প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

মধ্যপ্রদেশের ধার-এ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ

Posted On: 17 SEP 2025 4:18PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

 


ভারত মাতা কি জয়! ভারত মাতা কি জয়! ভারত মাতা কি জয়!

নর্মদা মাইয়া কি জয়! নর্মদা মাইয়া কি জয়! নর্মদা মাইয়া কি জয়!

মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল মঙ্গুভাই প্যাটেল মহোদয়, এ রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মোহন যাদব মহোদয়, কেন্দ্রে আমার সহকর্মী, বোন সাবিত্রী ঠাকুর মহোদয়া, সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্যপাল, দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে এই কর্মসূচিতে যোগদানকারী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা, মঞ্চে উপস্থিত অন্যান্য সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা!

জ্ঞানের দেবী এবং ধার ভোজশালার মাতা বাগদেবীর চরণে আমি প্রণাম জানাই। আজ দক্ষতা ও নির্মাণের দেবতা ভগবান বিশ্বকর্মার আরাধনা হচ্ছে। ভগবান বিশ্বকর্মার প্রতি আমার প্রণাম। আজ, বিশ্বকর্মার আরাধনা উপলক্ষ্যে দেশ গঠনে নিয়োজিত দক্ষ কোটি কোটি ভাইবোনদের আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রণাম জানাই। 

বন্ধুগণ,

এই ধার ভূমি সর্বদাই বীরত্বের ভূমি, অনুপ্রেরণার ভূমি। মহারাজা ভোজের বীরত্ব...হয়তো আমরা সেখানে তা শুনতে পাই না অথবা দেখতে পাই না। আপনি যত দূরেই থাকুন না কেন, আমি আপনার হৃদয়ের কথা বুঝতে পারি। যদি এখানকার কারিগররা তাদের কোনওভাবে সাহায্য করতে পারেন, তাহলে তাদের তা করা উচিত, মধ্যপ্রদেশের মানুষ, খুব সুশৃঙ্খল। অসুবিধা হলেও, মধ্যপ্রদেশে সবসময়ই সহনশীলতার মনোভাব ছিল এবং আমি এখানেও তা দেখতে পাচ্ছি।

বন্ধুগণ,

মহারাজা ভোজের সাহসিকতা আমাদের দেশের গর্ব রক্ষার জন্য দৃঢ়ভাবে সংকল্পবদ্ধ হতে শেখায়। মহর্ষি দধিচীর আত্মত্যাগ আমাদের মানবতার সেবা করার সংকল্প দেয়। এই ঐতিহ্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে, আজ দেশ ভারতমাতার সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। পাকিস্তান থেকে আসা জঙ্গিরা আমাদের বোন ও কন্যাদের সিঁদুর মুছে দিয়েছিল; আমরা অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে জঙ্গিদের আস্তানা ধ্বংস করেছি। আমাদের সাহসী সৈন্যরা চোখের পলকে পাকিস্তানকে নতজানু করে ফেলেছিল। 

বন্ধুগণ,

এটা নতুন ভারত, এই দেশ কারোর পারমাণবিক হুমকিতে ভীত নয়, এটা নতুন ভারত, এই দেশ ঘরে ঢুকে শত্রুকে হত্যা করে।

বন্ধুগণ,

আজ, ১৭ সেপ্টেম্বর, আরেকটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনে, জাতি সর্দার প্যাটেলের দৃঢ় সংকল্পের এক উদাহরণ প্রত্যক্ষ করেছে। ভারতীয় এই বীর সেনানী হায়দ্রাবাদকে বহু নৃশংসতা থেকে মুক্ত করে এবং তার অধিকার রক্ষা করে ভারতের গর্ব পুনরুদ্ধার করেছে। দেশের এই সাফল্যের পর বহু দশক পেরিয়ে গেছে। বীর সেনানীর এই মহান বীরত্বের কথা এতদিন স্মরণ করার জন্য কেউ ছিল না, কিন্তু আপনারা আমাকে সুযোগ দিয়েছেন। আমাদের সরকার ১৭ সেপ্টেম্বর, সর্দার প্যাটেল, হায়দ্রাবাদের ঘটনাকে অমর করে তুলেছে। আমরা ভারতের ঐক্যের প্রতীক এই দিনটিকে হায়দ্রাবাদ মুক্তি দিবস হিসেবে উদযাপন শুরু করেছি। আজ, হায়দ্রাবাদে বিশেষ জাঁকজমকের সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস পালিত হচ্ছে। হায়দ্রাবাদ মুক্তি দিবস আমাদের অনুপ্রাণিত করে। ভারত মাতার সম্মান ও গৌরবের চেয়ে বড় আর কিছুই নয়। আমাদের দেশের জন্য বেঁচে থাকা উচিত, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দেশের জন্য উৎসর্গ করা উচিত।

বন্ধুগণ,

আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা, জাতির জন্য প্রাণ দেওয়ার শপথ নিয়ে, জাতির জন্য সবকিছু উৎসর্গ করেছিলেন। তাদের স্বপ্ন ছিল একটি "উন্নত ভারত"। তাঁরা দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে এমন এক জাতির স্বপ্ন দেখেছিলেন। আজ, এই অনুপ্রেরণা নিয়ে, আমরা ১৪০ কোটি ভারতবাসী দেশকে উন্নত করার সংকল্প নিয়েছি। উন্নত ভারতের দিকে এই যাত্রার চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হল - ভারতের নারীশক্তি, যুবশক্তি, দরিদ্র এবং কৃষক। আজ, এই কর্মসূচিতে, উন্নত ভারতের এই চারটি স্তম্ভকে নতুন শক্তি দেওয়ার জন্য কাজ করা হয়েছে। আমার বিপুল সংখ্যক মা, বোন এবং কন্যা এখানে এসেছেন। আজকের অনুষ্ঠানে নারীর ক্ষমতায়নের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি ধার-এ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তবে এটি সমগ্র দেশের জন্য, সমগ্র জাতির জন্য, সমগ্র জাতির মা ও বোনদের জন্য। 'সুস্থ নারী-সক্ষম পরিবার'-এর এক বিশাল অভিযান এখান থেকে শুরু হচ্ছে। দেবী বাগদেবীর আশীর্বাদের চেয়ে বড় কাজ আর কী হতে পারে?

বন্ধুগণ,

'আদি সেবা পর্ব'-এর প্রতিধ্বনি ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে বিভিন্ন পর্যায়ে শোনা যাচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ সংস্করণও আজ থেকে শুরু হচ্ছে। এই অভিযানটি ধর সহ মধ্যপ্রদেশের আমাদের আদিবাসী সম্প্রদায়গুলিকে সরাসরি বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত করার সেতু হিসেবে কাজ করবে।

বন্ধুগণ,

বিশ্বকর্মার আরাধনা উপলক্ষে আজ একটি বড় শিল্প উদ্যোগও আয়োজিত হতে চলেছে। দেশের বৃহত্তম সমন্বিত টেক্সটাইল পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর এখানে স্থাপন করা হয়েছে। এই পার্কটি ভারতের টেক্সটাইল শিল্পকে নতুন শক্তি দেবে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবেন এবং আমি আনন্দিত যে কেবল ধারেই নয়, সারা দেশের লক্ষ লক্ষ কৃষক বর্তমানে এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত।

বন্ধুগণ,

এই প্রধানমন্ত্রী মিত্র পার্ক, এই টেক্সটাইল পার্কের ফলে সবচেয়ে বড় সুবিধা পাবেন আমাদের যুবক-যুবতীরা। বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এই প্রকল্প এবং অভিযানের জন্য আমি আমার সমস্ত দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই। মধ্যপ্রদেশকে বিশেষ অভিনন্দন জানাই।

বন্ধুগণ,

আমাদের মা-বোনেরা, আমাদের নারীশক্তি, জাতির অগ্রগতির মূল ভিত্তি। আমরা সকলেই দেখি যে মা যদি বাড়িতে ভালো থাকেন, তাহলে সম্পূর্ণ বাড়ি ভালো থাকে।

কিন্তু বন্ধুগণ,

একজন মা অসুস্থ হলে, পুরো পরিবারের ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। তাই, "সুস্থ নারী - সক্ষম পরিবার" অভিযান মা ও বোনদের জন্য, তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য নিবেদিত। আমাদের লক্ষ্য হল তথ্য বা অর্থের অভাবে একজনও মহিলা যেন গুরুতর অসুস্থতার শিকার না হন। অনেক রোগ আছে যা নীরবে আসে এবং সনাক্তকরণের অভাবে ধীরে ধীরে খুব গুরুতর হয়ে ওঠে এবং জীবন ও মৃত্যুর খেলা শুরু হয়। প্রাথমিক পর্যায়েই নারীদের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকিপূর্ণ রোগগুলি সনাক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, এই অভিযানের আওতায়, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তাল্পতা, যক্ষ্মা, অথবা ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা করা হবে। সমদ্র দেশের আমার মা ও বোনেরা, আপনারা সবসময় আমাকে অনেক কিছু দিয়ে এসেছেন। আপনাদের আশীর্বাদই আমার সবচেয়ে বড় ঢাল। দেশের কোটি কোটি মা ও বোনেরা আমার উপর প্রচুর আশীর্বাদ বর্ষণ করছেন। কিন্তু মা ও বোনেরা, আজ, ১৭ সেপ্টেম্বর, বিশ্বকর্মার আরাধনার দিনে আমি আপনাদের কাছে কিছু চাইতে এসেছি। আমি সারা দেশের মা ও বোনদের কাছ থেকে কিছু চাইতে এসেছি। মা ও বোনেরা, দয়া করে বলুন? আপনারা কি আমাকে এটা দেবেন নাকি দেবেন না? হাত তুলে বলুন। বাহ, সবার হাত উপরে উঠছে। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, বিনা দ্বিধায় এই শিবিরগুলিতে গিয়ে নিজের পরীক্ষা করান। একজন ছেলে হিসেবে, একজন ভাই হিসেবে, আমি অন্তত আপনাদের কাছ থেকে এতটুকুই চাইতে পারি, তাই না? আপনাদের সকলকে আমি এটুকু বলতে চাই যে, এই স্বাস্থ্য শিবিরগুলিতে, পরীক্ষা যতই ব্যয়বহুল হোক না কেন, আপনাদের এক পয়সাও দিতে হবে না। কোনও ফি লাগবে না। পরীক্ষা বিনামূল্যে হবে, শুধু তাই নয়, ওষুধও বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। সরকারি কোষাগার আপনাদের সুস্বাস্থ্যের চেয়ে মূল্যবান নয়। এই কোষাগার আপনাদের জন্য। আয়ুষ্মান কার্ডের সুরক্ষা আপনাদের পরবর্তী চিকিৎসার জন্য খুবই কার্যকর হবে।

আজ থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানটি বিজয়ী হওয়ার সংকল্প নিয়ে, ২রা অক্টোবর, বিজয়াদশমী পর্যন্ত দুই সপ্তাহ ধরে চলবে। আমি আবারও সারা দেশের মা, বোন এবং কন্যাদের কাছে আবেদন জানাতে চাই, আপনারা সবসময় আপনার পরিবারের জন্য চিন্তিত থাকেন। আপনাদের স্বাস্থ্যের জন্যও কিছুটা সময় বের করুন। আপনাদের যত বেশি সম্ভব এই শিবিরগুলিতে যাওয়া উচিত; লক্ষ লক্ষ শিবির স্থাপন করা হচ্ছে। আজ ইতিমধ্যেই এ ধরণের কয়েকটি শিবিরে নিজেদের পরীক্ষা করানো শুরু করেছেন অনেকে। আপনাদের এলাকার অন্যান্য মহিলাদের সঙ্গে এই তথ্যটি অবশ্যই ভাগ করে নেবেন। প্রত্যেক মা ও বোনকে বলুন যে আমাদের মোদীজি ধার-এ এসেছিলেন, আমাদের ছেলে ধর এসেছিল, আমাদের ভাই ধর এসেছিল, এবং তিনি এসে আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বলেছিলেন। দয়া করে সবাইকে বলুন। আমাদের শপথ নিতে হবে যে কোনও মাকে পিছনে ফেলে রাখা হবে না, কোনও মেয়েকে পিছনে ফেলে রাখা হবে না।

বন্ধুগণ,

মা, বোন এবং কন্যাদের স্বাস্থ্য আমাদের অগ্রাধিকার। আমাদের সরকার গর্ভবতী মহিলা এবং কন্যাদের জন্য সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে মিশন মোডে কাজ করছে। আজ, আমরা অষ্টম জাতীয় পুষ্টি মাস শুরু করছি। উন্নয়নশীল ভারতে, আমাদের যতটা সম্ভব মাতৃমৃত্যু এবং শিশুমৃত্যুর হার কমাতে হবে। এই উদ্দেশ্যে, আমরা ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী মাতৃবন্দনা যোজনা চালু করেছি। এই যোজনার আওতায়, প্রথম সন্তানের জন্মের জন্য সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঁচ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় কন্যার জন্মের জন্য ছয় হাজার টাকা জমা করা হয়। এখন পর্যন্ত, সাড়ে চার কোটি গর্ভবতী মা মাতৃবন্দনা যোজনা থেকে উপকৃত হয়েছেন। এবং এখনও পর্যন্ত, ১৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করা হয়েছে। কেউ কেউ হয়তো বুঝতেও পারবেন না যে এই সংখ্যাটির অর্থ কী। আমার মা ও বোনদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি পৌঁছেছে। আজও, আমি এখানে ক্লিক করেছি তেমনই এক ক্লিকে, ১৫ লক্ষেরও বেশি গর্ভবতী মায়েদের কাছে সাহায্য পাঠানো হয়েছে। আজ ধর ভূমি থেকে ৪৫০ কোটি টাকারও বেশি তাদের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।

বন্ধুগণ,

আজ, আমি মধ্যপ্রদেশের আরেকটি অভিযান নিয়ে আলোচনা করতে চাই। আপনারা জানেন, আমাদের আদিবাসী অঞ্চলে সিকল সেল অ্যানিমিয়া একটি বড় সঙ্কট। আমাদের সরকার আমাদের আদিবাসী ভাইবোনদের এই রোগ থেকে রক্ষা করার জন্য একটি জাতীয় অভিযান পরিচালনা করছে। আমরা ২০২৩ সালে মধ্যপ্রদেশের শাহদোল থেকে এই অভিযান শুরু করেছিলাম। শাহদোলেই আমরা প্রথম সিকল সেল স্ক্রিনিং কার্ড বিতরণ করেছি। আজ, মধ্যপ্রদেশে ১ কোটি সিকল সেল স্ক্রিনিং কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। মঞ্চে আসা কন্যাকে যে কার্ডটি দেওয়া হয়েছিল তা ছিল ১ কোটিতম কার্ড। আমি মধ্যপ্রদেশের কথা বলছি। এখন পর্যন্ত, এই অভিযানের আওতায় সারা দেশে ৫ কোটিরও বেশি মানুষের পরীক্ষা করা হয়েছে। সিকেল সেল পরীক্ষা আমাদের আদিবাসী সম্প্রদায়ের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। আপনারা অনেকেই হয়তো এ সম্পর্কে অবগত নন।

বন্ধুগণ,

আমরা যে কাজটি করছি তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক বিরাট আশীর্বাদ হয়ে উঠবে। আজ আমরা তাদের জন্য কাজ করছি যারা এখনও জন্মগ্রহণ করেননি, কারণ আজকের প্রজন্ম যদি সুস্থ হয়ে ওঠে, তাহলে ভবিষ্যতে তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্য নিশ্চিত হবে। আমি বিশেষ করে আমাদের আদিবাসী মা ও বোনদের অনুরোধ করব যে তারা যেন সিকল সেল অ্যানিমিয়ার জন্য নিজেদের পরীক্ষা করান।

বন্ধুগণ,

মা ও বোনদের জীবন সহজ করে তোলা এবং তাদের অসুবিধা লাঘব করার জন্য আমার নিরন্তর প্রচেষ্টা। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের আওতায় লক্ষ লক্ষ শৌচাগার তৈরি, উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ বিনামূল্যে গ্যাস সংযোগ প্রদান, প্রতিটি বাড়িতে জল সরবরাহের জন্য জল জীবন মিশন এবং ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানকারী আয়ুষ্মান যোজনা, এই সমস্ত কিছু মা ও বোনদের জীবনের অসুবিধা কমিয়েছে এবং তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করেছে। আর এখানে অনেক ভাই রয়েছেন। আপনাদের পরিবারেও মা, বোন এবং কন্যা রয়েছে। আমি আমার এই ভাইদের অনুরোধ করব যেন তারা আমাকে সমর্থন করেন এবং তাঁদের মা, বোন এবং কন্যাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেন।

বন্ধুগণ,

বিশ্বজুড়ে যখন মানুষ গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার পরিসংখ্যান শোনেন, তখন তাদের চোখ বড় বড় হয়ে যায়। বন্ধুগণ, করোনার কঠিন সময়ে বিনামূল্যে রেশন প্রকল্প কোনও দরিদ্র মায়ের ঘরের উনুন নিভে যেতে দেয়নি। আজও এই প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণ করা হচ্ছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায়ও, কোটি কোটি ঘর দেওয়া হয়েছে, যার বেশিরভাগই মহিলাদের নামে।

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকার আমাদের বোন ও কন্যাদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়নের উপরও অনেক জোর দিচ্ছে। মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ঋণ নিয়ে আমাদের কোটি কোটি বোন নতুন ব্যবসা শুরু করছে এবং নতুন শিল্প স্থাপন করছে।

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকার গ্রামে বসবাসকারী মা এবং বোনদের, ৩ কোটি লাখপতি দিদি বানানোর অভিযানে শুরু করেছে। আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে এই অভিযানের সাফল্যের ফলে, এত অল্প সময়ের মধ্যেই প্রায় দুই কোটি বোন লাখপতি দিদি হয়ে উঠেছেন। আমরা তাঁদেরকে ব্যাঙ্ক সখি এবং ড্রোন দিদি বানিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসছি। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে মহিলারা এক নতুন বিপ্লব তৈরি করছেন।

ভাই-বোনেরা,

গত ১১ বছর ধরে, দরিদ্রদের কল্যাণ, দরিদ্রদের সেবা এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা আমাদের সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমরা বিশ্বাস করি যে দেশের দরিদ্ররা যখন দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসবে এবং দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে তখনই দেশ এগিয়ে যাবে। আমরা দেখেছি যে দরিদ্রদের সেবা করা কখনই বৃথা যায় না। যদি একজন দরিদ্র ব্যক্তি সামান্য সমর্থন, সামান্য সাহায্য পায়, তবে তার কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সমুদ্র পার হওয়ার সাহস করতে পারেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে দরিদ্রদের এই আবেগ এবং অনুভূতিগুলি অনুভব করেছি। অতএব, দরিদ্রদের দুঃখ আমার নিজের দুঃখ। দরিদ্রদের সেবা করা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। আমাদের সরকার ক্রমাগত দরিদ্রদের কথা নজরে রেখে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করছে।

বন্ধুগণ,

এই কাজটি ধারাবাহিকভাবে, নিষ্ঠার সঙ্গে করার ফলে, আমাদের নীতির সাফল্যের ফলাফল বর্তমানে বিশ্বের কাছে দৃশ্যমান। এখানে বসে থাকা প্রত্যেক ব্যক্তি গর্বিত হবেন যে গত ১১ বছরের নিরন্তর প্রচেষ্টা এবং কঠোর পরিশ্রমের ফলে আজ দেশের ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছেন। আমাদের সমগ্র সমাজ নতুন আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে।

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকারের এই সমস্ত প্রচেষ্টা কেবল পরিকল্পনা নয়, দরিদ্র মা, বোন এবং কন্যাদের জীবন পরিবর্তনের জন্য মোদীর গ্যারান্টি। দরিদ্রদের মুখে হাসি ফোটানো, মা ও বোনদের মর্যাদা রক্ষা করা, এটাই আমার পূজা, এটাই আমার ব্রত।

বন্ধুগণ,

মধ্যপ্রদেশে মহেশ্বরী বস্ত্রের দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। দেবী অহল্যাবাই হোলকার মহেশ্বরী শাড়িকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছেন। সম্প্রতি, আমরা অহল্যাবাই হোলকারের ৩০০ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছি। এখন ধার-এর পিএম মিত্র পার্কের মাধ্যমে, আমরা দেবী অহল্যাবাইয়ের উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। পিএম মিত্র পার্কে তুলা এবং সিল্কের মতো বয়ন সামগ্রী সহজেই পাওয়া যাবে। গুণমান পরীক্ষা করা সহজ হবে। বাজারের উপলব্ধতা বৃদ্ধি পাবে। এখানে স্পিনিং হবে, ডিজাইনিং এখানে হবে, প্রক্রিয়াকরণ এখানে হবে এবং এখান থেকে রপ্তানি হবে। এর অর্থ হল বিশ্ব বাজারেও আমার ধর-এর নাম উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। এর অর্থ হল এখন বস্ত্রশিল্পের সম্পূর্ণ মূল্য শৃঙ্খল এক জায়গায় পাওয়া যাবে। আমাদের সরকার বস্ত্রশিল্পের জন্য যে ৫এফ ভিশনের উপর কাজ করছে।  ৫এফ-এর প্রথমটি হল খামার, দ্বিতীয়টি হল তন্তু, তৃতীয়টি হল কারখানা, চতুর্থটি হল ফ্যাশন, এবং পঞ্চমটি হল বিদেশ। খামার থেকে বিদেশের এই যাত্রা দ্রুত এবং সহজেই সম্পন্ন হবে।

বন্ধুগণ,

আমাকে বলা হয়েছে যে ধার-এর এই পিএম মিত্র পার্কে ৮০টিরও বেশি ইউনিটকে প্রায় ১,৩০০ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। এর অর্থ হল প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর কাজ এবং কারখানার নির্মাণ কাজ একই সঙ্গে চলবে। এই পার্কে ৩ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে। এর ফলে লজিস্টিক খরচের উপর বড় প্রভাব পড়বে। পিএম মিত্র পার্ক পণ্য পরিবহনের খরচ কমাবে, উৎপাদন খরচ কমাবে এবং আমাদের পণ্যগুলিকে সস্তা এবং বিশ্বব্যাপী আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে। তাই, আমি মধ্যপ্রদেশের জনগণকে, বিশেষ করে আমার কৃষক ভাইবোনদের এবং আমার যুবক-যুবতীদের পিএম মিত্র পার্কের জন্য অভিনন্দন জানাই। আমাদের সরকার দেশে আরও ৬টি পিএম মিত্র পার্ক তৈরি করতে চলেছে।

বন্ধুগণ,

আজ সারা দেশে বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনার সাফল্য উদযাপনেরও সময়। আমি দেশজুড়ে আমার বিশ্বকর্মা ভাইবোনদের বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাতে চাই, যাদের মধ্যে রয়েছেন ছুতোর, কামার, স্বর্ণকার, কুমোর,  রাজমিস্ত্রি, তামার, ব্রোঞ্জকার এবং এমন অনেক মানুষ যারা তাদের হাতের দক্ষতা দিয়ে আশ্চর্য কাজ করে। মেক ইন ইন্ডিয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি আপনারা। গ্রাম হোক বা শহর, আপনাদের তৈরি পণ্য এবং আপনাদের শিল্পের মাধ্যমে দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ হয়। আমি অত্যন্ত খুশি যে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা এত অল্প সময়ের মধ্যে ৩০ লক্ষেরও বেশি কারিগরকে সাহায্য করেছে। এই যোজনার মাধ্যমে তারা দক্ষতা প্রশিক্ষণ পেয়েছে এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এবং আধুনিক সরঞ্জামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ৬ লক্ষেরও বেশি বিশ্বকর্মা বন্ধুকে নতুন সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বকর্মা ভাইবোনদের কাছে ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ পৌঁছেছে।

বন্ধুগণ,

প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা সমাজের এমন একটি অংশকে উপকৃত করেছে যা দশকের পর দশক ধরে উপেক্ষিত ছিল। আমাদের দরিদ্র বিশ্বকর্মা ভাইবোনদের দক্ষতা ছিল, কিন্তু পূর্ববর্তী সরকারগুলির তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির কোনও পরিকল্পনা ছিল না, তাদের জীবন উন্নত করার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। আমরা তাদের উন্নতির জন্য তাদের প্রতিভাকে কাজে লাগানোর পথ খুলে দিয়েছি। সেই কারণেই আমি বলি - যারা পিছিয়ে আছে তারা আমাদের অগ্রাধিকার।

বন্ধুগণ,

আমাদের ধর শ্রদ্ধেয় কুশভাউ ঠাকরের জন্মস্থানও। তিনি তাঁর সমগ্র জীবন সমাজকে প্রথমে জাতি হিসেবে উৎসর্গ করেছিলেন। আজ আমি তাঁকে আমার বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। প্রথমে জাতি হিসেবে এই চেতনা দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।

বন্ধুগণ,

এটা উৎসবের সময়, এবং এই সময়ে আপনাদেরকে স্বদেশীর মন্ত্র বারবার উচ্চারণ করতে হবে, আপনাদের জীবনে এটিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আপনাদের সকলের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, ১৪০ কোটি দেশবাসীর কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা যা কিছু কিনবেন, তা দেশেই তৈরি করা উচিত। আপনারা যা কিছু কিনবেন, তাতে কোনও না কোনও ভারতীয়ের ঘাম থাকা উচিত। আপনারা যা কিছু কিনবেন, তাতে মাটির গন্ধ থাকা উচিত, আমার ভারতের মাটির গন্ধ থাকা উচিত। আর আজ আমি আমার ব্যবসায়ী ভাইদের কাছে অনুরোধ করতে চাই, আপনারাও দেশের জন্য আমাকে সাহায্য করুন, দেশের জন্য আমাকে সমর্থন করুন, আর দেশের জন্য আমি আপনাদের সাহায্য চাই, কারণ ২০৪৭ সালের মধ্যে আমাকে ভারতকে উন্নত করতে হবে। আমার সমস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী ভাই ও বোনদের কাছে, বলতে চাই আপনারা যা কিছু বিক্রি করবেন তা আমাদের দেশেই তৈরি করতে হবে। মহাত্মা গান্ধী স্বদেশীকে স্বাধীনতার মাধ্যম করে তুলেছিলেন। এখন আমাদের স্বদেশীকে উন্নত ভারতের ভিত্তি করে তুলতে হবে। আর এটা কীভাবে হবে? এটা তখনই ঘটবে যখন আমরা আমাদের দেশে তৈরি সবকিছুর উপর গর্ব করব। আমরা যে ছোট জিনিসই কিনি—শিশুদের খেলনা, দীপাবলির প্রতিমা, ঘর সাজানোর জিনিসপত্র, অথবা মোবাইল ফোন, টিভি, রেফ্রিজারেটরের মতো যেকোনো বড় জিনিস—তাও আমাদের প্রথমেই পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে, সেগুলো আমাদের দেশে তৈরি কিনা। এতে কি আমার দেশবাসীর ঘামের সুবাস আছে? কারণ, যখন আমরা স্বদেশী জিনিস কিনি, তখন আমাদের টাকা দেশেই থেকে যায়। আমাদের টাকা বিদেশ যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়। সেই টাকা আবার দেশের উন্নয়নে ব্যবহার করা হয়। সেই টাকা দিয়ে রাস্তাঘাট তৈরি হয়, গ্রামের স্কুল তৈরি হয়, দরিদ্র বিধবা মায়েদের সাহায্য করা যায়, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হয়, সেই টাকা দরিদ্র কল্যাণ প্রকল্পে ব্যবহার করা হয় এবং আপনাদের কাছে পৌঁছায়। আমার মধ্যবিত্ত ভাইবোনদের স্বপ্ন, আমার মধ্যবিত্ত যুবকদের স্বপ্ন, পূরণের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। যখন আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেশেই তৈরি হয়, তখন এর থেকে যে কর্মসংস্থান হয় তাও আমাদের দেশবাসীর কাছে যায়।

নবরাত্রির প্রথম দিন, ২২শে সেপ্টেম্বর থেকে কম জিএসটি হার কার্যকর হতে চলেছে, তাই আমাদের কেবল দেশীয় পণ্য কিনে এর সুবিধা নিতে হবে। আমাদের একটি মন্ত্র মনে রাখতে হবে, এবং আমি চাই প্রতিটি দোকানে এটি লেখা হোক, এমনকি আমি রাজ্য সরকারকেও একটি প্রচারাভিযান চালানোর জন্য বলব। প্রতিটি দোকানে একটি বোর্ড থাকা উচিত, গর্বের সঙ্গে বলুন - এটি স্বদেশী! আপনারা সবাই কি আমার সঙ্গে কথা বলবেন? আমি বলব, "গর্বের সঙ্গে বলুন," আপনারা বলবেন, "এটি দেশে নির্মিত।" গর্বের সঙ্গে বলো

বন্ধুগণ,

এই ভাবনা নিয়ে, আমি আবারও আপনাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এবং আমার বক্তব্য শেষ করছি। বলুন: ভারত মাতা কি জয়। ভারত মাতা কি জয়। ভারত মাতা কি জয়। অনেক ধন্যবাদ।

প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দিতে ছিল।

 

SC/PM /NS


(Release ID: 2167977)