প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

যোশী মঠের বিপর্যয়ে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা, উদ্ধার ও পুনর্বাসন এবং সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব

Posted On: 08 JAN 2023 6:50PM by PIB Kolkata

 

নয়াদিল্লি, ০৮ জানুয়ারি, ২০২৩

 

যোশী মঠের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব ডঃ পি কে মিশ্র। যোশী মঠের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে ব্যাপক ভূমিধ্বসের পাশাপাশি, ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মতো বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই পর্যালোচনা বৈঠক। বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্যাবিনেট সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, কেন্দ্রীয় সরকারের পদস্থ আধিকারিকবৃন্দ, জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সদস্যবৃন্দ, উত্তরাখন্ডের মুখ্যসচিব ও ডিজিপি, যোশী মঠের জেলাশাসক সহ অন্যান্য আধিকারিকবৃন্দ এবং উত্তরাখন্ডের পদস্থ আধিকারিকগণ। এছাড়াও, আইআইটি রুরকি, জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা সংস্থা, ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা বিভাগ এবং ওয়াদিয়া ইন্সটিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজির বিশেষজ্ঞরাও যোগ দেন এদিনের পর্যালোচনা বৈঠকে।

পর্যালোচনাকালে জানানো হয় যে, যোশী মঠের এই বিপর্যয়ের মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। এ ব্যাপারে তিনি কথাও বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।

উত্তরাখন্ডের মুখ্যসচিব বৈঠকে জানান যে, কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় রাজ্য ও জেলা পর্যায়ের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। তিনি জানান, প্রায় ৩৫০ মিটার এলাকা জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সন্ধান পাওয়া গেছে। এনডিআরএফ – এর একটি এবং এসডিআরএফ – এর চারটি দল ইতিমধ্যেই যোশী মঠে পৌঁছে গেছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা হচ্ছে এবং তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য, আশ্রয় ও নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসডিআরএফ – এর এসপি এবং বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলেই রয়েছেন। যোশী মঠের অধিবাসীদের বর্তমান পরিস্থিতি ও উদ্ধার প্রচেষ্টা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। এই কাজে তাঁদের সহযোগিতাও প্রার্থনা করা হয়েছে। আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় এবং মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গড়ে তুলতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও চাওয়া হয়েছে।

বৈঠকে আরও জানানো হয় যে, বর্ডার ম্যানেজমেন্টের সচিব এবং এনডিএম – এর চার জন সদস্য ৯ জানুয়ারি উত্তরাখন্ড সফর করবেন। এনডিএমএ, এনআইডিএম, এনডিআরএফ, ডিএফআই, এনআইএইচ, ওয়াদিয়া ইন্সটিটিউট এবং আইআইটি রুরকির টেকনিক্যাল প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির যে বিবরণ দেওয়া হয়েছে, তা বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব বিশেষ জোর দিয়ে বলেন, এই মুহূর্তে যা আশু প্রয়োজন, তা হ’ল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির অধিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিষয়টিকে বিশেষ অগ্রাধিকারের সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য তিনি পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন যে, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য রাজ্য সরকারকে আরও তৎপর হতে হবে। খুব সহজেই যাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়, তার ব্যবস্থাও করা প্রয়োজন রাজ্য প্রশাসনের তরফে। পরিস্থিতির যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই লক্ষ্যে ব্যবহারিক দিক থেকে সম্ভাব্য যা কিছু করা জরুরি, তা এই মুহূর্তেই সেরে ফেলতে হবে। তাছাড়া, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির জন্য অনুসন্ধান প্রচেষ্টাকেও আরও জোরদার করে তুলতে হবে।

এনডিএমএ, এনআইডিএম, জিএসআই, আইআইটি রুরকি, ডব্লিউআইএইচজি, এনআইএইচ এবং সিবিআরআই – এর পারস্পরিক সমন্বয় রক্ষার মাধ্যমে উত্তরাখন্ডের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার সপক্ষেও যুক্তি উপস্থাপন করেন ডঃ পি কে মিশ্র। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট মেয়াদকালের মধ্যে পুনর্গঠন ও পুনর্নির্মাণের কাজও শুরু করে দেওয়া উচিৎ। ভূকম্পনজনিত পরিস্থিতির আশঙ্কার বিষয়টিও এক্ষেত্রে ভুলে গেলে চলবে না। যোশী মঠের জন্য সংবেদনশীল একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা রচিত হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি। উন্নয়নের খসড়া প্রস্তুতকালে সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে বলে তিনি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সতর্ক করে দেন।

 

PG/SKD/SB



(Release ID: 1889752) Visitor Counter : 119