অর্থমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জাতীয় মিশন – প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা (পিএমজেডিওয়াই)-র সফল বাস্তবায়নের সাত বছর


পিএমজেডিওয়াই – এর সূচনাকাল থেকে এ পর্যন্ত ৪৩ কোটি ৪ লক্ষেরও বেশি সুবিধাভোগীর ১৪৬২৩১ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক লেনদেন হয়েছে

“পিএমজেডিওয়াই – এর সাত বছর সময়কালে আর্থিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কারমুখী এবং নতুন দিশায় এগিয়ে চলেছে। এর মাধ্যমে সমাজের প্রান্তিক মানুষটির কাছে আর্থিক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে” – অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন

“সরকারের কাছে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সব থেকে অগ্রাধিকার পাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে সমন্বিত উন্নয়ন সম্ভব” – অর্থ প্রতিমন্ত্রী ডঃ ভগবত কারাড়

২০১৫’র মার্চ মাসে পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট ছিল ১৪ কোটি ৭২ লক্ষ, এবছরের ১৮ অগাস্ট তা প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪৩ কোটি ৪ লক্ষ

জন ধন অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের ৫৫ শতাংশই মহিলা, মোট অ্যাকাউন্টের ৬৭ শতাংশ গ্রামীণ এবং আধা-শহর ও আধা-গ্রাম অঞ্চলের

৪৩ কোটি ৪ লক্ষ পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টের মধ্যে ৮৬ শতাংশ বা ৩৬ কোটি ৮৬ লক্ষ অ্যাকাউন্ট সক্রিয় রয়েছে

পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের মধ্যে ৩১ কোটি ২৩ লক্ষ রুপে কার্ড দেওয়া হয়েছে

কোভিড লকডাউনের সময় মহিলা পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের পিএম গরিব কল্

Posted On: 28 AUG 2021 7:30AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৮ অগাস্ট, ২০২১

 

অর্থ মন্ত্রক সমাজের প্রান্তিক মানুষদের আর্থিক ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। আর্থ-সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া মানুষদের এই ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করতে মন্ত্রক উদ্যোগী হয়েছে। সমন্বিত উন্নয়নের জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে জাতীয় স্তরে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। প্রথাগত আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দরিদ্র মানুষের সঞ্চয়ের অর্থ নিয়ে আসার মধ্য দিয়ে তাঁদের অসাধু মহাজনদের হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব। গ্রামে দরিদ্র মানুষরা যে টাকা পাঠান, তার পুরোটাই যাতে তাঁদের পরিবারের কাছে পৌঁছয়, সেটি এর মধ্য দিয়ে নিশ্চিত হবে। এই লক্ষ্যে বিশ্বের বৃহত্তম আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা চালু করা হয়। 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালের ১৫ অগাস্ট তাঁর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে পিএমজেডিওয়াই ঘোষণা করেছিলেন। ২৮ অগাস্ট এই কর্মসূচির সূচনার সময় প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যোগকে অসাধু চক্রর কবল থেকে দরিদ্র মানুষদের মুক্তির উৎসব বলে বর্ণনা করেন। 

পিএমজেডিওয়াই – এর সপ্তম বার্ষিকীতে অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন এই প্রকল্পের গুরুত্বের কথা আবারও উল্লেখ করেছেন। “পিএমজেডিওয়াই – এর সাত বছর সময়কালে আর্থিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কারমুখী এবং নতুন দিশায় এগিয়ে চলেছে। এর মাধ্যমে সমাজের প্রান্তিক মানুষটির কাছে আর্থিক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না, তাঁদের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় যুক্ত করা, অসুরক্ষিতদের সুরক্ষিত করা এবং যাঁদের কোনও তহবিলের সুবিধা পাওয়ার সুযোগ ছিল না, তাঁদের মধ্যে সেই সুযোগ তৈরি করে দেওয়া পিএমজেডিওয়াই – এর মূল্য লক্ষ্য। প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বহুপাক্ষিক সহযোগিতার সাহায্যে যাঁদের কাছে কোনও পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয়নি অথবা যাঁরা পুরো পরিষেবার সুফল পান না, তাঁদের সকলের জন্য এই প্রকল্প সহায়ক হচ্ছে”। 

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ডঃ ভগবত কারাড় পিএমজেডিওয়াই প্রসঙ্গে বলেন, “শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা (পিএমজেডিওয়াই) আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর হয়েছে। সরকারের কাছে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সব থেকে অগ্রাধিকার পাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে সমন্বিত উন্নয়ন সম্ভব। এর সাহায্যে দরিদ্র মানুষরা তাঁদের সঞ্চিত অর্থ প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থায় রাখতে পারেন, পরিবারের সদস্যদের কাছে টাকা পাঠাতে পারেন। এর ফলে, অসাধু মহাজনদের হাত থেকে তাঁরা রেহাই পাচ্ছেন”। 

এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে সপ্তম বর্ষ পূর্তিতে প্রকল্পটির গুরুত্বপূর্ণ কিছু সাফল্য:-

প্রেক্ষাপট

ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, অর্থ জমা রাখা, টাকা পাঠানো, মূলধনের যোগান, বীমা, ভাতার মতো বিভিন্ন আর্থিক পরিষেবা যাতে ব্যয় সাশ্রয়ী ব্যবস্থাপনায় প্রত্যেকের কাছে পৌঁছয়, তার জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জাতীয় মিশন প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা চালু করা হয়েছে। 

১. লক্ষ্য

স্বল্প মূল্যে বিভিন্ন আর্থিক প্রকল্পের সুযোগ পৌঁছে দেওয়া

প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছনো এবং আর্থিক পরিষেবার সুযোগ পাওয়া

২. এই প্রকল্পের মূল নীতি

যাঁরা ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না, তাঁদের ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আওতায় নিয়ে আসা – খুব কম নথির মাধ্যমে সেভিংস ব্যাঙ্ক ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলা, কেওয়াইসি’র নিয়মে ছাড়, বৈদ্যুতিন কেওয়াইসি, শিবিরের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা এবং জিরো ব্যালেন্স ও মাশুল বিহীন পরিষেবা

অসুরক্ষিতদের সুরক্ষিত করা – দেশীয় ডেবিট কার্ড, এর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে আর্থিক লেনদেনের ব্যবস্থা করা এবং ২ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনাজনিত বীমার সংস্থান।

যাঁদের কোনও প্রকল্পের তহবিলের সুযোগ ছিল না, তাঁদের আর্থিক সহায়তার জন্য মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স, ওভার ড্রাফট্‌, মাইক্রো পেনশন এবং মাইক্রো ক্রেডিট – এর ব্যবস্থা করা।

৩. মূল বৈশিষ্ট্য

৬টি বিষয় বিবেচনা করে প্রকল্পটির সূচনা করা হয়, এগুলি হ’ল :-

যে কোনও শাখায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সুযোগ 

বেসিক সেভিং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলে প্রাপ্ত বয়স্করা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ওভার ড্রাফট্‌-এর সুবিধা পাবেন 

আর্থিক স্বাক্ষরতা কর্মসূচির মাধ্যমে সেভিংস, এটিএম ব্যবহার, মূলধনের যোগান, বীমা এবং ভাতার সুবিধা ও ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় মোবাইল ফোনের ব্যবহার

মূলধন নিশ্চয়তা তহবিল গড়ে তোলা – খেলাপীদের বিরুদ্ধে কিছু অর্থের নিশ্চয়তা

বীমা – এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের জন্য দুর্ঘটনা ঘটলে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমার সংস্থান, ২০১৪’র ১৫ অগাস্ট থেকে ২০১৫’র ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ১ লক্ষ টাকার বীমার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য অবসর ভাতা 

৪. পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে পিএমজেডিওয়াই প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ:

আগে অফ লাইনে অ্যাকাউন্ট খোলা হ’ত, বর্তমানে ভেন্ডারদের সাহায্যে প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইনে কোর ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা

রুপে ডেবিট কার্ড বা আধারের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা এইপিএস – এর সাহায্যে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার সুযোগ

ফিক্সড পয়েন্ট বিজনেস করেসপন্ডেন্ট

অনেক্ নথি জমা দেওয়ার মাধ্যমে কেওয়াইসি পূরণের বদলে সহজ পদ্ধতিতে কেওয়াইসি বা ইকেওয়াইসি জমা দেওয়া

৫. পিএমজেডিওয়াই – এর নতুন সুবিধাগুলির সময়সীমা বাড়ানো – সরকার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সামান্য কিছু পরিবর্তন ছাড়া বিপুল পিএমজেডিওয়াই প্রকল্পের সময়সীমা ২০১৮’র ২৮ অগাস্টের পরও বাড়ানো হয়েছে 

আগে প্রত্যেক বাড়িতে অন্তত একটি অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা উদ্যোগ নেওয়া হত। এখন যেসব প্রাপ্ত বয়স্কদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই, তাঁদের সকলকে ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় যুক্ত করা হচ্ছে।

রুপে কার্ড বীমা – ২০১৮’র ২৮ অগাস্টের পর পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের জন্য বিনামূল্যে দুর্ঘটনাজনিত বীমার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই বীমার পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লক্ষ টাকা করা হয়েছে

ওভারড্রাফট্‌-এর সুবিধা বাড়ানো –

ওভারড্রাফট্‌ – এর পরিমাণ ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে

শর্ত ছাড়া ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ওভারড্রাফট্‌ করা যাবে

৬. পিএমজেডিওয়াই – এর প্রভাব

পিএমজেডিওয়াই একটি জনমুখী আর্থিক উদ্যোগ। প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর, কোভিড-১৯ এ আর্থিক সহায়তা, পিএম কিষাণ, এমজিনারেগার মজুরি বৃদ্ধি, জীবন বীমা ও স্বাস্থ্য বীমা – এই সবকিছুর সুযোগ পিএমজেডিওয়াই থেকে পাওয়া যায়। এর জন্য প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্কদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।

২০১৪’র মার্চ থেকে ২০২০-র মার্চ পর্যন্ত সময়কালে যত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে তার অর্ধেকই পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট। দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যেই প্রায় ২০ কোটি মহিলা পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা অ্যাকাউন্টে এককালীন অর্থ সাহায্য পেয়েছেন। 

জন ধন অ্যাকাউন্টের ফলে দরিদ্র মানুষরা তাঁদের সঞ্চিত অর্থ প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থায় রাখতে পারেন, পরিবারের সদস্যদের কাছে টাকা পাঠাতে পারেন। এর ফলে, অসাধু মহাজনদের হাত থেকে তাঁরা রেহাই পাচ্ছেন। যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না, তাঁদের পিএমজেডিওয়াই  ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আওতায় নিয়ে এসেছে, ভারতের আর্থিক ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে এবং প্রায় প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক আর্থিক ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

আজ কোভিড-১৯ সময়কালে আমরা দেখেছি যে, দ্রুততার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর (ডিবিটি)-এর সুফল সমাজের প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছেছে। পিএম জন ধন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ডিবিটি-র সাহায্যে শুধুমাত্র সুবিধাভোগীরাই এই অর্থ পাচ্ছেন। 

৭. ১৮ অগাস্ট পর্যন্ত পাওয়া তথ্যানুযায়ী, পিএমজেডিওয়াই – এর সাফল্য
ক) পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট 

১৮ অগাস্ট পর্যন্ত পাওয়া তথ্যানুযায়ী, দেশে ৪৩ কোটি ৪ লক্ষ পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এর মধ্যে ২৩ কোটি ৮৭ লক্ষ বা ৫৫.৪৭ শতাংশ মহিলাদের অ্যাকাউন্ট। মোট অ্যাকাউন্টের ৬৬.৬৯ শতাংশ অর্থাৎ ২৮ কোটি ৭০ লক্ষ অ্যাকাউন্ট গ্রামাঞ্চল, আধা-গ্রাম ও আধা-শহর এলাকার। 

প্রকল্প শুরু প্রথম বছরে ১৭ কোটি ৯০ লক্ষ পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। 

পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী

২০১৫ সালের মার্চ মাসে পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৭২ লক্ষ। ১৮ অগাস্ট পর্যন্ত পাওয়া হিসাবানুযায়ী, বর্তমানে ৪৩ কোটি ৪ লক্ষ পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট রয়েছে। নিঃসন্দেহে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচি এটি একটি বড় সাফল্য। 

খ) সক্রিয় পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট 

২০১৭’র অগাস্টে ২৩ কোটি ১৫ লক্ষ, ২০১৮’র অগাস্টে ২৬ কোটি ৩৪ লক্ষ, ২০১৯-এর অগাস্টে ৩০ কোটি ১৬ লক্ষ, ২০২০-র অগাস্টে ৩৪ কোটি ৯০ লক্ষ এবং ২০২১-এর অগাস্টে ৩৬ কোটি ৮৬ লক্ষ অ্যাকাউন্ট সক্রিয় রয়েছে। অর্থাৎ মোট অ্যাকাউন্টের ৮৫.৬ শতাংশ অ্যাকাউন্টই সক্রিয়।

গ) পিএমজেডিওয়াই সঞ্চিত অর্থ 

পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট মোট সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ ১,৪৬,২৩০ কোটি টাকা

২০১৫’র অগাস্ট থেকে ২০২১-এর অগাস্ট পর্যন্ত সঞ্চিত অর্থ ৬.৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে

ঘ) পিএমজেডিওয়াই গড় সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ

অ্যাকাউন্ট পিছু গড় সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ ৩,৩৯৮ টাকা

২০১৫’র অগাস্ট থেকে বর্তমানে অ্যাকাউন্ট পিছু গড় সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ ২.৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে

গড় সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্য দিয়ে এটা স্পষ্ট যে, অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের মধ্যে অর্থ সঞ্চয়ের অভ্যাস তৈরি হয়েছে। 

ঙ) পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের রুপে কার্ড প্রদান

পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের মধ্যে ৩১ কোটি ২৩ লক্ষ অ্যাকাউন্ট হোল্ডার রুপে কার্ড পেয়েছেন

রুপে কার্ডের সংখ্যা এবং ব্যবহারকারী উত্তরোত্তর বাড়ছে

৮. জন ধন দর্শক অ্যাপ

ব্যাঙ্ক শাখা, এটিএম, ব্যাঙ্ক মিত্র, ডাকঘর ইত্যাদির বিষয়ে যাবতীয় তথ্য পাওয়ার জন্য একটি জনমুখী প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে। জিআইএস অ্যাপ ব্যবহার করে দেশের ৮ লক্ষ ব্যাঙ্কিং পরিষেবা কেন্দ্রের তথ্য জন ধন দর্শক অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। সাধারণ মানুষ খুব সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারবেন। এই অ্যাপের ওয়েব ভার্সন পেতে চাইলে http://findmybank.gov.in. – এ ক্লিক করুন।
যেসব গ্রামের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও ব্যাঙ্ক নেই, সেগুলিকে শণাক্ত করতে এই অ্যাপ সাহায্য করে। এর ফলে, সংশ্লিষ্ট জায়গায় নতুন ব্যাঙ্কের শাখা খোলার পরিকল্পনা করতে সুবিধা হয়। এর মাধ্যমে এ ধরনের গ্রামের সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে। 
৯) পিএমজেডিওয়াই - এর মহিলা অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের জন্য প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্যাকেজ
২০২০’র ২৬ মার্চ অর্থমন্ত্রী পিএম গরিব কল্যাণ যোজনার আওতায় এপ্রিল, মে ও জুন মাসে পিএমজেডিওয়াই – এর মহিলা অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের ৫০০ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। সেই অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা জমা পড়ে। কোভিড লকডাউনের সময় মোট ৩০,৯৪৫ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা পড়েছে।

১০) বাধাহীনভাবে ডিবিটি লেনদেন
ব্যাঙ্কগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, প্রায় ৫ কোটি পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট হোল্ডার প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের সুবিধা পেয়ে থাকেন। এই সুবিধা যাতে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা কোনও সমস্যা ছাড়াই পেতে পারেন, তার জন্য ডিবিটি মিশন, এনপিসিআই এবং বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও মন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে চলা হয়। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৫.৭ শতাংশ অ্যাকাউন্টে ডিবিটি-র সুবিধা পৌঁছয়নি। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এর পরিমাণ ছিল ১৩.৫ শতাংশ। অর্থাৎ আরও বেশি করে সুবিধাভোগীরা ডিবিটি-র সুফল পাচ্ছেন।

১১) ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

১) মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স প্রকল্পের আওতায় পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পিএমজেজেবিওয়াই এবং পিএমএসবিওয়াই – এর আওতায় যোগ্য পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের নিয়ে আসতে ব্যাঙ্কগুলিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। 
২) রুপে ডেবিট কার্ড সহ ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন বাড়ানোর জন্য একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৩) পিএমজেডিওয়াই অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা যাতে ফ্লেক্সি রেকারিং ডিপোজিটের মতো মাইক্রো ক্রেডিট এবং মাইক্রো ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ পান, তার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। 
 

CG/CB/SB


(Release ID: 1749772) Visitor Counter : 423