প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলাগুলির ক্ষেত্রে ‘সংকল্প সপ্তাহ’ কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ

प्रविष्टि तिथि: 30 SEP 2023 6:29PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মীবৃন্দ, সরকারি আধিকারিকগণ, নীতি আয়োগের সহকর্মীরা, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লক্ষ্যাধিক কোম্পানী যারা বিভিন্ন ব্লক থেকে তৃণমূল স্তরে সম্পর্কিত এবং এই বিষয়ে উৎসাহিত উপস্থিত প্রতিনিধিবৃন্দকে আমার শুভেচ্ছা। এই জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নীতি আয়োগকে সাধুবাদ জানাই। 

ভারত মণ্ডপমে উপস্থিত হওয়ায় ভারত সরকার তথা দেশের অভিমুখকে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে। জি২০ শিখর সম্মেলনের এক মাসের মধ্যেই দেশের দূরবর্তী গ্রাম তথা প্রান্তিক পরিবারগুলির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত মানুষরা এখানে উপস্থিত। তাঁদের কল্যাণকর্মে যাঁরা এই নীতি ও সিদ্ধান্তগত দিককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান এবং বিশ্বক্ষেত্রে এ ব্যাপারে দিশা প্রদর্শনকারী মানুষরা। কেবল এই মাসের অর্থ বলতে বৈষিক নানা উদ্বেগের বিষয়কে সঙ্ঘবদ্ধভাবে মোকাবিলায় দেশের নানা নেতৃবৃন্দ ভারত মণ্ডপমে সেসব বিষয় উত্থাপন করছেন। আমার কাছে এই মিলনস্থল জি২০ থেকে কোনও অংশে কম নয়। এই অনুষ্ঠান ভবিষ্যৎ ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এর সাফল্য লুকিয়ে রয়েছে সংকল্পস্পৃহার মধ্যে। 

বন্ধুগণ,

স্বাধীনতার পর প্রথম স্তরের যে ১০-টি প্রকল্প রূপায়িত হয়েছে, উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা কর্মসূচিকে সেক্ষেত্রে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। দেশের ১১২-টি জেলার ২৫ কোটি মানুষের জীবনে এই কর্মসূচি রূপান্তর ঘটিয়েছে। জীবনধারার মানোন্নয়ন ঘটেছে, পরিচালন ব্যবস্থায় সাচ্ছন্দ্য এসেছে। যেভাবে চলছে সেভাবে চলুক এই মানসিকতার পূর্ণ বদল ঘটেছে। উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলার এই সাফল্যের উন্নয়ন মডেল নিয়ে বিশ্বজুড়ে তথা উন্নয়নশীল দেশগুলিতে আলোচনা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা কর্মসূচি সাফল্যের বিজয়কেতন উড়িয়েছে। এবার উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্লক কর্মসূচি ১০০ শতাংশ সাফল্য লাভ করবে।

তৃণমূল স্তরে কাজ করা এইসব কর্মীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস প্রত্যক্ষ করে আমারও আত্মবিশ্বাস বহুগুণ বেড়ে গেছে। আমি আপনাদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আপনারা দু কদম নিলে আমি তিন কদম নিতে প্রস্তুত। আপনারা ১২ ঘণ্টা কাজ করলে ১৩ ঘণ্টা কাজ করতে প্রস্তুত। আমি আপনাদের সহকর্মী হিসেবে দলের এক সদস্য হিসেবে কাজ করতে চাই। 

বন্ধুগণ,

উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা কর্মসূচি ৫ বছর হল। কোনও তৃতীয় পক্ষের এজেন্সিকে একাজের মূল্যায়ণ করে সন্তোষ প্রকাশ করতে দেখলে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের দায়বদ্ধতা বহুগুণ বেড়ে যায়। উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা কর্মসূচিতে আমরা উন্নয়নের সরাসরি পথ গ্রহণ করেছি। দক্ষতা বর্ধন অত্যাবশ্যক। দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিক মতো কাজ না করলে কাউকে যেমন পূর্ণ সুস্থ বলা যায়না, সেরকম দেশের উন্নয়নকে চিহ্নিত করতে গেলে তার উন্নয়নের সূচকগুলিকে সন্তোষজনক হতে হবে। স্বাস্থ্যকর পরিবার বলতে যেমন পরিবারের সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে বোঝানো হয়, ঠিক তেমনি একটা দেশের সামগ্রিক বিকাশ বলতে জেলা, গ্রাম, এলাকা মিলে দেশের বিকাশে তাদের সদর্থক প্রভাবকে বোঝায়। দেশের রূপান্তরমূলক পরিবর্তনে তৃণমূল স্তরে বিকাশকে পৌঁছে দিতে যাঁরা অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে, এই শিখর সম্মেলনে তাঁরা সকলে উপস্থিত। 

তৃণমূল স্তরে বিকাশকে আমি সবসময় জোর দিয়েছি। তার কারণ আমার বিশ্বাস এই বিকাশের মধ্যে দিয়ে দেশের উন্নয়ন গতিপ্রাপ্ত হয়। এখানে উপস্থিত সরকারি আধিকারিকদের আমি অনুরোধ করবো, উন্নয়নমূলক ব্লক কর্মসূচিতে একইভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে। প্রথমে আমরা দেশের ১০০টি ব্লককে চিহ্নিত করি যে ব্লকগুলি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সবথেকে পিছিয়ে পড়া। ভারত সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের কাজ হবে এই ব্লকগুলির স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে কৌশল প্রণয়নের। শিক্ষা দপ্তরও সেরকম ১০০টি পিছিয়ে পড়া ব্লককে চিহ্নিত করতে পারে। আমি চাইনা যে এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা বা ব্লক নীতি আয়োগের কর্মসূচি হোক। বরং সরকার তার বিভিন্ন দপ্তর, কেন্দ্র এবং রাজ্য যৌথভাবে এগুলির উন্নতিসাধনে এগিয়ে আসুক। 

সমস্ত দপ্তরে যদি দক্ষতা বিকাশের প্রয়োজন দেখা দেয়, তাহলে রাজ্যগুলি চিহ্নিত করুক সব থেকে পিছিয়ে পড়া ১০০-টি গ্রামকে। কর্মী নিয়োগের যদি প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে তরুণ কর্মী অফিসার নিয়োগ করা হোক। এক মাসের মধ্যে তাঁরা সেই ১০০-টি গ্রামের পিছিয়ে পরার কারণ চিহ্নিত করে তা নিরসনে সক্রিয় ভূমিকা নিক। এইভাবে ১০০-টি গ্রাম থেকে ১০০০-টি গ্রামের উন্নয়নের পথে পা বাড়ানো যেতে পারে।

দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে। ২০৪৭-এর মধ্যে আমি দেখতে চাই উন্নত ভারত। উন্নত দেশ মানে এই নয়, তাতে কেবল দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাইয়ের ঔজ্জ্বল্য ফুটে উঠবে আর গ্রাম উপেক্ষিত থাকবে। আমাদের এমন কর্মসূচি নিয়ে এগোতে হবে, যাতে দেশের ১৪০ কোটি মানুষ উপকৃত হন এবং দেশের অগ্রগতির শরিক হতে পারেন তাঁরা। 

কাজের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা নিয়ে এটা করা দরকার। উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্লকের প্রশ্নে রাজ্য এবং কেন্দ্রকে অনুরূপ মনোযোগী হতে হবে। ব্লক স্তরে যে সমস্ত আধিকারিক কাজ করছেন, তাদের উৎপাদনমুখী মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। উন্নয়নই বলে দেবে তাদের কাজের স্বরূপ। আপনারা নিশ্চয় প্রত্যক্ষ করেছেন যে ২০১৪ সালের পর থেকে আমরা ফলাফলমুখী বাজেটের দিকে নজর দিয়েছি। কেননা ফলাফলের ওপর জোর দিলে গুণগত মানের এক পরিবর্তন আসে। কেবলমাত্র সম্পদের বন্টনই নয়, ফলাফল কতখানি সুনিশ্চিত হচ্ছে তাও দেখা দরকার। 

টাকা হলেই কাজ হয়, প্রথাগত এই বিশ্বাসের আমি পরিপন্থী। ফলাফল সব সময় বাজেট নির্ভর হয়না। নির্ভর করে সম্পদের যথাযথ সদ্ব্যবহারের ওপর। নতুন তহবিলের জন্য অপেক্ষা না করেও ব্লকে স্তরে আমরা উন্নয়নকে পৌঁছে দিতে পারি। 

আপনারা নিশ্চয় দেখেছেন বিশ্বজুড়ে ভারতের নাম ধ্বনিত হচ্ছে। খবরের কাজগুলি এই সাফল্য মোদীর বলে দেখাতে চাইছে। তবে এরও বাইরে যে বিষয়টি হল, যা হয়তো অনেকের চোখে পড়েনি, তা হল অভিবাসিদের সাফল্যের দিক। যাঁরা ভারত থেকে গিয়ে অন্য দেশে বাস করছেন, উদ্যম, উৎসাহ তাদের মধ্যেও অনুরূপ। জনজীবনে তাঁদের অংশগ্রহণ এইসব দেশে চোখে পড়ছে। ভারত তাই বিশ্ব ক্ষেত্রে দেশের স্বীকৃতি পাচ্ছে। 

আপনাদের সকলের কাছে আমার অনুরোধ। এমন লক্ষ্য আপনারা চিহ্নিত করুন যা আগামী ৩ মাসের মধ্যে অর্জন করা সম্ভব। ত্রিশটির মধ্যে পাঁচটি প্যারামিটারকে আপনারা ঠিক করুন যাতে অন্তত সেক্ষেত্রে গড় রাজ্যের হিসেবকে আমরা ছাপিয়ে যেতে পারি। এতেই দেখবেন উৎসাহ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে, পাঁচ থেকে ১০ হবে, ক্রমে তা আরও বাড়তে থাকবে। উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা হিসেবে কোনও জেলাকে তুলে ধরা গেলে আরও অন্যান্য জেলাও উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা হওয়ার পথে পা বাড়াবে। এইভাবে ব্লকগুলির ক্ষেত্রেও তা অনুরূপ। ফলে দেখা যাবে একটা রাজ্যে সমস্ত ব্লকই উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্লক হয়ে উঠেছে। 

আপনাদের সঙ্গে এই কর্মসূচি নিয়ে কথা বলে আনন্দ পেলাম। অন্য অনেকে অনলাইনে তা শুনছেন। আবার বলছি, ১০০-টি পিছিয়ে পড়া ব্লককে চিহ্নিত করে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে জাতীয় গড়ের স্তরে যাতে তারা উন্নীত হতে পারে সেই লক্ষ্যে এগোন। তৃণমূল স্তরে কোনও কাজ পড়ে থাকবে না বলে আমার বিশ্বাস। আগামী ২০২৪-এ অক্টোবর-নভেম্বরে আমরা পুনরায় মিলিত হয়ে নতুন করে অগ্রগতির পর্যালোচনা করবো। আপনাদের মধ্যে ১০ জনের কাছে সাফল্যের কথা সোনার পর পরবর্তী এক বছরের জন্য আমি আমার চিন্তাভাবনা আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো। আপনাদের শুভেচ্ছা ও অসংখ্য ধন্যবাদ। 

প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে। 


****

SSS/AB/NS….  


(रिलीज़ आईडी: 2180001) आगंतुक पटल : 18
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English , Urdu , Marathi , हिन्दी , Assamese , Manipuri , Punjabi , Gujarati , Odia , Tamil , Kannada