শ্রমওকর্মসংস্থানমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

দোহায় সামাজিক উন্নয়ন সংক্রান্ত দ্বিতীয় ওয়ার্ল্ড সামিটে ভাষণ কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ড. মনসুখ মাণ্ডভিয়ার

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দারিদ্র দূরীকরণ ও সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে ভারতের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ তুলে ধরলেন মাণ্ডভিয়া

प्रविष्टि तिथि: 05 NOV 2025 7:12PM by PIB Kolkata

দোহা, ৫ নভেম্বর, ২০২৫


 

মাননীয়গণ, বিশিষ্ট প্রতিনিধিবৃন্দ ও সহকর্মীবৃন্দ,

এই বিশেষ ফোরামে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা আমার কাছে অত্যন্ত সম্মানের। 

৩০ বছর আগে কোপেনহেগেন ঘোষণাপত্রে দারিদ্র দূরীকরণ, পূর্ণাঙ্গ কর্মসংস্থান ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি উন্নয়নের কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল মানুষকে। 

ভারত এখন উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। গত ১০ বছর ধরে ধারাবাহিক সংস্কার, কল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্রায় ২৫ কোটি ভারতীয়কে দারিদ্রসীমার ওপরে তুলে আনা হয়েছে। 

মাননীয়গণ,

অন্ত্যোদয়ের দর্শনকে সামনে রেখে ভারত তার যাত্রা অব্যাহত রেখেছে, যার অর্থ হল একেবারে শেষ স্তর পর্যন্ত ক্ষমতায়ন। আমাদের এখানে শিশুদের জন্য এক স্বাস্থ্য সম্মত কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক তরুণ শিক্ষা ও জীবিকার ক্ষেত্রে সহায়তা পেয়ে থাকেন, একজন কর্মী উপযুক্ত কাজ পেয়ে থাকেন এবং একজন বয়স্ক মানুষের মর্যাদা এবং বৃদ্ধ বয়সে আয়ের ক্ষেত্রে সুরক্ষা পেয়ে থাকেন।

আজ ১১.৮ কোটি স্কুল শিশু পুষ্টিকর মিড ডে মিল পেয়ে থাকে। ৮০ কোটির বেশি মানুষকে খাদ্য সুরক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। ৪২.২ কোটি ভারতীয়কে স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে। 


 ২০১৭-১৮ এবং ২০২৩-২৪, এই  মধ্যে আমাদের বেকারত্বের হার ৬% থেকে কমে ৩.২%-এ নেমে এসেছে। মহিলাদের কর্মসংস্থানের হার বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। 

ভারতের সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্র ২০১৫-র ১৯% থেকে বেড়ে ২০২৫-এ ৬৪.৩%-এ পৌঁছেছে। আমাদের প্রয়াসকে স্বীকৃতি দিয়ে এই বছর সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে আইএসএসএ পুরস্কার প্রদান করেছে আন্তর্জাতিক সামাজিক সুরক্ষা সংস্থা।

প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের মাধ্যমে আমরা সমাজের শেষ স্তর পর্যন্ত নাগরিকদের নিরবচ্ছিন্নভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছি। 

মাননীয়গণ,

এই সামিটে আমরা যে রাজনৈতিক ঘোষণাপত্র গ্রহণ করেছি, তাতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অগ্রাধিকারকে স্থান দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মহিলা পরিচালিত উন্নয়ন, পরম্পরাগত ওষুধ ব্যবস্থা, ডিজিটাল গণ পরিকাঠামো এবং সমবায়। 

আমাদের আর্থিক অগ্রগতি এবং সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সুস্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষ্য। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। 

প্যারিস চুক্তির ক্ষেত্রে আমরা অনেক আগেই জলবায়ু সংক্রান্ত আমাদের অঙ্গীকার পূরণে সাফল্য পেয়েছি।

পাকিস্থানের প্রেসিডেন্টের গতকালের অযৌক্তিক বক্তব্যের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটি হল আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভুল তথ্য দিয়ে সামাজিক উন্নয়ন থেকে  বিশ্বের নজর ঘুরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। সীমান্ত সন্ত্রাসকে মদত দিয়ে সিন্ধু জলচুক্তির মূল উদ্দেশ্যকে ধ্বংস করেছে পাকিস্তান। ভারতের বৈধ প্রকল্পগুলিতে বাধা দিয়ে চুক্তির অপব্যবহার করেছে পাকিস্তান। 

ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের মন্তব্য করার কোনও এক্তিয়ার নেই। এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। পাকিস্তানের পক্ষে ভালো হবে, যদি তারা আত্মসমীক্ষা করে এবং উন্নয়ন সংক্রান্ত গুরুতর চ্যালেঞ্জগুলির দিকে নজর দেয়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে দোষারোপ করা পাকিস্তানকে বন্ধ করতে হবে। 

মাননীয়গণ,

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জি-র মন্ত্র হল ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’, যার অর্থ হল,  সকলের সঙ্গে, সকলের জন্য বিকাশ। আমরা বিশ্বাস করি যে, সামাজিক অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন নীতির কেন্দ্রে থাকে মানুষ, যখন উদ্ভাবনের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তি হয় এবং যখন উন্নয়ন সকলের মিলিত প্রয়াস হয়ে ওঠে। 

এই মঞ্চে যেটি গুরুত্বপূর্ণ, তা হল প্রতিটি দেশের আর্থিক চাহিদা ও সামাজিক প্রয়োজনীয়তার ওপর নজর দেওয়া। 

গ্লোবাল সাউথের দেশগুলির জন্য ভারত এক উন্নয়নের মডেল তুলে ধরেছে। সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা যদি যৌথভাবে উদ্যোগী হই, তবে ভারত তার সর্বশক্তি দিয়ে পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। 

এ ধরনের সামিটের আয়োজন করার জন্য আমি রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং কাতার সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করছি। 
ধন্যবাদ।

 

SC/MP/NS…


(रिलीज़ आईडी: 2186805) आगंतुक पटल : 16
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: Khasi , English , Urdu , Nepali , हिन्दी , Marathi , Assamese , Punjabi , Gujarati , Odia , Telugu , Kannada , Malayalam