PIB Headquarters
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ
Posted On:
28 SEP 2020 6:07PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
ভারতে করোনা থেকে আরোগ্য লাভের সংখ্যা ৫০ লক্ষের মাইলফলক অতিক্রম করেছে; দেশে গত ১১ দিনেই ১০ লক্ষের বেশি ব্যক্তি আরোগ্য লাভ করেছেন; করোনায় আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা পাঁচগুণ ছাড়িয়েছে
ভারতে করোনায় আরোগ্য লাভের সংখ্যা আজ ৫০ লক্ষের (৫০ লক্ষ ১৬ হাজার ৫২০) মাইলফলক অতিক্রম করেছে। দৈনিক ভিত্তিতে উচ্চহারে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের আরোগ্য লাভের ফলে ভারতে করোনা থেকে সুস্থতার হারে নিরন্তর অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৭৪,৮৯৩ জন আরোগ্য লাভ করেছেন। সাম্প্রতিককালে দেশে দৈনিক ৯০ হাজারের বেশি করোনা রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন। এর ফলে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে পাঁচগুণেরও বেশি হয়েছে। আরোগ্য লাভের সংখ্যায় অপ্রত্যাশিত হারে বৃদ্ধির দরুণ একমাসেই আরোগ্য লাভের হার প্রায় ১০০ শতাংশ বেড়েছে। জাতীয় স্তরে সুস্থতার হার আরও বেড়ে হয়েছে ৮২.৫৮ শতাংশ। ১৫টি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আরোগ্য লাভের হার জাতীয় গড়ের তুলনায় বেশি। সদ্য করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ৭৩ শতাংশই ১০টি রাজ্যের। এই রাজ্যগুলি হল – মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি, কেরল, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব। মহারাষ্ট্র থেকে সর্বাধিক ১৩ হাজারেরও বেশি করোনা রোগী সদ্য আরোগ্য লাভ করেছেন। জুন মাসে করোনা থেকে আরোগ্য লাভের সংখ্যা ১ লক্ষ থেকে বেড়ে শেষ ১১ দিনে আরও ১০ লক্ষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার তথা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কার্যকর ও সমন্বয়মূলক প্রয়াস গ্রহণের দরুণ সুস্থতার সংখ্যা নিরন্তর বাড়ছে। সেইসঙ্গে, উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকাঠামো, চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত আদর্শ প্রোটোকল, চিকিৎসকদের আন্তরিকতা ও দায়বদ্ধতা প্রভৃতি প্রয়াসের ফলে আরোগ্য লাভের সংখ্যায় নিরন্তর অগ্রগতি ঘটছে। সদ্য আরোগ্য লাভ করা ৭৮ শতাংশই ১০টি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। এর মধ্যে সর্বাদিক আরোগ্য লাভ করেছেন মহারাষ্ট্র থেকে এবং এরপর রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৮২,১৭০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই আক্রান্তদের মধ্যে ৭৯ শতাংশই ১০টি রাজ্য থেকে। সর্বাধিক ১৮ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্র থেকে। এছাড়াও, কর্ণাটক থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজারের বেশি। একইভাবে, দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ১,০৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর এই সংখ্যার মধ্যে ৮৪ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের। মহারাষ্ট্র থেকে গতকাল ৩৬ শতাংশ বা ৩৮০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এছাড়াও, তামিলনাড়ু ও কর্ণাটক থেকে মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ৮০ ও ৭৯ জনের।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1659694 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
ভারতের কৃষকদের ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর মন কি বাত অনুষ্ঠানে বলেছেন, কোভিড সঙ্কটের সময়ও দেশের কৃষকরা তাঁদের শক্তির পরিচয় দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের কৃষি পরিষেবা, আমাদের কৃষক বন্ধুরা, আমাদের গ্রাম আত্মনির্ভর ভারতের প্রধান শক্তি। এদের ক্ষমতায়নই মাধ্যমেই আত্মনির্ভর ভারতের ভীত। এঁরা শক্তিশালী হলে ভারতের ভীত মজবুত হবে। তিনি জানিয়েছেন, ক্ষেত্র তার নানা রকম সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করেছে, বহু প্রচলিত ধ্যানধারণা ভাঙার চেষ্টা করেছে। তিনি কানওয়ার চৌহানের উদাহরণ দেন। হরিয়ানার সোনিপত জেলায় শ্রী চৌহানকে মান্ডির বাইরে সবজি ও ফল বিক্রি করার জন্য নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। যখন উনি মান্ডির বাইরে ফল ও সবজি বিক্রি করতে গেছেন, অনেক বারই ওঁর ফল, সবজী, এমনকি গাড়ীও আটক হয়ে যেত। কিন্তু ২০১৪ সালে ফল ও সবজি কে এপিএমসি আইনের আওতার বাইরে করে দেওয়া হল। এতে ওঁর মত অনেক কৃষকেরা লাভবান হলেন। চার বছর আগে উনি এবং ওই গ্রামের আরো কিছু কৃষক মিলে একটি কৃষি উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করেন। এখন গ্রামে কৃষকেরা সুইট কর্ন এবং বেবি কর্নের চাষ করেন। ওঁদের উৎপাদিত ফসল এখন দিল্লীর আজাদপুর মান্ডি, বড় বড় রিটেল চেন এবং ফাইভ স্টার হোটেলেও সরাসরি পৌঁছে যায়। এখন গ্রামের এই কৃষকেরা সুইট কর্ন এবং বেবিকর্নের চাষ করে একর প্রতি আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা বছরে আয় করেন। শ্রী মোদী বলেছেন, নিজের ফল- সবজিগুলো যেকোনো জায়গার যে কোনো লোককে বিক্রি করার ক্ষমতা আছে, আর এই ক্ষমতাই তাঁদের প্রগতির ভিত্তি। আজ সেই সামর্থ্য দেশের অন্যান্য কৃষকেরাও লাভ করেছেন। শুধু ফল বা শাকসব্জি-ই নয়, নিজেদের খেতে কৃষকেরা যা যা উৎপাদন করছেন- ধান, গম, সরষে, আখ - সেই সমস্ত কিছুই নিজেদের ইচ্ছামতো, যেখানে ভালো দাম মিলবে, সেখানে বিক্রি করার স্বাধীনতা মিলেছে তাঁদের।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1659517 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
জাতির উদ্দেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত ২’০, (১৬তম পর্ব) অনুষ্ঠানের বাংলা অনুবাদ
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1659493 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
ডঃ হর্ষ বর্ধন তৃতীয় পর্বের সানডে সংবাদ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কথা
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সানডে সংবাদের তৃতীয় পর্বে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একাধিক প্রশ্নের জবাব দেন। বর্তমান কোভিড সঙ্কটের পাশাপাশি, চিকিৎসা পরিকাঠামো, ভারতে জনস্বাস্থ্যের ভবিষ্যৎ, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষণা ও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও অগ্রগতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় ভারতের অবদান সম্পর্কিত বিষয় নিয়েও একাধিক প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রী পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়গুলি চালু হওয়ার ব্যাপারে যাবতীয় ভীতি দূর করে দিয়ে বলেন, প্রত্যেককেই কোভিড আদর্শ আচরণ মেনে চলতে হবে। এ প্রসঙ্গে ডঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, তিনি একাধিকবার যাতায়াতের সময় গাড়ি থামিয়ে সাধারণ মানুষকে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি সাধারণ মানুষকে সামাজিক দূরত্ববিধি অবলম্বনের পাশাপাশি, অন্তত ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেন। আত্মনির্ভর ভারত যোজনা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ডঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতে উৎসাহিত করতে এবং উচ্চ গুণমানবিশিষ্ট ওষুধের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য এক দ্বিমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1659583 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ই-সঞ্জিবনী টেলিমেডিসিন পরিষেবায় নতুন মাইলফলক
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের ই-সঞ্জিবনী ওপিডি প্ল্যাটফর্ম পরিষেবায় ৪ লক্ষ টেলিপরামর্শ প্রদান করে এক নতুন মাইলফলক অর্জিত হয়েছে। টেলিফোনে এ ধরনের পরামর্শদানের ক্ষেত্রে অগ্রণী রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে – হিমাচল প্রদেশ, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, গুজরাট প্রভৃতি। ই-সঞ্জিবনী ওপিডি প্ল্যাটফর্মের ক্রমবিস্তার থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে, এই পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যেই ২৬টি রাজ্য ই-সঞ্জিবনী ওপিডি প্ল্যাটফর্ম কার্যকর করেছে। এর ফলে, দেশের ৫১০টি জেলার মানুষ এই পরিষেবার সুযোগ গ্রহণ করছেন। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসকদের টেলিফোনে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ই-সঞ্জিবনী পরিষেবার সূচনা হয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1659282 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
ফর্টিস হেলথ কেয়ার কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল থেকে ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার একটি চেক আইসিএমআর-এর হাতে তুলে দিয়েছে
বেসরকারি চিকিৎসা পরিষেবা সংস্থা ফর্টিস হেলথ কেয়ার ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার একটি চেক ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ বা আইসিএমআর – এর হাতে তুলে দিয়েছে। গত শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবের কার্যালয়ে ফর্টিস হেলথ কেয়ার এই চেক আইসিএমআর-কে হস্তান্তরিত করে। এই উপলক্ষে শ্রী চৌবে বলেন, কেবল ভারতেই নয়, আইসিএমআর সমগ্র বিশ্বে চিকিৎসা গবেষণার ক্ষেত্রে অন্যতম একটি সেরা প্রতিষ্ঠান। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা দিবারাত্রি নিরলস গবেষণার কাজে যুক্ত থেকেছেন।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1659305 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
তরলীকৃত মেডিকেল অক্সিজেন এবং মেডিকেল অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম নিয়ন্ত্রণে এনপিপিএ কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে
কোভিড-১৯ মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতির জেরে দেশে মেডিকেল অক্সিজেনের চাহিদা ক্রমশই বেড়েছে। তাই, এর সহজলভ্যতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি বেশিরভাগই একে অন্যের ওপর মেডিকেল অক্সিজেনের সরবরাহের ক্ষেত্রে নির্ভরশীল। মেডিকেল অক্সিজেনের চাহিদা প্রায় চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে প্রতিদিন ৭৫০ এমটি মেডিকেল অক্সিজেনের প্রয়োজন হত। এখন প্রতিদিন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৮০০ এমটি। এর ফলে, উৎপাদন এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের মধ্যে প্রভাব পড়েছে। মেডিকেল অক্সিজেন উৎপাদন এবং ফিলার প্রস্তুতকারকরা মেডিকেল অক্সিজেনের দাম তিনগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। তাই এবিষয়ে সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। এই মহামারী পরিস্থিতিতে মেডিকেল অক্সিজেনের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অক্সিজেন ইনহেলেশন (মেডিকেল গ্যাস)-কে জাতীয় অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ) প্রতি কিউবিক মিটার মেডিকেল অক্সিজেনের দাম ১৭.৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছে। তবে, তরলীকৃত মেডিকেল অক্সিজেনের দামের ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ না থাকায় উৎপাদক সংস্থাগুলি মেডিকেল অক্সিজেনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মেডিকেল অক্সিজেনের ব্যবহার ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। কিন্তু, সেই তুলনায় সরবরাহ অপ্রতুল। এক্ষেত্রে সারা দেশে মেডিকেল অক্সিজেনের সহজলভ্যতা অত্যন্ত আবশ্যক।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1659266 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
২০২০-২১ খরিফ মরশুমে রাজ্যগুলিকে ন্যুনতম সহায়ক মূল্য ব্যবস্থা কার্যকর করতে প্রথম কিস্তিতে এনসিডিসি ১৯ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের সর্বোচ্চ অর্থ সহায়তা সংগঠন জাতীয় সমবায় উন্নয়ন নিগম বা এনসিডিসি ২০২০-২১ খরিফ মরশুমে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আওতায় খরিফ শস্য সংগ্রহের জন্য ছত্তিশগড়, হরিয়ানা ও তেলেঙ্গানাকে প্রথম কিস্তি বাবদ ১৯ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। এই অর্থ রাজ্যগুলিকে বা রাজ্য বিপণন সংগঠনগুলিকে তাদের সমবায় সমিতিগুলির মাধ্যমে সময় মতো ধান সংগ্রহের জন্য খরচ করার অনুমতি দিয়েছে। কোভিড মহামারীর সময় জাতীয় সমবায় উন্নয়ন নিগমের এই পদক্ষেপের ফলে এই ৩টি রাজ্যেরে কৃষকরা বহু প্রতীক্ষিত আর্থিক সহায়তা পাবে। উল্লেখ করা যেতে পারে, সমগ্র দেশ থেকে মোট সংগৃহীত ধানের প্রায় ৭৫ শতাংশই এই ৩টি রাজ্য থেকে সংগ্রহ করা হয়।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1659614 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
টোকিওগামী প্যারা-অ্যাথলিট ও অ্যাথলিটদের সুসংহত প্রশিক্ষণ পরিকল্পনার জন্য কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সাই
‘খেলো ইন্ডিয়া ফিরসে’ কর্মসূচির পরবর্তী পর্যায়ে প্রবেশের পূর্বে স্পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা সাই টোকিও অলিম্পিকগামী প্যারা অ্যাথলিট ও অ্যাথলিটদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করার প্রাক্কালে দেশে সাই – এর জাতীয় উৎকর্ষ কেন্দ্রগুলিতে পর্যায়ক্রমে কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে। কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে সাই জুন মাসের গোড়ায় কেবল অলিম্পিকগামী অ্যাথলিটদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করে। পরবর্তী পর্যায়ে টোকিওগামী প্যারা অ্যাথলিট ও অ্যাথলিটদের জন্য ৯টি বিশেষ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অ্যাথলিট ও প্যারা অ্যাথলিটদের কোভিড সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশে প্রথম পর্যায়ে খেলাধূলা আগামী ৫ই অক্টোবর থেকে শুরু হতে চলেছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1659638 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য
• পাঞ্জাব : কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণ-শৃঙ্খল ভেঙ্গে ফেলতে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর কন্টাক্ট ট্রেসিং বা আক্রান্তদের সংপর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার কাজ আরও জোরদার করেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এবং কর্মক্ষেত্রে সমীক্ষা চালানো হবে।
• হরিয়ানা : রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমানে ৪৬ হাজারেরও বেশি কোয়ারেন্টাইন বেড, ১০ হাজারেরও বেশি আইসোলেশন বেড, ২ হাজারেরও বেশি আইসিইউ বেড, ১ হাজারেরও বেশি ভেন্টিলেটর, ৩ লক্ষেরও বেশি পিপিই কিট এবং ৭ লক্ষেরও বেশি এন-৯৫ মাস্ক রাজ্যের কাছে রয়েছে। এছাড়াও, বেসরকারি পরীক্ষাগারগুলিতে আরটি-পিসিআর নমুনা পরীক্ষার মাশুল ২ হাজার ৪০০ টাকা স্থির করে দিয়েছে।
• হিমাচল প্রদেশ : রাজ্যে গত কয়েকদিনে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, অন্যান্য উপসর্গবিশিষ্ট রোগীদের উপযুক্ত পরিষেবাদানের বিষয়টি চিকিৎসকদের আরও সুনিশ্চিত করতে হবে। বাড়িতেই যে সমস্ত রোগী রয়েছেন, তাঁরা উপযুক্ত চিকিৎসা ও পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে মুখ্যমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
• আসাম : রাজ্যে রবিবার আরও ৮৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫৫ জনের।
• মহারাষ্ট্র : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মারাঠওয়াড়া ও নাসিক ডিভিশনে কোভিড সম্পর্কিত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলি পর্যালোচনা করেছেন। স্বল্প উপসর্গবিশিষ্ট রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রাজ্যে বর্তমানে নিশ্চিত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৭৩ হাজার।
• গুজরাট : আমেদাবাদ পুর নিগম কোভিড-১৯ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে এখনও পর্যন্ত ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার বেশি জরিমানা আদায় করেছে। পুর নিগমের পক্ষ থেকে ব্যাপক সচেতনতামূলক অভিযান গ্রহণ করা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ নীতি-নির্দেশিকা মেনে চলছেন না।
• মধ্যপ্রদেশ : রাজ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষিতে ৩ হাজার ৯০০ কারাবন্দীকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, ৩ হাজার কারাবন্দীকে অন্তর্ববর্তীকালীন বেলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
• ছত্তিশগড় : রাজ্যের ১৪টি পুর এলাকার সমস্ত শহরাঞ্চলীয় বস্তিতে চিকিৎসা পরিষেবা ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল ইউনিটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের বাড়ির দোরগোড়ার পৌঁছে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই বস্তি এলাকাগুলিতে এ ধরনের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৬০টি গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজ্যে নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ হাজার ৬১৬।
• কেরল : রাজ্যে পর পর দু’দিন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দৈনিক-ভিত্তিতে ৭ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ায় এবং মৃতের সংখ্যা ৭০০ অতিক্রম করায় রাজ্য সরকার সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে। এই প্রেক্ষিতে আগামীকাল সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হচ্ছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ৭০৩। ৫৬ হাজারেরও বেশি রোগীর চিকিৎসা চলছে।
• তামিলনাডু : রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে অনলাইন ক্লাস আজ থেকে শুরু হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব কোয়াম্বাটোরের জেলাশাসককে কোভিড-১৯ আক্রান্তের হার ৫ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এবং নমুনা পরীক্ষার হার বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছে।
• কর্ণাটক : কৃষি বিলগুলির প্রতিবাদে আজ রাজ্য জুড়ে কৃষক সংগঠনগুলি বন্ধ পালন করে। এই বন্ধ থেকে মিশ্র সাড়া মিলেছে। কোভিড সংক্রমণের প্রেক্ষিতে কর্ণাটক হাইকোর্ট মামলা দায়ের করার জন্য অনলাইন ব্যবস্থা চালু করেছে। এদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলি আরও ভেন্টিলেটর সরবরাহ করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে।
• অন্ধ্রপ্রদেশ : আইআইটি মান্ডি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পরিচালিত এক সমীক্ষায় জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে, যাঁরা দুবাই ও ব্রিটেন থেকে এদেশে এসেছেন। এদিকে রাজ্য সরকার বাসগুলিতে পুরো যাত্রী বহনের ক্ষেত্রে আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
• তেলেঙ্গানা : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৭ জনের মৃত্যুর খবর মেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ১০৭ হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ছাড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ৫৬ হাজারেরও বেশি। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২০ জন স্বাস্থ্য কর্মীর করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। এমনকি, ২ হাজার ৫০০-রও বেশি স্বাস্থ্য কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে প্রবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষায় রাজ্য সরকার একটি বিশেষ নীতি প্রণয়নের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে।
CG/BD/SB
(Release ID: 1659893)
Visitor Counter : 243