অর্থমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

বিকশিত ভারত@2047-এর লক্ষ্য অর্জনে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বেসরকারি অংশগ্রহণের গুরুত্বের ওপর জোর অর্থনৈতিক সমীক্ষায়

Posted On: 31 JAN 2025 1:59PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৩১ জানুয়ারি , ২০২৫

 

উচ্চ বিকাশহার জারি রাখার জন্য ভারতকে আগামী দু দশক ধরে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চলতে হবে বলে ২০২৪-২৫ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করেন। 

অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গত ৫ বছর ধরে ভৌত, ডিজিটাল এবং সামাজিক ক্ষেত্রে পরিকাঠামো গঠনের ওপর সরকার বিশেষ নজর দিয়েছে। এর ফলে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সরকারি খরচ বেড়েছে, অনুমোদন ও রূপায়ণের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা ঘোচাতে নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে, সম্পদের সঠিক ব্যবহারের জন্য উদ্ভাবনী পন্থা-পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। তবে ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গঠনের জন্য যে মাপের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন, তা যে কেবলমাত্র সরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা সম্ভব নয়, তাও বলা হয়েছে সমীক্ষায়। 

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বেসরকারি অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা, ঝুঁকি গ্রহণ এবং আয় ভাগাভাগির ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা, চুক্তি ব্যবস্থাপনা, বিবাদের নিষ্পত্তি এবং প্রকল্প সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা আরও বাড়ানো দরকার। এ জন্য দেশজুড়ে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে হবে। সরকারকে যেমন পরিকাঠামো ক্ষেত্র বেসরকারি সংস্থার জন্য খুলে দিতে হবে, তেমনি বেসরকারি ক্ষেত্রকেও এই উদ্যোগে যথাযথ সাড়া দিতে হবে বলে সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। 

বেসরকারি ক্ষেত্রের অংশগ্রহণ বাড়াতে হলে বিভিন্ন স্তরের সরকার, আর্থিক বাজারের বিভিন্ন পক্ষ, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ও নীতি প্রণয়নকারী এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান- সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই সুসমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এজন্য বিভিন্ন প্রকল্পের সম্পর্কে ধারনা, প্রকল্প রূপায়ণের জন্য সুনির্দিষ্ট উদ্ভাবনী কৌশল এবং ঝুঁকি ও আয় বন্টন, চুক্তি ব্যবস্থাপনা, দ্বন্দ্ব নিষ্পত্তি ও প্রকল্প সম্পন্ন করার মতো বিষয়গুলির ওপর জোর দেওয়া দরকার। 

আর্থিক বছর ২০২৫-এর প্রথম ত্রৈমাসিকে প্রধান পরিকাঠামো ক্ষেত্রগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকারের মূলধনী ব্যয়ের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। এর প্রধান কারণ হল, সাধারণ নির্বাচনের জন্য জারি থাকা আদর্শ আচরণবিধি। গত বর্ষার মরশুমে আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনার ফলেও কাজের গতি শ্লথ হয়েছে। তাই ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকের সঙ্গে গত বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনা করা ঠিক হবে না। নির্বাচনী প্রক্রিয়া মিটে যাওয়ার পর, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মূলধনী ব্যয়ের ক্ষেত্রে আবার ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যায়। চলতি অর্থ বছরের বাকি মাসগুলিতেও এই গতি বজায় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরিকাঠামো ক্ষেত্রগুলির সঙ্গে যুক্ত মন্ত্রকগুলি গত বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে গড়ে তাদের মূলধনী বরাদ্দের ৬০ শতাংশ অর্থ খরচ করতে পেরেছে। 

পরিকাঠামো ক্ষেত্রে অনুমোদন ও রূপায়ণের দীর্ঘসূত্রতা দূর করতে সরকার জাতীয় পরিকাঠামো পাইপ লাইন, জাতীয় অর্থায়ন পাইপ লাইন এবং পিএম গতিশক্তির মতো বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা চালু করেছে। বেসরকারি অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে আর্থিক বাজারের নিয়ন্ত্রকদের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কার সাধনও করা হয়েছে। তবুও বিভিন্ন মূলগত ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থার উপস্থিতি সীমিত থেকে গেছে বলে সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। 


SC/SD/NS…


(Release ID: 2098165) Visitor Counter : 5