প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
‘হিন্দুস্থান টাইমস লিডারশিপ সামিট’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ
प्रविष्टि तिथि:
06 DEC 2025 8:14PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
আপনাদের সবাইকে নমস্কার।
এখানে হিন্দুস্তান টাইমস শীর্ষ সম্মেলনে দেশ বিদেশ থেকে আগত অনেক গণ্যমান্য অতিথি উপস্থিত রয়েছেন।
আমি এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজকদের, আর যত বন্ধু এখানে তাঁদের ভাবনা-চিন্তার কথা তুলে ধরেছেন, আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই। এইমাত্র শোভনা জি দুটো কথা বলেছেন, যা আমাকে আকৃষ্ট করেছে। প্রথমত, তিনি বলেছেন যে মোদী জি যখন গতবার এখানে এসেছিলেন, তখন এই পরামর্শ দিয়েছিলেন। এদেশে কোন মিডিয়া হাউসকে কোন কাজ করার উপদেশ দেওয়ার হিম্মত কারও হয় না; কিন্তু, আমি বলেছিলাম! আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয় হল যে, শোভনা জি এবং তাঁর টিম অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে তা পালন করেছেন। আর দেশের সামনে তা তুলে ধরেছেন। একটু আগেই আমি যে প্রদর্শনীটি দেখে এলাম, উপস্থিত সবাইকে আমি অনুরোধ জানাবো যে, আপনারা সবাই এই প্রদর্শনী দেখবেন। এই ফটোগ্রাফার বন্ধুগণ, একেকটি মুহূর্তকে এমনভাবে ক্যামেরাবন্দি করেছেন যে মুহূর্তগুলি অমর হয়ে উঠেছে। আর একটা কথা শোভনা জি বলেছেন, সে কথার আমি যতটা বুঝেছি; তিনি বলেছেন, যে আপনারা ভবিষ্যতেও... আপনি অন্য ভাবেও বলতে পারতেন যে, ভবিষ্যতে আপনারা দেশের সেবা করে যাবেন। কিন্তু কিন্তু হিন্দুস্তান টাইমস যখন একথা বলে যে আপনারা ভবিষ্যতেও এভাবে সেবা করে যাবেন, তখন এই সংকল্পের জন্যও আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ জানাই।
বন্ধুগণ,
এবারের শীর্ষ সম্মেলনের মূল ভাবনা হল ‘ট্রান্সফর্মিং টুমরো’ বা ভবিষ্যতের রূপান্তর। আমি মনে করি যে, হিন্দুস্তান টাইমস সংবাদপত্রের ১০১ বছরের ইতিহাস রয়েছে, যে সংবাদপত্রে মহাত্মা গান্ধী জি, মদন মোহন মালব্য জি, ঘনশ্যামদাস বিড়লা জির মতো অসংখ্য মহাপুরুষের আশীর্বাদ ছিল, সেই সংবাদপত্র যখন ভবিষ্যৎ রূপান্তর নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে, তখন দেশ আশ্বস্ত হয় যে ভারতে যে পরিবর্তনগুলি হচ্ছে সেগুলি শুধুই সম্ভাবনার কথা বলছে না, সেগুলি এই পরিবর্তিত জীবন, এসব পরিবর্তিত ভাবনা এবং এক পরিবর্তমান দৃষ্টিকোণের প্রকৃত গাঁথা।
বন্ধুগণ,
আজ আমাদের সংবিধানের মুখ্য শিল্পী ডঃ বাবা সাহেব আম্বেদকর জির ‘মহাপরিনির্বাণ দিবস’ও। আমি প্রত্যেক ভারতবাসীর পক্ষ থেকে তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই।
বন্ধুগণ,
আজ আমরা এমন একটি ক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি, যখন একবিংশ শতাব্দীর এক-চতুর্থাংশ পেরিয়ে গেছে। এই ২৫ বছরে, বিশ্ব অনেক উত্থান-পতন দেখেছে। অনেক অর্থনৈতিক সংকট দেখেছে, আন্তর্জাতিক মহামারী দেখেছে, প্রযুক্তিগত অনেক সঙ্কট দেখেছে, ভেঙে পড়া অনেক দেশ দেখেছে এবং অনেক যুদ্ধও দেখেছে। এই সমস্ত পরিস্থিতি কোন না কোনভাবে বিশ্ব ও মানবতাকে সমস্যার মুখে ফেলেছে। আজ, বিশ্ব অনিশ্চয়তায় দোদুল্যমান। কিন্তু এই দোদুল্যমানতার মধ্যেও ভারতকে অন্যরকম দেখা যাচ্ছে, ভারত আত্মবিশ্বাসে উজ্জ্বল। যখন গোটা বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি, তখন ভারত প্রবৃদ্ধির গাথা লিখছে। যখন বিশ্বে আস্থার সংকট দেখা যাচ্ছে, তখন ভারত আস্থার স্তম্ভ হয়ে ওঠছে। যখন বিশ্বে খণ্ডিতকরণ বাড়ছে, তখন ভারত সেতুবন্ধনকারী হয়ে উঠছে।
বন্ধুগণ,
এই কিছুদিন আগে ভারতে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক জিডিপি পরিসংখ্যান এসেছে। আজ ৮ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধির হার আমাদের অগ্রগতির নতুন গতির প্রতিফলন।
বন্ধুগণ,
এই প্রবৃদ্ধি নিছকই কোন পরিসংখ্যান নয়, এটি একটি ‘স্ট্রং ম্যাক্রো-ইকোনমিক সিগনাল’ বা সামষ্টিক-অর্থনৈতিক সংকেত। এটি সংকেত থেকে বোঝা যায় যে ভারত আজ আন্তর্জাতিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হয়ে উঠছে। আর আমরা যখন এই পরিসংখ্যান অর্জন করেছি যখন আন্তর্জাতিক প্রবৃদ্ধির হার ৩ শতাংশের কাছাকাছি। জি-৭ দেশগুলি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১.৫%-এর কাছাকাছি। এই পরিস্থিতিতে, ভারত উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং নিম্ন মুদ্রাস্ফীতির মডেল হয়ে উঠেছে। একটা সময় ছিল, যখন আমাদের দেশে, বিশেষ করে অর্থনীতিবিদরা উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে দুশ্চিন্তা করতেন। আজ, তাঁরাই নিম্ন মুদ্রাস্ফীতির কথা বলছেন।
বন্ধুগণ,
ভারতের এই সাফল্যগুলি মামুলি বিষয় নয়। এগুলি নিছকই পরিসংখ্যান নয়, এগুলি এক একটি মৌলিক পরিবর্তন, যা বিগত দশকে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে এসেছে। এই মৌলিক পরিবর্তন স্থিতিস্থাপকতা, এই পরিবর্তন সমস্যাগুলির সমাধানের প্রবৃত্তির, এই পরিবর্তন সমস্ত আশঙ্কার মেঘ সরিয়ে, আকাঙ্খাগুলির বিস্তার। আর এর ফলেই আজকের ভারত নিজেই পরিবর্তিত হচ্ছে, আর আগামীকালকেও পরিবর্তিত করছে।
বন্ধুগণ,
আপনারাও জানেন যে, ভারতের সামর্থ্যের একটি বড় অংশ দীর্ঘ সময় ধরে অধরা ছিল। যখন দেশে এই অধরা সম্ভাবনাগুলি বেশি করে সুযোগ পাবে, তখন সেগুলি সম্পূর্ণ প্রাণশক্তি নিয়ে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে দেশের উন্নয়নের অংশীদার হয়ে উঠবে, তখন দেশের কায়াকল্প বা সার্বিক পুনর্নবীকরণ সুনিশ্চিত। আপনারা ভাবুন আমাদের পূর্ব ভারত, আমাদের উত্তর-পূর্ব ভারত, আমাদের গ্রাম, আমাদের টিয়ার-টু, টিয়ার-থ্রি শহরগুলি, আমাদের দেশের নারীশক্তি, ভারতের উদ্ভাবক যুবশক্তি, ভারতের সামুদ্রিক শক্তি – ব্লু ইকোনমি, ভারতের মহাকাশ ক্ষেত্রের সাফল্য – এরকম অনেক ক্ষেত্রে পূর্ণ সম্ভাবনার বাস্তবায়ন পূর্ববর্তী দশকগুলিতে সম্ভব হয়নি। এখন আজ ভারত এই অধরা সম্ভাবনাগুলিকে বাস্তবায়নের দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আজ পূর্ব ভারতে আধুনিক পরিকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং শিল্প ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব বিনিয়োগ হচ্ছে। আজ, আমাদের গ্রামগুলি, ছোট ছোট শহরগুলিতেও আধুনিক পরিষেবা পৌঁছে যাচ্ছে। আমাদের ছোট শহরগুলি স্টার্টআপ এবং অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পোদ্যোগের কেন্দ্র গড়ে উঠছে। আমাদের গ্রামগুলিতে কৃষক ‘এফপিও’ গড়ে তুলে সরাসরি বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে, আর কিছু কিছু এফপিও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গেও যুক্ত হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
ভারতের নারীশক্তি আজ অভূতপূর্ব সাফল্য পাচ্ছে। আমাদের মেয়েরা আজ প্রত্যেক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই রূপান্তর এখন শুধুই নারী ক্ষমতায়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; এই রূপান্তর সমাজের ভাবনা এবং সামর্থ্য উভয়কেই রূপান্তরিত করছে।
বন্ধুগণ,
যখন নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হয়, যখন বাধা বিপত্তি দূর হয়, তখন আকাশে ওড়ার জন্য নতুন ডানা গজায়। আমাদের জন্য এর একটি উদাহরণ হল ভারতের মহাকাশ ক্ষেত্র। আগে মহাকাশ ক্ষেত্র সরকারি নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু আমরা মহাকাশ ক্ষেত্রে সংস্কার এনেছি। একে বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য উন্মুক্ত করেছি, আর এর ফল আজ দেশ দেখতে পাচ্ছে। এই ১০-১১ দিন আগেই, আমি হায়দ্রাবাদে ‘স্কাইরুট’-এর ‘ইনফিনিটি ক্যাম্পাস’ উদ্বোধন করেছি। ‘স্কাইরুট’ ভারতের একটি বেসরকারি মহাকাশ কোম্পানি। এই কোম্পানি প্রত্যেক মাসে একটি রকেট তৈরি করার ক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে। এই কোম্পানি ‘ফ্লাইট রেডি বিক্রম-ওয়ান’ তৈরি করছে। সরকার মঞ্চ দিয়েছে, আর ভারতের নবীন প্রজন্ম সেই ভিত্তির ওপর নতুন ভবিষ্যৎ গড়ে তুলছে। এটাই তো প্রকৃত রূপান্তর।
বন্ধুগণ,
আমি মনে করি এখানে ভারতে আরেকটি পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। একটা সময় ছিল যখন ভারতে সংস্কারগুলি প্রতিক্রিয়াশীল ছিল। অর্থাৎ, বড় সিদ্ধান্তগুলি হয় রাজনৈতিক স্বার্থ দ্বারা পরিচালিত হত অথবা সংকট মোকাবেলার প্রয়োজনে পরিচালিত হত। কিন্তু আজ, জাতীয় লক্ষ্যগুলি মাথায় রেখে সংস্কারগুলি বাস্তবায়ন করা হয় এবং লক্ষ্য স্থির থাকে। দেখো, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই কিছু না কিছু উন্নতি হচ্ছে। আমাদের গতি স্থির লক্ষ্যে, আমাদের দিকনির্দেশনা ধারাবাহিক, এবং আমাদের লক্ষ্য হলো 'দেশ সর্বাগ্রে'। ২০২৫ সালের পুরো বছরটি ছিল এই ধরণের সংস্কারের বছর। সবচেয়ে বড় সংস্কার ছিল 'পরবর্তী প্রজন্মের জিএসটি'। এবং পুরো দেশ এই সংস্কারের প্রভাব দেখেছে। এই বছর, প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থায়ও একটি বড় সংস্কার হয়েছে। ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর শূন্য কর এমন একটি পদক্ষেপ যা এক দশক আগেও কল্পনা করা অসম্ভব ছিল।
বন্ধুগণ,
এই ধারাবাহিক সংস্কার অব্যাহত রেখে, মাত্র তিন-চার দিন আগে, একটি ছোট কোম্পানির সংজ্ঞা পরিবর্তন করা হয়েছিল। এর ফলে হাজার হাজার কোম্পানি সরলীকৃত নিয়ম, দ্রুত প্রক্রিয়া এবং উন্নত সুযোগ-সুবিধার আওতায় এসেছে। আমরা প্রায় ২০০টি পণ্য বিভাগকে বাধ্যতামূলক মান নিয়ন্ত্রণ আদেশ থেকেও অব্যাহতি দিয়েছি।
বন্ধুগণ,
আজকের ভারতের এই যাত্রা কেবল উন্নয়নের নয়। এটি চিন্তাভাবনার পরিবর্তনেরও যাত্রা, মানসিক পুনর্জাগরণের যাত্রা। আপনারা এটাও জানেন যে আত্মবিশ্বাস ছাড়া কোনও দেশই এগিয়ে যেতে পারে না। দুর্ভাগ্যবশত, ভারতের দীর্ঘ দাসত্বের সময় এই আত্মবিশ্বাসকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। আর এর কারণ ছিল দাসত্বের মানসিকতা। দাসত্বের এই মানসিকতা উন্নত ভারতের লক্ষ্য অর্জনে একটি বড় বাধা। আর তাই, আজকের ভারত দাসত্বের মানসিকতা থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য কাজ করছে।
বন্ধুগণ,
ব্রিটিশরা খুব ভালো করেই জানত যে তারা যদি দীর্ঘ সময় ধরে ভারত শাসন করতে চায়, তাহলে তাদের ভারতীয়দের আত্মবিশ্বাস কেড়ে নিতে হবে এবং তাদের মধ্যে হীনমন্যতার অনুভূতি জাগিয়ে তুলতে হবে। এবং সেই সময় ব্রিটিশরা ঠিক এটাই করেছিল। অতএব, ভারতীয় পরিবার কাঠামোকে পুরানো হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, ভারতীয় পোশাককে অপেশাদার হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, ভারতীয় উৎসব ও সংস্কৃতিকে অযৌক্তিক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, যোগ ও আয়ুর্বেদকে অবৈজ্ঞানিক বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং ভারতীয় আবিষ্কারগুলিকে উপহাস করা হয়েছিল। এই বক্তব্যগুলি কয়েক দশক ধরে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পুনরাবৃত্তি করা হয়েছিল এবং একই জিনিস অধ্যয়ন এবং শেখানো হয়েছিল। এবং এইভাবে, ভারতীয়দের আত্মবিশ্বাস ভেঙে পড়েছিল।
বন্ধুগণ,
আমি আপনাদের এই দাসত্বের মানসিকতার ব্যাপক প্রভাবের কিছু উদাহরণ দিতে চাই। আজ, ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি। কেউ কেউ ভারতকে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন বলে, কেউ কেউ একে আন্তর্জাতিক শক্তি বলে। আজ অনেক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটছে।
কিন্তু বন্ধুগণ,
ভারত আজ যে দ্রুত প্রবৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করছে সে সম্পর্কে কি কোথাও পড়েছেন? কোথাও শুনেছেন? কেউ কি একে হিন্দু প্রবৃদ্ধির হার বলে? কেউ কি একে বিশ্বের দ্রুততম অর্থনীতি বলে? কখনও কি একে হিন্দু প্রবৃদ্ধির হার বলা হয়েছিল? ভারত যখন দুই থেকে তিন শতাংশ প্রবৃদ্ধির জন্য আকাঙ্ক্ষা করেছিল, তখন কি আপনার মনে হয় যে কোনও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে তার জনগণের বিশ্বাস এবং পরিচয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করা দুর্ঘটনাক্রমে ঘটে? না, এটি ছিল দাস মানসিকতার প্রতিফলন। একটি সম্পূর্ণ সমাজ, একটি সম্পূর্ণ ঐতিহ্যকে অনুৎপাদনশীলতা এবং দারিদ্র্যের সমার্থক করে তোলা হয়েছিল। এর অর্থ হল, এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল যে আমাদের হিন্দু সভ্যতা এবং হিন্দু সংস্কৃতি ভারতের ধীর প্রবৃদ্ধির হারের কারণ। এবং বিড়ম্বনা দেখুন: তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা যাঁরা আজ সবকিছুতে সাম্প্রদায়িকতা খুঁজে পান, তাঁরা হিন্দু প্রবৃদ্ধির হারে সাম্প্রদায়িকতা দেখতে পাননি। এই শব্দটি তাঁদের সময়ে বই এবং গবেষণাপত্রের অংশ ছিল।
বন্ধুগণ,
দাস মানসিকতা কীভাবে ভারতের উৎপাদন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছিল এবং আমরা কীভাবে এটিকে পুনরুজ্জীবিত করছি তার কিছু উদাহরণ আমি দেব। দাসত্বের সময়ও ভারত একটি প্রধান অস্ত্র উৎপাদনকারী দেশ ছিল। আমাদের দেশে অর্ডিন্যান্স কারখানার একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ছিল। ভারত থেকে অস্ত্র রপ্তানি করা হত। এমনকি বিশ্বযুদ্ধের সময়ও, ভারতীয় তৈরি অস্ত্র একটি প্রভাবশালী শক্তি ছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পরে, আমাদের প্রতিরক্ষা উৎপাদন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যায়। দাস মানসিকতা এতটাই প্রবল হয়ে ওঠে যে সরকারে থাকা ব্যক্তিরা ভারতে তৈরি অস্ত্রকে অবমূল্যায়ন করতে শুরু করে এবং এই মানসিকতার ফলে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম প্রতিরক্ষা আমদানিকারকদের মধ্যে একটি হয়ে ওঠে।
বন্ধুগণ,
এই দাস মানসিকতা জাহাজ নির্মাণ শিল্পের ক্ষেত্রেও একই রকম প্রভাব ফেলে। ভারত শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে একটি প্রধান জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্র ছিল। এমনকি ৫-৬ দশক আগেও, অর্থাৎ ৫০-৬০ বছর আগেও, ভারতের আমদানি- রপ্তানি বাণিজ্যের চল্লিশ শতাংশ ভারতীয় জাহাজের মাধ্যমে পরিবাহিত হত। কিন্তু দাস মানসিকতা বিদেশী জাহাজকে অগ্রাধিকার দিতে শুরু করে। ফলাফল সকলের কাছে স্পষ্ট: যে দেশ একসময় সমুদ্র শক্তি ছিল, তারা তাদের বাণিজ্যের পঁচানব্বই শতাংশের জন্য বিদেশী জাহাজের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এবং এই কারণে, আজ ভারত প্রতি বছর বিদেশী জাহাজ কোম্পানিগুলিকে প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা প্রদান করছে।
বন্ধুগণ,
জাহাজ নির্মাণ হোক বা প্রতিরক্ষা উৎপাদন, আমাদের সরকার আজ প্রতিটি ক্ষেত্রেই দাস মানসিকতাকে পিছনে ফেলে নতুন গৌরব অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
বন্ধুগণ,
এই দাস মানসিকতা ভারতে শাসনব্যবস্থার নানা পদ্ধতিরও বিরাট ক্ষতি করেছে। দীর্ঘদিন ধরে, সরকারি ব্যবস্থা তার নাগরিকদের প্রতি অবিশ্বাসী ছিল। তোমাদের হয়তো মনে আছে যে আগে, তোমাদের নিজস্ব নথিপত্র সরকারি কর্মকর্তার দ্বারা সত্যায়িত করতে হত। যদি না তারা তাদের স্বাক্ষরে সিল মারত, তাহলে সবকিছুই মিথ্যা বলে বিবেচিত হত। তোমাদের কঠোর পরিশ্রমের প্রমাণ। আমরা এই অবিশ্বাসের অনুভূতি ভেঙে দিয়েছি এবং আত্মপ্রত্যয়নকে যথেষ্ট বলে মনে করেছি। আমার দেশের নাগরিকরা বলে, "ভাই, আমি এটাই বলছি, আমি এটা বিশ্বাস করি।"
বন্ধুগণ,
আমাদের দেশে এমন বিধান ছিল যেখানে ছোটখাটো ভুলকেও গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হত। আমরা পাবলিক ট্রাস্ট আইন প্রণয়ন করেছি এবং শত শত বিধানকে অপরাধমুক্ত করেছি।
বন্ধুগণ,
পূর্বে, আপনি যদি কোনও ব্যাংক থেকে এক হাজার টাকা ঋণ নিতে চান, তবে ব্যাংক গ্যারান্টি চাইত কারণ সেখানে প্রচুর অবিশ্বাস ছিল। আমরা মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে এই অবিশ্বাসের চক্র ভেঙে দিয়েছি। এই প্রকল্পের আওতায়, আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের দেশবাসীকে ৩৭ লক্ষ কোটি টাকার গ্যারান্টি-মুক্ত ঋণ দিয়েছি। এই অর্থ দিয়ে, সেই পরিবারের যুবকরাও শিল্পোদ্যোগী হওয়ার আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে। আজ, এমনকি রাস্তার বিক্রেতা এবং গাড়িচালকদেরও গ্যারান্টি ছাড়াই ব্যাংক থেকে অর্থ দেওয়া হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
আমাদের দেশে, সবসময়ই বিশ্বাস করা হয় যে আপনি যদি সরকারকে কিছু দেন, তবে তা একমুখী রাস্তা। একবার দান করলে, তা হয়ে যায়, আর কখনও ফেরত আসে না। চলে যায়, চলে যায়। এটা সবার অভিজ্ঞতা। কিন্তু যখন সরকার এবং জনগণের মধ্যে আস্থা দৃঢ় থাকে, তখন কাজ কীভাবে হয়? আগামীকাল ভালো করতে চাইলে, আজই আপনাকে সদিচ্ছা দেখাতে হবে। মন ভালো থাকলে, আগামীকালও ভালো হবে। আর সেই কারণেই আমরা আরেকটি অভিযান শুরু করেছি। আপনারা শুনে অবাক হবেন যে সংবাদপত্রগুলি এখনও এটি লক্ষ্য করেনি। আমি জানি না তারা করবে কিনা, তবে আজকের পরে তারা হয়তো তা লক্ষ্য করবে।
আপনারা জেনে অবাক হবেন যে আজ, আমাদের নিজস্ব নাগরিকদের ৭৮,০০০ কোটি টাকা সারা দেশের ব্যাংকগুলিতে দাবি ছাড়াই পড়ে আছে। কেউ জানে না, এই টাকার মালিক কারা বা তাঁরা কোথায় আছেন। কেউ এই অর্থের দেখাশোনা করছেন না। একইভাবে, বিমা কোম্পানিগুলির কাছে প্রায় ১৪,০০০ কোটি টাকা পড়ে আছে। মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানিগুলির কাছে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা পড়ে আছে। ৯,০০০ কোটি টাকা লভ্যাংশ হিসেবে। আর এই সব কিছুই দাবিবিহীন অবস্থায় পড়ে আছে, যার কোনও মালিক নেই। এই টাকা দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের, তাই মালিকরা ভুলে গেছেন। আমাদের সরকার এখন সারা দেশে এই টাকার মালিকদের খোঁজ করছে। "আমাকে বলো ভাই, এটা কি তোমার টাকা ছিল না? এটা কি তোমার বাবা-মায়ের টাকা ছিল না? কেউ কি এটা ফেলে চলে গেছে?" আমাদের সরকার প্রকৃত মালিকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য কাজ করছে। এবং এর জন্য, সরকার বিশেষ শিবির স্থাপন শুরু করেছে, মানুষকে পরামর্শ দিচ্ছে, "দেখো কেউ খুঁজে বের করার জন্য আছে কিনা। তোমার টাকা কি কোথাও আছে? এটা কি চলে গেছে?" এখন পর্যন্ত, প্রায় ৫০০ জেলায় এই ধরনের শিবির স্থাপন করে, আমরা প্রকৃত মালিকদের হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। অর্থ সেখানে পড়ে ছিল, জিজ্ঞাসা করার জন্য কেউ ছিল না, কিন্তু এই মোদী, সে অনুসন্ধান করছে, "আরে, বন্ধু, এটা আপনার, আপনার টাকা নিয়ে যান।"
বন্ধুগণ,
এটা কেবল সম্পদ ফেরত দেওয়ার বিষয় নয়; এটা আস্থার বিষয়। এটা জনগণের আস্থা ক্রমাগত ফিরে পাওয়ার অঙ্গীকার, এবং জনগণের আস্থা আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। যদি দাসত্বের মানসিকতা থাকত, তাহলে সরকারই দায়িত্বে থাকত, এবং এই ধরনের অভিযান কখনও বাস্তবায়িত হত না।
বন্ধুগণ,
আমাদের দেশকে প্রতিটি ক্ষেত্রে দাসত্বের মানসিকতা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করতে হবে। মাত্র কয়েকদিন আগে, আমি জাতির কাছে একটি আবেদন করেছিলাম। আমি আগামী ১০ বছরের একটি সময়সীমা দিচ্ছি এবং হাতজোড় করে আমার সঙ্গে ভালোবাসা নিয়ে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। ১৪০ কোটি নাগরিকের সমর্থন ছাড়া আমি এটা করতে পারব না। আর সেজন্যেই বারবার আমার দেশবাসীকে হাতজোড় করে জিজ্ঞাসা করছি, এই ১০ বছরের সময়সীমায় আমি কী চাইছি? ২০৩৫ সালে, ভারতে মানসিক দাসত্বের বীজ বপনকারী ম্যাকলের নীতি ২০০ বছর পূর্ণ করবে। অর্থাৎ ১০ বছর বাকি আছে। আর তাই, এই দশ বছরে, আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করে আমাদের দেশকে দাসত্বের মানসিকতা থেকে মুক্ত করতে হবে।
বন্ধুগণ,
আমি প্রায়ই বলি, আমরা এমন মানুষ নই যারা সংকুচিত পথে চলে। একটি উন্নত আগামীর জন্য, আমাদের দিগন্তকে প্রসারিত করতে হবে। আমাদের দেশের ভবিষ্যতের চাহিদা বুঝতে হবে এবং বর্তমানের সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। আজকাল, আপনারা আমাকে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’ নিয়ে ক্রমাগত আলোচনা করতে দেখছেন। শোভনা জিও তার বক্তৃতায় এগুলোর কথা উল্লেখ করেছিলেন। যদি এই ধরনের অভিযান ৪-৫ দশক আগে শুরু হত, তাহলে আজকের ভারতের চিত্র ভিন্ন হত। কিন্তু সেই সময়ের সরকারগুলির অগ্রাধিকার ভিন্ন ছিল। আপনি সেমিকন্ডাক্টরের গল্প জানেন। প্রায় ৫০-৬০ বছর আগে, ৫-৬ দশক আগে, একটি কোম্পানি ভারতে একটি সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট স্থাপন করতে এসেছিল, কিন্তু তা উপেক্ষা করা হয়েছিল এবং দেশ সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে অনেক পিছিয়ে ছিল।
বন্ধুগণ,
শক্তি উৎপাদন ক্ষেত্রেরও একই অবস্থা। আজ, ভারত প্রতি বছর প্রায় ১২৫ লক্ষ কোটি টাকার পেট্রোল, ডিজেল এবং গ্যাস আমদানি করে। আমাদের দেশ সূর্যদেবের আশীর্বাদপুষ্ট, তবুও ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতের সৌরশক্তি উৎপাদন ক্ষমতা ছিল মাত্র ৩ গিগাওয়াট। আমি ২০১৪ সালের কথা বলছি, যখন আপনারা আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন। গত ১০ বছরে সেই ৩ গিগাওয়াট এখন প্রায় ১৩০ গিগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। এবং এর মধ্যে, ভারত কেবল ছাদে বিছানো সৌরসেলগুলি থেকে উৎপাদিত সৌরশক্তি থেকে ২২ গিগাওয়াট ক্ষমতা যোগ করেছে। ছাদে বিছানো সৌরসেলগুলি থেকে উৎপাদিত সৌরশক্তি থেকে ২২ গিগাওয়াট শক্তি।
বন্ধুগণ,
‘প্রধানমন্ত্রী সূর্যঘর’ বিনামূল্যে বিদ্যুৎ প্রকল্প দেশের জনগণকে জ্বালানি সুরক্ষার এই অভিযানে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছে। আমি কাশীর সাংসদ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব আছে, তবে একজন সাংসদ হিসেবে আমারও কিছু কাজ করার আছে। কাশীর সাংসদ হিসেবে, আমি আপনাদের কিছু বলতে চাই। আর আপনাদের হিন্দি সংবাদপত্রে এমন একটা অন্তর্নিহিত শক্তি আছে, তাই এটি অবশ্যই কাজে লাগবে। কাশীর ২৬,০০০ এরও বেশি বাড়িতে ইতিমধ্যেই ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্যঘর বিনামূল্যে বিদ্যুৎ প্রকল্প’-এর আওতায় বিনামূল্যে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এটি দৈনিক ৩,০০,০০০ ইউনিটেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, যার ফলে প্রতি মাসে মানুষের প্রায় ৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়। অর্থাৎ বার্ষিক ৬ কোটি টাকা।
বন্ধুগণ,
এত বেশি সৌরশক্তি উৎপাদনের ফলে প্রতি বছর প্রায় ৯০,০০০ মেট্রিক টন কার্বন নির্গমন হ্রাস পাচ্ছে। এই পরিমাণ কার্বন নির্গমন কমাতে আমাদের ৪০ লক্ষেরও বেশি গাছ লাগাতে হবে। এবং আমি আবারও বলছি, আমি যে পরিসংখ্যানগুলি দিয়েছি তা কেবল কাশী এবং বেনারসের জন্য; আমি সমগ্র দেশের কথা বলছি না। ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্যঘর বিনামূল্যে বিদ্যুৎ প্রকল্প’ দেশকে কতটা বিশাল সুবিধা প্রদান করছে তা আপনারা কল্পনা করতে পারেন। আজকের একটি প্রকল্প ভবিষ্যতের রূপান্তরের জন্য কতটা বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে তার এটি একটি উদাহরণ।
যাইহোক, বন্ধুগণ,
আপনারা অবশ্যই মোবাইল ফোন উৎপাদনের পরিসংখ্যানও দেখেছেন। ২০১৪ সালের আগে, আমরা আমাদের মোবাইল ফোনের চাহিদার ৭৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৭৫ শতাংশ আমদানি করতাম। আর এখন, ভারতে মোবাইল ফোন আমদানি প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। এখন আমরা একটি প্রধান মোবাইল ফোন রপ্তানিকারক হয়ে উঠছি। ২০১৪ সালের পর, আমরা একটি সংস্কার বাস্তবায়ন করেছি, দেশবাসী কাজ করেছে এবং বিশ্ব আজ এর রূপান্তরমূলক ফলাফল দেখছে।
বন্ধুগণ,
আগামীকালের রূপান্তরের এই যাত্রা অনেক পরিকল্পনা, নীতি, সিদ্ধান্ত, জনসাধারণের আকাঙ্ক্ষা এবং জনসাধারণের অংশগ্রহণের একটি যাত্রা। এটি ধারাবাহিকতার যাত্রা। এটি কেবল একটি শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; ভারতের জন্য, এটি একটি জাতীয় সংকল্প। এই সংকল্পে সকলের সমর্থন অপরিহার্য, সকলের প্রচেষ্টা অপরিহার্য। সম্মিলিত প্রচেষ্টা অবশ্যই আমাদের পরিবর্তনের এই উচ্চতায় পৌঁছানোর সুযোগ দেবে।
বন্ধুগণ,
আবারও, আমি যে বিষয়গুলি মাঝে মাঝে উল্লেখ করেছি তা বাস্তবায়নের জন্য আমি শোভনা জি এবং হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ এজন্যেও যে, আজ আমাকে আপনাদের মধ্যে থাকার সুযোগ দিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, এটি সম্ভবত দেশের আলোকচিত্রীদের জন্য একটি নতুন শক্তি হয়ে উঠবে। ভবিষ্যতে আপনারাও অনুরূপ অনেক নতুন কর্মসূচি বিবেচনা করতে পারেন। যদি আপনাদের আমার সাহায্যের প্রয়োজন হয়, দয়া করে আমাকে জানান। আমি আমার ধারণার জন্য কোনও রয়্যালটি নিই না। এটি একটি বিনামূল্যের ব্যবসা, আর আমি একটি মাড়োয়ারি পরিবারের সদস্য, তাই আমি কোনও সুযোগ হাতছাড়া করব না। আপনাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ। নমস্কার।
SC/SB/AS
(रिलीज़ आईडी: 2200009)
आगंतुक पटल : 12
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
Bengali-TR
,
English
,
Urdu
,
Marathi
,
हिन्दी
,
Assamese
,
Manipuri
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Telugu
,
Kannada