প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
এই বাজেটে বঞ্চিতদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
“উন্নত ভারত গড়তে অমৃতকালের প্রথম বাজেটে উচ্চাকাঙ্খা পূরণে ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভিত স্থাপন করা হয়েছে”
“এই বাজেট বঞ্চিতদের অগ্রাধিকার দিয়েছে”
“দেশের কোটি কোটি বিশ্বকর্মার জীবনে পিএম বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান বা পিএম বিকাশ লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন আনবে”
“এই বাজেট গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে বিশেষ সহযোগিতার বাতাবরণ গড়ে তুলবে”
“কৃষি ক্ষেত্রেও আমাদের ডিজিটাল লেনদেনের সাফল্যকে কাজে লাগাতে হবে”
“এই বাজেট সুস্থায়ী ভবিষ্যতের লক্ষ্যে পরিবেশ-বান্ধব উন্নয়ন, অর্থনীতি, পরিকাঠামো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে যথেষ্ট সহায়ক হবে”
“পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ কোটি টাকার অভূতপূর্ব বিনিয়োগ ভারতের উন্নয়নে নতুন শক্তি ও গতি সঞ্চার করবে”
“২০৪৭ সালের স্বপ্ন পূরণে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জনসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে; আমাদের সরকার সর্বদা তাঁদের সঙ্গে রয়েছে”
प्रविष्टि तिथि:
01 FEB 2023 3:15PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, উন্নত ভারত গড়তে অমৃতকালের প্রথম বাজেটে উচ্চাকাঙ্খা পূরণে ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভিত স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই বাজেট বঞ্চিতদের অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং উচ্চাকাঙ্খী সমাজ, দরিদ্র জনসাধারণ, গ্রামাঞ্চলে বসবাসরত মানুষ এবং মধ্যবিত্তদের স্বপ্ন পূরণে সহায়ক হবে।
একটি ঐতিহাসিক বাজেট উপহার দেওয়ার জন্য তিনি অর্থমন্ত্রী এবং তাঁর দলের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ছুতোর, কামার, স্বর্ণকার, কুমোর, ভাস্কর শিল্পী সহ চিরায়ত হস্তশিল্পীরা দেশ গড়ার কারিগর। “এই প্রথম এইসব মানুষদের কঠোর পরিশ্রম এবং সৃজনশীলতার প্রতি সম্মান জানাতে দেশ তাঁদের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প আনতে চলেছে। তাঁদের জন্য প্রশিক্ষণ, ঋণ এবং পণ্য বাজারজাত করার কাজে সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের কোটি কোটি বিশ্বকর্মার জীবনে পিএম বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান বা পিএম বিকাশ লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন আনবে”।
শহর ও গ্রামে বসবাসকারী মহিলা, কর্মরত অথবা বাড়িতে থাকা মহিলা – এদের সকলের কথা ভেবে জল জীবন মিশন, উজ্জ্বলা যোজনা, পিএম আবাস যোজনার মতো বিভিন্ন প্রকল্প সরকার চালু করেছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। এর ফলে, মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে। মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি যে ধরনের কাজ করে চলেছে, তার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। আর তাই, এবারের বাজেটে মহিলাদের জন্য একটি বিশেষ সঞ্চয় প্রকল্পের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এর ফলে, মহিলা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি আরও শক্তিশালী হবে। একই সঙ্গে, সাধারণ পরিবারের মা-বোনেরাও লাভবান হবেন।
শ্রী মোদী বলেন, এই বাজেট গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে বিশেষ সহযোগিতার বাতাবরণ গড়ে তুলবে। বর্তমান সরকার সমবায় পদ্ধতিতে বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য সঞ্চয় প্রকল্প পরিচালনা করছে। এবারের বাজেটে নতুন ধরনের প্রাথমিক সমবায় ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার জন্য একটি উচ্চাকাঙ্খী প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে, কৃষক, পশুপালক এবং মৎস্যজীবীদের সুবিধা হবে। তাঁরা তাঁদের উৎপাদিত দুধ ও মৎস্যজাত সামগ্রীর আরও ভালো দাম পাবেন।
ডিজিটাল লেনদেনের সাফল্যকে কৃষি ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে হবে বলে উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এবারের বাজেটে ডিজিটাল কৃষি পরিকাঠামোর জন্য একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এবছর আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ সারা বিশ্ব জুড়ে উদযাপন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে অনেক ধরনের মোটা দানাশস্য নানা নামে পরিচিত। জোয়ার, বাজরা ও রাগি যখন সারা বিশ্বে ঘরে ঘরে পৌঁছাচ্ছে, তখন তার একটি বিশেষ পরিচিতির প্রয়োজন। “এই মহাখাদ্যকে ‘শ্রী অন্ন’ হিসাবে পরিচিত করা হবে”। দেশের ক্ষুদ্র কৃষক ও উপজাতি গোষ্ঠীভুক্ত কৃষকরা এই বাজেটে বিশেষ আর্থিক সহায়তা পাবেন। এর ফলে, দেশের নাগরিকরা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারবেন।
শ্রী মোদী বলেন, এই বাজেট সুস্থায়ী ভবিষ্যতের লক্ষ্যে পরিবেশ-বান্ধব উন্নয়ন, অর্থনীতি, পরিকাঠামো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে যথেষ্ট সহায়ক হবে। “আমরা প্রযুক্তি এবং নতুন অর্থনীতির উপর এবারের বাজেটে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছি। আজকের উচ্চাকাঙ্খী ভারত সড়ক, রেল, মেট্রো, বন্দর এবং জলপথ অর্থাৎ প্রতিটি ক্ষেত্রেই আধুনিক পরিকাঠামো চায়। ২০১৪ সালের তুলনায় বর্তমানে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ৪০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে”। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ কোটি টাকার অভূতপূর্ব বিনিয়োগ ভারতের উন্নয়নে নতুন শক্তি ও গতি সঞ্চার করবে। তিনি জানান, এই বিনিয়োগের ফলে দেশের যুবসম্প্রদায়ের জন্য আরও কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এর সুফল বহু মানুষ পাবেন।
বিভিন্ন ঋণ প্রকল্প ও শিল্প সংস্থার জন্য সংস্কারমূলক নীতির ফলে সহজে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্ভব হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। “অণু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির জন্য অতিরিক্ত ২ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ প্রদানের সংস্থান এবারের বাজেটে করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির জন্য কর ব্যবস্থায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। বড় বড় সংস্থাগুলি অণু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলির বকেয়া যথাযথ সময়ে মিটিয়ে দিলে তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০৪৭ সালের স্বপ্ন পূরণে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জনসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের সরকার সর্বদা তাঁদের সঙ্গে রয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে সহজ জীবনযাত্রার জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, করের হার হ্রাস, কর প্রদানে সরলীকরণ, স্বচ্ছতা এবং সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। “আমাদের সরকার মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পাশে রয়েছে এবং তাঁদের কর ছাড়ের সুবিধা দিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে”।
PG/CB/SB
(रिलीज़ आईडी: 1895551)
आगंतुक पटल : 328
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
English
,
Urdu
,
हिन्दी
,
Marathi
,
Assamese
,
Manipuri
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam