PIB Headquarters

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

Posted On: 20 NOV 2020 5:55PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২০ নভেম্বর,  ২০২০

 

চারটি রাজ্যে উচ্চপর্যায়ের কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছে; অন্যান্য রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে; চিহ্নিত করা যায়নি এমন এবং বাদ পড়ে যাওয়ার রোগীদের খুঁজে বের করে নমুনা পরীক্ষার হার আরও বাড়াতে রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পরামর্শ কেন্দ্রের; অধিক সংখ্যায় নমুনা পরীক্ষা আক্রান্তের হার কমাতে সাহায্য করে; সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের হার মোট আক্রান্তের ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে

কেন্দ্রীয় সরকার হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাট ও মণিপুরে চারটি উচ্চপর্যায়ের কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েছে। এই কেন্দ্রীয় দলগুলি সংশ্লিষ্ট চারটি রাজ্যের সেই সমস্ত জেলায় যাবে যেখানে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা এখনও অধিক। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় দলগুলি কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারগুলির প্রচেষ্টাকে আরও সুদৃঢ় করতে যাবতীয় সাহায্য দেবে। কেন্দ্রীয় সরকার আরও কয়েকটি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি দল পাঠানোর ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করছে। যে রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের হার তুলনামূলক বেশি, সেখানে এই দলগুলি পাঠানো হবে। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার চিহ্নিত করা যায়নি এমন কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অথবা বাদ পড়ে যাওয়া রোগীদের দ্রুত খুঁজে বের করে নমুনা পরীক্ষা করার আগ্রাসী নীতি গ্রহণে রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পরামর্শ দিয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে যে সময়মতো আক্রান্তদের খুঁজে বের করা সম্ভব হলে সংক্রমণ কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব। ভারতে আজ পর্যন্ত ১২ কোটি ৯৫ লক্ষ ৯১ হাজার ৭৮৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ১০ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। অধিক সংখ্যায় নমুনা পরীক্ষার ফলে আক্রান্তের হার কমানো সম্ভব হয় এবং বাদ পড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণে সুবিধা হয়। দেশে জাতীয় স্তরে আজ করোনায় আক্রান্তের হার ৬.৯৫ শতাংশ। তাই, অধিক সংখ্যায় নমুনা পরীক্ষার ফলে আক্রান্তের হার নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। দেশে ৩৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় ১৪০টি করে নমুনা পরীক্ষার যে হার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) স্থির করে দিয়েছে, তার তুলনায় অনেক বেশি। ২০টি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আক্রান্তের হার জাতীয় গড় হার ৬.৯৫ শতাংশের তুলনায় কম। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৪৫,৮৮২ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে বর্তমানে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭৯৪ যা মোট আক্রান্তের কেবল ৪.৯৩ শতাংশ। ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট আক্রান্তের ৭৮.২ শতাংশই রয়েছেন। তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে মহারাষ্ট্র, যেখানে মোট আক্রান্তের ১৮.১৯ শতাংশই রয়েছেন। দেশে আজ ২৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের কম। ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৪৪,৮০৭ জন আরোগ্য লাভ করেছেন। এর ফলে, সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৪০৯। একইভাবে, আজ সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৩.৬০ শতাংশ। সুস্থতার সংখ্যা এবং সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে ফারাক বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৭৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬১৫-তে। ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আরোগ্য লাভের হার ৭৮.০২ শতাংশ। কেরল থেকে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক ৬,৮৬০ জন আরোগ্য লাভ করেছেন। দিল্লি থেকে একদিনেই সুস্থতার সংখ্যা ৬,৬৮৫। মহারাষ্ট্র থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন ৫,৮৬০। সদ্য করোনায় আক্রান্তদের ৭৭.২০ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। দিল্লি থেকে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক ৭,৫৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। কেরল থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৭২২ এবং মহারাষ্ট্র থেকে গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৫৩৫।  দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাজনিত কারণে ৫৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৮১.৮৫ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। সর্বাধিক ১৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। দিল্লি থেকেই মারা গেছেন ৯৩ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1674303  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

৫০ হাজারের বেশি আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য ও রোগীকল্যাণ কেন্দ্র চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের আরও একটি মাইলফলক অর্জন; এই সাফল্যে ডঃ হর্ষ বর্ধন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন

সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে ভারত সাফল্যের আরও একটি মাইলফলক অর্জন করেছে। দেশে ৫০ হাজারের বেশি (৫০,০২৫) আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য ও রোগীকল্যাণ কেন্দ্র চালু হয়েছে। এ ধরনের স্বাস্থ্য ও রোগীকল্যাণ কেন্দ্র চালু করার উদ্দেশ্যই হল সুসংহত প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা সাধারণ মানুষের বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। ২০২২-এর ডিসেম্বর নাগাদ আরও ১ লক্ষ ৫০ হাজার এ ধরনের রোগীকল্যাণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। ৫০ হাজারের বেশি রোগীকল্যাণ কেন্দ্র চালু হওয়ায় ধার্য লক্ষ্যমাত্রার এক-তৃতীয়াংশ পূরণ হল। এই স্বাস্থ্য ও রোগীকল্যাণ কেন্দ্রগুলি চালু হওয়ার ফলে দেশের ২৫ কোটির বেশি মানুষের কাছে সুলভে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। কোভিড-১৯ মহামারীজনিত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও স্বাস্থ্য ও রোগীকল্যাণ কেন্দ্রগুলি চালু করার ক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সর্বস্তরে যৌথ প্রচেষ্টার ফলে এই রোগীকল্যাণ কেন্দ্রগুলি চালু করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে, স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা সাধারণ মানুষের আরও কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে ডঃ হর্ষ বর্ধন অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও রোগীকল্যাণ কেন্দ্রগুলির সঙ্গে যুক্ত সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী বিশেষ করে, আশাকর্মীরা কোভিড-১৯-এর সময় দৃষ্টান্তমূলক অবদান রেখেছেন। এই আশাকর্মীরা কোভিড-১৯ ভীতি সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলির পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোভিড-বহির্ভূত বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। এতে বিশেষ করে লাভবান হয়েছেন সদ্যজাত, বয়স্ক ও প্রবীণ ব্যক্তিরা। উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১৮ সালে আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির সূচনা হয়। এই কর্মসূচির দুটি স্তম্ভ রয়েছে। এগুলি হল – স্বাস্থ্য ও রোগীকল্যাণ কেন্দ্র এবং প্রধানমন্ত্রী জন-আরোগ্য যোজনা। দেশের প্রথম আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য ও রোগীকল্যাণ কেন্দ্রের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৮-র ১৪ এপ্রিল। ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় ঝাংলাতে এই কেন্দ্রটির সূচনা হয়। স্বাস্থ্য ও রোগীকল্যাণ কেন্দ্রগুলি স্থানীয় মানুষকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পরিবার পরিকল্পনা ও পরিকল্পিত উপায়ে গর্ভধারণ, মাতৃত্বকালীন সুযোগ-সুবিধা, সদ্যজাতদের স্বাস্থ্য পরিষেবা, বয়ঃসন্ধিকালীন ছেলে-মেয়েদের পুষ্টি পরিষেবা প্রভৃতি। এছাড়াও, এ ধরনের কেন্দ্রগুলি থেকে জটিল এবং অসংক্রামক রোগ-ব্যাধির প্রতিরোধেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা হয়। সুস্থ জীবনযাপনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টির গুরুত্ব সহ যোগচর্চার মতো দৈনিক শরীরচর্চার ব্যাপারেও এই কেন্দ্রগুলি থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রতিটি স্বাস্থ্য ও রোগীকল্যাণ কেন্দ্রে একজন প্রশিক্ষিত কমিউনিটি স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ এক বা দু'জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং পাঁচ থেকে আটজন আশাকর্মী থাকেন। এঁরা সকলে মিলে গ্রামে গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেন। আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য ও রোগীকল্যাণ কেন্দ্র ৬৭৮টি জেলাতেই চালু হয়েছে। এছাড়াও এই জেলাগুলিতে ২৭,৮৯০টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ১৮,৫৩৬টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ৩,৫৯৯টি শহরাঞ্চল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। স্বাস্থ্য ও রোগীকল্যাণ কেন্দ্রের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার দরুণ ২৮ কোটি ১০ লক্ষের বেশি মানুষ লাভবান হয়েছেন যার মধ্যে ৫৩ শতাংশের বেশি মহিলা। এমনকি, ১ কোটির বেশি মানুষকে বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপজনিত ওষুধ ও পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1674243  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

আয়ুষ-জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের সহযোগিতায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে আরও অগ্রগতির নতুন সীমায় পৌঁছে দিয়েছে

আয়ুষ মন্ত্রক এবং জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের সহযোগিতায় পরিচালিত ভারতে প্রাণী জগতের ওপর সার্স-কভ-২ ভাইরাসের বিষয়ে সমীক্ষার কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই গবেষণা দেশে কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত সর্বোত্তম পর্যায়ে গবেষণামূলক কাজের একটি। প্রাণী জগতের ওপর সমীক্ষার ক্ষেত্রে দুই দপ্তরের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্রটি ফার্মাকোলজি সংক্রান্ত বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হবে। এই সমীক্ষার মাধ্যমে সার্স-কভ-২ ভাইরাস/কোভিড-১৯ গবেষণার ক্ষেত্রে দেশ এক অনন্য সাফল্য অর্জন করতে চলেছে। এই সমীক্ষায় হতে চলেছে ভারতের প্রথম অ্যান্টি সার্স-কভ-২ ভাইরাস সমীক্ষা। 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1674350  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

ভবিষ্যতে ব্যয়সাশ্রয়ী ও উদ্ভাবনী স্বাস্থ্য পরিচর্যা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে : শ্রী পীযূষ গোয়েল

কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল হাসপাতাল, চিকিৎসক ও করোনা যোদ্ধাদের প্রশংসা করে বলেছেন, এরা সকলেই যথার্থ সম্মান ও শ্রদ্ধার দাবি রাখেন, যা একটি জাতি হিসাবে আমাদের সেই সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখানো কর্তব্য। বণিকসভা সিআইআইএস এশিয়া হেলথ ২০২০ শিখর সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে শ্রী গোয়েল বলেন, চিকিৎসক ও করোনা যোদ্ধাদের আত্মবলিদান ব্যর্থ হবে না। কোভিড টিকা সম্পর্কে শ্রী গোয়েল বলেন, দেশীয় পদ্ধতিতে উদ্ভাবিত টিকাউলির গুণমান যাচাইয়ের কাজ জোরকদমে এগিয়ে চলেছে। ১৩০ কোটিরও বেশি ভারতীয়কে উপযুক্ত কোভিড স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সুনিশ্চিত করতে আমাদের সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1674415  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

ভারতীয় শিল্প মহাসংঘ সিআইআইএস জাতীয় পরিষদে ভাষণ দিলেন ডাঃ হর্ষবর্ধন

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতীয় শিল্প মহাসংঘ সিআইআইএস জাতীয় পরিষদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। বিভিন্ন পক্ষকে এক মঞ্চে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সিআইআইএস – এর প্রচেষ্টার প্রশংসা করে ডাঃ হর্ষবর্ধন বলেন, এই মঞ্চ ভারত সরকারকে প্রত্যেকের বৃহত্তর অর্থে সমগ্র বিশ্ববাসীর কল্যাণে মহামারীর মতো বিভিন্ন বিষয়গুলি আলোচনা ও মতবিনিময়ের সুযোগ করে দিয়েছে। মুনাফা ও কর্মসংস্থানের দিক থেকে ভারতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্র বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ একটি ব্যবস্থা এবং দেশে এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিমাণ ২০২২ নাগাদ তিন গুণ বেড়ে ৮.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে। 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1674406  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২২ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের বিন্ধ্যাচল অঞ্চলে একটি গ্রামীণ পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরপ্রদেশের বিন্ধ্যাচল অঞ্চলের মির্জাপুর ও সোনভদ্র জেলায় আগামী ২২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গ্রামীণ পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। প্রধানমন্ত্রী ওই দিন গ্রামীণ  জল ও স্যানিটেশন কমিটি এবং জল কমিটির সদস্যদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীযোগী আদিত্যনাথ ওই  অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২৯৯৫ টি গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে নল বাহিত পানীয় জল সংযোগ দেওয়া হবে এবং এতে প্রায় ৪২ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। জল ও স্যানিটেশন কমিটি এবং পানী সমিতির মাধ্যমে এই জল প্রকল্পের পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এই প্রকল্প গুলির মোট আনুমানিক ব্যয় ৫,৫৫৫.৩৮ কোটি টাকা। এই প্রকল্প ২৪ মাসের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৯ সালের ১৫ ই আগস্ট লালকেল্লার প্রাকার থেকে জল জীবন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে বলেছিলেন যে, ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের সমস্ত গ্রামীণ এলাকায় নল বাহিত পানীয় জল সরবরাহ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার সময় ১৮.৯৩ কোটি গ্রামীণ পরিবারের মধ্যে মাত্র ৩.২৩  কোটি অর্থাৎ ১৭ শতাংশ পরিবারে নল বাহিত পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা ছিল। এই প্রকল্পে আগামী চার বছরের মধ্যে ১৫.৭০ কোটি বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কোভিড জনিত অতিমারি পরিস্থিতিতেও ২.৬৩ কোটি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে গ্রামীণ এলাকায় ৫.৮৬ শতাংশ  বাড়িতে  নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহ করা হয়েছে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1674330  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

পঞ্চদশ জি-২০ নেতৃবৃন্দের শীর্ষ সম্মেলন (২১-২২ নভেম্বর)

সৌদি আরব সাম্রাজ্যের রাজা সলমন বিন আব্দুল আজিজ, যিনি দুটি পবিত্র মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পঞ্চদশ জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এই সম্মেলনের পৌরহিত্য করবে সৌদি আরব। ২১-২২শে নভেম্বর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে মূল ভাবনা ‘একবিংশ শতকে সকলের জন্য সুযোগ’। এই বৈঠক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে।  ২০২০ সালে জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির নেতাদের এটি দ্বিতীয় বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী এবং সৌদি আরবের যুবরাজের মধ্যে মার্চ মাসে টেলিফোনে কথাবার্তার পর জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির নেতারা একটি বৈঠক করেন। এই বৈঠকে কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধে সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বোঝাপড়া বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক স্তরে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।  জি-২০র আগামী শীর্ষ সম্মেলনে কোভিড মুক্ত হওয়ার পর সমন্বিত, প্রাণবন্ত ও স্থিতিশীল ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আলোচনা হবে। বৈঠকে নেতৃবৃন্দ মহামারীর মোকাবিলায় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।  

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1674161  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

প্রধানমন্ত্রী আগামী ২১ নভেম্বর গান্ধীনগরে পণ্ডিত দীনদয়াল পেট্রোলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ২১ নভেম্বর সকাল ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গান্ধীনগরে পণ্ডিত দীনদয়াল পেট্রোলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন। এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২,৬০০ ছাত্রছাত্রীকে তাঁদের সম্মানীয় ডিগ্রি / ডিপ্লোমা প্রদান করা হবে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী '৪৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন মনোক্রিস্টালাইন সৌর ফটোভোল্টেইক প্যানেল কেন্দ্র’ এবং 'জল প্রযুক্তির ওপর উৎকর্ষ কেন্দ্র’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর পাশাপাশি, এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত দীনদয়াল পেট্রোলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের 'উদ্ভাবন এবং ইনকিউবেশন কেন্দ্র – প্রযুক্তি বাণিজ্য ইনকিউবেশন’, ‘অনুবাদমূলক গবেষণা কেন্দ্র’ এবং ‘স্পোর্টস কমপ্লেক্স’-এর উদ্বোধন করবেন।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1674135  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি গ্র্যান্ড ডাচি অফ লুক্সেমবুর্গের প্রধানমন্ত্রী হ্যাভিয়ের বেট্টেলের সঙ্গে ভারত-লুক্সেমবুর্গ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভার্চুয়ালি গ্র্যান্ড ডাচি অফ লুক্সেমবুর্গের প্রধানমন্ত্রী হ্যাভিয়ের বেট্টেলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে লুক্সেমবুর্গে প্রাণহানির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শোক প্রকাশ করেছেন এবং মিঃ বেট্টেলের নেতৃত্বে সংকট থেকে বেরিয়ে আসায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। দুই প্রধানমন্ত্রী কোভিড পরবর্তী সময়ে বিশেষত আর্থিক প্রযুক্তি, পরিবেশ বান্ধব আর্থিক সহায়তা, মহাকাশ ক্ষেত্র, ডিজিটাল উদ্ভাবন এবং নতুন উদ্যোগে ভারত-লুক্সেমবুর্গ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার বিষয়ে সহমতে পৌঁছেছেন। উভয় দেশের আর্থিক বাজার নিয়ন্ত্রণ, স্টক এক্সচেঞ্জ এবং উদ্ভাবনমূলক বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে দুই নেতাই তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। কোভিড-১৯ মহামারী, সন্ত্রাসবাদ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় ও ফলপ্রসু বহুস্তরীয় সহযোগিতাকে মজবুত করতে উভয় প্রধানমন্ত্রীই সহমতে পৌঁছেছেন। আন্তর্জাতিক সৌরজোটে লুক্সেমবুর্গের অংশগ্রহণ করার ঘোষণাকে শ্রী মোদী স্বাগত জানিয়েছেন এবং কোয়ালিশন ফর ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাসট্রাকচার (সিডিআরআই)-তে লুক্সেমবুর্গকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1674111  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

ভারত –লুক্সেমবুর্গ ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে যৌথ বিবৃতি

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1674160  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

শ্রমক্ষেত্রে নজিরবিহীন সংস্কারগুলি কার্যকর করার লক্ষ্যে ২০২০-র কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও কাজের পরিবেশ সংক্রান্ত বিধির আওতায় কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের খসড়া আইন বিজ্ঞাপিত

কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের কাছ থেকে মতামত, পরামর্শ ও আপত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রস্তাব আহ্বান করে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও কাজের পরিবেশ সংক্রান্ত ২০২০ বিধির আওতায় খসড়া আইন বিজ্ঞাপিত করেছে। খসড়া এই আইন সম্পর্কে মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি বিজ্ঞাপিত হওয়ার দিন থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে পাঠানো প্রয়োজন। ২০২০-র কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও কাজের পরিবেশ সংক্রান্ত বিধিটি কার্যকর করতে খসড়া এই আইন  সম্পর্কে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। এই বিধির আওতায় বন্দর কর্মী, ভবন ও অন্যান্য নির্মাণ কর্মী, খনি শ্রমিক, আন্তঃরাজ্য প্রবাসী শ্রমিক, ঠিকা শ্রমিক, কর্মরত সাংবাদিক, অডিও-ভিস্যুয়াল ক্ষেত্রের কর্মী এবং সেলস-এর কাজে যুক্ত কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও আদর্শ পরিবেশ বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। খসড়া এই আইনে আরও যে সমস্ত বিষয়ের কথা উল্লেখ রয়েছে সেগুলি হ’ল : আইনটি কার্যকর হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই নিয়োগপত্র পাঠাতে হবে যেখানে সংশ্লিষ্ট কর্মীর পদ, দক্ষতার ভিত্তিতে বিভাজন, মজুরি, উচ্চহারে মজুরির পন্থা বা পদোন্নতি সংক্রান্ত বিবরণ প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তা তাঁর কর্মচারীদের বার্ষিক ভিত্তিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন। ইতিমধ্যেই যে সমস্ত কর্মীর বয়স ৪৫ বছর পূর্ণ হয়েছে, তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন। . খসড়া আইনটিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভাতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে, আন্তঃরাজ্য প্রবাসী শ্রমিকদের যাবতীয় উদ্বেগ ও অভিযোগ সময়মতো সমাধানে হেল্পলাইন চালু করার কথাও বলা হয়েছে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1674364  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য 

• আসাম : রাজ্যে বৃহস্পতিবার আরও ১৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৬ হাজারেরও বেশি। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের ৩ হাজার ১৯৩। মৃত্যু হয়েছে ৯৬৯ জনের।

 

• সিকিম : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ২৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন এবং ১ জন মারা গেছেন। এর ফলে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ৬৩২ হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ১৮৬ জন এবং সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৫। 

 

• মহারাষ্ট্র : কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে গ্রেটার মুম্বাই পুর নিগমের অধীন এলাকায় সমস্ত বিদ্যালয় আগামী ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এদিকে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, নবম থেকে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন পুনরায় চালু করার ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে বৃহন মুম্বাই পুর নিগম আরও ২৪৪টি নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্র খুলেছে। রাজ্যে বর্তমানে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। 

 

• গুজরাট : রাজ্য সরকার আমেদাবাদে সপ্তাহান্তে আজ রাত ৯টা থেকে সম্পূর্ণ লকডান কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই লকডাউন আজ রাত ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এদিকে রাজ্য সরকার আগামী ২৩শে নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজগুলি খোলার ব্যাপারে আগের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে। 

 

• রাজস্থান : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ২ হাজার ৫৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ১ দিনে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে এটি সর্বোচ্চ। এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আজ ভিডিও কনফারেন্সে বেসরকারি হাসপাতালগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।

 

• মধ্যপ্রদেশ : রাজ্যে বর্তমানে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৮০০। ভোপালে আক্রান্তের সংখ্যা আরও একবার ৩০০ ছাড়িয়েছে। রাজ্য সরকার মাস্ক ব্যবহার না করলে জরিমানা আদায়ের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

 

• ছত্তিশগড় : রাজ্যের মুখ্য চিকিৎসা আধিকারিক শহরের প্রবেশ পথগুলিতে কোভিড-১৯ কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি চেয়ে জেলাশাসকদের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। এদিকে রাজ্যে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ৪০০-রও বেশি। 

 

• গোয়া : রাজ্যে বৃহস্পতিবার করোনাজনিত কারণে মৃত্যুর কোনও খবর নেই। উপকূলবর্তী এই রাজ্যটিতে বর্তমানে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৩। দৈনিক-ভিত্তিতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১ হাজার ৬২১। 

 

• কেরল : কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কভ-২ ভাইরাসের ব্যাপারে একটি সমীক্ষার কাজ রাজ্যে এক সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হচ্ছে। প্রতিটি জেলা থেকে সংগৃহীট নমুনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখবে দিল্লি-ভিত্তিক ইন্সটিটিউট জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি। প্রাথমিকভাবে সারা রাজ্যে এক মাসে ১ হাজার ৪০০টি নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়। এদিকে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লক্ষ ৭৫ হাজারের বেশি। রাজ্যে আক্রান্তের হার কমে হয়েছে ৮.৫৪। 

 

• তামিলনাডু : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ১২৩ কোটি টাকারও বেশি ৮৬টি প্রকল্পের সূচনা করেছেন। তিনি ৬ হাজার ৮৩২ জন সুফলভোগীকে ৪৬ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। এদিকে তিরুভান্নামালাই কার্থিগাই দীপম উৎসব মহামারী-নিষেধাজ্ঞার মধ্যে শুরু হয়েছে।

 

• কর্ণাটক : বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রাজ্যে প্রথম পর্বে কোভিড সংক্রমণের সীমা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাঁদের আরও অভিমত, ইউরোপের মতো ২-৩ মাস পর আবার সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী ডি ভি সদানন্দ গৌড়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কর্ণাটক হাইকোর্ট কোভিড-১৯ বিধিভঙ্গকারীদের নোটিশ জারি করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলির তালিকা চেয়েছে। 

 

• অন্ধ্রপ্রদেশ : কোভিড মহামারীজনিত প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও রাজ্য সরকার পুষ্কারালু উৎসবকে সর্বতোভাবে সফল করে তুলতে ঐতিহ্য ও বৈজ্ঞানিক পন্থা অনুসরণ করে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে পুণ্যার্থীদের ভাবাবেগকে যথাযথ সম্মান জানানো যায়। তুঙ্গভদ্রা পুষ্কারালু উৎসব ১২ দিন ধরে আয়োজন করা হবে। এই উৎসবে আগত পুণ্যার্থীদের কোভিড প্রোটোকল মেনে তুঙ্গভদ্রার ঘাটগুলিতে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূজার্চনায় সামিল হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে, কোনও পুণ্যার্থীকে কেন্দ্রীয় সরকারের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নীতি-নির্দেশিকা মেনে নদীতে পুণ্যস্নানের অনুমতি দেওয়া হবে না।

 

• তেলেঙ্গানা : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৮৯৪ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন এবং ৪ জন মারা গেছেন। এর ফলে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ৬১ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪২৩ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৪৭ হাজারেরও বেশি। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৫১৫। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৪.৬৭ শতাংশ। অন্যদিকে জাতীয় স্তরে এই হার ৯৩.৬ শতাংশ। 

***

 

CG/BD/SB



(Release ID: 1674558) Visitor Counter : 151