প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
কোয়েমবাটুরে দক্ষিণ ভারত প্রাকৃতিক কৃষি শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫-এ কৃষকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলাপচারিতার বাংলা অনুবাদ
Posted On:
20 NOV 2025 12:59PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২০ নভেম্বর, ২০২৫
কৃষক : ভানাক্কম !
প্রধানমন্ত্রী : নমস্কার ! আপনারা সবাই কি প্রাকৃতিক কৃষির সঙ্গে যুক্ত?
কৃষক : হ্যাঁ স্যার।
কৃষক : এটা হল সৌরশক্তিতে শুকনো কলা...
প্রধানমন্ত্রী : মানে কলা কাটার পর?
কৃষক : হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী : আপনারা এই বর্জ্য নিয়ে কী করেন?
কৃষক : এগুলো সবই কলার মূল্য সংযোজিত পণ্য, আর এটা বর্জ্য... স্যার এটা কলার বর্জ্য, আর এটা কলার মূল্য সংযোজন।
প্রধানমন্ত্রী : আপনাদের পণ্য কী অনলাইনে দেশ জুড়ে বিক্রি হয়?
কৃষক : হ্যাঁ স্যার।
কৃষক : আসলে এখানে তামিলনাড়ুর সবাই রয়েছে। সমস্ত কৃষক উৎপাদক সংস্থা- এফপিও, এমনকি ব্যক্তি হিসেবেও কৃষকরা অন্তর্ভুক্ত।
প্রধানমন্ত্রী : আচ্ছা।
কৃষক : আমরা সবকিছু করি: অনলাইনে বিক্রি, রপ্তানি, আমরা ভারতের সব স্থানীয় বাজার এবং সুপার মার্কেটেও বিক্রি করি স্যার।
প্রধানমন্ত্রী : একটা এফপিও-তে একসঙ্গে কতজন কাজ করেন?
কৃষক : এক হাজার।
প্রধানমন্ত্রী : এক হাজার?
কৃষক : হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী : ও। একটা এলাকায় আপনারা কী শুধু কলারই চাষ করেন, নাকি নানা ধরনের ফলস থাকে?
কৃষক : বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ফসল হয় স্যার। এখন আমাদের জিআই পণ্যও রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী : আচ্ছা, আপনাদের ওটাও রয়েছে।
কৃষক : চার রকমের চা আছে। সবাই ব্ল্যাক টি-এর কথাই জানে। আর এটা হল... হোয়াইট টি। এইটা হচ্ছে উলং। আর এইটা ৪০ শতাংশ ফার্মেন্টেড টি, উলং টি ও গ্রিন টি।
প্রধানমন্ত্রী : আজকাল হোয়াইট টি-এর বেশ বড় বাজার হয়েছে।
কৃষক : হ্যাঁ স্যার।
কৃষক : বেগুন- এই সব কিছুই প্রাকৃতিক কৃষি থেকে।
প্রধানমন্ত্রী : এখন কি আম পাওয়া যাচ্ছে?
কৃষক : হ্যাঁ আম হ্যাঁ স্যার।
কৃষক : এগুলো অফ সিজনের আম।
প্রধানমন্ত্রী : আজকাল তো এরও বেশ বড় বাজার হয়েছে। তাই না?
কৃষক : মরিঙ্গা।
প্রধানমন্ত্রী : মরিঙ্গা।
কৃষক : হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী : এই মরিঙ্গার পাতা নিয়ে আপনারা কী করেন?
কৃষক : আমরা মরিঙ্গার পাতা দিয়ে পাউডার বানিয়ে রপ্তানি করি স্যার।
প্রধানমন্ত্রী : এই পাউডারের তো...
কৃষক : হ্যাঁ চাহিদা আছে।
প্রধানমন্ত্রী : খুব চাহিদা।
কৃষক : হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী : প্রধানত কোন কোন দেশ এটা কেনে?
কৃষক : আমেরিকা, আফ্রিকার দেশগুলো আর জাপান। এছাড়া দক্ষিণপূর্ব এশিয়াতেও এর ভালো চাহিদা রয়েছে...
কৃষক : এগুলো সবই জিআই পণ্য। আমরা এখানে তামিলনাড়ুর ২৫টা জিআই পণ্য দেখিয়েছি। কুম্বাকোনামের পানপাতা, মাদুরাইয়ের জুঁই আর এইটাও মাদুরাই থেকে স্যার। সব পণ্যই এখানে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী : এগুলোর বাজার কোথায়?
কৃষক : ভারত জুড়ে স্যার। আর তামিলনাড়ুতে যে কোনও অনুষ্ঠানে এগুলো ব্যবহার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী : আমার কাশীর লোকজন কি এটা নেয়? আর তার বদলে তারা কি বেণারসী পান দেয়?
কৃষক : হ্যাঁ স্যার।
কৃষক : এটা পালানি মুরুগা।
কৃষক : এই রকম ১০০রও বেশি পণ্য আছে স্যার। এক ধার থেকে মধু দিয়ে শুরু করে...
প্রধানমন্ত্রী : আর এর বাজার?
কৃষক : খুব বড় স্যার। এর চাহিদা প্রচুর। সারা বিশ্বের বাজারে মধুর চাহিদা রয়েছে।
কৃষক : আমাদের কাছে ধানের ১০০০-এর বেশি প্রজাতি রয়েছে... দামের দিক থেকে মিলেটের সমান স্যার।
প্রধানমন্ত্রী : ধানের ক্ষেত্রে তামিলনাড়ু যা করে দেখিয়েছে...
কৃষক : হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী : সারা বিশ্ব এখনও এর সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না।
কৃষক : ঠিক বলেছেন স্যার।
প্রধানমন্ত্রী : হ্যাঁ।
কৃষক : স্যার, আমরা ধান, চাল এবং এর থেকে তৈরি সমস্ত মূল্যযুক্ত পণ্য রপ্তানি করি। সেগুলো সবই এখানে দেখানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী : তরুণ প্রজন্মের কৃষকরা প্রশিক্ষণ নিতে আসছে?
কৃষক : হ্যাঁ স্যার, এখন অনেকে আসছে।
প্রধানমন্ত্রী : তাঁরা নিশ্চয়ই অনেক প্রশ্ন করে। প্রথমেই তো তারা বিষয়টা বুঝতে পারবে না। পিএইচডি করার পর একজন এই কাজ করছেন ! তবে যখন তারা এর সুফলগুলি দেখতে পাই তখন আপনারা তাদের কী বোঝান?
কৃষক : আগে মানুষ তাদের পাগল ভাবতো। কিন্তু তারা এখন মাসে ২ লক্ষ টাকা করে উপার্জন করে। তারা এখন একজন কালেক্টরের থেকেও বেশি টাকা পায় স্যার। সেইজন্য এখন মানুষ তাদের থেকে প্রেরণা পায়।
প্রধানমন্ত্রী : তাহলে তো এখন কালেক্টররাও চাষ করতে চলে আসবেন।
কৃষক : আমরা ৭০০০ কৃষককে আমাদের ফার্মে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এটা প্রাকৃতিক কৃষি প্রকল্পের আওতায় স্বীকৃত মডেল ফার্ম। ৩০০০ কলেজ পড়ুয়াও এই প্রশিক্ষণ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী : আপনারা আপনাদের পণ্যের বাজার পান?
কৃষক : আমরা সরাসরি বাজারে বিক্রি করি এবং অন্যান্য দেশে রপ্তানি করি। তারপরে আমরা এইসব পণ্যে মূল্য সংযোজন করি- তেল, চুলের তেল, সাবান।
প্রধানমন্ত্রী : আপনাদের তৈরি চুলের তেল কারা কেনে?
প্রধানমন্ত্রী : আমি যখন গুজরাটে ছিলাম, তখন আমি ক্যাটল হস্টেল নামে একটা ভাবনার রূপায়ণ ঘটিয়েছিলাম।
কৃষক : হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী : গ্রামের সমস্ত পশুকে ওই ক্যাটল হস্টেলে রাখা হত।
কৃষক : হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী : তাতে গোটা গ্রাম পরিচ্ছন্ন থাকত। আপনার কেবল একজন চিকিৎসক আর ব্যবস্থাপনার জন্য ৪-৫ জনকে দরকার হত। তাতেই এটা খুব ভালোভাবে চলত।
কৃষক : এই সব... আমরা বড় মাপে উৎপাদন করি এবং কাছের কৃষকদেরও দিয়ে দিই।
প্রধানমন্ত্রী : আপনারা কৃষকদেরও দেন।
SC/SD/NS….
(Release ID: 2192244)
Visitor Counter : 3