প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

‘প্রাত্যহিক ন্যূনতম চাহিদা পূরণ- জন পরিষেবা এবং সকলের মর্যাদা’- বিষয়ক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব ড. পি কে মিশ্র

प्रविष्टि तिथि: 10 DEC 2025 3:32PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ 

 

নতুন দিল্লির ভারত মন্ডপমে আজ ‘প্রাত্যহিক ন্যূনতম চাহিদা পূরণ- জন পরিষেবা এবং সকলের মর্যাদা’- বিষয়ক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব ড. পি কে মিশ্র। 

ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশের কাছে বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের তাৎপর্য ব্যাখা করেন তিনি। ১৯৪৮-এর মানবাধিকার সংক্রান্ত সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের ২৫(১) ধারা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, সামাজিক পরিষেবা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষের প্রাপ্য অধিকারের কথা বলে – একথা মনে করিয়ে দেন তিনি। 

ওই ঘোষণাপত্রের রচনায় ভারতের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা তুলে ধরেন ড. মিশ্র। এক্ষেত্রে তিনি ড. হংস মেহেতার অবদানের কথা তুলে ধরেন – যাঁর মন্ত্র ছিল প্রতিটি মানুষই স্বাধীন এবং সমান অধিকার নিয়ে জন্মেছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান দুনিয়ায় ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্তি, গোপনীয়তা এবং পরিবেশগত অধিকারও মানুষের ন্যূনতম চাহিদার অন্তর্ভুক্ত।

ড. মিশ্র বলেন, ভারতে ২০১৪-এর আগের দশকে শিক্ষার অধিকার আইন, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা আইন কিংবা খাদ্য নিরাপত্তা আইন প্রণীত হলেও সংশ্লিষ্ট পরিষেবা নিশ্চিত করায় খামতি ছিল। ছবিটা ২০১৪-এর পর পাল্টেছে। একজন যোগ্য প্রাপকও যাতে কল্যাণমূলক প্রকল্পের আওতার বাইরে না থাকেন তা নিশ্চিত করতে এসংক্রান্ত যাবতীয় কর্মসূচির সম্পৃক্তির দিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার। বিকশিত সংকল্প যাত্রা এক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে তিনি মনে করেন। পারিবারিক ভোগব্যয় সর্বেক্ষণ ২০২৩-২০২৪ বিগত দশকে ২৫ কোটি ভারতীয় দারিদ্রসীমার ওপরে উঠে আসার দাবিতে শিলমোহর দিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। 

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, জল জীবন মিশন, স্বচ্ছ ভারত অভিযান, সৌভাগ্য কিংবা উজ্জ্বলা যোজনা, গরিব কল্যাণ যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত, জনধন যোজনা, মুদ্রা যোজনা, বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও প্রভৃতি কর্মসূচি দেশের গরিব মানুষের জীবনে অত্যন্ত ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে বলে তাঁর অভিমত। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হিসেবে ভারতের অন্তর্ভুক্তি এদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বিকাশ কর্মসূচির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

বিকশিত ভারত ২০৪৭-এর যাত্রায় আরও অনেক বিষয়ের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত্বার দায়িত্বশীল প্রয়োগ কিংবা ডিজিটাল নজরদারির বিষয়গুলি প্রাথমিক শর্ত বলে তিনি মনে করিয়ে দেন। বিবর্তনশীল বিশ্বের চাহিদা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছেন ড. পি কে মিশ্র। 

ভাষণের শেষ পর্বে তিনি বলেন, সুপ্রশাসন সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার হয়ে উঠেছে। নাগরিক কেন্দ্রিক ব্যবস্থাপনা এবং সকলের ন্যায়বিচার নতুন ভারতের স্বপ্নপূরণে প্রাথমিক শর্ত বলে তিনি উল্লেখ করেন।       

 

SC/ AC /AG


(रिलीज़ आईडी: 2201656) आगंतुक पटल : 8
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: Odia , English , Urdu , Marathi , हिन्दी , Gujarati , Tamil , Kannada