প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী থানে এবং দিভাকে সংযুক্তকারী রেললাইন জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন

Posted On: 18 FEB 2022 6:43PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে থানে এবং দিভাকে সংযুক্তকারী দুটি অতিরিক্ত রেললাইন জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। তিনি মুম্বাই শহরতলি রেলের দুটি ট্রেনের যাত্রাপথেরও সূচনা করেছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী।
 
প্রধানমন্ত্রী ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার ভাষণ শুরু করেন। উল্লেখ্য, আগামীকাল ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের জন্মজয়ন্তী। প্রধানমন্ত্রী শিবাজী মহারাজকে দেশের গর্ব, পরিচয় এবং সংস্কৃতির রক্ষক বলে উল্লেখ করেছেন। 
 
থানে এবং দিভা সংযোগকারী পঞ্চম ও ষষ্ঠ রেললাইন যুক্ত হওয়ায় মুম্বাইবাসীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই লাইনগুলি সর্বদা ভ্রাম্যমান শহুরে বাসিন্দাদের জীবনে স্বাচ্ছন্দ নিয়ে আসবে। প্রধানমন্ত্রী এই দুটি রেললাইন সংযোগের ফলে চারটি প্রত্যক্ষ সুবিধার কথা তুলে ধরেন। প্রথমত, লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য আলাদা লাইন; দ্বিতীয়ত, অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা ট্রেনগুলিকে লোকাল ট্রেনের পাসের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না; তৃতীয়ত, রেল/ এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি কোনোরকম বাধা ছাড়াই চলাচল করতে পারবে; চতুর্থত, প্রতি রবিবার কালওয়া-মুম্ব্রায় –তে নিত্যযাত্রীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে আর কোনো সমস্যা হবে না। তিনি জানান, এই রেললাইন লোকাল ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা এনে দেবে।
 
স্বাধীন ভারতের অগ্রগতিতে মুম্বাই মহানগরীর অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, এখন আত্মনির্ভর ভারত গঠনে মুম্বাইয়ের ক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “তাই আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে মুম্বাইয়ের জন্য ২১ শতকের পরিকাঠামো তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছি”। মুম্বাই নগরীর রেল ব্যবস্থা আধুনিক প্রযুক্তিতে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এর জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুম্বাই শহরতলিতে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার উন্নতিসাধন, ১৯টি স্টেশনে আধুনিক সিবিটিসি সিগন্যাল ব্যবস্থাপনা চালু করার মতো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
 
প্রধানমন্ত্রী জানান, “আমেদাবাদ-মুম্বাই, উচ্চ গতির ট্রেন দেশের প্রয়োজন এবং এটি স্বপ্নের শহর হিসেবে মুম্বাইয়ের পরিচয়কে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। এই প্রকল্পটি দ্রুত সম্পন্ন করা আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে”।
 
শ্রী মোদী বলেন, করোনা মহামারীও ভারতীয় রেলকে আরও নিরাপদ, সুবিধাজনক এবং আধুনিক করার ক্ষেত্রে সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। গত ২ বছরে রেলে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ৮ হাজার কিলোমিটার রেললাইনে বিদ্যুতায়নের কাজ করা হয়েছে। ৪.৫ হাজার কিলোমিটার লাইন দ্বিগুণ করা হয়েছে। করোনার সময় কৃষকরা কিষান রেলের মাধ্যমে দেশব্যাপী বাজারের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরেছে। 
 
পরিকাঠামো প্রকল্পের সমাপ্তির বিষয়ে নতুন ভারতে পরিবর্তিত পদ্ধতির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, অতীতে প্রকল্পগুলি পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়ন পর্যায়ে সমন্বয়ের অভাবের কারণে স্থগিত ছিল। এটি একবিংশ শতাব্দীর পরিকাঠামো তৈরিকে অসম্ভব করে তুলেছিল। সেকারণেই পিএম গতি শক্তি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এই পরিকল্পনায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিটি বিভাগ, রাজ্য সরকার, স্থানীয় সংস্থা, বেসরকারি ক্ষেত্রকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হয়েছে। এরফলে, যথাযথ পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের জন্য সমস্ত পক্ষের প্রাসঙ্গিক তথ্য আগে থেকেই সরবরাহ করা সম্ভবপর হবে।
 
শ্রী মোদী দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের ব্যবহৃত সম্পদে পর্যাপ্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্তরায়ের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দেশের গণ পরিবহণকে আরও বেশি সাহিজে তুলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন ভারত এই চিন্তাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে’। 
 
প্রধানমন্ত্রী জানান, এমন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যা ভারতীয় রেলকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। তিনি বলেন, গান্ধীনগর এবং ভোপালের মতো আধুনিক স্টেশনগুলি দ্রুত ভারতীয় রেলের পরিচয় হয়ে উঠেছে। ৬ হাজারটিরও বেশি রেল স্টেশনে ওয়াইফাই সুবিধা চালু করা হয়েছে। বন্দে ভারত ট্রেন দেশের রেলকে নতুন গতি এবং আধুনিক সুবিধায় উন্নিত করেছে। আগামীদিনে ৪০০টি নতুন বন্দে ভারত ট্রেন চালু করা হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।  
 
সেন্ট্রাল রেলের প্রধান জংশন হল কল্যাণ। দেশের উত্তর দিক এবং দক্ষিণ দিক থেকে আসা ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে লাইনগুলি কল্যাণে এসে মেশে এবং তা ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাসের দিকে চলে যায়। কল্যাণ এবং ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাসের মধ্যে চারটি ট্র্যাক রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ট্র্যাক ধীরগতির লোকাল ট্রেনের জন্য এবং দুটি ট্র্যাক দ্রুতগামী লোকাল, মেল এক্সপ্রেস এবং মালগাড়ির জন্য ব্যবহৃত হয়। শহরতলি ও দূরপাল্লার ট্রেনগুলিকে আলাদা করতে দুটি অতিরিক্ত ট্র্যাকের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। 
 
থানে এবং দিভা সংযোগকারী দুটি অতিরিক্ত রেললাইন নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ৬২০ কোটি টাকা। এই দুই লাইনে যাত্রাপথে ১.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল ফ্লাইওভার, ৩টি বড় সেতু এবং ২১টি ছোট সেতু রয়েছে। এই লাইনগুলি মুম্বাই শহরতলির ট্রেনের যাতায়াতের ক্ষেত্রে জটিল সমস্যা সমাধানে বিশেষ সাহায্য করবে। পাশাপাশি এই লাইন দিয়ে শহরে ৩৬টি নতুন ট্রেন চলাচল করতে পারবে। 
 
CG/SS/SKD/

(Release ID: 1799445) Visitor Counter : 170