প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

‘বিকশিত ভারত বিকশিত পশ্চিমবঙ্গ’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের রুপান্তর

Posted On: 09 MAR 2024 6:38PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৯ মার্চ ২০২৪

 

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল শ্রী সি.ভি. আনন্দ বোস, আমার মাননীয় মন্ত্রিসভার সদস্য শ্রী নিশিথ প্রামাণিক এবং শ্রী জন বার্লা, পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলের নেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী, সংসদের আমার সহকর্মী বৃন্দ, ডঃ সুকান্ত মজুমদার, কুমারী দেবশ্রী চৌধুরী, শ্রী খগেন মুর্মু, শ্রী রাজু বিস্তা, ডাঃ জয়ন্ত কুমার রায়, বিধায়ক বৃন্দ, মাননীয় অতিথি বৃন্দ, ভদ্রমহোদয়গণ।

উত্তরবঙ্গের এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যপূর্ণ ও প্রসিদ্ধ চা বাগানের দেশে আসা আমার জন্য আনন্দের। আজ এখানে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে। এটি ‘উন্নত বঙ্গের’ দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই উন্নয়নমূলক উদ্যোগগুলির জন্য আমি বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের মানুষ কে অভিনন্দন জানাই।

বন্ধুরা,

উত্তরবঙ্গ উত্তরপূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে। এটি প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগও নিশ্চিত করে। তাই, গত ১০ বছরে আমাদের সরকারের জন্য বঙ্গের, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের। উত্তরবঙ্গের দ্রুত উন্নয়নের জন্য এই অঞ্চলে ২১ শতকের রেল ও সড়ক পরিকাঠামো গড়া অত্যাবশ্যক। এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই আজ একলাখি থেকে বালুরঘাট, সিলিগুড়ি থেকে আলুয়াবাড়ি, এবং রাণীনগর-জলপাইগুড়ি-হাল্ডিবারি রেললাইনের বৈদ্যুতিকীকরণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটি উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কুচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার ট্রেনের গতি বাড়াবে। শিলিগুড়ি-সমুক্তালা রুটের বৈদ্যুতিকীকরণ বন ও বন্যপ্রাণীর আশ্রয়স্থলে দূষণ কমাতেও সাহায্য করবে। আজ বারসই-রাধিকাপুর বিভাগের বৈদ্যুতিকীকরণ-ও সম্পন্ন হয়েছে। এতে কেবল পশ্চিমবঙ্গের নয়, বিহারের মানুষ ও উপকৃত হবেন। রাধিকাপুর থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত নতুন ট্রেন পরিষেবাও চালু হয়েছে। এই শক্তিশালী রেল পরিকাঠামো বঙ্গের নতুন উন্নয়নের পথ খুলবে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে।

বন্ধুরা,

একটা সময় ছিল, যখন উত্তরের দিকে রওনা হলে ট্রেনের গতি কমে যেত। কিন্তু দেশের অন্যান্য অংশের মতো উত্তরবঙ্গের ট্রেনের গতি বাড়ানো আমাদের সরকারের লক্ষ্য। এখন উত্তরবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে রেল যোগাযোগও শুরু হয়েছে। নতুন জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত মিতালি এক্সপ্রেস চলছে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমন্বিত ভাবে আমরা রাধিকাপুর স্টেশন পর্যন্ত সংযোগ বাড়াচ্ছি। এই যোগাযোগ ব্যবস্থা সক্ষম হলে দুই দেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে, এবং পর্যটনও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

বন্ধুরা,

স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ব ভারতের উন্নয়ন ও স্বার্থ উপেক্ষিত ছিল। কিন্তু আমাদের সরকার পূর্ব ভারতের উন্নয়ন কে দেশের বৃদ্ধির চালিকাশক্তি হিসেবে দেখছে। তাই এই অঞ্চলের পরিকাঠামোতে অভূতপূর্ব বিনিয়োগ করা হচ্ছে। ২০১৪ সালের আগে বাংলার গড় রেল বাজেট প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা ছিল। এখন প্রায় ১৪,০০০ কোটি টাকায় বেড়েছে। আজ উত্তরবঙ্গ থেকে গৌহাটি এবং হাওড়া পর্যন্ত উচ্চগতির বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে। শিলিগুড়ি স্টেশনও অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতাভুক্ত, যার মাধ্যমে ৫০০-টির বেশি স্টেশন আধুনিকীকরণ করা হবে। এই ১০ বছরে আমরা বাংলার ও উত্তরপূর্ব ভারতের রেল উন্নয়ন যাত্রাকে গতিশীল করে তুলেছি। আমাদের তৃতীয় মেয়াদে এটি আরও দ্রুত গতিতে এগোবে।

বন্ধুরা,

আজ উত্তরবঙ্গে ৩,০০০ কোটি টাকারও বেশি সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছে। ঘোষপুরকুর-ধুপগুড়ি চার লেন ও ইসলামপুর বাইপাসের কাজ শুরু হওয়ায় অনেক জেলায় মানুষ উপকৃত হবেন। জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, ময়নাগুড়ির মতো শহরগুলিতে যানজট কমবে। এটি উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার পাশাপাশি সমগ্র উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে সড়ক সংযোগ আরও উন্নত করবে। ফলে ডুয়ার্স, দার্জিলিং, গ্যাংটক, মিরিকের মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে সহজে পৌঁছানো সম্ভব হবে। অর্থাৎ, পর্যটন বৃদ্ধি পাবে, শিল্প বাড়বে, এবং চা চাষিরাও উপকৃত হবেন।

বন্ধুরা,

কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করছে। আবারও আমি এই উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির জন্য সকলকে অভিনন্দন জানাই। আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।

যদিও এখানকার এক অনুষ্ঠান শেষ হচ্ছে, আমার ভাষণ এখানেই শেষ নয়। তাই আমরা এখান থেকে খোলা মাঠে যাব। সেখানে আমি আপনাদের সঙ্গে আরও বিস্তারিতভাবে কথা বলব।

আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।

স্বীকৃতি: এটি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আনুমানিক অনুবাদ। মূল ভাষণ হিন্দিতে প্রদান করা হয়েছিল।

 

***
SSS/RS


(Release ID: 2177602) Visitor Counter : 10