প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রগতি ময়দান ইন্টিগ্রেটেড ট্রানজিট করিডোর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ভাষণের বঙ্গানুবাদ

Posted On: 19 JUN 2022 4:50PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৯ জুন, ২০২২

 

আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী শ্রী পীযূষ গোয়েলজি, শ্রী হরদীপ সিং পুরীজি, শ্রী সোমপ্রকাশজি, শ্রীমতী অনুপ্রিয়া প্যাটেলজি, অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, অতিথিগণ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,

আমি দিল্লি, নয়ডা, গাজিয়াবাদ এবং দিল্লি এনসিআর-এর জনগণকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই, আর যাঁরা সারা দেশ থেকে দিল্লিতে আসার সুযোগ পান, তাঁদেরকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আজ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দিল্লি মহানগরী আধুনিক পরিকাঠামোর একটি অত্যন্ত সুন্দর উপহার পেয়েছে।

আমি যখন একটু আগেই সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে আসছিলাম তখন আমার মনে অনেক স্মৃতি জেগে উঠছিল। এত কম সময়ে এই ইন্টিগ্রেটেড ট্রানজিট করিডর গড়ে তোলা মোটেই সহজ কাজ ছিল না। যে সড়কগুলির পাশ দিয়ে এই করিডর গড়ে উঠেছে, সেগুলি দিল্লির সবচাইতে ব্যস্ততম সড়কগুলির অন্যতম। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ গাড়ি সেখান দিয়ে যাতায়াত করে, আর যে সুড়ঙ্গ তৈরি হয়েছে তার ওপর দিয়ে সাতটি রেলওয়ে লাইন গেছে। এই সমস্ত মুশকিল কাজ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল, এর মাঝেই করোনা বিশ্বব্যাপী মহামারী এসে নতুন নতুন বিষম পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। আর আমাদের দেশে এরকম যে কোনও কাজ শুরু করলে বিচার ব্যবস্থার কাছে কড়া নাড়ার মতো মানুষের অভাব কখনও ছিল না। প্রত্যেক ভালো কাজে ল্যাং মারার লোকের অভাব হয় না।

দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এরকম অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই প্রকল্পকেও তেমনই অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। কিন্তু এটা নতুন ভারত, এদেশে এখন অনেক সমস্যার সমাধান হয়, পাশাপাশি নতুন শপথও নেওয়া হয়, আর সেই শপথগুলিকে বাস্তবায়নের জন্য দিন-রাত কাজ করা হয়। আমাদের যে প্রযুক্তিবিদরা, যে প্রকৌশলীরা, যে, শ্রমিকরা নিয়মিত কাজ করে গেছেন, তাঁদের সবাইকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। তাঁরা যে ধৈর্য এবং পরিশ্রমের ফল হিসেবে অত্যন্ত সংহত উদ্যোগের মাধ্যমে প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্টের অসাধারণ উদাহরণ সৃষ্টি করে, এই প্রকল্পটিকে সম্পূর্ণ করেছেন তা প্রশংসার যোগ্য। আমার যে শ্রমিক ভাই ও বোনেরা এই প্রকল্পের জন্য তাঁদের ঘাম ঝরিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে আমি অন্তর থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই, তাঁদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই।

বন্ধুগণ,

এই ইন্টিগ্রেটেড ট্রানজিট করিডর প্রগতি ময়দান প্রদর্শনী স্থলটি একবিংশ শতাব্দীর নানা প্রয়োজনীয়তা অনুসারে রূপান্তরণের যে অভিযান আমরা চালিয়েছি তারই একটি অংশ। অনেক দশক আগে ভারতের উন্নয়নকে ভারতবাসীর সামর্থ্য, ভারতের পণ্যসম্ভার, ভারতের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্যই এই প্রগতি ময়দান নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু, তারপর ভারতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ভারতের সামর্থ্য বদলেছে, আমাদের প্রয়োজনগুলিও অনেকগুণ বেড়ে গেছে। কিন্তু এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে উন্নয়নের সঙ্গে তাল রেখে প্রগতি ময়দানের বেশি প্রগতি হয়নি। আসলে এই প্রগতি ময়দানের যতটা প্রগতি সবার আগে হওয়া উচিৎ ছিল, সেটা হয়নি। দেড় দশক আগে এখানে নানা পরিষেবা সম্প্রসারণের যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল তা কাগজেই রয়ে গেছে ফ্যাশনের মতো – ঘোষণা করো, কাগজে দেখাও, প্রদীপ জ্বালাও, ফিঁতে কাটো, খবরের কাগজের শিরোনামে স্থান করে নাও, আর তারপর তুমি তোমার পথে, আমি আমার পথে - এমনটাই চলছিল।

দেশের রাজধানীতে বিশ্বমানের কর্মসূচির জন্য  ‘স্টেট অফ আর্ট’ পরিষেবা চালু করা, একজিবিশন হল গড়ে তোলার কথা মাথায় রেখে সরকার নিরন্তর কাজ করে চলেছে। আমাদের দিল্লিতেই দ্বারকা এলাকায় নির্মীয়মান ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সপো সেন্টার, আর প্রগতি ময়দানে রিডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট ইত্যাদি এর উদাহরণ।

বিগত বছরগুলিতে আমি এখানে চারটি প্রদর্শনী হল উদ্বোধন করেছি, আর আজ যোগাযোগের এই অত্যাধুনিক পরিষেবাগুলির শুভ উদ্বোধনও হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে নির্মিত এই অত্যাধুনিক পরিষেবা দেশের রাজধানীর চেহারা বদলে দেবে। একে আরও আধুনিক করে তুলবে, আর এই পরিবর্তন শুধু চেহারা বদলানোর জন্য নয়, একে আমরা ভাগ্য পরিবর্তনের মাধ্যম করে তুলতে চাই।

বন্ধুগণ,

দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকার আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণে যতটা জোর দিচ্ছে, আধুনিকীকরণে যতটা জোর দিচ্ছে তার প্রত্যক্ষ পরিণাম, আর এর পেছনে স্পষ্ট উদ্দেশ্য হল ‘ইজ অফ লিভিং’-এ উন্নতি। সাধারণ মানুষের অসুবিধা কম করা, তাঁদের জীবনে সুবিধা বৃদ্ধি, তাঁদের জীবনকে আরও সহজ, সরল, স্বাভাবিক ব্যবস্থাগুলির মাধ্যমে সফল করে তোলার পাশাপাশি যখনই আমরা উন্নয়নের কাজ করব তা যেন পরিবেশ-বান্ধব হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিৎ। আমাদের উচিৎ পরিবেশ সচেতন হওয়া, আবহাওয়া পরিবর্তনের কথা ভাবা, আর আমরা ঠিক সেভাবেই কাজ করে চলেছি।

গত বছর আমার ডিফেন্স কমপ্লেক্স উদ্বোধনের সৌভাগ্য হয়েছিল। আমাদের দেশের দুর্ভাগ্য হল, অনেক ভালো জিনিস, ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু করা জিনিস এমন রাজনীতির রং-এ রাঙিয়ে যায়, আর তখন সংবাদমাধ্যমও টিআরপি-র কারণে সেটা নিয়ে হৈচৈ করতে শুরু করে দেয়! আমি বুঝি, এটা তাঁদের অসহায়তা। আমি এই উদাহরণ এজন্য দিচ্ছি যাতে আপনারা বুঝতে পারেন যে কী হয়েছে। যাঁরা দিল্লির সঙ্গে খুব ভালোভাবে পরিচিত তাঁরা জানেন, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এখানে খুব কমই হয়েছে। অর্থাৎ, কত বছর হয়ে গেছে? আমাদের এখানে রাষ্ট্রপতি ভবন এলাকায় কিছু হাটমেন্টস তৈরি হয়েছিল। আপনারা অনেকেই দেখেছেন, দূর থেকে ছোট ছোট ঝুপড়ির মতো মনে হত। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেগুলিতেই চলত। সেগুলি বয়সের ভারে জর্জরিত হয়ে উঠেছিল অথচ সেগুলি অনেকটা বড় এলাকা জুড়ে ছড়িয়েছিল। এরপর থেকে সরকার তো অনেক এসেছে গেছে। কতটা কী হয়েছে আপনারা সবাই জানেন। আমি বলতে চাই না।

আমাদের সরকার কে জি মার্গ এবং আফ্রিকা এভিনিউ-তে বেশ কিছু পরিবেশ-বান্ধব ভবন তৈরি করেছে, আর এই যে ঝুপড়ির মতো দেখতে হাটমেন্টসগুলিতে প্রায় ৮০ বছর ধরে দেশের প্রতিরক্ষা নিয়ন্ত্রণের কাজ চলত, সেখান থেকে সরিয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলির জন্য আমরা ভালো পরিবেশের ব্যবস্থা করেছি। অনেক দশক পুরনো অফিসগুলি শিফট করার ফলে নতুন পরিবেশে প্রতিরক্ষা কর্তারা আরও ভালো কাজ করার সুবিধা পেয়েছেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য যে ধরনের পরিকাঠামোর প্রয়োজন হয় সে সমস্ত কিছু মাথায় রেখে সেই ভবনগুলি তৈরি করা হয়েছে, আর সমগ্র নির্মাণ পরিবেশ-বান্ধব প্রক্রিয়ায় করা হয়েছে।

কাজের পরিবেশ যদি ভালো হয়, তাহলে পরিণামও ভালো আসে। কিন্তু এই অফিসগুলি শিফট করার ফলে অনেক একর মূল্যবান জমি খালি হয়ে যায়, আর নতুন জায়গায় প্রতিরক্ষা কর্মীদের কাজের সুবিধাও বৃদ্ধি পায়। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ দেশের নতুন সংসদ ভবন, সেন্ট্রাল ভিস্টা নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আগামীদিনে ভারতের রাজধানী নিয়ে যখন আলোচনা হবে তখন প্রত্যেক ভারতবাসী এই সেন্ট্রাল ভিস্টা নিয়ে গর্ব করবেন।

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকার এই যে আধুনিক পরিকাঠামো সমৃদ্ধ, পরিবেশ-বান্ধব ইন্টিগ্রেটেড ট্রানজিট করিডর তৈরি করেছে তা একটি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ভাবনার সুফল। প্রগতি ময়দানের চারপাশে এই গোটা এলাকাটি দিল্লির সবচাইতে ব্যস্ত এলাকাগুলির অন্যতম। অনেক বছর ধরে এখানে যানজট একটা বড় সমস্যা। আইটিও চৌরাহায় কী পরিমাণ যানজট হয়, এটা আমরা সবাই খুব ভালোভাবেই জানি। যখনই কোনও কর্মসূচিতে যেতে হয়, আমি ৫০ বার ভাবি, আমার এসপিজি বন্ধুদের বলি যে সকাল ৫টায় আমাকে বের করে দাও যাতে মানুষের সমস্যা না হয় কিংবা মাঝরাতে বের করো। আমার পক্ষে যতটা সম্ভব আমি চেষ্টা করি কিন্তু, কখনও কখনও আমিও অসহায় হয়ে পড়ি।

আজ এই নতুন পরিষেবা উদ্বোধনের ফলে যে দেড় কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ সুড়ঙ্গ তৈরি হয়েছে এর মাধ্যমে পূর্ব দিল্লি, নয়ডা এবং গাজিয়াবাদের দিক থেকে প্রতিদিন যে হাজার হাজার বন্ধুরা আসেন, তাঁদের খুব সুবিধা হবে। এই ইন্টিগ্রেটেড ট্রানজিট করিডর-এর মাধ্যমে দিল্লির নাগরিকদের সময় বাঁচবে, গাড়ির জ্বালানি বাঁচবে। একটু আগেই আমাকে যে প্রেজেন্টেশন দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে যে বার্ষিক প্রায় ৫৫ লক্ষ লিটার পেট্রোল সাশ্রয় হবে। অর্থাৎ, দিল্লির নাগরিকদের পকেট থেকে এই পরিমাণ তেলের খরচ বাঁচবে।

যদি আমি কাউকে ১০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করি, তাহলে দেশে সংবাদ শিরোনামে চলে আসে, কিন্তু যখন এই ধরনের ব্যবস্থা চালু করি, যার ফলে প্রত্যেকের ২০০ টাকা করে বাঁচবে, তা নিয়ে কোনও খবরই হয় না। যে খবরে কোনও পলিটিক্যাল মাইলেজ নেই, তার যেন কোনও গুরুত্বই নেই। কিন্তু আমরা দেশের ভালো করতে চাই। তাই স্থায়ী ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য, আর জনগণের সুবিধা বৃদ্ধি ও তাঁদের সাশ্রয়ের কথা ভেবে নিয়মিত কাজ করে চলেছি।

এখন যানজট কমবে, দিল্লির পরিবেশ স্বচ্ছতর হবে। আমরা সহজেই বলে দিই – ‘টাইম ইজ মানি’। কিন্তু এই সুড়ঙ্গ তৈরি হওয়ার ফলে যে সময় বাঁচবে তাতে প্রত্যেকের কত টাকা বাঁচবে চিন্তা করুন! এই প্রবাদের জন্য ‘টাইম ইজ মানি’ঠিক আছে, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই একটি পদক্ষেপে মানুষের কত সাশ্রয় হবে, কেউ তা নিয়ে কথা বলতে রাজি নন। অর্থাৎ, আমাদের পুরানো চিন্তাভাবনারও সময়োপযোগী নবীকরণের প্র্য়োজন রয়েছে।  

একটি অনুমান অনুসারে, এই করিডর তৈরি হওয়ার ফলে ৫ লক্ষ গাছ থেকে আমরা যতটা উপকৃত হই, প্রায় ততটাই নাকি সুফল পাওয়া যাবে। যেমনটি একটু আগে পীযূষ ভাই বললেন। শুনে আমি খুব খুশি হয়েছি। এই প্রকল্পের পাশাপাশি যমুনার তীরে বৃক্ষ রোপনেরও কর্মসূচি রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, দ্বিগুণ লাভের ব্যবস্থা। আমাদের সরকার নতুন নতুন বৃক্ষ রোপনের পাশাপাশি যে অঞ্চলগুলিতে দূষণের প্রকোপ বেশি, সেই অঞ্চলগুলিকে কিভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই অঞ্চলগুলিকে কিভাবে দূষণমুক্ত করা যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ করছে।

সম্প্রতি ভারত পেট্রোলে ১০ শতাংশ ইথানল মেশানোর লক্ষ্য অর্জন করেছে। এটা অনেক বড় সাফল্য। ভারতের জ্বালানি প্রয়োজনীয়তার ১০ শতাংশ আজ আখ থেকে তৈরি হওয়া ইথানল এবং জৈব বর্জ্য থেকে তৈরি হওয়া ইথানল দিয়ে পূরণ করা হচ্ছে। এর ফলে এখন আমাদের সড়কপথে গাড়িগুলি ১০ শতাংশ কম দূষণ ছড়াবে। এই কাজ আমরা নির্ধারিত সময়ের কয়েক মাস আগেই করে দিয়েছি। পেট্রোলে ইথানল ব্লেন্ডিং-এর অভিযান আমাদের দূষণ হ্রাসের পাশাপাশি কৃষকদের আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও অনেক সহায়ক হবে। কারণ কৃষকের কাছে যা বর্জ্য, সেটাই এখন তাঁর কাছে সম্পদে রূপান্তরিত হয়ে আসবে।

বন্ধুগণ,

দিল্লি-এনসিআর-এর যাবতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য গত আট বছরে আমরা অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নিয়েছি। এই এলাকার মেট্রো পরিষেবা ১৯৩ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ ৪০০ কিলোমিটারে পৌঁছে দিয়েছি। যদি কিছু নাগরিক শপথ নেন যে আমি ১০ শতাংশ যাতায়াত নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার না করে মেট্রো ব্যবহার করব, এতে হয়তো মেট্রোতে একটু ভিড় বাড়বে কিন্তু তাহলেও শহরের ১০ শতাংশ দূষণ কমবে। একজন নাগরিক হিসেবে আপনার কর্তব্যভাব থেকে যদি শহরের পরিবেশ উন্নত করতে পারেন, তাহলে আপনার মনে যে আনন্দ হবে সেটাও একটা অনুভবের বিষয়।

অনেক সময় সাধারণ মানুষের পাশে বসে যাতায়াত করার একটা আলাদা আনন্দ আপনারা অনুভব করবেন। ৫-১০ মিনিটের জন্য হলেও তাঁদের জীবনকে জানা ও বোঝার সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ, এতে আপনাদের গুণিতক লাভ হবে। পাশাপাশি মেট্রোর যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি হলে মেট্রো পরিষেবাও অর্থনৈতিকভাবে আরও লাভজনক হয়ে উঠবে। আমরা সবাই মিলে এরকম চেষ্টা করলে দেশের অনেক লাভ হবে। দিল্লি-এনসিআর এলাকায় মেট্রোর ক্রমবর্ধমান নেটওয়ার্কের ফলে এখন এমনিতেই হাজার হাজার গাড়ির যাতায়াত কমেছে। এটা আপনাদের উদ্যোগে আরও কমানো সম্ভব হলে বায়ু দূষণ আরও কমবে।

ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার ফলে দিল্লির অনেক লাভ হয়েছে। এখন হাজার হাজার ট্রাক সরাসরি বাইরে দিয়েই বেরিয়ে যায়। দিল্লির ইন্টার-স্টেট কানেক্টিভিটি এখন অনেক বেশি গতিসম্পন্ন হয়েছে। দিল্লি-মীরাট এক্সপ্রেসওয়ে এই দুই শহরের মধ্যেকার দূরত্ব কমিয়ে মাত্র ১ ঘন্টা করে দিয়েছে। আগে যাঁরা হরিদ্বার, ঋষিকেশ যাওয়ার জন্য দেরাদুন যেতেন, তাঁদের ৮ থেকে ৯ ঘন্টা লাগত। আজ তাঁরা চার থেকে সাড়ে চার ঘন্টায় দিল্লি থেকে দেরাদুন পৌঁছে যেতে পারছেন।

সময়ের শক্তি বুঝতে হলে এখন আপনাদের কাশী রেল স্টেশনে যেতে হবে। আমি সেখানকার সাংসদ। সেখানকার মানুষের সমস্যা দেখার জন্য আমি রাত ১টা-১-৩০ মিনিটে যাই। একদিন এরকমই গিয়ে কিছু যাত্রীর সঙ্গে ট্র্যাফিক এবং ট্রেনের সুবিধা নিয়ে কথা বলছিলাম। তাঁরা আমাকে বলেন যে সাহেব, এখানে বন্দে ভারত ট্রেনের অনেক চাহিদা। আমি বললাম এতে যাতায়াত করতে হলে টাকা বেশি খরচ হবে। তাঁরা বলেন, না সাহেব, আজ গরীব মানুষেরাই সবচাইতে বেশি বন্দে ভারত-এ যেতে চান, মজুর শ্রেণীর মানুষেরাও সবচাইতে বেশি বন্দে ভারত-এ যেতে চান। আমি বললাম, কেন ভাই, টাকা তো বেশি লাগবে। তখন তাঁরা যা জবাব দিলেন তা শুনে আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম। তাঁরা বলেন যে বন্দে ভারত ট্রেনে আমরা বেশি মালপত্র রাখার জায়গা পাই। বাড়ি থেকে বেশি জিনিস নিয়ে আসতে পারি। এতে আমরা ৩-৪ ঘন্টা আগে পৌঁছে যাই। এতে কাজ তাড়াতাড়ি শুরু হয়, রোজগারও বেশি হয়।

এখন দেখুন, সাধারণ মানুষের ভাবনার প্রক্রিয়া কতটা বদলেছে। আমরা পুরনো ভাবনা নিয়েই বলব যে, দেখো, বন্দে ভারত ট্রেন নিয়ে এসেছে, টিকিটের দাম এত বেশি, কিন্তু এর সঙ্গে সাধারণ মানুষের ভাবনার মিল নেই। এই মানসিকতার পরিবর্তন আমাকে অত্যন্ত আনন্দ দেয়। এই পরিবর্তন কিভাবে ভারতের সাধারণ মানুষকে বিবর্তিত করছে তা আমাকে পুলকিত করে।

সেজন্যই আমরা দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে, দিল্লি-দেরাদুন এক্সপ্রেসওয়েল, দিল্লি-অমৃতসর এক্সপ্রেসওয়ে, দিল্লি-চণ্ডীগড় এক্সপ্রেসওয়ে, দিল্লি-জয়পুর এক্সপ্রেসওয়ে – এরকম অসংখ্য প্রকল্প রূপায়ণের মাধ্যমে দেশের রাজধানীকে বিশ্বের সবচাইতে উন্নত যোগাযোগ সম্পন্ন রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি আর নিশ্চিতভাবেই এই কাজ আমরা সম্পূর্ণ করব।

দেশের প্রথম স্বদেশী প্রযুক্তিতে গড়ে ওঠা র‍্যাপিড রেল সিস্টেমও দিল্লি থেকে মীরাটের মধ্যে দ্রুতগতিতে গড়ে উঠছে। হরিয়ানা এবং রাজস্থানকে দিল্লির সঙ্গে যুক্ত করার জন্যও এ ধরনের র‍্যাপিড রেল সিস্টেমের কাজ চলছে। এই প্রকল্পগুলি যখন সম্পূর্ণ হবে তখন দেশের রাজধানী হিসেবে দিল্লির পরিচয় আরও মজবুত হবে। এর ফলে, দিল্লি-এনসিআর এলাকায় বসবাসকারী সমস্ত পেশার মানুষেরা উপকৃত হবেন। আমাদের যুব সম্প্রদায় ছাত্রছাত্রী, স্কুলশিশু, অফিস যাতায়াতকারী মানুষেরা, ট্যাক্সি চালক, অটো চালক, ব্যবসায়ী বন্ধু, ছোট ছোট দোকানদাররা – এরকম প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষ অনেক উপকৃত হবেন।

বন্ধুগণ,

আজ দেশ ‘পিএম গতি শক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান’-এর দূরদৃষ্টি নিয়ে এগিয়ে চলেছে। ফলে, আধুনিক মাল্টি-মডেল কানেক্টিভিটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি আমি ধর্মশালায় ছিলাম। দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক ছিল। তাঁরা যে গুরুত্ব দিয়ে এই গতি শক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যানকে প্রজেক্ট প্ল্যানিং-এর ক্ষেত্রে কাজে লাগাচ্ছেন, তাতে আমি খুবই আনন্দ পেয়েছি। তাঁরা বলছেন, যে কাজ করতে আমাদের ছয় মাস লাগত, এই গতি শক্তির প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা ও কো-অর্ডিনেশনের ফলে, ‘প্রোজেক্ট ফর এন্টার অ্যাপ্রোচ’-এর ফলে, যে কাজ ছয় মাসে হত সেই কাজ এখন ছয়দিনে হচ্ছে। গতি শক্তি মাস্টার প্ল্যান সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সকলের বিশ্বাস অর্জন করে, সকলের প্রচেষ্টায় একটি অনেক বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে যাতে কোনও প্রকল্প ঝুলে না থাকে, সমস্ত বিভাগের কাজে যেন ভারসাম্য থাকে, প্রত্যেক বিভাগ যেন পরস্পরকে তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে নিজেদের কাজ শুরু করতে পারে তা সুনিশ্চিত করতে এই ‘পিএম গতি শক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান’ শুরু করা হয়েছিল। ‘সবকা প্রয়াস’-এর এই ভাবনা আমাদের দেশের নাগরিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাধীনতার অমৃতকালে দেশের মেট্রো শহরগুলির এলাকা বিস্তারিত করা, টিয়ার-২, টিয়ার-৩ শহরগুলির উন্নত নাগরিক পরিকল্পনা তৈরি করার প্রয়োজন হয়ে উঠেছে। আগামী ২৫ বছরে ভারতকে দ্রুতগতিতে উন্নয়নের জন্য আমাদের শহরগুলিকে সবুজ, স্বচ্ছ এবং পরিবেশ-বান্ধব করে তুলতে হবে। প্রত্যেকের কাজের জায়গা যেন তাঁর বাড়ির কাছাকাছি হয় তা সুনিশ্চিত করতে মাস ট্রানজিট নেটওয়ার্ক-কে কাছাকাছি রাখাকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। প্রথমবার কোনও সরকার নাগরিক উন্নয়নকে এত বৃহৎ স্তরে গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা এটা মেনে চলছি যে নগরায়নকে কেউ থামাতে পারবে না। কাজেই একে সমস্যা হিসেবে না নিয়ে সুযোগ হিসেবে ভেবে পরিকল্পনা করলে দেশের শক্তিকে অনেকগুণ বাড়িয়ে তোলা যাবে।

বন্ধুগণ,

শহরের গরীব থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত – প্রত্যেকের জন্য উন্নত পরিষেবা প্রদানের কাজ এগিয়ে চলেছে। বিগত আট বছরে ১ কোটি ৭০ লক্ষেরও বেশি শহুরে গরীবকে পাকা বাড়ি দেওয়া হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মধ্যবিত্ত পরিবারকেও গৃহ নির্মাণে সাহায্য করা হয়েছে। শহরগুলিতে আধুনিক পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে সিএনজি-ভিত্তিক মোবিলিটি, ইলেক্ট্রিক মোবিলিটির পরিকাঠামোর ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘এফএএমই’ প্রকল্প এর উন্নত উদাহরণ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দিল্লি সহ দেশের কয়েক ডজন শহরে নতুন নতুন ইলেক্ট্রিক বাসের ফ্লিট তৈরি করা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই দিল্লিতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু নতুন বাস চলতে শুরু করেছে। এই প্রকল্প গরীব এবং মধ্যবিত্তদের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলবে আর দূষণও অনেক কমাবে।

দেশবাসীর জীবনকে সহজ করে তোলার এই সঙ্কল্প এমনই মজবুত হতে থাকুক। আজ এই সুড়ঙ্গ পরিদর্শনের জন্য আমি খোলা জিপে গিয়েছিলাম। নিয়ম মেনে আমিও কিছুদূর জিপে গিয়েছি, তারপর নেমে পড়ি। সেজন্য এখানে আসতে ১০-১৫ মিনিট দেরি হয়েছে কারণ আমি পায়ে হাঁটছিলাম। এজন্য পায়ে হাঁটছিলাম যাতে রাস্তার দু’পাশের অন্দিন্দ্যসুন্দর আর্ট ওয়ার্কগুলি আমার দেখতে ইচ্ছা করছিল। আমি বলতে পারি যে পীযূষজি যে ঋতুর বর্ণনা করছিলেন, সেই ঋতুগুলিকে পরিস্ফুট করে তোলা আর্ট ওয়ার্ক সেখানে রয়েছে। এই মূল্য সংযোজন, এই নতুনত্ব আমার ভালো লেগেছে।

আমি বলতে পারি যে এই সুড়ঙ্গ ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর একটি উন্নত শিক্ষাকেন্দ্র। আমি জানি না বিশ্বে কোথায় কী হয়েছে, কিন্তু এটা দেখার পর বলতে পারি হয়তো এই সুড়ঙ্গের ভেতর বিশ্বের কোথাও এত দীর্ঘ আর্ট গ্যালারি আর নেই।

ভারতকে যদি স্পষ্টভাবে বুঝতে হয়, গভীরভাবে বুঝতে হয়, এর বৈচিত্র্য, এর উৎসাহ ও উদ্দীপনার মুহূর্তগুলিকে যদি বুঝতে হয়, তাহলে এই সুড়ঙ্গযাত্রা অনেক কাজে লাগবে। কোনও বিদেশি পর্যটক যদি আসেন, তিনি এই সুড়ঙ্গ দেখেই অনুভব করতে পারবেন যে ভারতের নাগাল্যান্ড এরকম, কেরল এরকম, জম্মু-কাশ্মীর এরকম, অর্থাৎ এত বৈচিত্র্যময়, হস্তনির্মিত আর্ট ওয়ার্ক এই সুড়ঙ্গযাত্রাকে সমৃদ্ধ করে তুলবে। এসব দেখার পর আমি এতক্ষণ যে ভাষণ দিয়েছি এখন তার বিপরীতে কিছু কথা বলব। আমি জানি না, বিশেষজ্ঞদের কাছে আমার এই পরামর্শ কেমন লাগবে। আমার পরামর্শ হল রবিবারে যখন যানজট কম থাকে সেই দিন ৪-৬ ঘন্টা যে কাজের জন্য এই সুড়ঙ্গ নির্মিত হয়েছে তার বিপরীতে কিছু কাজ করার চেষ্টা করা যেতে পারে। সেদিন এই সুড়ঙ্গ দিয়ে কোনও গাড়িকে আসতে না দিয়ে আমাদের স্কুলের ছেলে-মেয়েদের পায়ে হেঁটে এই গ্যালারিগুলি দেখানো হোক। এতে দেশের অনেক বড় সেবা হবে।

আমি চাই আমাদের বিদেশ মন্ত্রক দিল্লিতে যত দেশের রাষ্ট্রদূতরা রয়েছে আর তাঁদের প্রত্যেকের মিশনের যত কর্মচারীরা রয়েছেন, তাঁদেরকে এই সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে পদযাত্রা করান। এর মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা বুঝতে পারবেন আমাদের দেশে মহাত্মা গান্ধীর গুরুত্ব কী, ভগবান কৃষ্ণের গুরুত্ব কী, এখান দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা বুঝতে পারবেন আসামের নৃত্য কেমন হয়।

এর পাশাপাশি প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ফটো পাইলট এবং ফোনের মাধ্যমে গাইড করার ব্যবস্থাও হতে পারে আর কম হলেও, ১০ পয়সার হলেও টিকিটের ব্যবস্থা শুরু করা হোক। তাহলে উটকো লোকেরা ঢুকবে না। সঠিকভাবে যাতায়াত হবে, আর কতজন যাতায়াত করল তার কাউন্টিংও হবে।

আমি সত্যি বলছি বন্ধুগণ, হয়তো আমার এই সৌভাগ্য হয়নি কারণ একবার গাড়িতে উঠে পড়লে কেউ আমাকে নামতেই দেয় না। আজ পথটা খালি ছিল বলে আমি পায়ে হাঁটার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু যাঁদের প্রকৃতই শিল্পের প্রতি আগ্রহ রয়েছে, যাঁরা শিল্প বোঝেন তাঁদের জন্য একটি অসাধারণ স্থল দিল্লির বুকে গড়ে উঠেছে।

কোন কিছু পরিকল্পনা করলে সেটা যতক্ষণ প্রয়োগ না করা হয়, ততক্ষণ আমার শান্তি হয় না। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন থেকেই একটি পরিকল্পনা আমার মাথায় ছিল। আমেদাবাদে একটি অত্যন্ত যানজটপূর্ণ রাস্তা ছিল। আমি ঠিক করেছিলাম যে মাসের অমুক দিনে সেই পথ দিয়ে গাড়ি চলতে দেব না। কোন দিনটা ঠিক করেছিলাম মনে নেই। আমি সেই পথটাকে সেদিন শিশুদের জন্য খুলে দিয়েছিলাম। বাচ্চারা সেই পথে ক্রিকেট খেলবে, যা খুশি খেলবে। তারা যেন ভাবে এই পথটা আমাদের। কিছুদিন পর প্রতি মাসে এই দিনটি নাগরিকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। ঐদিন ছেলে-মেয়েরা তাঁদের অভিভাবক সহ ওখানে পৌঁছে যেত, খেলতো, আর প্রত্যেকেরই মন আনন্দে নেচে উঠত।

আমি মনে করি সপ্তাহে একদিন যখন ট্র্যাফিকের চাপ কম থাকে, সেদিন ৪-৬ ঘন্টা শুধু পায়ে চলার জন্য বড় অভিযান রূপে এই পথ ব্যবহার করা যেতে পারে। সেদিন এখান দিয়ে ভিআইপি-রাও পায়ে হেঁটে যাবেন। আমি চাই, যখন সংসদের অধিবেশন শুরু হবে, তখন যত সাংসদরা আসবেন তখন তাঁরাও সপরিবারে এখান দিয়ে হেঁটে যাবেন। এই অভিযান শুরু করতে সংবাদমাধ্যমে যত আর্ট ক্রিটিক্স, আর্ট রাইটার্সরা রয়েছেন, তাঁদের জন্য একদিন বিশেষ কর্মসূচি রাখা যেতে পারে। আমি মনে করি তাঁরা এই নিয়ে নিশ্চয়ই কিছু ভালো লিখবেন। আমরা এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারি।

বন্ধুগণ,

দিল্লির আশেপাশে এই যে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত ,উন্নতি হচ্ছে তাকে আমরা যেন নিছকই যাতায়াতের সুবিধা বলে না ভাবি। এই যে দিল্লি-নয়ডা-গাজিয়াবাদের মানুষ এই ইন্টিগ্রেটেড ট্র্যানজিট করিডর পরিষেবা পেলেন তাতে অনেকটাই ‘আর্বান বার্ডেন’ বা নাগরিক বোঝা কম হল। অনেকেই এখন ভাবতে পারেন দিল্লিতে এত টাকা খরচ করে থাকার বদলে গাজিয়াবাদে থাকব, মীরাটে থাকব আর প্রয়োজন হলেই চলে আসব। আগের তুলনায় অনেক কম সময়ে দিল্লিতে পৌঁছে যাব। এভাবে দিল্লির বোঝা কমানোর জন্য এই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন বড় ভূমিকা পালন করছে। এর পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের এত টাকা খরচ হচ্ছে ঠিকই কিন্তু দিল্লির বোঝা অনেক কমছে।

বন্ধুগণ,

আজ এখানে যাঁরা নিজেদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে এসেছেন তাঁদের কিছুটা সময় আরও চেয়ে নিচ্ছি। আপনাদের প্রতি অনুরোধ, এখনই ট্র্যাফিক চালু না হয়ে থাকলে আপনারা একটি পায়ে হেঁটে যান আর যদি মনে করেন আমি ঠিক বলছি তাহলে অন্যদেরকেও প্রেরণা জোগান। বিভাগকেও আমি বলব, সরকারের সমস্ত আধিকারিকদেরও বলব আপনারা এই বিষয়ে ভাববেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা।

 

PG/SB/DM/



(Release ID: 1836152) Visitor Counter : 153