স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

নতুন দিল্লিতে ভাইব্র্যান্ট ভিলেজ কর্মসূচি সংক্রান্ত ২ দিনের কর্মশালায় ভাষণ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী অমিত শাহ

Posted On: 26 AUG 2025 1:40PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৬ অগাস্ট, ২০২৫


নতুন দিল্লিতে ভাইব্র্যান্ট ভিলেজ কর্মসূচি সংক্রান্ত ২ দিনের কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ভাইব্র্যান্ট ভিলেজেস কর্মসূচির লোগোও প্রকাশ করেন। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী বান্দি সঞ্জয় কুমার, স্বরাষ্ট্র সচিব, সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির মু্খ্যসচিব, সীমান্তে মোতায়েন নিরাপত্তা বাহিনীর মহাসচিব সহ বিশিষ্ট জনেরা।

ভাষণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ভাইব্র্যান্ট ভিলেজেস কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ৩টি – সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে অনুপ্রবেশ ঠেকানো, সেগুলিকে জাতীয় নিরাপত্তার অন্যতম স্তম্ভ করে তোলা এবং সেখানকার বাসিন্দাদের কাছে কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রকল্পগুলির সুবিধা সম্পূর্ণভাবে পৌঁছে দেওয়া। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী যখন ভাইব্র্যান্ট ভিলেজেস কর্মসূচির রূপরেখা পেশ করেছিলেন তখন ঠিক হয়েছিল এর রূপায়ণ হবে পর্যায়ক্রমে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকে ‘প্রথম গ্রাম’ হিসেবে চিহ্নিত করে এই গ্রামগুলি সম্পর্কে আমাদের ধারণাটাকেই বদলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

শ্রী অমিত শাহ বলেন, কয়েক বছর আগে কর্মসূচিটির আওতায় যেসব গ্রামকে চিহ্নিত করা হয়েছিল সেগুলি এখন আমাদের দেশের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হয়ে উঠেছে। পরিকাঠামোগত বিকাশ, সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ, পর্যটনের প্রসারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান –প্রভৃতি উদ্যোগ সেগুলিকে বহুমাত্রিক ও বহুক্ষেত্রিক বিকাশের সংঘটন স্থল করে তুলেছে। কর্মসূচিটির সার্থক রূপায়ণে রাজ্যগুলিকেও এগিয়ে আসতে হবে। সুরক্ষা বাহিনীর আধিকারিকদেরও এই বিষয়ে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
ভাইব্র্যান্ট ভিলেজেস কর্মসূচির যথাযথ রূপায়ণ সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দাদের অন্যত্র চলে যাওয়ার প্রবণতা দূর করবে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী উল্লেখ করেন। এক্ষেত্রে অরুণাচল প্রদেশের উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরো বলেন, ভাইব্র্যান্ট ভিলেজেস কর্মসূচির প্রথম পর্বের তুলনায় দ্বিতীয় পর্বের পরিসর বিস্তৃততর। কাজেই প্রশাসনিক উদ্যোগে কিছুটা পরিমার্জন জরুরী। অবৈধভাবে ধর্মীয় স্থল নির্মাণ করে জমি দখলের প্রবণতা দূর করায় সীমান্তবর্তী জেলাগুলির প্রশাসকদের বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। এই ক্ষেত্রে গুজরাটে ভালো কাজ হয়েছে। সমুদ্র ও স্থল সীমান্ত এলাকায় অনেক জমি থেকেই জবরদখলকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সেখানে-এমনটাই বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।

 

SC/AC/SG


(Release ID: 2160976)