তথ্যওসম্প্রচারমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

ভারতীয় চলচ্চিত্রের শীর্ষে পৌঁছতে মিঠুনদার আশা, অধ্যবসায় এবং স্বপ্ন পূরণ করার যাত্রাপথের উদযাপন

Posted On: 30 SEP 2024 9:58AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি,  ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

 

কিংবদন্তি নায়ক মিঠুন চক্রবর্তী ২০২২-এর দাদাসাহেব ফালকে জীবনকৃতি পুরস্কারে সম্মানিত হবেন। ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অতুলনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তথ্য ও সম্প্রচার, রেল এবং ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আজ এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছেন।  চলচ্চিত্র শিল্পের একজন খ্যাতনামা ও আদর্শ চরিত্র যিনি তাঁর বহুমুখী কৃতিত্ব এবং পর্দায় আকর্ষণীয় উপস্থিতির জন্য পরিচিত তাঁকে সম্মানিত করতে পেরে প্রভূত আনন্দ এবং গর্বিত বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। 

মিঠুনদার মনে রাখার মতো যাত্রাপথ

মিঠুন চক্রবর্তী, মিঠুনদা নামেও পরিচিত। তিনি একজন খ্যাতনামা ভারতীয় নায়ক, প্রযোজক এবং রাজনীতিবিদ। তিনি পরিচিত তাঁর বহুমুখী চরিত্র চিত্রণ, নিজস্ব ধরনের নৃত্যশৈলীর জন্য। চলচ্চিত্রে তিনি নানা ধরনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। অ্যাকশন ভরা চরিত্র থেকে ধীর-স্থির নাটকীয় চরিত্রে রূপদান করেছেন তিনি।

মন্ত্রী বলেছেন যে, মিঠুন চক্রবর্তীর অত্যন্ত সাধারণ তরুণ অবস্থা থেকে খ্যাতনামা চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব হিসেবে উঠে আসার যাত্রাপথ আশা এবং অধ্যবসায়ের পরিচায়ক। যাতে প্রমাণিত হয় যে, আন্তরিক ভালোবাসা এবং নিষ্ঠা থাকলে যে কেউ তার যে কোন বড় স্বপ্ন সফল করতে পারে। তাঁর নিষ্ঠা এবং কঠিন শ্রম তাঁকে আগামীদিনের চলচ্চিত্রের নায়ক এবং শিল্পীদের কাছে আদর্শ চরিত্র করে তুলেছে।

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ১৯৫০ সালের ১৬ জুন তাঁর জন্ম। তাঁর নাম ছিল গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী। ১৯৭৬-এ প্রথম ছবি ‘মৃগয়া’র জন্য জাতীয় পুরস্কার পান। ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া এফটিআইআই-এর প্রাক্তনী মিঠুন চক্রবর্তী সেখানেই তাঁর চলচ্চিত্রে বিশাল সাফল্যের জন্য নিজের অভিনয় শৈলীর ভিত স্থাপন করেছিলেন। 

মৃণাল সেনের ছবিতে সাঁওতাল বিদ্রোহীর চরিত্রে অভিনয় তাঁকে জাতীয় স্তরে প্রশংসা এনে দেয়। ৮০-র দশকে ‘ডিসকো ড্যান্সার’ (১৯৮২)-এ তাঁর অভিনয় জনপ্রিয় হয়। এই ছবি ভারত ছাড়াও বিদেশেও সাফল্য লাভ করে। তিনি প্রতিষ্ঠা পান একজন ভালো নৃত্যকূশলী অভিনেতা রূপে। এই ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমেই তাঁর নাম ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর নৃত্যকূশলতাই শুধু জনপ্রিয় হয়নি, সেইসঙ্গে ভারতীয় চলচ্চিত্রে ডিসকো মিউজিকও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৯৯০-তে অগ্নিপথে অভিনয়ের জন্য সেরা সহশিল্পী হিসেবে ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার পান।

পরে তিনি আরও ২ বার জাতীয় পুরস্কার জেতেন, ১৯৯২-তে তাহাদের কথা এবং ১৯৯৮-তে স্বামী বিবেকানন্দ ছবিতে অভিনয়ের জন্য। তাঁর দীর্ঘ চলচ্চিত্র জীবনে হিন্দি, বাংলা, ওড়িয়া, ভোজপুরি এবং তেলুগু সহ বিভিন্ন ভারতী ভাষায় ৩৫০-টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি খ্যাত। মারপিট থেকে শুরু করে নাটকীয় এবং হাস্যরস সৃষ্টিকারী চরিত্রেও তিনি সফল হয়েছেন। 

মিঠুনদার দ্বৈত স্বরূপ

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন যে মিঠুনদা শুধুমাত্র চলচ্চিত্র অভিনয়ের জন্যই নাম করেছেন তা নয়, সামাজিক কাজে নিষ্ঠার জন্যও পরিচিত। শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং বঞ্চিত শ্রেণীর মানুষের জন্য সেবামূলক কাজের সঙ্গেও তিনি যুক্ত। যার থেকে বোঝা যায় তিনি সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দিতে চান। তিনি সংসদ সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন। জনপরিষেবা এবং প্রশাসনেও তাঁর অবদান রেখেছেন।

৫ দশকের চলচ্চিত্র জীবনে মিঠুন চক্রবর্তী বহু পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন ভারতীয় চলচ্চিত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ। সম্প্রতি তিনি পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। ‘ডিসকো ড্যান্সার’ এবং ‘ঘর এক মন্দির’-এর মতো ক্লাসিক ছায়াছবির মাধ্যমে তিনি শুধু লক্ষ লক্ষ মানুষের মনোরঞ্জন করেছেন তাই নয়, বলিউড এবং আঞ্চলিক চলচ্চিত্র শিল্পের পটভূমিও বদলে দিয়েছেন। তাঁর প্রভাব রূপোলি পর্দা ছাড়িয়ে আরও বহুদূর বিস্তৃত। চলচ্চিত্র এবং মানবিক সেবায় তাঁর কাজের মাধ্যমে তিনি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে যাবেন।

পুরস্কার দেওয়া হবে আগামী ৮ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে। দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার মনোনয়ন কমিটিতে ছিলেন নিম্নলিখিত সদস্যগণ :

১. শ্রীমতী আশা পারেখ, 
২. শ্রীমতী খুসবু সুন্দর
৩. শ্রী বিপুল অম্রুতলাল শাহ্
    

PG/AP/NS….


(Release ID: 2060225) Visitor Counter : 43