপ্যাথি বর্তমান সময়ে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1661387 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন এমন হাই-পারফরম্যান্স অ্যাথলিটদের খেলাধূলায় ফিরে আসার ক্ষেত্রে সাইএর এসওপি

স্পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা সাই কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন, এমন ক্রীড়াবিদ এবং যাঁরা সাই কেন্দ্রগুলিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, এমন হাই-পারফরম্যান্স অ্যাথলিটদের জন্য নীতি-নির্দেশিকা (এসওপি) জারি করেছে। প্রত্যেক অ্যাথলিটের স্বাস্থ্য ও ফিটনেসের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়। সাই – এর নতুন নির্দেশিকা, যার নামকরণ করা হয়েছে ‘গ্র্যাজুয়েটেড রিটার্ন টু প্লে’ বা খেলার মাঠে ধীরে ধীরে ফিরে এসেছেন, এমন অ্যাথলিটদের জন্য সাই – এর আধিকারিক ও অন্যান্য কর্মীদেরকে প্রত্যেক অ্যাথলিটের ক্রীড়া নৈপুণ্যের অগ্রগতির ওপর নজর রাখার জন্য বলা হয়েছে। কোভিড-১৯ এ যে সমস্ত ক্রীড়াবিদ আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁরা পুনরায় খেলার মাঠে ফিরে আসার পর অগ্রগতির মাপকাঠি নিরূপণেই সাই – এর এই সিদ্ধান্ত। কোভিড-১৯ সংক্রমণের ওপর ভিত্তি করে ৩টি শ্রেণীতে নির্দেশিকাগুলিকে ভাগ করা হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে যাঁরা সুস্থ হয়ে উঠেছেন, সেই সমস্ত ক্রীড়াবিদদের ক্যাটাগরি-১ এ। ১০ বা তার বেশি দিন পর যাঁরা সুস্থ হয়েছেন তাঁদের ক্যাটাগরি-২’তে এবং কোভিড আক্রান্ত পরবর্তী সময়ে খেলার মাঠে ফিরে আসার পর অ্যাথলিটদের আর কোনও শারীরিক উপসর্গ রয়েছে কিনা, তার ওপর ভিত্তি করে ক্যাটাগরি-৩ স্থির করা হয়েছে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1661278 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

 

 

পিআইবি আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য

 

কেরল : রাজ্যে গত ১৫ দিনে ৪টি জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার অতিক্রম করায় নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যে গতকাল এ যাবৎ একদিনে সর্বাধিক ৪ হাজার ৮৫১ জন আরোগ্য লাভ করেছেন।

 

তামিলনাডু : কোয়েম্বাটোরের ইএসআই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসাধীন ১০ জন রোগীর অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়ে হাসপাতাল প্রধান এ নির্মলা জানিয়েছেন, এদের মৃত্যুর পেছনে ভাইরাস-ই দায়ী।

 

কর্ণাটক : ব্যাঙ্গালোরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। রাজ্যে এক সপ্তাহে তিনবার আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে ১ লক্ষ ১৫ হাজারেরও বেশি করোনা রোগীর চিকিৎসা চলছে।

 

অন্ধ্রপ্রদেশ : কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি-নির্দেশিকার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রাজ্য সরকার পঞ্চম পর্যায়ের আনলক সংক্রান্ত নীতি-নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। এদিকে রাজ্য সরকার আগামী ১৫ই অক্টোবর থেকে থিয়েটার হলগুলি খোলা অনুমতি দিয়েছে। তবে, মোট আসনের মধ্যে ৫০ শতাংশ আসনে দর্শককে বসার অনুমতি দেওয়া হবে। এদিকে ছাত্রছাত্রীদেরকেও অভিভাবকদের সম্মতি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে, অনলাইন ক্লাসের অগ্রাধিকার অব্যাহত থাকবে।

 

তেলেঙ্গানা : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হওয়ায় করোনাজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ১৭১ হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এদিকে হায়দরাবাদ-ভিত্তিক ভারত বায়োটেক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের উদ্ভাবিত করোনা ভাইরাসের টিকা ও কোভ্যাকসিন – এর মানবদেহে পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুমতি মিলেছে।

 

মহারাষ্ট্র : রাজ্যে ৬ মাস পর ৪ লক্ষেরও বেশি রেস্তোরাঁ, পানশালা ও হোটেলগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে, মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ আসনে গ্রাহকদের বসার অনুমতি মিলবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ এর আরোগ্যলাভের হার বেড়েছে এবং চিকিৎসা পদ্ধতিতে পরিবর্তনের দরুণ মৃত্যু হার ধীরে ধীরে কমছে।

 

গুজরাট : রাজ্যে ১৮৭ দিন বা ৬ মাসেরও বেশি সময়ের পর দৈনিক-ভিত্তিতে মৃত্যুর সংখ্যা কমে এক অঙ্কে পৌঁছেছে। রাজ্যে গত ২৬ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক কমে দৈনিক-ভিত্তিতে ১ হাজার ৩০২ হয়েছে। এদিকে রাজ্যে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সর্বকালীন রেকর্ড ১৬ হাজার ৮৩৬ এ পৌঁছেছে।

 

রাজস্থান : জয়পুর শহরে গত ৭ দিনে দৈনিক-ভিত্তিতে ৪০০ জনেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। রবিবার ৪২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। এই শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়িয়েছে।

 

মধ্যপ্রদেশ : রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হওয়ায় করোনাজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৪৩৪ হয়েছে। এদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ক অতিরিক্ত মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও দৈনিক-ভিত্তিতে ৩০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করার এক উচ্চাকাঙ্খী লক্ষ্য স্থির করেছে রাজ্য সরকার।

 

ছত্তিশগড় : রাজ্যে করোনা ইন্টেসিভ কম্যুনিটি সার্ভে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই অভিযানের আওতায় গ্রাম ও শহরাঞ্চলগুলিতে উপসর্গ-বিশিষ্ট রোগীদের চিহ্নিতকরণের জন্য বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা চালানো হছে।

 

আসাম : রাজ্যে রবিবার আরও ১ হাজার ৫১ জন রোগী করোনা মুক্ত হয়েছেন। এর ফলে, আরোগ্য লাভের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে।

 

মণিপুর : রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০৬। গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হওয়ায় করোনাজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪ হয়েছে। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৭ শতাংশ।

 

মেঘালয় : রাজ্যে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ২০৯। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৩৯৩ জন।

 

মিজোরাম : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্তের খবর মেলেনি। সুস্থতার হার বেড়ে ৮৫ শতাংশ হয়েছে, যা জাতীয় স্তরে আরোগ্য লাভের হারের তুলনায় অনেক বেশি।

 

নাগাল্যান্ড : রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ২৫৮ জন এবং সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২২১।

 

সিকিম : রাজ্যে আরও দু’জনের মৃত্যু হওয়ায় করোনাজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ হয়েছে। রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৪৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হওয়ায় করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৩ হাজার ৯৩ হয়েছে। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪৯।

 

 

CG/BD/SB



(Release ID: 1661917) Visitor Counter : 272