PIB Headquarters
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ
Posted On:
08 DEC 2020 5:36PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২০
ভারতে ৫ মাস পর দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় রেকর্ড নিম্নগতি; সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ শতাংশের নীচে নেমে এসে ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার; মৃত্যুর সংখ্যাও লাগাতার কমছে; দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৪০০-রও কম
কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত আরও একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জন করেছে। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫ মাস পর ২৭ হাজারের নীচে নেমে এসে ২৬ হাজার ৫৬৭ হয়েছে। গত ১০ই জুলাই দৈনিক-ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৫০৬। দৈনিক-ভিত্তিতে কোভিডে সুস্থতার সংখ্যা বাড়তে থাকায় এবং মৃত্যু হার কমতে থাকায় দেশে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও ক্রমশ কমছে। আরও একটি সাফল্য হিসাবে ভারতে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের হার আজ ৪ শতাংশের নীচে নেমেছে। এই হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে ৩.৮৩ শতাংশ হয়েছে। দেশে এখন সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ৮৬৬, যা মোট আক্রান্তের কেবল ৩.৯৬ শতাংশ। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৩৯ হাজার ৪৫ জন সুস্থ হয়েছেন। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও গত ২৪ ঘন্টায় ১২ হাজার ৮৬৩ জন কমেছে। দৈনিক-ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা সুস্থতার তুলনায় কমতে থাকায় জাতীয় স্তরে আরোগ্যলাভের হার আজ বেড়ে হয়েছে ৯৪.৫৯ শতাংশ। দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ৯১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৯৪৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় আরোগ্যলাভকারীদের ৭৬.৩১ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। মহারাষ্ট্র থেকে একদিনেই সর্বাধিক ৭ হাজার ৩৪৫ জন আরোগ্যলাভ করেছেন। কেরল থেকে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৭০৫ জন। একইভাবে, দিল্লি থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন ৩ হাজার ৮১৮ জন। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্তদের ৭২.৫০ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। কেরল থেকে একদিনেই সর্বাধিক রেকর্ড ৩ হাজার ২৭২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৫ এবং পশ্চিমবঙ্গে গতকাল আরও ২ হাজার ২১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাজনিত কারণে ৩৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫.৫৮ শতাংশই মারা গেছেন ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। দিল্লি থেকে সর্বাধিক ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে মারা গেছেন ৪৮ জন। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের।
দেশে দৈনিক-ভিত্তিতে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ নিম্নমুখী। এই প্রবণতা বজায় থেকে গত ২৪ ঘন্টায় ৪০০ জনেরও কম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
ডঃ হর্ষ বর্ধন : কোভিড-১৯ টিকা তৈরিতে ভারত সামনের সারিতে
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ভূবিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, ডিএসটি-সিআইআই ভারত-পর্তুগাল প্রযুক্তি সম্মেলন ২০২০ যা সহযোগী দেশ হিসেবে পর্তুগালের সঙ্গে একটি পতাকাবাহী অনুষ্ঠান, ‘ভারতে প্রায় ৩০টি টিকা প্রস্তুতির বিভিন্ন স্তরে আছে। তার মধ্যে ২টি প্রস্তুতির প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে- আইসিএমআর ভারত বায়োটেক যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে কোভ্যাকসিন এবং সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কোভিশিল্ড ক্লিনিকাল ট্রায়াল পর্যায়ে ২টিই তৃতীয় পর্বে আছে। আমাদের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান- দ্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ যুক্ত আছে এদের ট্রায়াল পরীক্ষায়। ভারত সব প্রধান টিকা নির্মাতাদের ক্লিনিকাল ট্রায়ালও চালাচ্ছে। বিশ্বে বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তৈরি টিকার ট্রায়াল চালাচ্ছে। জাইডাস ক্যাডিলাও দেশে তৈরি ডিএনএ টিকার দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়াল চালাচ্ছে। আমাদের অন্যতম বড় ওষুধ কোম্পানী ডঃ রেড্ডিজ ল্যাবরেটরিজ মানবদেহে চূড়ান্ত পর্যায়ে পরীক্ষা চালানোর পর এবং নিয়ন্ত্রকের অনুমোদন পাওয়ার পর ভারতে রুশ টিকা বিতরণ করবে।’ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জানিয়েছেন যে বিশ্বে শীর্ষ স্থানীয় ১০টি দেশের মধ্যে ভারত অন্যতম রোগীর সংখ্যায়। কোভিড সমস্যায় ভারতের লড়াইয়ের প্রয়াসকে তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সরকারের সাহায্যে ১০০টির বেশি স্টার্ট আপ কোভিড-১৯এ সমস্যা অতিক্রমের উদ্ভাবনীয় পণ্য ও সমাধান দিয়েছে।’ ডঃ হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, ‘শিখর সম্মেলন সরকার এবং শিল্পের মধ্যে কার্যকরী অংশীদারিত্বের প্রতিফলন দেশের জন্য শক্তিশালী প্রযুক্তিগত পরিবেশ তৈরির জন্য।’ মন্ত্রী বলেন, ‘এই সহযোগিতার পরবর্তী অধ্যায় হবে মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম মেধার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ভিত্তিতে নতুন সমাধানকে উৎসাহ দেওয়া।’ তিনি ভারত এবং পর্তুগালের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহু বছরের সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য রাখেন। ডঃ হর্ষবর্ধন আশা প্রকাশ করে বলেন যে, আলাপচারিতা ভালো সুযোগ দেবে অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলিকে স্বাস্থ্য পরিষেবা, জল, কৃষি, শক্তি এবং তথ্য প্রযুক্তির মতো নানা ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক লগ্নির জন্য সুবিধা খুঁজতে। পর্তুগাল সরকারের বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী অধ্যাপক ম্যানুয়েল হেইটর মাননীয় অতিথি হিসেবে মুখ্য ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ‘এটাই বন্ধুত্বের সময়। ভারতের সঙ্গে আমাদের মৈত্রী শক্তিশালী। আমাদের দুজনের প্রয়োজন এই সংকট থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানের ওপর আস্থা রাখা।’ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব অধ্যাপক আশুতোষ শর্মা এই শিখর সম্মেলনে এত দিন ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক দ্বিপাক্ষিক লেনদেনের যে সুবিধা হয়েছে তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন যে, ভারতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরিবেশ বিকশিত হয়েছে নীতির ওপর নজর ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায়, যা গতি পেয়েছে বেশ কয়েক বছরের অর্থনৈতিক সংস্কার এবং ঐতিহাসিক উদ্যোগে।
ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস ২০২০-তে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চ্যুয়াল ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস (আইএমসি) ২০২০-তে উদ্বোধনী ভাষণ দেন। এবারের ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস ২০২০-র মূল ভাবনা হ’ল : সুসংবদ্ধ উদ্ভাবন – আধুনিক, নিরাপদ ও সুস্থায়ী। আত্মনির্ভর ভারত, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি তথা সুস্থায়ী উন্নয়ন, শিল্পোদ্যোগ ও উদ্ভাবনের প্রসারে প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এবারের মোবাইল কংগ্রেসের মূল ভাবনার সঙ্গতি রয়েছে। এছাড়াও, মোবাইল কংগ্রেসে ভারতে টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ, গবেষণা ও উন্নয়নে উৎসাহদান এবং উদীয়মান প্রযুক্তি ক্ষেত্রের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ভারতকে টেলি সরঞ্জাম, নক্শা নির্মাণ, উন্নয়ন ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে গ্লোবাল হাব হিসাবে গড়ে তুলতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নিরন্তর অগ্রগতির দরুণ নিয়মিতভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিন গেজেট বা উপকরণ বারবার পাল্টে ফেলার প্রবণতা দেখা দিইয়েছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী অতিথিদের, বৈদ্যুতিন বর্জ্যের সুষ্ঠু পরিচালনা এবং এ সম্পর্কিত একটি চক্রাকার অর্থ-ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বলেন। ভারতে যাতে শীঘ্রই ৫জি পরিষেবা চালু করা যায়, তার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে লক্ষ লক্ষ ভারতীয়র ক্ষমতায়নে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কিভাবে জীবনযাপনের মানোন্নয়ন করা যায়, তথা আধুনিক প্রযুক্তিগত বিপ্লবের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা যায়, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা, আধুনিক শিক্ষা, বিশ্বাসযোগ্য তথ্য, কৃষকদের জন্য আরও সুযোগ-সুবিধা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য আরও ভালো বিপণের সুবিধার মতো বিষয়গুলি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে। টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবল তাঁদের উদ্ভাবন ও আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই মহামারী সত্ত্বেও বিশ্বে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় স্বাভাবিক ছন্দ বজায় থেকেছে। কেবল আন্তরিক প্রচেষ্টার দরুণ একটি ছেলে তার মায়ের সঙ্গে অন্য শহরে যোগাযোগ রাখতে পেরেছে, একজন পড়ুয়া তার শিক্ষকের কাছ থেকে শ্রেণীকক্ষে উপস্থিত না হয়েই শিক্ষা পেয়েছে। একজন রোগী বাড়ি থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ পেয়েছেন। এমনকি, একজন ব্যবসায়ীও অন্য ভৌগোলিক অঞ্চলের ক্রেতাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছেন।
ইন্ডিয়ান মোবাইল কংগ্রেস – এ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মূল অংশ
বিনিয়োগ ভারতকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিনিয়োগ ভারতকে 'রাষ্ট্রসংঘ বিনিয়োগ প্রচার-২০২০' পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট, ইউএনসিটিএডি এই পুরস্কার দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আজ এক ট্যুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ইউএনসিটিএডি দ্বারা প্রদত্ত জাতিসংঘের বিনিয়োগ প্রচার পুরস্কার-২০২০ জয়ের জন্য বিনিয়োগ ভারতকে অভিনন্দন। এই পুরস্কার ভারতকে বিশ্বের পছন্দের বিনিয়োগের গন্তব্য এবং ব্যবসায় স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়ে সরকারের ইতিবাচক মনোভাবের প্রমাণ করে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘ ২০২০-র ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন পুরস্কার জয়ী হিসাবে ইনভেস্ট ইন্ডিয়ার নাম ঘোষণা করেছে
রাষ্ট্রসঙ্ঘ ২০২০-র ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন পুরস্কার জয়ী হিসাবে ইনভেস্ট ইন্ডিয়া – জাতীয় বিনিয়োগ প্রসার এজেন্সির নাম ঘোষণা করেছে। জেনেভায় সোমবার রাষ্ট্রসংঘের সিটিএডি সংস্থার সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের মহামান্য আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল- থানির টেলিফোনে কথোপকথন
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আজ কাতারের মহামান্য আমির শেখতামিম বিন হামাদ আল-থানির টেলিফোনে কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কাতারের আসন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রত্যুত্তরে কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে বলেছেন, সেখানকার ভারতীয়রা যে উৎসাহ নিয়ে কাতারের জাতীয় দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছেতা প্রশংসনীয়। সাম্প্রতিক দীপাবলি উৎসবের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকেআন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
দুই নেতা দু'দেশের মধ্যে বিনিয়োগের ধারা অব্যাহত রাখা এবং জ্বালানি সুরক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কাতার বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের ভারতে বিনিয়োগ আরও সহজ করার জন্য দুই নেতা একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর পাশাপাশি ভারতে কাতারের বিনিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোনে কথা
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। ফ্রান্সে জঙ্গি হানায় প্রাণহানির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রঁকে তাঁর সমবেদনা জানিয়েছেন এবং সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের লড়াইয়ে ভারতের পূর্ণ সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। উভয় নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে স্বল্প মূল্যের ও আয়ত্বাধীন কোভিড-১৯ টিকার উদ্ভাবন, কোভিড পরবর্তী সময়ে অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন, ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতা, সামুদ্রিক বাণিজ্যের নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, ডিজিটাল অর্থনীতি, সাইবার নিরাপত্তা, বহুস্তরীয় ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে পারস্পরিক সহযোগিতা ও জৈব বৈচিত্র্য রক্ষা। উভয় নেতা আলোচনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি ভারত-ফ্রান্সের মধ্যে দৃঢ় কৌশলগত অংশিদারিত্বের আবহে, তারা কোভিড পরবর্তী সময়ে একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রঁকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
উপ-রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের অব্যবহিত পরেই ইলুরুতে তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় চিকিৎসক দল পাঠানো হচ্ছে
অন্ধ্রপ্রদেশের ইলুরুতে গত কয়েকদিন ধরে শিশুদের মধ্যে অজানা অসুখ ছড়িয়ে পড়ায় তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুদের মধ্যে এ ধরনের অসুখের ব্যাপারে জানতে পেরে উপ-রাষ্ট্রপতি শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু গতকাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধনের সঙ্গে কথা বলেন। দু’জনের মধ্যে কথা হওয়ার পর কেন্দ্র ইলুরুতে ৩ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল অবিলম্বে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইলুরুতে অজানা অসুখে ৩০০ জনেরও বেশি শিশু আক্রান্ত। এই প্রেক্ষিতে উপ-রাষ্ট্রপতি বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে জেলাশাসকের সঙ্গে পশ্চিম গোদাবরীর কথা বলেছেন। এরপর তিনি মঙ্গলাগিরি এইমস্ – এর অধিকর্তা এবং পরে দিল্লির এইমস্ – এর অধিকর্তার সঙ্গেও শিশুদের মধ্যে এই অসুস্থতার ব্যাপারে কথা বলেছেন। পরে, উপ-রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়, অসুস্থ শিশুদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। ডাঃ হর্ষবর্ধনের সঙ্গে কথা বলে উপ-রাষ্ট্রপতি তাঁকে অসুস্থ শিশুদের উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও এইমস্ –এর অধিকর্তা উপ-রাষ্ট্রপতিকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, অসুস্থ ঐ শিশুদের রক্তের নমুনা রিপোর্ট পাওয়ার পরই অবিলম্বে উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান শুরু করা হবে। আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে হাঁচি, কাশি, তন্দ্রাচ্ছন্ন, মাথা যন্ত্রণা ও বমির উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য
· আসাম : রাজ্যে আরও ১৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার ১৩১ জন আরোগ্য লাভ করেছেন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৯৯৫ জনের।
· কেরল : কোভিড নীতি-নির্দেশিকা মেনে রাজ্যে আজ ত্রিস্তরীয় স্থানীয় স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলির নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর রাজ্যে এটি প্রথম নির্বাচন। পোস্টাল ব্যালটের পাশাপাশি, কোভিড-১৯ রোগীদেরকেও ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অবশ্য, সাধারণ ভোটদাতাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার পর তাঁদের ভোটের ব্যবস্থা করা হয়।
· তামিলনাডু : কৃষক বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আজ প্রায় ৫০ শতাংশ দোকান-বাজারই বন্ধ ছিল। রাজ্যে সোমবার আরও ১ হাজার ৩১২ জন নতুন করে আক্রান্ত হওয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৭ লক্ষ ৯১ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৮০৯ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৭ লক্ষ ৬৯ হাজারেরও বেশি।
· কর্ণাটক : কর্ণাটক হাইকোর্ট রাজ্যে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজ্যকে ১০ দিনের মধ্যে বিস্তারিত জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
· অন্ধ্রপ্রদেশ : পশ্চিম গোদাবরী জেলার ইলুরুতে শিশুদের মধ্যে রহস্যজনক অসুস্থতার কারণ চিহ্নিত করতে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ-খবর নিয়েছেন। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এইমস্ – এর একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল নমুনা পরীক্ষার দায়িত্বে রয়েছে। প্রাপ্ত রিপোর্টে জানা গেছে আক্রান্ত শিশুদের রক্তের নমুনায় সিসা ও নিকেলের উপাদান রয়েছে। তবে, এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পেতে খানিকটা সময় লাগবে। এদিকে রহস্যজনক এই অসুস্থতার কারণ খুঁজে বের করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২ জন প্রতিনিধি ইলুরুতে এসে পৌঁছেছেন।
· তেলেঙ্গানা : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৬৮২ জন সংক্রমিত হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৭৭ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৬৫ হাজারেরও বেশি।
· মহারাষ্ট্র : রাজ্যে দৈনিক-ভিত্তিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেলেও মুম্বাই পুর নিগম এলাকায় এই সংখ্যা বেড়েছে। রাজ্যের মুম্বাই পুর নিগম এলাকা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত। গতকাল এই এলাকা থেকে আরও ৩ হাজার ৭৫ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।
· গুজরাট : করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে আমেদাবাদে নৈশকালীন কার্ফিউ – এর মেয়াদ সোমবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গত ২৩শে নভেম্বর থেকে ৮ই ডিসেম্বর পর্যন্ত নৈশকালীন কার্ফিউ কার্যকর করা হয়েছিল। সোমবার সকালে এক নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে নৈশকালীন কার্ফিউ – এর মেয়াদ পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানানো হয়।
· রাজস্থান : রাজ্যে সোমবার আরও ১৯ জনের মৃত্যু হওয়ায় করোনাজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৪৪৮ হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৮২ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে, সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৫৮ হাজারেরও বেশি। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজার ৭১।
· মধ্যপ্রদেশ : রাজ্য রাজধানী ভোপালে বাজার এবং ইন্দোরে বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলিতে স্বাভাবিক কাজকর্মে জারি নিষেধাজ্ঞায় সোমবার থেকে আরও কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, দোকান-বাজারগুলি রাত ৮টার পরিবর্তে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এদিকে রাজ্যে সোমবার আরও ১ হাজার ৩০৭ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে, সংক্রমিতের সংখ্যা ২ লক্ষ ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হওয়ায় করোনাজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ২৪৫ হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ৯৯ হাজারেরও বেশি।
· ছত্তিশগড় : রাজ্যে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষার মাশুল কমানো হয়েছে। নতুন এই মাশুল হার সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল ও রোগ-নির্ণয় কেন্দ্রগুলিতে অবিলম্বে কার্যকর হচ্ছে। এই মর্মে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর নির্দেশিকা জারি করেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষার খরচ ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৭৫০ টাকা করা হয়েছে।
· গোয়া : রাজ্যে সোমবার আরও ৯০ জন আক্রান্ত হওয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ছাড়িয়েছে। আরও ৩ জনের মৃত্যু হওয়ায় রাজ্যে করোনাজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০১ হয়েছে। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২৯৭। সোমবার আরও ১ হাজার ৫৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
***
CG/BD/SB
(Release ID: 1679203)
Visitor Counter : 364