প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী রাইজিং নর্থ ঈষ্ট ইনভেস্টর্স সামিট ২০২৫-এর উদ্বোধন করেছেন
Posted On:
23 MAY 2025 12:57PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৩ মে, ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লির ভারত মণ্ডপমে রাইজিং নর্থ ঈষ্ট ইনভেস্টর্স সামিট ২০২৫-এর উদ্বোধন করেছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভবিষ্যতের প্রতি অপরিসীম আস্থা প্রকাশ করেন। তিনি ভারত মণ্ডপমে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত অষ্টলক্ষ্মী মহোৎসবের কথা স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদিনের অনুষ্ঠান উত্তর-পূর্বে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি এই শীর্ষ সম্মেলনে শিল্প নেতৃত্বের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতির কথা তুলে ধরেন, যা এই অঞ্চলে সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে উৎসাহ যোগাবে। একটি সমৃদ্ধ বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রী সব মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারকে অভিনন্দন জানান। এই সম্মেলনের প্রশংসা করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিকাশ অব্যাহত রেখে উন্নয়নের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতির কথা পুনরায় তুলে ধরেন।
বিশ্বের সবচেয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ হিসেবে ভারতের অবস্থানের কথা তুলে ধরে শ্রী মোদী বলেন, ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চল আমাদের দেশের মধ্যে সবচেয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ অঞ্চল’। তিনি বাণিজ্য, ঐতিহ্য, বস্ত্র এবং পর্যটনের বিস্তৃত সম্ভাবনার উপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলের বৈচিত্র্যই এর সবচেয়ে বড় শক্তি। তিনি জানান, উত্তর-পূর্বাঞ্চল সমৃদ্ধশালী জৈব-অর্থনীতি, বাঁশ শিল্প, চা উৎপাদন, পেট্রোলিয়াম, খেলাধুলা ও দক্ষতার সমার্থক। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব পর্যটনের জন্য একটি উদীয়মান কেন্দ্র। তিনি আরও বলেন, এই অঞ্চল জৈব পণ্যের জন্য পথ প্রশস্ত করেছে এবং শক্তির ভরকেন্দ্র হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চল অষ্টলক্ষ্মীর মূল অর্থকে তুলে ধরেছে।
বিকশিত ভারতের লক্ষ্য অর্জনে পূর্ব ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য পূর্বাঞ্চল কেবল একটি দিক নয়, বরং একটি দৃষ্টিভঙ্গি – ক্ষমতায়ন, আইন, শক্তিশালীকরণ ও পরিবর্তন – যা এই অঞ্চলের নীতি কাঠামোকে সঠিকভাবে বর্ণনা করে’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পদ্ধতি পূর্ব ভারত বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে দেশের উন্নয়নের গতি পথের কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছে।
প্রধানমন্ত্রী বিগত ১১ বছরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যে পরিবর্তন দেখা গেছে সেকথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অগ্রগতি কেবল পরিসংখ্যানেই প্রতিফলিত হয় না, বরং বাস্তবে উঠে আসে। শ্রী মোদী বলেন, এই অঞ্চলের সঙ্গে সরকারের নিবিড় যোগাযোগ নীতিগত পদক্ষেপের বাইরেও রয়েছে। এখানকার মানুষের সঙ্গে হৃদয়ের যোগাযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ৭০০ বারেরও বেশি সফরের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি কেবল ইঁট, সিমেন্টের বিষয় নয়, বরং মানসিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। তিনি ‘লুক ইস্ট’ থেকে ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতিতে পরিবর্তনের বিষয়টি পুনরায় তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল, যখন উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে একটি সীমান্ত অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করা হতো। এখন এই অঞ্চল ভারতের উন্নয়নের কাহিনীতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
পর্যটন ক্ষেত্রকে আকর্ষণীয় করে তোলা এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা জাগানোর ক্ষেত্রে শক্তিশালী পরিকাঠামো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, উন্নত সড়ক, বিদ্যুৎ পরিকাঠামো এবং লজিস্টিকস নেটওয়ার্ক যে কোনো শিল্পের মেরুদণ্ড, যা নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে সহজতর করে। তিনি বলেন, পরিকাঠামো উন্নয়নের ভিত্তি এবং সরকার উত্তর-পূর্বে একটি পরিকাঠামো বিপ্লব শুরু করেছে। শ্রী মোদী এই অঞ্চলে অতীতের সমস্যাগুলির কথা স্বীকার করে বলেন যে এখন এটি সুযোগের ভূমি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। তিনি বলেন, যোগাযোগ বৃদ্ধিতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অরুণাচল প্রদেশের সেলা সুড়ঙ্গ এবং আসামের ভূপেন হাজারিকা সেতুর উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি। শ্রী মোদী গত এক দশকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন, এর মধ্যে রয়েছে ১১ হাজার কিলোমিটার মহাসড়ক নির্মাণ, বিস্তৃত নতুন রেল লাইন, বিমান বন্দরের সংখ্যা দ্বিগুণ করা, ব্রহ্মপুত্র ও বরাক নদীর উপর জলপথের উন্নয়ন এবং শত শত মোবাইল টাওয়ার বসানো। তিনি আরও বলেন, ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ উত্তর-পূর্ব গ্যাস গ্রিড স্থাপন, শিল্পের জন্য নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। মহাসড়ক, রেল পথ, জলপথ এবং ডিজিটাল যোগাযোগ – এইসবই উত্তর-পূর্বের পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করেছে। আগামী এক দশকে এই অঞ্চলে বাণিজ্য সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি। শ্রী মোদী আরও উল্লেখ করেন যে, আশিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যের পরিমাণ বর্তমানে প্রায় ১২৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আগামী কয়েক বছরে তা ২০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চল একটি কৌশলগত বাণিজ্য সেতু এবং আশিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বাজারের প্রবেশদ্বার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। ভারত-মায়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপাক্ষিক মহাসড়কের গুরুত্বের উপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। কালাদান মাল্টিমোডাল ট্রানজিট প্রকল্পে গতি আনার জন্য সরকারের প্রয়াসের কথা তুলে ধরে শ্রী মোদী বলেন, এতে কলকাতা বন্দর মায়ানমারের সিতুই বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। ফলে মিজোরামের মধ্য দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথ তৈরি হবে। তিনি বলেন, এই প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গ এবং মিজোরামের মধ্যে যাতায়াতের দূরত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে, বাণিজ্য ও শিল্প ক্ষেত্রে গতি আসবে।
গুয়াহাটি, ইম্ফল, আগরতলায় যে উন্নয়নের কাজ হচ্ছে সে কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেঘালয় ও মিজোরামে স্থল শুল্ক কেন্দ্র স্থাপন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুযোগকে আরও সম্প্রসারিত করেছে। এই অগ্রগতিগুলি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যে উত্তর-পূর্বকে একটি উদীয়মান শক্তি হিসেবে তুলে ধরবে এবং বিনিয়োগ ও আর্থিক অগ্রগতির জন্য নতুন পথ খুলে দেবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে সমৃদ্ধ জীব বৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সুস্থতার জন্য একটি অন্যতম গন্তব্য স্থান হিসেবে বর্ণনা করেন। বিনিয়োগকারীদের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্বের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন। এই অঞ্চল কনসার্ট, সম্মেলন, ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর জন্য একটি আদর্শ স্থান। তিনি বলেন, উন্নয়ন উত্তর-পূর্বের প্রতিটি কোণে পৌঁছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটনের উপর এক ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পর্যটন বিকাশের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে তিনি পরিবেশবান্ধব এবং সাংস্কৃতিক পর্যটনে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে’। উত্তর-পূর্ব এক সময়ে অবরোধ ও সংঘাতের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল, ফলে যুব সমাজের উপর সুযোগ-সুবিধায় এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছিল। শান্তি চুক্তির ক্ষেত্রে সরকারের ধারাবাহিক প্রয়াসের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১০ থেকে ১১ বছরে ১০ হাজারেরও বেশি তরুণ অস্ত্র ত্যাগ করে শান্তির পথ বেছে নিয়েছে। এই পরিবর্তন উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নতুন কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করেছে। শ্রী মোদী বলেন, মুদ্রা প্রকল্প থেকে উত্তর-পূর্বের লক্ষ লক্ষ যুবককে হাজার হাজার কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বের যুবকরা কেবল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নয়, বরং উদীয়মান ডিজিটাল উদ্ভাবক। তরুণ উদ্যোক্তারা এখন এই অঞ্চলে বড় বড় স্টার্টআপ চালু করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে, ভারতের ডিজিটাল প্রবেশদ্বার হিসেবেও উত্তর-পূর্বের ভূমিকা আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং উন্নত ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দক্ষতা উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তর-পূর্বে এই অগ্রগতির জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গত এক দশকে উত্তর-পূর্বে শিক্ষা ক্ষেত্রে ২১ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ হয়েছে। ৮০০টিরও বেশি নতুন স্কুল তৈরি হয়েছে। এমনকি, এই অঞ্চলে প্রথম এইমস গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি ৯টি নতুন মেডিকেল কলেজ এবং দুটি নতুন আইআইআইটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মিজোরামে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মাস কমিউনিকেশনের ক্যাম্পাস তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, 'খেলো ইন্ডিয়া' কর্মসূচির আওতায় উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রথম ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হচ্ছে। ৮টি খেলো ইন্ডিয়া সেন্টার অফ এক্সিলেন্স এবং ২৫০টিরও বেশি খেলো ইন্ডিয়া সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে এই অঞ্চলের ক্রীড়া প্রতিভায় আরও উৎসাহ যোগাবে।
শ্রী মোদী জৈব খাদ্যের ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী চাহিদার উপর জোর দিয়ে বলেন, তাঁর লক্ষ্য হল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খাবারের টেবিলে একটি ভারতীয় খাদ্য ব্র্যান্ড উপস্থিত করা। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। এই অঞ্চলে জৈব চাষের পরিধি দ্বিগুণ হয়েছে। উচ্চমানের চা, আনারস, কমলা লেবু, হলুদ এবং আদা উৎপাদিত হচ্ছে। স্বাদ ও গুণে এই পণ্যগুলির চাহিদা বিশ্বব্যাপী।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই এই উদ্যোগকে সাহায্য জুগিয়েছে। পাশাপাশি মেগা ফুড পার্ক তৈরি, হিমঘর নির্মাণ, পরীক্ষাগারের সুবিধা প্রদানের চেষ্টা করা হচ্ছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মাটি এবং জলবায়ু পাম তেল চাষের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত। এর জন্য অয়েল পাম মিশনের সূচনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উত্তর-পূর্ব দুটি কৌশলগত ক্ষেত্র – শক্তি এবং সেমিকন্ডাক্টরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যস্থল হিসেবে উঠে এসেছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তর-পূর্বের সমস্ত রাজ্যে জলবিদ্যুৎ এবং সৌর বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সরকার বিপুল বিনিয়োগ করেছে। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, ভারতের সেমিকন্ডাক্টর পরিমণ্ডলকে শক্তিশালী করে তুলতে আসামের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। শ্রী মোদী জানান, উত্তর-পূর্ব ভিত্তিক সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট থেকে প্রথম মেড ইন ইন্ডিয়া চিপ শীঘ্রই চালু করা হবে, যা এই অঞ্চলের জন্য একটি মাইলফলক।
‘ রাইজিং নর্থ ঈষ্ট ইনভেস্টর্স সামিট কেবলমাত্র একটি বিনিয়োগকারী শীর্ষ সম্মেলন নয়, এটি একটি আন্দোলন এবং কর্মকাণ্ডের ডাক’, বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তর-পূর্বের অগ্রগতি ও উন্নয়নের মাধ্যমে ভারতের ভবিষ্যৎ নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করে এই অঞ্চলের অগ্রগতিতে তাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। পরবর্তী এই সম্মেলনের মাধ্যমে ভারত আরও এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী জ্যোতিরাদিত্য এম সিন্ধিয়া, প্রতিমন্ত্রী শ্রী ডঃ সুকান্ত মজুমদার, মণিপুরের রাজ্যপাল শ্রী অজয় কুমার ভাল্লা সহ আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
SC/SS/SKD
(Release ID: 2130921)
Read this release in:
Bengali-TR
,
Odia
,
Malayalam
,
Khasi
,
English
,
Urdu
,
Marathi
,
Hindi
,
Manipuri
,
Assamese
,
Gujarati
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada