স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে এমন জেলাগুলির পৌর কমিশনার, জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন স্বাস্থ্য সচিব

Posted On: 08 JUN 2020 2:06PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৮ জুন, ২০২০

 

 


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ  মন্ত্রকের সচিব শ্রীমতী প্রীতি সুদান ও মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শ্রী রাজেশ ভূষণ আজ ১০টি রাজ্যের ৩৮টি জেলার ৪৫টি পৌরসভা / পৌরসংস্থার এলাকায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে জেলাশাসক, পৌর কমিশনার, মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা, জেলা হাসপাতালের সুপারিন্টেডেন্ট এবং মেডিকেল কলেজগুলির প্রধানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। যে ১০টি রাজ্য এদিনের বৈঠকে যোগদান করেছিল সেগুলি হল – মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, হরিয়ানা, গুজরাট, জম্মু-কাশ্মীর, কর্ণাটক, উত্তরাখণ্ড এবং মধ্যপ্রদেশ।

এদিনের বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল ঘন বসতিপূর্ণ শহরাঞ্চলে সংক্রমণ বৃদ্ধি, ঘরে ঘরে গিয়ে সমীক্ষার গুরুত্ব, তাৎক্ষণিক পরীক্ষার মাধ্যমে নজরদারি বৃদ্ধি, যথাযথ চিকিৎসা পরিচালন ব্যবস্থাপনা এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের কৌশল প্রয়োগ করা।

বৈঠকে উপস্থিত রাজ্যের আধিকারিকদের কন্টেনমেন্ট জোনে সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং বাফার জোনগুলিতে যথাযথ নজরদারি চালানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া  হয়ছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ সঠিকভাবে চিহ্নিত করার বিষয়েও ঠিকমতো ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা হচ্ছে কিনা তা দেখতে বলা হয়ছে তাঁদেরকে। মৃত্যুর হার কমানোর জন্য  আধিকারিকদের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়ছে। এক্ষেত্রে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ, বয়স্ক ব্যক্তি এবং আগে থেকেই যাঁদের উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের চিহ্নিতকরণ করার বিষয়ে জোর দিতে বলা হয়ছে। সময়মতো সংক্রমণ পরীক্ষা এবং রোগ নির্ণয়, রোগীকে সময়মতো হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্রে স্থানান্তর করার বিষয়ে আধিকারিকদের জোর দিতে বলা হয়েছে।

রাজ্য গুলিকে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ব্যবস্থা ও মানবসম্পদের যথাযথ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার বলেও জানানো হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে নজরদারি দলের ব্যবস্থা রাখতে  বলা হয়েছে। নাগরিকদের স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য হাসপাতাল গুলিতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা কর্মী ও আধিকারিকদের রাখতে বলা হয়েছে।


কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে সরকার সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা ও পাশে থাকা জন্য পৌর সংস্থা/ পৌর সভাগুলিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে বলা হয়েছে। 


সময় মতো বাড়ি বাড়ি কোভিড-১৯ সংক্রমণ নির্ণয়, পর্যাপ্ত পরিমাণে নজরদারি দল, দক্ষ অ্যাম্বুলেন্স চালক, হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত বেড, ২৪ ঘন্টা চিকিৎসাকর্মী রাখার জন্য বলা হয়েছে। আগে থেকেই রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা শুরু করার জন্য দ্রুত নমুনা  পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্ম বিশ্বাস গড়ে তোলার জন্য গ্রামাঞ্চলে নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের জেলা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে। লকডাউন শিথিল করার পর নিয়ন্ত্রণগুলি ক্রমশই প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যগুলিকে আগামী কয়েক মাস ধরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য আগাম পরিকল্পনা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

এ পর্যন্ত মোট ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৪৩০ জন কোভিড-১৯ সংক্রমণ মুক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৫,১৩৭ জন সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত দেশে কোভিড-১৯-এ সুস্থতার হার ৪৮.৪৯ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৮১।

 আরও বিস্তারিত তথ্য জানার এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকা ও উপদেশগুলি জানা যাবে - https://www.mohfw.gov.in/ ওয়েবসাইটে।

 

 


CG/SS/DM



(Release ID: 1630220) Visitor Counter : 218