প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

 প্রধানমন্ত্রী দীপাবলির মহোৎসবের সূচনা করেছেন

Posted On: 23 OCT 2022 8:00PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি,  ২৩  অক্টোবর, ২০২২


 
“আজকের অযোধ্যা ভারতের সাংস্কৃতিক স্বর্ণযুগের পুনর্জাগরণের প্রতিফলন”
“এই প্রদীপের শিখা ভারতের মূল মন্ত্র- সত্যমেব জয়তে-র ভাবনাকে প্রকাশ করছে”
“দীপাবলির প্রদীপগুলি ভারতের আদর্শ, মূল্যবোধ এবং দর্শনের জীবন্ত প্রতীক”
“প্রদীপ অন্ধকারকে দূর করার জন্য উৎসর্গের ভাবনায় প্রজ্জ্বলিত হয়”

 

দীপাবলি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় মহাদীপোৎসব উদযাপনের সূচনা করেছেন। তিনি সরযু নদীর তীরে রাম কি পৈড়ি ঘাটে ত্রিমাত্রিক হলোগ্রাফিক প্রজেকশন ম্যাপিং প্রদর্শনী এবং সঙ্গীত সহযোগে লেজার শো প্রত্যক্ষ করেছেন।

 
এই উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধানমন্ত্রী ভগবান রামের বন্দনা করে বলেন, আজ প্রদীপের আলোয় হাজার হাজার মানুষের আবেগের মাধ্যমে অযোধ্যাজি উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছেন। “আজকের অযোধ্যা ভারতের সাংস্কৃতিক স্বর্ণযুগের পুনর্জাগরণের প্রতিফলন”। যখন তিনি রাজ্যাভিষেকে অংশ নেন তখন তাঁর মনের মধ্যে অদ্ভুত এক অনুভূতিক সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি বলেন, ভগবান রাম ১৪ বছরের বনবাস শেষে যখন অযোধ্যায় ফিরে এসেছিলেন তখন এই জনপদ কীভাবে সজ্জিত হয়েছিল তা কল্পনাও করা যায়না। “আজ অমৃতকালে ভগবান রামের আশীর্বাদে আমরা অযোধ্যার অবিনশ্বর আধ্যাত্মিকতা প্রত্যক্ষ করছি।”
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎসব উদযাপনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের সেই ঐতিহ্য ও পরম্পরাকে বহন করে চলি যা আসলে জনজীবনের স্বাভাবিক অঙ্গ। “যখন প্রতিটি সত্য জয়লাভ করে এবং মিথ্যার পরাজয় হয় তখন যে মানবতার বার্তা ভারত প্রচার করে তা অতূলনীয়। দীপাবলির প্রদীপগুলি ভারতের আদর্শ, মূল্যবোধ এবং দর্শনের জীবন্ত প্রতীক। এই প্রদীপের শিখা ভারতের মূল মন্ত্র- সত্যমেব জয়তে-র ভাবনাকে প্রকাশ করছে।”
 
উপনিষদ উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সত্যমেব জয়তে নানৃতঃ সত্যেন পন্থা বিততো দেবযানঃ” অর্থাৎ সত্যেরই শুধু জয়লাভ হয়, অসত্যের নয়। আমাদের মুনি ঋষিদের বাণী উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রামো রাজামনি সদা বিজয়তে” অর্থাৎ রামের সুন্দর ব্যবহারই সর্বদা জয়লাভ করে, রাবনের অসৎ ব্যবহার নয়। প্রদীপের মধ্যে থাকা অন্তর্নিহিত শক্তি আলোর মধ্য দিয়ে উদ্ভাসিত হচ্ছে। শ্রী মোদী বলেন, ‘দীপজ্যোতিঃ পরম ব্রহ্মা দীপজ্যোতিজনার্দনঃ’। অর্থাৎ আমাদের মুনি ঋষিরা বলতে চেয়েছেন, প্রদীপের আলো ব্রহ্মার রূপ। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন এই আধ্যাত্মিক আলোয় ভারতের উন্নতি ও প্রগতিকে পথ দেখাবে।
 
এই প্রসঙ্গে শ্রী মোদী রামচরিত মানসে গোস্বামী তুলসীদাসের কিছু উদ্ধৃতি তুলে ধরেন। ‘জগৎ প্রকাশ প্রকাশক রামু’ অর্থাৎ ভগবান রাম সারা বিশ্বকে আলোকিত করেন। “এই আলো হল করুনা, দয়া, মানবতা এবং মর্যাদার প্রতীক যার মাধ্যমে সবকা সাথ-এর বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে।”
 
বহু বছর আগে গুজরাটি ভাষায় লেখা তাঁর কবিতা ‘দিয়া’ থেকে প্রধানমন্ত্রী একটি লাইন তুল ধরেন। তিনি বলেন, প্রদীপ আশা এবং উত্তাপ, আগুন এবং বিশ্রাম সব কিছুই প্রদান করে। যদিও সকলে উদীয়মান সূর্যকে আরাধনা করেন কিন্তু সন্ধ্যার আঁধারকে ঘুঁচিয়ে দেয় প্রদীপ। প্রদীপ নিজে পুড়ে গিয়ে অন্ধকারকে দূর করে, যার মধ্য দিয়ে মানুষের মনে উৎসর্গের ভাবনা প্রকাশ পায়।
 
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, যখন আমরা স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করি তখন স্বাভাবিকভাবেই সমন্বয়ের এক সংকল্প তার মধ্যে জারিত হয়। “যখন আমাদের আকাঙ্খা পূর্ণতা পায় তখন আমরা এই অর্জনকে আমাদের বলে বিবেচনা করি না। এটি মানবজাতির কল্যাণের জন্য বিবেচিত হয়। দীপ থেকে দীপাবলির এই ভারত দর্শনই দেশের ভাবনা এবং শাশ্বত সংস্কৃতির প্রতিফলন।” শ্রী মোদী বলেন, যদিও মধ্য যুগ এবং আধুনিক যুগে অন্ধকার সময়কালের প্রতিকূল প্রভাবের অভিজ্ঞতা ভারতের হয়েছে কিন্তু দেশবাসী কখনই প্রদীপ প্রজ্জ্বলন থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখেননি এবং তাদের আস্থা অটুট রেখেছেন। করোনার সংকটের সময়েও কীভাবে প্রত্যেক দেশবাসী প্রদীপ জ্বালিয়েছিল সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব অতিমারীর বিরুদ্ধে ভারতের সংগ্রাম প্রত্যক্ষ করেছে। “অতীতের প্রতিটি অন্ধকার থেকে ভারত বেরিয়ে এসেছে এবং প্রগতির পথকে আলোকিত করেছে।”
 
প্রেক্ষাপট
 
ষষ্ঠ দীপোৎসবে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে ১৫ লক্ষের বেশি প্রদীপ জ্বালানো হয়েছে এবং বিভিন্ন রাজ্যের নানা নৃত্য সম্বলিত ৫টি অ্যানিমেটেড ট্যাবলো এবং ১১টি রামলীলা বিষয়ক ট্যাবলো প্রদর্শিত হয়েছে।

 

PG/CB/NS



(Release ID: 1870826) Visitor Counter : 239