অর্থমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

ভারতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে পুনরুদ্ধার হচ্ছে, ২০২৩ অর্থবর্ষে প্রাক্‌-অতিমারী বৃদ্ধির পথে ফিরতে চলেছে


২০২২ – এর নভেম্বরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে এসেছে

২০২২ – এর এপ্রিল থেকে নভেম্বরের মধ্যে কর রাজস্ব বাবদ আয়ের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি

বর্ধিত হারে কর্মসংস্থানের ফলে শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার কমেছে এবং কর্মচারী ভবিষ্যনিধিতে মোট নথিভুক্তিকরণ দ্রুত বাড়ছে

বেসরকারি ও কর্পোরেট সংস্থায় লভ্যাংশ বৃদ্ধির ফলে আর্থিক সংস্থাগুলির ঋণদান বেড়েছে

তফশিলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির মোট অনুৎপাদক সম্পদের হার ৭ বছরের মধ্যে সর্বাধিক কমে ৫ শতাংশ হয়েছে

সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যয় (কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে) ২০১৬ অর্থবর্ষের ৯.১ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৩ অর্থবর্ষে ২১.৩ লক্ষ কোটি টাকা হতে চলেছে

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাজেট ব্যয় ২০২৩ অর্থবর্ষে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ২.১ শতাংশ ছুঁয়েছে

দেশে ২২০ কোটিরও বেশি কোভিড ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে

রাষ্ট্রসংঘের বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকে ২০২২ – এর রিপোর্টে ২০০৫-০৬ থেকে ২০১৯-২০’র মধ্যে ৪১.৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার উপরে উঠে এসেছেন

২০৭০ সালের মধ্যে ভারত কার্বন গ্যাস নির্গমন মুক্ত রাষ্ট্র হয়ে উঠতে চলেছে

Posted On: 31 JAN 2023 1:59PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

 

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে ২০২২-২৩ এর অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করেছেন। সমীক্ষার মূল বিষয়গুলি নিম্নরূপ:

২০২২ – ২৩ এ দেশের অর্থনীতি:

·         অতিমারীজনিত সঙ্কোচন, রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মুদ্রাস্ফীতি থেকে ভারতীয় অর্থনীতি ব্যাপক ভিত্তির পুনরুদ্ধার হয়েছে এবং ২০২৩ অর্থবর্ষে প্রাক্‌-অতিমারী পর্যায়ে পৌঁছবে।

 ·         ২০২৪ অর্থবর্ষে ভারতের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির হার ৬ – ৬.৮ শতাংশ হতে পারে।

 ·         ২০১৫ অর্থবর্ষ থেকে এ পর্যন্ত পণ্যের ব্যক্তিগত চাহিদা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফলে, দেশে উৎপাদন ক্ষেত্রে বিকাশ নিশ্চিত হয়েছে।

 ·         কেন্দ্রীয় সরকারের মূলধনী ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

 ·         অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রে ২০২২ – এর জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে ৩০.৬ শতাংশ হারে ঋণদান বৃদ্ধি পেয়েছে।

 ·         ২০২২ – এর নভেম্বরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে এসেছে।

 ·         ২০২২ – এর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বের বিকাশশীল বাজার অর্থনীতিগুলির মধ্যে ভারতীয় টাকার মূল্যমান উল্লেখযোগ্যভাবে বজায় থেকেছে।

 ·         ২০২২ – এর এপ্রিল থেকে নভেম্বরের মধ্যে প্রত্যক্ষ কর রাজস্ব আদায় উর্ধ্বমুখী।

 ·         কর্মসংস্থানের হার বাড়ায় দেশের শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার কমেছে এবং কর্মচারী ভবিষ্যনিধিতে মোট নথিভুক্তির সংখ্যা বেড়েছে।

 ভারতীয় অর্থনীতির মধ্যবর্তী বৃদ্ধির পূর্বাভাষ:

 ·         ভারতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক ভিত্তির কাঠামোগত এবং সরকারি সংস্কার হওয়ায় ২০১৪ – ২২ এর মধ্যে দেশের অর্থনীতির দক্ষতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

 ·         জীবনযাপনের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে এবং সহজে ব্যবসার সুবিধা দিতে ২০১৪ সালের পর বিশ্বাস-ভিত্তিক প্রশাসন পরিচালন, বিকাশের লক্ষ্যে বেসরকারি ক্ষেত্রের সঙ্গে অংশীদারিত্ব এবং কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

 ·         ২০১৪ – ২২ সালের মধ্যে বেসরকারি ও কর্পোরেট ক্ষেত্রে মুনাফার সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ফলে ঋণদান, পুঁজি-সৃজন এবং অর্থনৈতিক বিকাশ বিঘ্নিত হয়েছিল।

 ·         ১৯৯৮ – ২০০০ সালের মধ্যেও অনুরূপভাবে সরকারি ক্ষেত্রে রূপান্তরমূলক সংস্কারের সরকারি উদ্যোগের ফলে অর্থনীতিতে সাময়িক ধাক্কা লাগায় বৃদ্ধি কমেছিল। তবে, ২০০৩ সাল থেকে কাঠামোগত সংস্কারের সুফল অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পাওয়া যেতে শুরু করে।

 ·         অনুরূপভাবে, ভারতীয় অর্থনীতি অতিমারী এবং ২০২২ – এর বিশ্বব্যাপী পণ্য মূল্য বৃদ্ধির সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে।

 ·         ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেট ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য মুনাফা হওয়ায় ঋণদানের ক্ষেত্রে নতুন করে অনুকূল পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। গত কয়েক মাসে ঋণদান বৃদ্ধির হার দুই অঙ্ক ছাড়িয়েছে।

 ·         ডিজিটাল প্রযুক্তি ভিত্তিক অর্থনৈতিক সংস্কার ভারতীয় অর্থনীতিতে উচ্চ হারে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং অর্থনৈতিক সুযোগ নিশ্চিত করেছে।

 ·         ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির পূর্বাভাষ হিসাবে প্রাক্‌-অতিমারী সময়ের বিকাশ-ভিত্তিক পর্যায়ে উঠে আসার কথা বলা হয়েছে।

 আর্থিক বিষয়সমূহ – উর্ধ্বমুখী রাজস্ব সংগ্রহ:

 ·         ২০২৩ অর্থবর্ষে অর্থনৈতিক কাজকর্ম বৃদ্ধি, প্রত্যক্ষ কর এবং পণ্য ও পরিষেবা কর বাবদ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি।

 ·         ২০২২ – এর এপ্রিল থেকে নভেম্বরের মধ্যে মোট কর রাজস্ব বাবদ আয় ১৫.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি।

 ·         অর্থবর্ষের প্রথম ৮ মাসে প্রত্যক্ষ কর রাজস্ব গত অর্থবর্ষের একই সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।

 ·         পণ্য ও পরিষেবা কর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির গুরুত্বপূর্ণ রাজস্বের উৎস হিসাবে উঠে এসেছে। এ বাবদ রাজস্ব আয় ২০২২ – এর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ২৪.৮ শতাংশ বেড়েছে।

·         কেন্দ্রীয় সরকার মূলধনী খাতে ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে। ২০০৯ – ২০২০’র মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে গড় ব্যয় মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ১.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ অর্থবর্ষে ২.৫ শতাংশ হয়েছে।

·         কেন্দ্র মূলধনী খাতে রাজ্যগুলিকে ব্যয়ে উৎসাহিত করতে সুদ মুক্ত ঋণ এবং ঋণ গ্রহণের সর্বোচ্চ সীমা বাড়িয়েছে।

·         সড়ক, মহাসড়ক, রেল, আবাসন, নগোরন্নয়নের মতো পরিকাঠামো ভিত্তিক ক্ষেত্রে জোর দিতে মূলধনী খাতে ব্যয় বৃদ্ধির ফলে মধ্যবর্তী পর্যায়ের আর্থিক বিকাশে সদর্থক প্রভাব পড়েছে।

আর্থিক পরিচালন: একটি সদর্থক বর্ষ

 ·         ২০২২ – এর এপ্রিল মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উদ্যোগে যে কঠোর আর্থিক ব্যবস্থার সূচনা হয়েছে, তার ফলে রেপো রেট ২২৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে। ফলে, নগদ অর্থ সরবরাহ কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।

 ·         বিভিন্ন সংস্থার মুনাফা বৃদ্ধির ফলে আর্থিক সংস্থাগুলি বর্ধিত হারে ঋণ প্রদান করেছে। এর ফলে, বেসরকারি বিনিয়োগ ক্ষেত্রে উর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।

 ·         ব্যাঙ্ক নয়, এ ধরনের আর্থিক সংস্থাগুলি কর্তৃক ঋণদানের পরিমাণও বেড়েছে।

 ·         তফশিলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি মোট অনুৎপাদক সম্পদের হার ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ হয়েছে। দেউলিয়া বিধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের হারও উল্লেখযোগ্য হয়েছে।

 মুল্য ও মুদ্রাস্ফীতি:

 ·         ২০২২ – এ উন্নত দেশগুলিতে উচ্চ হারে মুদ্রাস্ফীতি ফিরে এলেও ভারতে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য হার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ভারতে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭.৮ শতাংশ হলেও বর্তমানে এই হার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

 ·         সরকার বিভিন্ন ধরনের পণ্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধে বহুমুখী ব্যবস্থা নিয়েছে। পেট্রোল ও ডিজেলের রপ্তানী শুল্ক পর্যায়ক্রমে কমানো হয়েছে। বিদেশে রপ্তানীযোগ্য পণ্যের উপর শুল্ক কমিয়ে শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে এবং লৌহ আকরিকের মতো পণ্যের উপর রপ্তানী মাশুল ৩০-৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।

 ·         তুলো আমদানীর উপর শুল্ক ২০২২ – এর ১৪ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

 ·         গমের মতো পণ্যের রপ্তানী নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খনিজ তেল, রিফাইন্ড পাম তেল, সয়াবীন ও সূর্যমুখী তেলের উপর শুল্ক কমানো হয়েছে।

 ·         আবাসন ক্ষেত্রে যথাযথ সময়ে সরকারি হস্তক্ষেপ, গৃহ ঋণের কম সুদের হার এই ক্ষেত্রকে ক্রেতাদের জন্য অনুকূল করে তুলেছে।

 ·         আবাসনের জন্য আর্থিক ক্ষেত্রে উর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। আবাসন মূল্য সূচকে স্থিতিশীলতার ফলে গৃহ ক্রেতাদের এবং গৃহ ঋণদাতাদের আস্থা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

সামাজিক পরিকাঠামো এবং কর্মসংস্থান:

·         সামাজিক ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাজেট ব্যয় ২০২৩ অর্থবর্ষে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ২.১ শতাংশে পৌঁছেছে।

·         সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যয় বরাদ্দ ২০২৩ অর্থবর্ষে ২১.৩ লক্ষ কোটি টাকা ছুঁয়েছে।

·         রাষ্ট্রসঙ্ঘের বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকের হিসাব অনুসারে ২০০৫-৬ থেকে ২০১৯-২০’র মধ্যে ৪১.৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার উপরে উঠে এসেছেন।

·         অসংগঠিত শ্রমিকদের সুবিধার্থে একটি জাতীয় তথ্য ভান্ডার তৈরি করতে ই-শ্রম ভান্ডার তৈরি হয়েছে।

·         শ্রম বাজারে প্রাক্‌-কোভিড পর্যায়ের মতো গ্রাম ও শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার ২০১৮-১৯ এর ৫.৮ শতাংশ থেকে কমে ২০২০-২১ এ ৪.২ শতাংশ হয়েছে।

·         ২০২২ অর্থবর্ষে স্কুলে মোট অন্তর্ভুক্তির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

·         অনুর্ধ্ব ৫ বছরের শিশু মৃত্যুর সংখ্যা দীর্ঘস্থায়ীভাবে কমেছে।

·         সারা দেশে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ২২ কোটি মানুষ সুবিধাভোগ করেছেন। এই প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্র কাজ করছে।

জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ:

·         ২০৭০ সালের মধ্যে ভারত কার্বন গ্যাস নির্গমন মুক্ত দেশের লক্ষ্য অর্জন করবে।

 ·         ভারত ২০৩০ সালের আগেই দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ জীবাশ্ম মুক্ত জ্বালানী থেকে পাবে।

 ·         ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে শক্তি ক্ষেত্রে স্বয়ম্ভর করে তুলতে জাতীয় গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন ঘোষণা করা হয়েছে।

 ·         ২০২২ – এর অক্টোবরের মধ্যে দেশে জাতীয় সৌর মিশনে ৬১.৬ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে ভারতে গত ৭ বছরে ৭ হাজার ৮১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছে।

 ·         ২০২২ সালের অগাস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ৬২ লক্ষ ৮০ হাজার পারিবারিক শৌচাগার এবং ৬ লক্ষ ২০ হাজার জনশৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে।

 কৃষি ও খাদ্য পরিচালন ব্যবস্থা:

 ·         বিগত কয়েক বছরে ধরেই কৃষি ও সংশ্লিষ্ট শিল্পের বিকাশে উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশের খাদ্যশস্য ও পশুখাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কৃষকদের জন্য বাজার পরিকাঠামো সহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগে কৃষি পরিকাঠামো তহবিল থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষি থেকে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন কৃষি পণ্যের লাভজনক মূল্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ঋণের পরিমাণ বেড়ে ১৮ লক্ষ্য ৬০ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদন ২০২১-২২ এ ৩১ কোটি ৫৭ লক্ষ টনে পৌঁছেছে। জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন অনুসারে ২০২৩ এর পয়লা জানুয়ারি থেকে আরও এক বছরের জন্য ৮১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে।

 শিল্প:

 ·         ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে শিল্প ক্ষেত্রে মোট মূল্য সংযোজনের পরিমাণ ৩.৭ শতাংশ হারে বেড়েছে। ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে পরবর্তী ১৮ মাসে শিল্প ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা উর্ধ্বমুখী থেকেছে। ২০১৯ – ২০২২ এর মধ্যে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের রপ্তানীর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ১৬০ কোটি ডলার হয়েছে। সারা বিশ্বের মধ্যে মোবাইল ফোন উৎপাদনে ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থান অর্জন করেছে। ওষুধ শিল্পে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ ২০২২ অর্থবর্ষে প্রায় ৭ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।

পরিষেবা:

পরিষেবা রপ্তানীর ক্ষেত্রে ২০২১ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের ১০টি শীর্ষ স্থানীয় দেশের মধ্যে স্থান পেয়েছে। ২০২১ সালে বিশ্বের মোট বাণিজ্যিক পরিষেবার ৪ শতাংশ ভারত থেকে রপ্তানী হয়েছে। পর্যটন ক্ষেত্রে পুনরুজ্জীবন সম্ভব হয়েছে। ২০২৩ অর্থবর্ষে ভারতে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি হয়েছে। ভারতে ডিজিটাল মঞ্চের মাধ্যমে আর্থিক পরিষেবা বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছে।

 

PG/PB/SB


(Release ID: 1895132) Visitor Counter : 1498