অর্থমন্ত্রক
‘সবকা বিকাশ’-এর স্বপ্নের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আগামী পাঁচ বছরকে এক বিশেষ সময়কাল বলে বর্ণনা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী
Posted On:
01 FEB 2025 1:01PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
আগামী পাঁচ বছরের সময়কালকে ‘সবকা বিকাশ’ কর্মসূচির বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ সুযোগ বলে বর্ণনা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন। আজ সংসদে তাঁর বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী দেশের সবক’টি অঞ্চলের সুষম উন্নয়ন ও অগ্রগতির ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন।
শ্রীমতী সীতারমন বলেন, বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির দেশগুলির তুলনায় ভারতীয় অর্থনীতি অনেক দ্রুতগতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। গত ১০ বছরে আমাদের উন্নয়নের রেকর্ড এবং কাঠামো সংস্কারের কাজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইতিমধ্যেই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এর ফলে, ভারতের দক্ষতা ও সম্ভাবনার ওপর দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপিত হয়েছে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায়।
২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাব পেশকালে শ্রীমতী সীতারমন উন্নয়নে গতি সঞ্চার, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে নিশ্চিত করা, বেসরকারি ক্ষেত্রে বিনিয়োগকে উৎসাহদান, দেশের গৃহস্থ পরিবারগুলির মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের মানসিকতা গড়ে তোলা এবং ভারতের নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ব্যয়ক্ষমতা বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলিকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন যে কৃষি, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প, বিনিয়োগ এবং রপ্তানি প্রচেষ্টা হল উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতের চারটি শক্তিশালী স্তম্ভবিশেষ। ছ’টি ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে রূপান্তরমুখী সংস্কার প্রচেষ্টাকে প্রসারিত করাই এবারের বাজেট প্রস্তাবের মূল লক্ষ্য বলে বর্ণনা করেন তিনি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন যে আগামী পাঁচ বছরে কর ব্যবস্থা, শক্তি ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্র, নগরোন্নয়ন, খননকার্য, আর্থিক ক্ষেত্র এবং নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার সংস্কার প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির সম্ভাবনা আরও বেশি করে পরিলক্ষিত হবে। এর মধ্য দিয়ে গড়ে উঠবে বিশ্ববাজারে এক বিশেষ প্রতিযোগিতামুখিনতা। তিনি বলেন যে উন্নয়নের যাত্রাপথে আমাদের ইন্ধন বা জ্বালানি শক্তি হল আমাদের সংস্কার প্রচেষ্টা। অন্যদিকে, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা আমাদের এগিয়ে চলার পথকে আরও আলোকিত করে তুলবে। কারণ, আমাদের মূল লক্ষ্য হল বিকশিত ভারত গঠনের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করা।
অর্থমন্ত্রী এদিন তাঁর বাজেট ভাষণে দেশের দরিদ্র মানুষ, যুব সমাজ, অন্নদাতা এবং নারীশক্তির কথা উল্লেখ করে বলেন যে তাঁদের সকলের উন্নয়ন ও বিকাশই হল সরকারের এক বিশেষ লক্ষ্য। এজন্য একদিকে যেমন কৃষির বিকাশ ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, অন্যদিকে তেমনই গ্রামাঞ্চলের সমৃদ্ধির ওপরও বিশেষ জোর দেওয়া হবে। আবার, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথকে অনুসরণ করে সকলকে এই কর্মপ্রচেষ্টায় যুক্ত করা হবে। উৎসাহদান করা হবে নির্মাণ ও উৎপাদন শিল্পেও যাতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির আরও প্রসার ঘটে। ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প সংস্থাগুলিকে সর্বতোভাবে সহায়তাদানের কথাও ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সরকারি উন্নয়ন প্রচেষ্টা, সাধারণ মানুষ তথা দেশের অর্থনীতি ও উদ্ভাবনের স্বার্থে বিনিয়োগ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ, জ্বালানি শক্তির যোগানকে নিশ্চিত করা, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবন প্রচেষ্টাকে উৎসাহদানই হবে সরকারের আগামীদিনের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কয়েকটি বিষয়।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, বিকশিত ভারত গঠনের লক্ষ্য হল দারিদ্র্যমুক্ত এক ভারত গড়ে তোলা, যেখানে ১০০ শতাংশ উন্নতমানের স্কুলশিক্ষার পাশাপাশি সুলভ ও সুসংবদ্ধ স্বাস্থ্য ব্যবস্থারও প্রসার ঘটবে। দক্ষ শ্রমিকদের সকলকেই যুক্ত করা হবে অর্থবহ কর্মসংস্থান প্রচেষ্টার মাধ্যমে। অন্যদিকে, ৭০ শতাংশ মহিলাকে নিয়ে আসা হবে অর্থনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টার আওতায়। দেশের কৃষকরা ভারতকে গড়ে তুলবেন বিশ্বের এক ‘ফুড বাস্কেট’ রূপে।
SC/SKD/DM.
(Release ID: 2098576)
Visitor Counter : 19
Read this release in:
Odia
,
Khasi
,
English
,
Urdu
,
Hindi
,
Nepali
,
Marathi
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Tamil
,
Kannada
,
Malayalam