প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

আন্দামান নিকোবরে ডুবোজাহাজ কেবল সংযোগ ব্যবস্থা উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 10 AUG 2020 12:23PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১০ আগষ্ট, ২০২০

 

 

ভারতের স্বাধীনতার তপোভূমি আন্দামান নিকোবরের ভূমি এবং এখানে বসবাসকারী সমস্ত জনগণকে আমার নমস্কার!

 

আজকের দিনটি আন্দামান নিকোবরের কয়েক ডজন দ্বীপে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ বন্ধুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই, গোটা দেশের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

বন্ধুগণ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু-কে প্রণাম জানিয়ে প্রায় দেড় বছর আগে এই ‘সাবমেরিন অপ্টিক্যাল ফাইবার কেবল সংযোগ প্রকল্পের উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল’। আমি অত্যন্ত আনন্দিত এখন এই কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে, আর আজ এই প্রকল্প দেশবাসীকে উৎসর্গ করার সৌভাগ্য আমার হ’ল। চেন্নাই থেকে পোর্ট ব্লেয়ার, পোর্ট ব্লেয়ার থেকে লিটল আন্দামান এবং পোর্ট ব্লেয়ার থেকে স্বরাজ দ্বীপ পর্যন্ত আন্দামান নিকোবরের একটি বড় অংশে এই পরিষেবা আজ থেকেই শুরু হয়েছে।

 

এই পরিষেবার মাধ্যমে আন্দামান নিকোবরের অধিবাসীদের জন্য অনন্ত সুযোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।  এই সম্ভাবনাময় যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই, আমার শুভকামনা জানাই। এবছর স্বাধীনতা দিবসের আগে আন্দামানের জনগণের জন্য এই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আমি ১৫ই আগষ্টের ভালোবাসা ভরা উপহার রূপে দেখছি।

বন্ধুগণ, সমুদ্রের মধ্যে প্রায় ২৩০ কিলোমিটার কেবল পাতার এই কাজ নির্ধারিত সময়ের আগে সম্পূর্ণ করা একটি অত্যন্ত প্রশংসীয় সাফল্য। গভীর সমুদ্রে পর্যবেক্ষণ করা, কেবলের উৎকর্ষ বজায় রাখা, বিশেষ জাহাজের মাধ্যমে কেবল পাতা এত সহজ কাজ নয়। উপরে উঁচু উঁচু ঢেউ, তুফান এবং নানা ঋতুজনিত বাধাবিপত্তি। এই প্রকল্প যত বড় ছিল তার সমস্যাগুলিও তত বিচিত্র ও বিরাট ছিল। এসব কারণেই অনেক বছর ধরেই এই পরিষেবার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা সত্ত্বেও একাজ করা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এবার সমস্ত বিপত্তি জয় করে এই কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এমনকি করোনার মতো বিপর্যয় যা প্রায় সমস্ত কর্মকাণ্ডকে থামিয়ে দিয়েছে তা-ও এই কাজকে সম্পূর্ণ হতে আটকাতে পারেনি।

 

বন্ধুগণ, দেশের ইতিহাস, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপগুলিকে আর এখানকার পরিশ্রমী নাগরিকদের আধুনিক টেলিকম যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমৃদ্ধ করা ছিল দেশের দায়িত্ব। একটি অত্যন্ত সমর্পিত টিমের মাধ্যমে, টিম ভাবনা নিয়ে কাজ করেই আজ একটি পুরনো স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। আমি এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক বন্ধুকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই, প্রণাম জানাই।

 

বন্ধুগণ, এই চরম প্রতিকূল কাজ তখনই বাস্তবায়িত হতে পারে যখন সম্পূর্ণ ক্ষমতা দিয়ে, সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতার সঙ্গে একদল মানুষ কাজ করেন। আমাদের সমর্পণ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের প্রতি, দিল্লি এবং আমাদের হৃদয় থেকে দেশের প্রত্যেক অঞ্চলের দূরত্ব কম করার দায়বদ্ধতার প্রতি। আমাদের সমর্পণ দেশের প্রত্যেক নাগরিক, প্রত্যেক অঞ্চলে আধুনিক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া, তাঁদের জীবন সহজ করার প্রতি। আমাদের সমর্পণ দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত সীমান্ত এলাকা এবং সমূদ্রসীমায় বসবাসকারী অঞ্চলগুলির দ্রুত উন্নয়নের প্রতি।

 

বন্ধুগণ, আন্দামান নিকোবর-কে দেশ এবং বিশ্বের সঙ্গে অপ্টিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে যুক্ত করাও ‘ইজ অফ্ লিভিং’-এর প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার প্রতীক। এখন আন্দামান নিকোবরের জনগণও মোবাইল সংযোগ এবং শস্তায় দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবা পাবেন, এক্ষেত্রে ভারত আজ গোটা বিশ্বে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এখন আন্দামান নিকোবরের জনগণ, আমার বোনেরা, শিশুরা, যুবক বন্ধুরা, ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোগীরাও ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সেই সমস্ত সুবিধা পাবেন যা দেশের অন্যান্য প্রান্তের মানুষ পান। অনলাইন পড়াশোনা থেকে শুরু করে পর্যটনের মাধ্যমে রোজগার, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, কেনাকাটা, ওষুধপত্র ক্রয় - এখন আন্দামান নিকোবরের হাজার হাজার পরিবার এইসব অনলাইন পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন।

 

বন্ধুগণ, আজ আন্দামান যে পরিষেবায় সমৃদ্ধ হল, তার দ্বারা এখানে আসা পর্যটকরা অনেক লাভবান হবেন। উন্নত ইন্টারনেট যোগাযোগ আজ যে কোনও পর্যটন গন্তব্যের জন্য সব চাইতে বড় অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে। আজ দেশ ও বিশ্বের পর্যটকরা যেখানেই যান না কেন, মোবাইল এবং ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা কম থাকলে তাঁদের খুবই অসুবিধা হয়। এতদিন আন্দামানে বেড়াতে এলে পর্যটকদের প্রায়ই তাঁদের পরিবার পরিজন এবং ব্যবসা থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকতে হতো। এখন সেই ত্রুটি আর রইলো না। এখন তাঁরা সব সময় ভালো ইন্টারনেট পাবেন, আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এর ফলে পর্যটকরা এখন আগের তুলনায় অনেক দীর্ঘ সময়ের জন্য আসবেন। তাঁরা যদি এসে বেশিদিন থাকেন, আন্দামান নিকোবরের সমুদ্র, এখানকার খাবার-দাবার, এখানকার পরিবেশ ও প্রকৃতির সমস্ত আনন্দ উপভোগ করেন, এর খুব বড় প্রভাব এই অঞ্চলের মানুষের রোজগার বাড়াবে, কর্মসংস্থানের অনেক নতুন নতুন দিক খুলে যাবে।

 

বন্ধুগণ, আন্দামান ও নিকোবর ক্রমে ভারতের অর্থনৈতিক – কৌশলগত সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠছে। ভারত মহাসাগর হাজার হাজার বছর ধরেই ভারতের বাণিজ্যিক এবং সামরিক সামর্থের কেন্দ্র। আজ যখন ভারত, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বাণিজ্যিক লেনদেন এবং সহযোগিতার নতুন নীতি এবং রীতি নিয়ে এগিয়ে চলেছে, তখন আন্দামান নিকোবর সহ আমাদের সমস্ত দ্বীপের গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে। আমাদের ‘এক্ট ইস্ট পলিসি’-এর মাধ্যমে পূর্ব এশীয় দেশগুলি এবং সমুদ্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দৃঢ়তর করার ক্ষেত্রে আন্দামান নিকোবরের ভূমিকা বেশি এবং তা ক্রমবর্ধমান। নতুন ভারতে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপ সমূহের এই ভূমিকা দৃঢ়তর করতে তিন বছর আগে ‘আইসল্যান্ড ডেভলপমেন্ট এজেন্সি’ গঠন করা হয়েছিল। আজ আপনারা দেখছেন আন্দামান নিকোবরে যে প্রকল্পগুলি অনেক বছর ধরে সম্পূর্ণ হচ্ছিল না, সেগুলি এখন দ্রুত গতিতে সম্পূর্ণ হচ্ছে।

 

বন্ধুগণ, আন্দামান ও নিকোবরের ১২টি দ্বীপে ‘হাই ইমপ্যাক্ট প্রোজেক্টস্’-এর বিস্তার করা হচ্ছে। মোবাইল এবং ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি বড় সমস্যা আজ সমাধান হয়ে গেল। তাছাড়া সড়ক পথ, বিমান পথ এবং জল পথের মাধ্যমে ‘ফিজিক্যাল’ যোগাযোগ ব্যবস্থাও মজবুত করা হচ্ছে। উত্তর এবং মধ্য আন্দামানের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য দুটি বড় সেতু এবং জাতীয় মহাসড়ক-৪ এর প্রশস্তিকরণ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। পোর্ট ব্লেয়ার এয়ারপোর্টে একসঙ্গে ১২০০জন যাত্রী নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে।

 

তাছাড়া দিগলীপুর, কার নিকোবর এবং ক্যাম্পবেল বে-তেও নতুন বিমানবন্দর, বিমান ওঠানামার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। স্বরাজ দ্বীপ, শহীদ দ্বীপ এবং লং আইল্যান্ড-এ ‘প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল’, ‘ভাসমান জেটি’ এবং ‘ওয়াটার অ্যারোড্রম’ পরিকাঠামো আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। তারপর এখানে ‘উড়ান যোজনা’-র মাধ্যমে ‘সী প্লেন’ পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে। তখন একটি দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও মজবুত হবে। আপনাদের আশা যাওয়ার সময় অনেক সাশ্রয় হবে।

 

বন্ধুগণ, দ্বীপগুলির মধ্যে পারস্পরিক জলপথ এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমুদ্র পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের জন্য কোচি শিপ ইয়ার্ডে যে চারটি জাহাজ নির্মাণ করা হচ্ছে সেগুলির ডেলিভারিও আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই হয়ে যাবে। আগামী এক বছরের মধ্যে আমরা বড় বড় জাহাজের মেরামতির সুবিধা এই দ্বীপগুলির মধ্যেই শুরু করার চেষ্টা করছি। এর ফলে আপনাদের সময় বাঁচবে, খরচ বাঁচবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে। মৎস্য চাষ ক্ষেত্রও এর দ্বারা অনেক উপকৃত হবে।

 

বন্ধুগণ, আগামী দিনগুলিতে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপসমূহ  সমুদ্রবন্দরকেন্দ্রিক উন্নয়নের হাব রূপে বিকশিত হতে চলেছে। আন্দামান ও নিকোবর বিশ্বের অনেক বন্দরের তুলনায় প্রতিযোগিতামূলক দূরত্বে অবস্থিত। আজ গোটা দুনিয়া এটা স্বীকার করছে, যে দেশে সমুদ্রবন্দর নেটওয়ার্ক এবং সেগুলির পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে তারাই একবিংশ শতাব্দীতে বাণিজ্যকে গতি প্রদান করবে। এক্ষেত্রে আন্দামান ও নিকোবরে যে পরিকাঠামোগত কাজগুলি হচ্ছে সেগুলি সম্পন্ন হলেই এখানকার বন্দর  ভারতের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে পারবে।

 

বন্ধুগণ, আজ যখন ভারত আত্মনির্ভরতার সংকল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে, ‘গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং হাব’ রূপে সারা বিশ্বে সরবরাহ এবং মূল্য শৃঙ্খলের একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রূপে নিজেকে স্থাপিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে,তখন আমাদের জল পথগুলি এবং আমাদের সমুদ্র ও নদী বন্দরগুলির নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজন রয়েছে। বিগত ৬-৭ বছরে বন্দর উন্নয়ন এবং বন্দর ভিত্তিক উন্নয়ন নিয়ে যে কাজ হচ্ছে সেগুলির মাধ্যমে দেশ নতুন শক্তি পাচ্ছে।

 

আজ আমরা নদী জলপথের একটা বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করছি যা বড় সমুদ্র বন্দরগুলির সঙ্গে দেশের সমুদ্র তট থেকে দূরবর্তী রাজ্যগুলিকে সংযুক্ত করছে। বন্দরগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে যেসমস্ত আইন সংক্রান্ত বাধা ছিল, তাও নিরন্তর দূর করা হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য সমুদ্রে ‘ইজ অফ বিজনেস’-কে উন্নত করা এবং ‘মেরিটাইম লজিস্টিক্স’-কে সরল করে তোলার প্রতি নিবদ্ধ রয়েছে। সেজন্য বিশ্বের সর্ববৃহৎ সিঙ্গল উইন্ডো প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার কাজও এগিয়ে চলেছে।

 

বন্ধুগণ, এমনি অনেক প্রচেষ্টার ফলে এখন দেশের সমুদ্র বন্দর নেটওয়ার্কের ‘ক্যাপাসিটি’ এবং ‘ক্যাপাবিলিটি’ উভয়ের বিস্তার করা হচ্ছে। তিন দশক অপেক্ষার পর পশ্চিম সমুদ্রতটে ভারতের প্রথম ‘ডিপ ড্রাফট গ্রিনফিল্ড’ সী পোর্ট’-কে সিদ্ধান্তমূলক মঞ্জুর করা হয়েছে। এভাবেই পূর্ব তটে ‘ডিপ ড্রাফট ইনার হারবার’ নির্মাণের কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এখন গ্রেট নিকোবরে প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকা সম্ভাব্য বিনিয়োগের মাধ্যমে ‘ট্রান্স শিপমেন্ট পোর্ট’ নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে। আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে এর প্রথম পর্যায় সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করা হবে। আর একবার যখন সমুদ্র বন্দর তৈরি হয়ে যাবে তখন এখানে অনেক বড় বড় জাহাজও এসে নোঙর ফেলবে, দাঁড়াতে পারবে। এর মাধ্যমে সামুদ্রিক বাণিজ্যে ভারতের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে, আমাদের যুব সম্প্রদায় নতুন নতুন সুযোগ পাবে।

 

বন্ধুগণ, আজ আন্দামান ও নিকোবরে যত আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে উঠছে তা আমাদের নীল অর্থনীতিকেও গতি দেবে। নীল অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হ’ল মৎস্য চাষ, এক্যুয়া কালচার এবং সমুদ্রগুটিকা বা সী উইড চাষ। সী উইড-এর গুণাগুণ নিয়ে আজ সারা পৃথিবীতে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। অনেক দেশ এর সম্ভাবনা নানাভাবে তুলে ধরছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আন্দামান নিকোবরে সী উইড-এর সম্ভাবনা খোঁজার জন্য পোর্ট ব্লেয়ারে যে পাইলট প্রজেক্ট চালু রয়েছে, তার ফলাফল অত্যন্ত উৎসাহজনক। এখন এগুলি চাষের মাধ্যমে এই দ্বীপগুলির উন্নয়নের কাজে লাগানোর সম্ভাবনা নিয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে। এই ফলিত প্রয়োগ যদি বড় মাত্রায় সফল হয় তাহলে এগুলিকে দেশের অন্যান্য স্থানেও ছড়িয়ে দেওয়া যাবে। আমাদের মৎস্যজীবী ভাই বোনেরা অনেক বেশি লাভবান হবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের আজকের প্রচেষ্টা এই দশকেই আন্দামান নিকোবরকে সেখানকার জনগণকে কেবল নতুন স্বস্তি এনে দেবে না, সারা বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

 

আরেক বার, আন্দামান নিকোবরে বসবাসকারী দেশবাসীদের ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থার এই আধুনিক পরিষেবার জন্য আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আর আজ যখন করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে আমরা সবাই লড়াই করছি, তখন আমি বিশেষভাবে আপনাদের সকলের জন্য প্রার্থনা করবো যে আপনারা সকলে সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন। আপনাদের পরিবার সুস্থ থাকুক। করোনার এই কঠিন সময়ে এর প্রতিরোধে সব সময় দু’গজ দূরত্ব যেরকম পালন করে আসছেন, এখনও তেমনি পালন করুন। এভাবেই সামনে এগিয়ে যান।

 

এই প্রার্থনা সহ স্বাধীনতার এই তপভূমিকে,  আর আপনাদের সবাইকে ১৫ আগষ্টের আগে আজ আমার প্রণাম জানানোর সৌভাগ্য হ’ল। আমি আপনাদের সবাইকে ১৫ আগষ্টের আগে, স্বাধীনতা পর্বের আগে এই অনেক বড় সুযোগের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আজ উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নতুন উল্লম্ফনের জন্য আপনাদের এগিয়ে আসতে আমন্ত্রণ জানাই।

অনেক  অনেক ধন্যবাদ।

 

 

CG/SB/SKD


(Release ID: 1645008) Visitor Counter : 369