মন্ত্রিসভারঅর্থনৈতিকবিষয়সংক্রান্তকমিটি
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা পয়লা এপ্রিল থেকে ২০২৬এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিদ্যালয় শিক্ষার জন্য সমগ্র শিক্ষা প্রকল্প অব্যাহত রাখার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে
২,৯৪,২৮৩.০৪ কোটি টাকার এই প্রকল্পে কেন্দ্র ১,৮৫,৩৯৮.৩২ কোটি টাকা ব্যয় করবে
এই প্রকল্পে সরকারি এবং সরকার পোষিত ১১ লক্ষ ৬০ হাজার বিদ্যালয়ের ১৫ কোটি ৬০ লক্ষ ছাত্রছাত্রী এবং ৫৭ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা উপকৃত হবেন
Posted On:
04 AUG 2021 3:57PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ৪ আগস্ট, ২০২১
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটির বৈঠকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত পরিবর্তিত সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। ২,৯৪,২৮৩.০৪ কোটি টাকার এই প্রকল্পে কেন্দ্র ১,৮৫,৩৯৮.৩২ কোটি টাকা ব্যয় করবে।
সুবিধাভোগী :
এই প্রকল্পে সরকারি এবং সরকার পোষিত প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত ১১ লক্ষ ৬০ হাজার বিদ্যালয়ের ১৫ কোটি ৬০ লক্ষ ছাত্রছাত্রী এবং ৫৭ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা উপকৃত হবেন।
বিস্তারিত :
প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিদ্যালয় শিক্ষার পুরো অংশ জুড়ে সমগ্র শিক্ষা অভিযান কার্যকর থাকবে। এই প্রকল্পে শিক্ষার জন্য স্থিতিশীল উন্নয়নের উদ্দেশ্যে স্কুল শিক্ষায় বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি ২০২০র জাতীয় শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন করা হবে। এই নীতি অনুযায়ী প্রতিটি শিশু উন্নতমানের শিক্ষার সুযোগ পাবে যেখানে শ্রেণীকক্ষে সকলের জন্য যথাযথ পরিবেশ বজায় থাকবে। ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট, আলাদা আলাদা ভাষা ভিত্তিক চাহিদা, ভিন্ন শিক্ষা অর্জনের ক্ষমতা অনুযায়ী তাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত করা হবে।
এই অভিযানে বিদ্যালয় শিক্ষার সকল স্তরকে যুক্ত করা হবে। এর জন্য যে বিষয়গুলির উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে সেগুলি হল- ১) পরিকাঠামোর উন্নয়ন সহ সর্বজনীন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, ২) মৌলিক স্বাক্ষরতা এবং গণনা করার ক্ষমতা, ৩) লিঙ্গবৈষম্য দূর করা ও সাম্য, ৪) সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা, ৫) গুণগত শিক্ষা এবং উদ্ভাবনী ব্যবস্থাপনা, ৬) শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতনের জন্য আর্থিক সহায়তা, ৭) ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার, ৮) স্কুলের পোশাক, পাঠ্যপুস্তক সহ শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা, ৯) ইসিসিই-র জন্য সহায়তা, ১০) বৃত্তিমূলক শিক্ষা, ১১) শারীরবিদ্যা ও খেলাধুলা, ১২) শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণের জন্য উন্নত ব্যবস্থাপনা, ১৩) নজরদারি, ১৪) বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণ এবং ১৫) জাতীয় উপাদান সমূহ।
সমগ্র শিক্ষা অভিযানকে ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী পরিমার্জন করা হয়েছে।
Ø এই প্রকল্পের সুবিধা সঠিকভাবে সকলের পৌঁছে দিতে প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের সাহায্যে শিশু কেন্দ্রিক বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ কাজে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর মঞ্চ ব্যবহার করা হবে।
Ø কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক ও সংস্থা একযোগে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সাহায্য করবে। দক্ষতা বিকাশ ও শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রক অন্যান্য মন্ত্রকের সহায়তার দক্ষতা বিকাশের জন্য বৃত্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার ঘটাবে। এ কাজে স্কুল, আইটিআই এবং পলিটেকনিকগুলির পরিকাঠামো ব্যবহার করা হবে। যার সুফল স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি স্কুলছুট ছেলেমেয়েরাও পাবে।
Ø ইসিসিই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য কর্মরত অবস্থায় প্রশিক্ষণ এবং অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণের কাজে যেসব শিক্ষক-শিক্ষিকা ব্যবহার করা হবে তাদের জন্য যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত করা হবে।
Ø ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষালাভের জন্য বিভিন্ন উপাদান, দেশজ খেলনা, খেলাধুলা ভিত্তিক বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য সরকারি স্কুলের প্রাক-প্রাথমিক বিভাগে মাথাপিছু বছরে ৫০০ টাকা দেওয়া হবে।
Ø তৃতীয় শ্রেণীর শেষে পড়তে শেখা, লিখতে শেখা এবং যথাযথভাবে গুনতে শেখা নিশ্চিত করতে ন্যাশনাল মিশন অন ফাউন্ডেশনাল লিটারেসি অ্যান্ড নিউম্যারেসির আওতায় নিপুন ভারত প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। এই প্রকল্পে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিটি শিশুকে শিক্ষালাভের উপাদান সংগ্রহ করার জন্য বছরে ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ম্যানুয়াল এবং অন্যান্য সম্পদের জন্য ১৫০ টাকা দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় মূল্যায়ণের কাজে ১০-২০ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হবে।
Ø মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এনসিইআরটি-র মাধ্যমে নিষ্ঠা প্রকল্পে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
Ø প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিদ্যালয়ে পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটানো হবে। এর আগে প্রাক প্রাথমিক স্তরকে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হত না।
Ø মেয়েদের হস্টেলে ইনসিনেটর এবং স্যানিটারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিন থাকবে।
Ø বর্তমানে যেসব উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল আছে সেখানে আলাদা বিভাগের পরিবর্তে নতুন নতুন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দিতে হবে।
Ø মাধ্যমিক স্তরে পরিবহন বাবদ প্রতি বছর ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় করা যাবে।
Ø ১৬-১৯ বছর বয়সী স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তপশীলি জাতি, উপজাতি এবং ভিন্নভাবে সক্ষম ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের শেষে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে। এই অর্থ এনআইওএস অথবা এসওএস-র মাধ্যমে দেওয়া হবে।
Ø শিশুদের অধিকার রক্ষা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাজ্যস্তরের শিশু সুরক্ষা কমিশনকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। প্রতিটি প্রাক স্কুলের জন্য ৫০ টাকা করে বরাদ্দ করা হবে।
Ø প্রতিটি পড়ুয়ার সার্বিক, সম্পূর্ণ, বহুমাত্রিক উন্নতির জন্য হলিস্টিক প্রোগ্রেস কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে। এই কার্ডের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞান ভিত্তিক যথাযথ শিক্ষালাভের বিষয়ে মূল্যায়ণ করা হবে।
Ø ‘পরখ’-এর জন্য একটি জাতীয় মূল্যায়ণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে যেখানে সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ছাত্রছাত্রীদের কতটা শিক্ষালাভ হয়েছে, তার মূল্যায়ণ এবং পর্যালোচনা করা হবে।
Ø কোনো স্কুল থেকে যদি কমপক্ষে ২জন ছাত্রছাত্রী জাতীয় স্তরে খেলো ইন্ডিয়া বিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় একটি করে পদক পায় তাহলে সেই স্কুলকে খেলাধুলার জন্য অতিরিক্ত ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
Ø ব্যাগ ছাড়া স্কুলে যাওয়ার জন্য স্কুল চত্ত্বরে স্থানীয় হস্তশিল্পীদের সাহায্যে বিভিন্ন ধরণের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
Ø ভাষা শিক্ষার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগ করার ক্ষেত্রে নতুন একটি বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দুটি ভাষায় শিক্ষাদানের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও কর্মরত শিক্ষকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।
Ø সকল কেজিবিভি-গুলিকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠন-পাঠনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে।
Ø কেজিবিভি-টাইপ ফোর-এর নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর স্কুলগুলিতে ছাত্রীদের হস্টেলে ৪০ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে এর পরিমাণ ছিল ২৫ লক্ষ টাকা।
Ø আত্মরক্ষার জন্য ‘রানী লক্ষ্মীবাই আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ’ প্রকল্পে তিন মাস প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বাবদ প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে অর্থের সংস্থান থাকবে। আগে এই খাতে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা দেওয়া হত।
Ø প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সিডাব্লুএসএন-এর ছাত্রীদের জন্য প্রতি মাসে স্টাইপেন্ড বাবদ ২০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এই টাকা ছাত্রীরা ১০ মাস পাবে।
Ø সিডাব্লুএসএন-এর জন্য বার্ষিক শনাক্তকরণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হবে। এরজন্য প্রতি শিবির পিছু ব্লক স্তরে ১ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
Ø ৩১ মার্চ পর্যন্ত নতুন যেসব এসসিইআরটি গড়ে তোলা হয়েছে এবং জেলাস্তরে ডিআইইটি-র জন্য বিশেষ আর্থিক ব্যবস্থা থাকবে।
Ø এসসিইআরটি-তে বিভিন্ন ধরণের সমীক্ষা চালানো, মূল্যায়ণের জন্য বিভিন্ন উপাদান এবং তথ্য সংগ্রহ করে সেই তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রতিবেদন তৈরির জন্য একটি অ্যাসেসমেন্ট সেল গড়ে তোলা হবে।
Ø প্রাক-প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরে বিআরসি এবং সিআরসি-কে বিভিন্নভাবে সাহায্য করা হবে।
Ø সরকারি এবং সরকার পোষিত বিদ্যালয়গুলিতে বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে সাহায্য করা হবে।
Ø শ্রেণীকক্ষে বৃত্তিমূলক শিক্ষার জন্য কর্মশালার আয়োজন করা হবে। এখানে অন্যান্য স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা থাকবেন। এক্ষেত্রে যাতায়াত এবং মূল্যায়ণ বাবদ স্কুল যে টাকা ব্যয় করবে, সেই অর্থ অনুদান বাবদ দেওয়া হবে।
Ø তথ্য, যোগাযোগ প্রযুক্তি, পরীক্ষাগার, অত্যাধুনিক শ্রেণীকক্ষ যেখানে ডিজিটাল বোর্ড, ডিটিএইচ চ্যানেল সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকবে।
Ø সরকার এবং সরকার পোষিত ছাত্রছাত্রীদের জন্য চাইল্ড ট্র্যাকিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
Ø প্রতি বছর স্কুলগুলিতে ২০ শতাংশ অর্থ সামাজিক নানা উদ্যোগে ব্যয় করতে হবে। সব স্কুলকে ৫ বছরের মধ্যে এই ব্যবস্থায় যুক্ত করতে হবে।
কৌশল গ্রহণ এবং লক্ষ্য অর্জন
রাজ্যস্তরে একটিমাত্র সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন করা হবে। জাতীয় স্তরে স্কুলশিক্ষা ও স্বাক্ষরতা দপ্তরের সচিবের নেতৃত্বে একটি প্রকল্প অনুমোদন পর্ষদ কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করবে। বিদ্যালয়গুলির গর্ভনিং কাউন্সিল প্রয়োজনে আর্থিক নিয়মাবলী পরিবর্তন করতে পারবে। বিদ্যালয় শিক্ষার মানোন্নয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা হবে।
এই প্রকল্পের সুবিধা সকলে যাতে পায় তার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক একটি মঞ্চের ব্যবস্থা করা হবে যাতে ছাত্রছাত্রীরা প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের সুফল পেতে পারে।
এই প্রকল্পে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সরকারি এবং সরকার পোষিত ১১ লক্ষ ৬০ হাজার বিদ্যালয়ের ১৫ কোটি ৬০ লক্ষ ছাত্রছাত্রী এবং ৫৭ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা যুক্ত হবেন। উন্নতমানের সমন্বিত শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক-অভিভাবিকা, স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি, এসসিইআরটি, ডিআইইটি, বিআইইটি, ব্লক রিসোর্স পার্সন, ক্লাস্টার রিসোর্স পার্সন এবং স্বেচ্ছাসেবকদের এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হবে। ২০২০র জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব
এই অভিযানের মাধ্যমে বিদ্যালয় শিক্ষাকে সর্বজনীন করে তোলা হবে। পিছিয়ে পরা গোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে। সর্বস্তরে স্কুল শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটানো হবে। এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হল রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নানাভাবে সাহায্য করা।
১) ২০২০র জাতীয় শিক্ষা নীতিকে বাস্তবায়নের জন্য সব রকমের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
২) ২০০৯ সালের শিক্ষার অধিকার অনুযায়ী বিনামূল্যে বাধ্যতামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩) শৈশবের প্রথম অবস্থাতেই শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪) মৌলিক স্বাক্ষরতা ও গণনা করার ক্ষমতা গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হবে।
৫) একবিংশ শতাব্দীর সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সামগ্রিক সর্বাত্মক পাঠক্রম ও শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
৬) ছাত্রছাত্রীদের উন্নতমানের শিক্ষার ব্যবস্থা করা ছাড়াও তারা যাতে শিক্ষা ব্যবস্থার সুফল আরও বেশি করে পায় তারজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৭) বিদ্যালয় শিক্ষায় সামাজিক ব্যবধান ও লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা হবে।
৮) বিদ্যালয়ে সর্বস্তরে সাম্য এবং সর্বাত্মক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
৯) এসসিইআরটি, বিআইটি-র মাধ্যমে রাজ্য ও জেলা স্তরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
১০) বিদ্যালয়ে নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং সার্বিক শিক্ষা গ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
১১) বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে উৎসাহিত করতে হবে।
আত্মনির্ভর ভারত
জাতীয় উন্নয়নে মৌলিক দক্ষতাকে স্বীকৃতি দিয়ে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের আওতায় ন্যাশনাল ফাউন্ডেশনাল লিটারেসি অ্যান্ড নিউম্যারেসি মিশনের সূচনা করা হবে। ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের মধ্যে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়া প্রতিটি ছাত্রছাত্রী যাতে মৌলিক স্বাক্ষরতা এবং গণনা করার ক্ষমতা অর্জন করে সেটি নিশ্চিত করা হবে। সমগ্র শিক্ষার আওতায় ৫ জুলাই নিপূণ ভারত কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে শুরু হওয়া বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে :
রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সহায়তায় কেন্দ্রের সাহায্যপ্রাপ্ত এই প্রকল্প ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে। সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পের কিছু সাফল্য :
২০১৮-১৯ থেকে ২০২০-২১এর মধ্যে ১১৬০টি বিদ্যালয়ের মানোন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। এইসব স্কুলগুলিকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করা হয়েছে। ৫৪টি নতুন আবাসিক বিদ্যালয় খোলা হয়েছে। ৪১১৮০টি বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন করা হয়েছে। ১৩ লক্ষ ৫১ হাজার স্কুলে গ্রন্থাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৩ লক্ষ ১৪ হাজার স্কুলে বিভিন্ন ক্রীড়া সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে ১২,৬৩৩টি স্কুলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৫৫৭৯টি স্কুলে বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৭৮৩টি স্কুল উচ্চ প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরে, ৯২৫টি উচ্চ প্রাথমিক স্কুল উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করা হয়েছে। ছাত্রীদের জন্য বিদ্যালয়ে মোট ১১৫৬২টি পৃথক শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ছাত্রছাত্রীকে প্রাথমিক স্তরে বিশেষ ধরণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৪ লক্ষ ২৪ হাজার ছাত্রছাত্রীকে স্কুলে নিয়ে আসা এবং বাড়িতে পাঠানোর জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৬ কোটি ৯৬ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে বিনামূল্যে ইউনিফর্ম দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক স্তরে ৮ কোটি ৭২ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হয়েছে। ৭৪ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে লেখাপড়ার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। ১৪ লক্ষ ৫৮ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ৬৯১৭৩টি স্কুলে ছাত্রীদের আত্মরক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ৩ লক্ষ ৭৯ হাজার ছাত্রীকে বিশেষ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। ২৩,১৮৩ জন স্পেশাল এডুকেটরকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৫ লক্ষ ৭ হাজার ছাত্রছাত্রীকে প্রাথমিক স্তরে বিশেষ ধরণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ছাত্রছাত্রীকে স্কুলে নিয়ে আসা এবং বাড়িতে পাঠানোর জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৬ কোটি ৮৯ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে বিনামূল্যে ইউনিফর্ম দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক স্তরে ৮ কোটি ৭৮ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হয়েছে। ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে লেখাপড়ার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। ২৮ লক্ষ ৮৪ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ১,৬৬,৫২৮টি স্কুলে ছাত্রীদের আত্মরক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ৩ লক্ষ ২২ হাজার ছাত্রীকে বিশেষ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। ২৪,০৩০ জন স্পেশাল এডুকেটরকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৩ লক্ষ ২৩ হাজার ছাত্রছাত্রীকে প্রাথমিক স্তরে বিশেষ ধরণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২ লক্ষ ৪১ হাজার ছাত্রছাত্রীকে স্কুলে নিয়ে আসা এবং বাড়িতে পাঠানোর জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৬ কোটি ৫৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে বিনামূল্যে ইউনিফর্ম দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক স্তরে ৮ কোটি ৮৪ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হয়েছে। ১ কোটি ৪৪ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে লেখাপড়ার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। ১৪ লক্ষ ৩২ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ৮১,২৮৮টি স্কুলে ছাত্রীদের আত্মরক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ছাত্রীকে বিশেষ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। ২২,৯৯০ জন স্পেশাল এডুকেটরকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
প্রেক্ষাপট :
২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটে স্কুল শিক্ষাকে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত কোনো বৈষম্য ছাড়াই সামগ্রিক উন্নতির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার সূচনা করা হয় । এর মাধ্যমে সর্বশিক্ষা অভিযান, রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান এবং টিচার এডুকেশনের মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হয়েছে। যার মূল উদ্দেশ্য হল ২০২০র জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী দেশের প্রতিটি শিশুকে উন্নত মানের শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ গড়ে তোলা।
CG/CB/NS
(Release ID: 1742531)
Visitor Counter : 1529
Read this release in:
Hindi
,
Odia
,
Kannada
,
English
,
Urdu
,
Marathi
,
Assamese
,
Manipuri
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Tamil
,
Telugu
,
Malayalam