প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

আচার্য শ্রী মহাপ্রজ্ঞাজী-র প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধার্ঘ্য

Posted On: 19 JUN 2020 1:47PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ১৯ জুন, ২০২০

 

 


    প্রধানমন্ত্রী আজ আচার্য শ্রী মহাপ্রজ্ঞাজী-র জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।


    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন আচার্য শ্রী মহাপ্রজ্ঞাজী তাঁর পুরো জীবন মানবজাতি ও সমাজ সেবায় উৎসর্গ করেছেন।


    প্রধানমন্ত্রী মহান এই সাধুর সঙ্গে বেশ কয়েকবার আলাপচারিতার কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি বহুবার আচার্যের সান্নিধ্যে এসেছিলেন এবং এই সাধুর জীবনযাত্রা থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরে ধন্য হয়েছেন।


    শ্রী মোদী বলেন, সাধুর অহিংস যাত্রা এবং মানবতার সেবায় তিনি অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।


    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আচার্য শ্রী মহাপ্রজ্ঞার মতো যুগ ঋষিরা তাঁদের নিজেদের স্বার্থের জন্য কিছুই অর্জন করেন না। তবে তাঁদের জীবন, চিন্তাভাবনা এবং কর্মকান্ড মানব জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকে।


    প্রধানমন্ত্রী আচার্য-জীর উদ্বৃতি তুলে ধরে বলেন, “যদি তুমি তোমার জীবন থেকে ‘আমি এবং আমরা’ ত্যাগ করতে পারো তবে পুরো বিশ্ব তোমার হবে।”


    শ্রী মোদী বলেন, যে সাধু এটিকে তাঁর জীবনে মন্ত্র ও দর্শন হিসেবে গ্রহণ করেছেন সে তাঁর প্রতিটি কর্মকান্ডে তা প্রয়োগ করতে পেরেছেন।


    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধুর একমাত্র অধিকার হল পরিগ্রহ, প্রত্যেক ব্যক্তির প্রতি ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই নয়।


    শ্রী মোদী স্মরণ করিয়ে দেন যে কিভাবে রাষ্ট্রীয় কবি রামধারী সিং দিনকার আচার্য শ্রী মহাপ্রজ্ঞা-জীকে আধুনিক যুগের বিবেকানন্দ বলে উল্লেখ করেছিলেন।


    প্রধানমন্ত্রী বলেন, একইভাবে দিগম্বর ঐতিহ্যের মহান সাধক আচার্য বিদ্যানন্দ, আচার্য মহাপ্রজ্ঞা-জীর রচিত বিষ্ময়কর সাহিত্যের জন্য তাঁকে ডক্টর সর্বপল্লী রাধা কৃষ্ণণের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।


    প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী-জীর কথা উল্লেখ করেন এবং বলেন, অটলজী যিনি নিজেই সাহিত্য ও জ্ঞান সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ছিলেন, তিনি বলতেন ‘আমি আচার্য মহাপ্রজ্ঞা-জীর সাহিত্যের গভীরতা, জ্ঞান এবং কথার এক মহান অনুরাগী ছিলাম।’


    প্রধানমন্ত্রী আচার্যশ্রী-কে এমন একজন ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন যার সুবক্তব্য  , মন্ত্রমুগ্ধ কন্ঠ এবং দুর্দান্ত শব্দ ভান্ডার ছিল।


    প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, আচার্যশ্রী আধ্যাত্মিকতা, দর্শন, মনোবিজ্ঞান এবং অর্থনীতি বিষয়ে সংস্কৃত, হিন্দি, গুজরাতি ও ইংরাজিতে ৩০০টিরও বেশি বই লিখেছেন।


    শ্রী মোদী ডঃ এ পি জে আব্দুল কলামের সঙ্গে মহাপ্রজ্ঞা-জীর লেখা ‘দ্যা ফ্যামিলি অ্যান্ড দ্যা নেশন’ বইটির কথা উল্লেখ করেন।
    তিনি বলেন, ‘এই দুই মহান ব্যক্তিত্ব দেখিয়েছিলেন কিভাবে একটি পরিবার সুখী পরিবার হতে পারে, কিভাবে একটি সুখী পরিবার সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ে তুলতে পারে।’


    এই দুই মহান ব্যক্তিত্বের জীবনের তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এই দুজনের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন। ‘আমি তাদের কাছ থেকে শিখতে পেরেছি যে, কোনো আধ্যাত্মিক গুরু কিভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির বিষয়টি বোঝেন এবং একজন বিজ্ঞানী কিভাবে আধ্যাত্মিকতার ব্যাখ্যা দেন।’


    তিনি বলেন, আমি তাদের সঙ্গে একসাথে যোগাযোগ করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি।


    তিনি আরও বলেন, ডঃ কালাম মহাপ্রজ্ঞা-জী সম্পর্কে বলতেন, তাঁর জীবনের একটাই উদ্দেশ্য পথ চলা, অর্জন এবং দান। এর অর্থ হল অবিরাম ভ্রমণ, জ্ঞান অর্জন এবং জীবনে যা কিছু আছে তা সমাজকে দান করা।


    প্রধামন্ত্রী বলেছেন, মহাপ্রজ্ঞা-জী তাঁর জীবদ্দশায় কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছেন। মৃত্যুর আগের দিনেও তিনি অহিংসার পথে যাত্রা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর উক্তির কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আত্মা আমার ঈশ্বর, ত্যাগ আমার প্রার্থনা, বন্ধুত্ব আমার ভক্তি, সংযম আমার শক্তি এবং অহিংসা আমার ধর্ম।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এই জীবনধারাতেই বেঁচে ছিলেন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে এটাই শিখিয়েছিলেন। শ্রী মোদী বলেন, যোগের মাধ্যমে হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জীবনশৈলীর এই কথাই তিনি লক্ষ লক্ষ মানুষকে শিখিয়েছিলেন।


    শ্রী আচার্য মহাপ্রজ্ঞা-জী উদ্ধৃতি - 'স্বাস্থ্যকর ব্যক্তি, সুস্থ সমাজ, স্বাস্থ্যকর অর্থনীতি' বিষয় তুলে ধরে  প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর এই মন্ত্রটি আমাদের সকলের কাছে বড় অনুপ্রেরণার।


    আজ দেশ এই একই মন্ত্রে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে।


    তিনি বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সমাজ ও জাতি আমাদের আদর্শ। ঋষি ও সাধুগণ আমাদের সামনে যে সমাজ ও দেশের আদর্শ তুলে ধরেছেন,  দেশ শীঘ্রই সেই সংকল্প পূরণ করবে।তোমরা  সবাই সেই স্বপ্নকে সত্য করে তুলবে।’

 

 


CG/SS/NS



(Release ID: 1655145) Visitor Counter : 236