প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

আমেদাবাদে নবভারত সাহিত্য মন্দির আয়োজিত ‘কলম নো কার্নিভাল’ শীর্ষক বইমেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 08 SEP 2022 7:18PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

 

‘কলম নো কার্নিভাল’ শীর্ষক এই জমাকালো বইমেলা ও এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আপনাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমেদাবাদে নবভারত সাহিত্য মন্দির যে বই মেলার পরম্পরা শুরু করেছে, তা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতি বছর আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে। এর মাধ্যমে গুজরাটের সাহিত্য ও জ্ঞানের জগৎ যেমন প্রসারিত হচ্ছে, তেমনই নতুন লিখতে আসা এবং নবীন সাহিত্যিকরাও একটি প্ল্যাটফর্ম পাচ্ছেন।

বন্ধুগণ,

এই সমৃদ্ধ ঐতিহ্য স্থাপনের জন্য আমি নবভারত সাহিত্য মন্দির এবং এর সমস্ত সদস্যদের অভিনন্দন জানাই। বিশেষ করে, মহেন্দ্রভাই এবং রৌণকভাই-কেও আমার শুভেচ্ছা জানাই, যাঁদের প্রচেষ্টায় আয়োজিত এই বই মেলার মাধ্যমে গুজরাটের আপামর জনগণ উপকৃত হচ্ছেন।

বন্ধুগণ,

‘কলম নো কার্নিভাল’ হ’ল গুজরাটি ভাষার পাশাপাশি, হিন্দি ও ইংরাজী ভাষায় প্রকাশিত গ্রন্থ সম্ভারের একটি বড় সম্মেলন। ‘ভাঞ্চে গুজরাট’, ‘ভাঞ্চে ওয়াধাভে গুজরাট’ অর্থাৎ ‘গুজরাট পড়ো, গুজরাট পড়ে সমৃদ্ধ হচ্ছে’। এই আয়োজনের উদ্দেশ্যটিও খুবই প্রাসঙ্গিক। আমি যখন গুজরাটে আপনাদের সকলের মধ্য থেকে কাজ করছিলাম, গুজরাট তখন থেকেই ‘ভাঞ্চে গুজরাট’ অভিযান শুরু করেছিল। আজ ‘কলাম নো কার্নিভাল’ শীর্ষক এই অভিযান গুজরাটের সেই সংকল্পকে আরও ব্যাপকভাবে এগিয়ে নিয়ে চলেছে।

বন্ধুগণ,

বইপুস্তক এবং গ্রন্থ উভয়ই আমাদের বিদ্যা উপাসনার মূল উৎস। গুজরাটের নানা প্রান্তে পুস্তকালয়ের অনেক পুরনো পরম্পরা রয়েছে। আমাদের ভদোদরার মহারাজা সয়াজীরাওজী তাঁর নিজের রাজ্যের সমস্ত এলাকার প্রধান প্রধান স্থানে পুস্তকালয় গড়ে তুলেছিলেন। সেরকমই গ্রামে আমার জন্ম হয়েছে। আমার গ্রাম ওয়াডনগরেো তেমনি একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার রয়েছে। সেখানে গোন্ডলের মহারাজা ভগবত সিংজী ‘ভগবত গোমন্ডল’ নামক বিশাল শব্দ কোশ উপহার দিয়েছিলেন। আমি তো কখনও কখনও ভাবি,… … যখন কেউ আমাকে বলেন যে,… … ভাই যখন আমি গুজরাটে ছিলাম, তখন প্রায় সকল পরিবারে শিশুদের নামকরণ নিয়ে খুব আলোচনা হ’ত। আর সকলে গ্রন্থাগারে গিয়ে বই খুঁজে শিশুদের নামকরণ করতেন। একবার আমার সামনে কেউ একজন একটি বিষয়নির্ভর নামকরণে সাহায্য চেয়েছিলেন। আমি তাঁকে বলি, আপনি ‘ভগবত গোমন্ডল’ দেখে নিন। সেখানে আপনি এত গুজরাটি শব্দ পাবেন যে, তা থেকে আপনার শিশুর নামকরণের জন্য অনেক অনুকূল তথ্য পাবেন। প্রকৃতই আমাদের কাছে এত তথ্য, এত অর্থ আর এত সমৃদ্ধ পরম্পরা রয়েছে যে, সেগুলি নিয়ে নিয়মিত চর্চা করা উচিৎ।

ঠিক তেমনই আমাদের বীররসের কবি নর্মদ তাঁর ‘নর্ম কোষ’ সম্পাদনা করেছিলেন। এই পরম্পরা চলতে থাকে আমাদের কেকা শাস্ত্রীজী পর্যন্ত। কেকা শাস্ত্রীজী ১০০ বছরেরও বেশি সময় আমাদের মধ্যে ছিলেন। তিনি এক্ষেত্রে অনেক অবদান রেখে গেছেন। বইপত্র, বিভিন্ন গ্রন্থ, কবি-সাহিত্যিক এবং সাহিত্যের অন্যান্য শাখায় গুজরাটের ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। আমি চাই যে, এ ধরনের বই মেলা আয়োজনের মাধ্যমে এরকম সমৃদ্ধ সাহিত্য গুজরাটের প্রত্যেক প্রান্তে প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাক। প্রত্যেক যুবক-যুবতীদের হাতে পৌঁছক, যাতে তাঁরা এই সমৃদ্ধ ইতিহাস সম্বন্ধে জানতে পারেন এবং তা থেকে নিজেদের জীবনে নতুন প্রেরণা সংগ্রহ করতে পারে।

বন্ধুগণ,

এ বছর এই বই মেলা এমন একটা সময়ে আয়োজিত হয়েছে, যখন দেশ তার স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছে। অমৃত মহোৎসবের একটি এমন ব্যতিক্রমী মাত্রা রয়েছে, এর মাধ্যমে আমরা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার চেষ্টা করছি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাতে আমরা কিভাবে সেই ইতিহাসকে তুলে দেব। স্বাধীনতা সংগ্রামের যত বিস্মৃত অধ্যায় রয়েছে, সেগুলির গৌরবও আমরা যেন দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারি – এই দায়বদ্ধতা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আর আপনাদের প্রচেষ্টাতেই এই লক্ষ্যপূরণ সম্ভব হবে।

‘কলাম নো কার্নিভাল’ – এর মতো বই মেলার আয়োজন সারা দেশে এই ব্যতিক্রমী অভিযানকে গতি প্রদান করতে পারে। বই মেলায় স্বাধীনতা সংগ্রাম সংক্রান্ত বইগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া যেতে পারে। এই বিষয়ের উপর যে লেখকরা বই লিখেছেন, তাঁদের একটি শক্তিশালী মঞ্চ দেওয়া যেতে পারে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই আয়োজন এই লক্ষ্যে একটি ইতিবাচক মাধ্যম হিসাবে নিজেকে প্রমাণিত করবে।

বন্ধুগণ,

আমাদের শাস্ত্রে বলা হয়,

‘শাস্ত্র সুচিন্তিত পুনি পুনি দেখিঅ’

অর্থাৎ, নানা শাস্ত্র, বিভিন্ন গ্রন্থ এবং অসংখ্য পুস্তক বারবার অধ্যয়ন করা উচিৎ। তবেই, তা কার্যকরি এবং উপযোগী হয়ে ওঠে। এই কথাটি এজন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ কারণ, আজ ইন্টারনেটের যুগে এই ভাবনা সবার মন-মস্তিষ্কে ছেয়ে যাচ্ছে যে, প্রয়োজন হলে ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে নেব! প্রযুক্তি নিঃসন্দেহে আমাদের তথ্য যোগানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, কিন্তু নিশ্চিতভাবেই তা বইয়ের বিকল্প হতে পারে না, বিভিন্ন বিষয়ের বই না পড়ে শুধুই ইন্টারনেট থেকে সব তথ্য বিস্তারিতভাবে পাওয়া সম্ভব নয়। যখন জ্ঞান আমাদের মস্তিষ্কে থাকে, তখন মস্তিষ্ক সেই জ্ঞানকে গভীরভাবে ‘প্রসেস’ করে। এর ফলে, আমাদের মস্তিষ্কে সেই সংক্রান্ত নতুন নতুন মাত্রা জেগে ওঠে।

এখন আমি আপনাদের একটি ছোট্ট কাজ দেব। আমরা সবাই নরসী মেহতা রচিত ‘বৈষ্ণব জন তো তৈ নে রে কহিএ’ গানটি কতবার শুনেছি, কতবার গেয়েছি। একটা কাজ করুন, এই গানটিকে একটি কাগজে লিখে আপনার সামনে নিয়ে বসুন আর ভাবুন যে, এই গানে বর্তমান প্রেক্ষিতে কী কী রয়েছে। কোন কথাগুলি আজকের সময়ের অনুকূল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, ‘বৈষ্ণব জন তো তৈ নে রে কহিএ’ গানটি আপনারা সকলে হাজার বার শুনেছেন, সেটিকেই যখন নিজের হাতে লিখে সামনে নিয়ে বসে ভাবতে শুরু করবেন, বর্তমানের প্রেক্ষিতে শব্দগুলিকে বোঝার চেষ্টা করবেন, তখন দেখবেন যে, এ থেকে আপনি প্রত্যেকবার নতুন নতুন কয়েকশো অর্থ খুঁজে বের করবেন। আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যে এতটাই শক্তি রয়েছে যে, সেজন্য আমাদের কাছে বই থাকলে, আমাদের সঙ্গে বা আমাদের সামনে থাকলে, তা নতুন নতুন উদ্ভাবনের জন্য, নতুন নতুন অনুসন্ধানের জন্য ভাবনাচিন্তা করতে, তর্ক-বিতর্ককে অনেক গভীরে নিয়ে যেতে এই বই আমাদের অনেক শক্তি যোগায়।

সেজন্য পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বইয়ের গুরুত্ব সমভাবে রয়েছে, বই পড়ার অভ্যাস বজায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, তা সে বই ‘ফিজিকাল ফর্মে হোক’ কিংবা ‘ডিজিটাল ফর্মে’। আমি মনে করি, এ ধরনের আয়োজন আমাদের যুবক-যুবতীদের মনে বইয়ের প্রতি প্রয়োজনীয় এক আকর্ষণ সৃষ্টি করে। বইয়ের গুরুত্ব বোঝাতেও বইমেলা বড় ভূমিকা পালন করে।

বন্ধুগণ,

আমি একথাও বলব যে, যখন আজ গুজরাটের জনগণের সঙ্গে মুখোমুখি বসে কথা বলছি, তখন আরও জোর দিয়ে বলতে চাইছি যে, আমরা যখন কোনও নতুন বাড়ি তৈরি করি, তখন আর্কিটেক্টের সঙ্গে অনেক বিষয়েই আলাপ-আলোচনা করি। কোথায় ডাইনিং রুম তৈরি হবে, কোথায় ড্রয়িং রুম, কোথায় ঠাকুর ঘর, জামা-কাপড় রাখার জায়গা কিভাবে কোথায় হবে – সেগুলি নিয়ে আমরা কথা বলি। আমার অনুরোধ, আপনারা সকলে যখন নতুন বাড়ি তৈরি করবেন, তখন  আপনার আর্কিটেক্টকে এই অনুরোধও করুন যে, এমন একটা সুন্দর জায়গা তৈরি করুন, যেখানে আমার বইগুলি সংরক্ষিত থাকে। আমি সেই বই – এর ভান্ডার ব্যবহার করবো, আমার ছেলেমেয়েকেও ব্যবহার করতে অভ্যাস করাবো। আমার বাড়িতে একটি কোণা যেন এমন থাকে, যেখানে বই দিয়ে বিশেষভাবে সাজানো থাকবে। কিন্তু আমরা এমনটি করি না।

আপনারা হয়তো জানেন, আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন একটি অনুরোধ সবসময়েই করতাম, যে কোনও অনুষ্ঠানে গেলে আমি মঞ্চে ওঠার আগেই বলতাম, যে ভাই আমাকে ফুলের তোড়া নয়, বই দেবেন। কারণ, ১০০-১৫০ টাকা দামের যে ফুলের তোড়া আপনারা কিনে নিয়ে আসবেন, তার আয়ু খুব কম হয়। সেজন্য আমি অনুরোধ করতাম যে, আমাকে বই দিন। আমি জানি, আমার এই আগ্রহ দেখে অনেকেই আমাকে অনুসরণ করেন এবং এর ফলে বই বিক্রি বাড়ে। প্রকাশক ও লেখকরা যেন আর্থিকভাবে সচ্ছল হন, সেদিকটাও আমাদের দেখতে হবে। আমরা অনেক সময় প্রয়োজন হলেও বই কিনি না। আসলে বই কেনা একটি সমাজ সেবা। কারণ, এরকম উদ্যোগ নিলে এই পুস্তক শিল্পের সঙ্গে জড়িত ও সাহিত্যের প্রতি সমর্পিত ব্যক্তিদের জীবনযাপনে আমাদের সহযোগিতা স্বাভাবিকভাবেই অনিবার্য হয়ে ওঠে। আপনারা সবাই বই কেনার অভ্যাস তৈরি করুন। বই সংরক্ষণ, বাড়িতে বই সাজিয়ে রাখার অভ্যাস তৈরি করুন। আমি গুজরাটের অনেক মানুষকে দেখেছি, যাঁরা বাড়ি বাড়ি বই বিক্রি করে বেড়ান, তাঁরা বাড়ির মানুষদের হাতে বই তুলে দিয়ে অনুরোধ করেন যে, বইটি পড়বেন এবং পড়ার পর কেনার যোগ্য বলে মনে হলে কিনবেন, আর না হলে আমাকে ফেরৎ দিয়ে দেবেন! এরকম অনেককেই আমরা দেখেছি। আমার মনে আছে, আমাদের ভাবনগরে একজন সজ্জন ব্যক্তি বইয়ের পার্বন চালাতেন। এরকম কাজ অনেকেই করেন। কিন্তু আমাদের সমাজে এমন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে আমরা পরিবারে বই পড়ার অভ্যাস চালু করতে পারি। কথিত আছে যে, সরস্বতী লুপ্ত ও গুপ্ত থাকেন। বিজ্ঞান থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাহিত্যের অনুষ্ঠানে আমি ভিন্ন ভিন্ন তর্কে অংশগ্রহণ করেছি। আর এই তর্ক হ’ল – সাহিত্যের দুনিয়ার তর্ক। আমাদের সরস্বতী জ্ঞানের দেবী। সরস্বতী লুপ্ত ও গুপ্ত থাকেন – এর মানে হ’ল, সরস্বতী আমাদের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ-কে লুপ্ত অবস্থায় থেকে জুড়তে থাকেন। এই সরস্বতী অসংখ্য বইয়ের মাধ্যমে ইতিহাসকে বর্তমানের সঙ্গে এবং বর্তমানকে আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ করেন। সেজন্য বই মেলার গুরুত্বকে বুঝতে হবে। আমাদের সকলের উচিৎ সপরিবারে বই মেলায় আসা, বিশেষ করে বাড়ির ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের সামনে এই মজার দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। শিশুরা হাত দিয়ে ছুঁয়ে বই দেখবে, পড়বে, কোনটা ভালো, কোনটা বেশি মজার – তা বোঝার চেষ্টা করবে। বড়রাও বই নেড়েচেড়ে দেখে তবেই কিনবেন। আপনাদের কাছে আমার প্রত্যাশা, আমার গুজরাটের সমস্ত ভাই-বোনদের কাছে প্রত্যাশা যে, আপনারা অনেক পড়ুন, অনেক ভাবনাচিন্তা করুন। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যত বেশি ভাবতে শিখবে, ততবেশি তাঁরা সমাজকে অনেক কিছু দিতে পারবে। আর গুজরাটের যত উৎকৃষ্ট সাহিত্যিক রয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, গুজরাটের সমস্ত শব্দসাধক, সরস্বতীর সমস্ত একনিষ্ঠ পূজারীদের সক্রিয় অংশীদারিত্বে এ ধরনের মেলা আমাদের সকলের শ্রদ্ধাঞ্জলি হয়ে উঠুক। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। আরেকবার ভাবনাচিন্তা ও বিচারকে এবং লেখকদের সাদর প্রণাম জানিয়ে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি।

এই ভাবনা নিয়ে আপনাদের সকলকে আরেকবার অনেক অনেক শুভ কামনা।

ধন্যবাদ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দি ও গুজরাটি ভাষায় ছিল

 

PG/SB/SB



(Release ID: 1858358) Visitor Counter : 132