প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
प्रविष्टि तिथि:
31 AUG 2025 1:58PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৩১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে তিয়ানজিনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রপতি মিঃ শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন।
উভয় নেতা ২০২৪ সালের অক্টোবরে কাজানে তাঁদের শেষ বৈঠকের পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিবাচক গতি এবং স্থিতিশীল অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁরা পুনরায় নিশ্চিত করেছেন যে দুই দেশ পরষ্পরের উন্নয়নের অংশীদার, প্রতিদ্বন্দ্বী নয় এবং তাঁদের পার্থক্য বিরোধে পরিণত হওয়া উচিত নয়। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক স্বার্থ এবং পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে ভারত ও চীন এবং তাঁদের ২৮০ কোটি জনগণের মধ্যে একটি স্থিতিশীল সম্পর্ক এবং সহযোগিতা দুই দেশের বৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জন্য যেমন প্রয়োজনীয়, তেমনি একবিংশ শতাব্দীর প্রবণতা অনুসারে একটি বহুমেরু বিশ্ব এবং বহুমেরু এশিয়ার জন্য প্রয়োজনীয়।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। উভয় নেতা গত বছর সফলভাবে সীমান্ত বিরোধের মীমাংসা এবং তারপর থেকে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়টিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা তাঁদের সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ এবং দুই দেশের জনগণের দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থের ভিত্তিতে সীমান্ত প্রশ্নের একটি ন্যায্য, যুক্তিসঙ্গত এবং পারস্পরিকভাবে গ্রহণযোগ্য সমাধানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা এই মাসের শুরুতে তাঁদের আলোচনায় দুই বিশেষ প্রতিনিধির নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং তাঁদের প্রচেষ্টাকে আরও সমর্থন করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।
দুই নেতা কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা এবং পর্যটন ভিসার পুনঃসূচনার উপর ভিত্তি করে সরাসরি বিমান এবং ভিসা সুবিধার মাধ্যমে দু’দেশের জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে, তাঁরা বিশ্ব বাণিজ্য স্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে তাঁদের দুই অর্থনীতির ভূমিকা স্বীকার করেছেন। এর পাশাপাশি, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক সম্প্রসারণ এবং বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করার জন্য রাজনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে ভারত ও চীন উভয়ই কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন অনুসরণ করে এবং তাঁদের সম্পর্ক তৃতীয় দেশের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত নয়। দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিষয় এবং চ্যালেঞ্জ, যেমন সন্ত্রাসবাদ এবং বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে ন্যায্য বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অভিন্ন ভিত্তি সম্প্রসারণ করা জরুরি বলে মনে করেন।
প্রধানমন্ত্রী এসসিও-তে চীনের সভাপতিত্ব এবং তিয়ানজিনে শীর্ষ সম্মেলনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি ২০২৬ সালে ভারতে আয়োজিত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি শি'কে আমন্ত্রণ জানান। রাষ্ট্রপতি শি' আমন্ত্রণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং ভারতের ব্রিকস সভাপতিত্বে চীনের সমর্থনের প্রস্তাব দেন।
প্রধানমন্ত্রী চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর স্থায়ী কমিটির সদস্য মিঃ কাই কি'র সঙ্গেও বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী মিঃ কাই-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেন এবং দুই নেতার দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নে তাঁর সমর্থন কামনা করেন। মিঃ কাই দুই নেতার মধ্যে সম্পাদিত ঐকমত্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে দ্বিপাক্ষিক বিনিময় সম্প্রসারণ এবং সম্পর্ক আরও উন্নত করার জন্য চীনা পক্ষের আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করেন।
SC/SB/AS
(रिलीज़ आईडी: 2162538)
आगंतुक पटल : 21
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
Khasi
,
English
,
Urdu
,
Marathi
,
हिन्दी
,
Nepali
,
Assamese
,
Manipuri
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam