প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

গুজরাটের এটকোট-এ মাতুশ্রী কে ডি পি মাল্টি-স্পেশালিটি হাসপাতাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ

Posted On: 28 MAY 2022 3:59PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৮ মে, ২০২২

 

ভারতমাতা কী জয়! 

ভারতমাতা কী জয়!

গুজরাটের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় শ্রী ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেলজি, গুজরাটের ভারতীয় জনতা পার্টির অধ্যক্ষ মাননীয় শ্রী সি আর পাটিলজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য মাননীয় শ্রী পুরুষোত্তম রুপালাজি, মাননীয় শ্রী মনসুখ মাণ্ডব্যজি, মাননীয় ডঃ মুঞ্জপরাজি, আমাদের বরিষ্ঠ নেতা মাননীয় শ্রী ভজুভাই ওয়ালাজি, শ্রদ্ধেয় শ্রী বিজয় রুপানিজি, প্যাটেল সেবা সমাজ ট্রাস্টের সকল সম্মানিত ট্রাস্টিগণ, সমস্ত শ্রদ্ধেয় দাতাগণ, আমাদের সকলকে আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য বিশাল সংখ্যায় সমাগত পূজনীয় সন্ন্যাসীগণ, গুজরাট সরকারের অন্যান্য মাননীয় মন্ত্রীগণ, মাননীয় সাংসদগণ, মাননীয় বিধায়কগণ, আর এখানে এত গরম থাকা সত্ত্বেও আমাদের আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় এটকোট-এর ভাই ও বোনেরা,

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ এখানে মাতুশ্রী কে ডি পি মাল্টি-স্পেশালিটি হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন হয়েছে। এই হাসপাতাল সৌরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও উন্নত করে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। যখন সরকারের প্রচেষ্টার সঙ্গে জনগণের প্রচেষ্টা যুক্ত হয় তখন আমাদের সেবা করার শক্তিও অনেকগুণ বেড়ে যায়। রাজকোটে নির্মিত এই আধুনিক হাসপাতাল এর একটা অনেক বড় উত্তম উদাহরণ।

ভাই ও বোনেরা, 

কেন্দ্রীয় সরকারে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ সরকার রাষ্ট্রসেবার আট বছর পূর্ণ করতে চলেছে। আট বছর আগে আপনারা সবাই আমাকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিদায় দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে আপনাদের সকলের ভালোবাসা ক্রমে আরও বেড়ে চলেছে। আজ যখন গুজরাটের মাটিতে এসেছি, তখন আমি মাথা নত করে গুজরাটের সকল নাগরিককে আমার আদর ও ভালোবাসা জানাতে চাই। আপনারা আমাকে যে শিষ্টাচার দিয়েছেন, আপনারা আমাকে যে শিক্ষা দিয়েছেন, আপনারা আমাকে যেভাবে শিখিয়েছেন যে কিভাবে সমাজের জন্য বাঁচা উচিৎ - এই যেসব বিষয়গুলি শিখিয়েছেন, এই শিক্ষার ভিত্তিতেই গত আট বছর ধরে আমি মাতৃভূমির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে সাফল্য পেয়েছি। এটা আপনাদেরই শিষ্টাচার, এটা এই মাটির শিষ্টাচার। পূজনীয় বাপুজি এবং সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলজির এই পবিত্র মাটির শিষ্টাচার যে আট বছরে ভুলেও এমন কিছু হতে দিইনি, আর এমন কিছু করিনি যে জন্য আপনাদের কিংবা দেশের কোনও নাগরিককে তাঁদের মাথা নত করতে হয় ! 

এই আট বছরে আমরা গরীবের, সুশাসন এবং গরীব কল্যাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অউর সবকা প্রয়াস’ – এই মন্ত্র নিয়ে চলার পথে আমরা দেশের উন্নয়নকে নতুন গতি দিয়েছি। এই আট বছরে আমরা পূজনীয় বাপু এবং সর্দার প্যাটেলের স্বপ্নের ভারত গড়ে তোলার জন্য সৎ প্রচেষ্টা করেছি। পূজনীয় বাপু একটি এমন ভারত চাইতেন যেটি প্রত্যেক গরীব, দলিত, বঞ্চিত, পীড়িত, আমাদের জনজাতি ভাই ও বোনেরা, আমাদের মা ও বোনেরা – এঁদের সবাইকে ক্ষমতায়িত করে। যেখানে পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্য জীবনযাপনের অংশ হয়ে ওঠে, যার অর্থনীতি স্বদেশী উপায়ে সমস্ত সমস্যা সমাধানে সমর্থ হয়ে ওঠে।

বন্ধুগণ,

৩ কোটিরও বেশি গরীব মানুষকে পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়া, ১০ কোটিরও বেশি পরিবারকে উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম থেকে মুক্তি দেওয়া, ৯ কোটিরও বেশি গরীব মা ও বোনেদের রান্নাঘরের চোখে জ্বালা ধরানো কালো ধোঁয়া থেকে মুক্তি, ২ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি গরীব পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ, ৬ কোটিরও বেশি অধিক পরিবারকে নলের মাধ্যমে পরিশ্রুত জল, ৫০ কোটিরও বেশি অধিক ভারতীয়কে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা – এগুলি শুধুই পরিসংখ্যান নয় আমার ভাই ও বোনেরা, এগুলি কেবলই পরিসংখ্যান নয়, বরং গরীবদের গরিমা সুনিশ্চিত করার জন্য আমাদের দায়বদ্ধতার প্রমাণ এই কাজগুলি। দায়বদ্ধতার প্রমাণ এই প্রচেষ্টাগুলি বন্ধুগণ!

ভাই ও বোনেরা,

আমাদের সরকার গরীবের সরকার। সেজন্য কিভাবে গরীবদের সেবা করতে হবে, কিভাবে তাঁদের সেবা করা উচিৎ, কিভাবে তাঁদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করা উচিৎ, এটা আজ গোটা দেশ দেখছে। ১০০ বছরের সবচাইতে বড় সঙ্কটকালে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের সময়েও দেশবাসী এটা ক্রমাগত অনুভব করেছেন। বিশ্বব্যাপী মহামারী হওয়ার ফলে আমাদের দেশেও গরীবদের সামনে খাদ্য ও পানীয়ের সমস্যা এসে উপস্থিত হয়েছে। তখন আমরা দেশের অন্ন ভাণ্ডারকে দরিদ্র দেশবাসীর জন্য খুলে দিয়েছি। এই সংকটে আমাদের মা ও বোনেদের সম্মানের সঙ্গে বাঁচার জন্য তাঁদের জন ধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রত্যক্ষ নগদ হস্তান্তরের মাধ্যমে টাকা জমা করেছি। এই ভয়ানক সংকটে কৃষক এবং মজুরদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও প্রত্যক্ষ নগদ হস্তান্তরের মাধ্যমে টাকা জমা করা হয়েছে। এই সংকটে আমরা গরীবদের জন্য বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডারেরও ব্যবস্থা করেছি যাতে গরীবদের রান্নাঘর চলতে থাকে, তাঁদের বাড়িতে উনুন জ্বলতে থাকে। এই ভয়ানক সংকটে যখন চিকিৎসার সমস্যা অনেক বড় হয়ে ওঠে তখন আমরা টেস্টিং থেকে শুরু করে ট্রিটমেন্টের পরিষেবা পর্যন্ত সবকিছু গরীবদের জন্য সুলভ করে দিয়েছি। যখন করোনার টিকা আবিষ্কার হয়ে আসে, তখন আমরা এটা সুনিশ্চিত করেছি যাতে সমস্ত ভারতবাসীর বিনামূল্যে টিকাকরণ হয়। আপনাদের সবার টিকাকরণ হয়েছে তো? জোরে বলুন! সবার টিকাকরণ হয়েছে তো? সেজন্য কি কাউকে একটি পাই-পয়সাও দিতে হয়েছে? সেজন্য কি ১ টাকাও খরচ করতে হয়েছে আপনাদের?

ভাই ও বোনেরা,

একদিকে করোনার এই বিকট সঙ্কট, এই বিশ্বব্যাপী মহামারী, আর তারপর আজ, আজকাল তো আপনারা দেখছেন যে যুদ্ধও চলছে। টিভিতে অর্ধেক সময় যুদ্ধের খবর প্রত্যেককে দুশ্চিন্তায় ফেলছে। এই পরিস্থিতিতেও আমরা ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে আমাদের গরীব ভাই ও বোনেরা, আমাদের মধ্যবিত্তরা, আমাদের মধ্যবিত্ত ভাই ও বোনেদের কোনও সমস্যার মোকাবিলা না করতে হয়। এখন আমাদের সরকার পরিষেবাগুলিকে ১০০ শতাংশ নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অভিযান শুরু করেছে। যিনি যেটা পাওয়ার অধিকারী, সেই অধিকার যেন তিনি পান!

যখন প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য থাকে, তখন সমস্ত বৈষম্য দূর হয়ে যায়, তখন কোনও দুর্নীতির সুযোগই থাকে না, তখন কোনও স্বজনপোষণ থাকে না, কোনও জাতপাতের বৈষম্য থাকে না। সেজন্য আমাদের সরকার মৌলিক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রকল্পগুলিকে স্যাচুরেশন পর্যন্ত বা ১০০ শতাংশে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ পরিশ্রম করছে। রাজ্য সরকারগুলিকেও আমরা ক্রমাগত এই কাজের জন্য প্রেরণা যোগাচ্ছি, সাহায্য করছি। আমাদের এই প্রচেষ্টা দেশের গরীব মানুষদের, দেশের মধ্যবিত্তদের ক্ষমতায়িত করবে, তাঁদের জীবনযাপনকে আরও সহজ করে তুলবে।

আর আজ যখন এখানে, এই জসদন-এ প্রথম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, আর এটকোট-এ আমি এখানে এসেছি, এই হাসপাতালটি দেখতে আসার সৌভাগ্য হয়েছে। সমস্ত দাতা এবং ট্রাস্টিদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের সৌভাগ্য হয়েছে। ট্রাস্টিরা আমাকে বলেছেন যে, সাহেব, পেছনে ফিরে তাকাবেন না! এখানে যাঁরা আসবেন, তাঁরা চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাবেন না! ট্রাস্টিদের এই যে প্রতিশ্রুতি, তাঁদের মনে এই যে সেবার ভাবনা, আর আপনাদের বাড়ির সামনে, তাঁদের উঠানের কাছে একটি আধুনিক হাসপাতাল কম কথা নয়। আমি ভরতভাই বোঘরাকে, প্যাটেল সেবা সমাজের সকল বন্ধুদের যত অভিনন্দন জানাব সেটা যথেষ্ট নয়। প্যাটেল সেবা সমাজ যে সমর্পণ ভাব নিয়ে আজ এই বড় কাজটি করেছে, তার জন্য আপনারা সবাই অভিনন্দনের অধিকারী, আর এই উদ্যোগ থেকে প্রেরণা নিয়ে আপনারা সবাই যেভাবে সমাজের জন্য কিছু করার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন তাকেও আমি সাধুবাদ জানাই। 

সাধারণভাবে আমি যখন কোনও কারখানা উদ্বোধন করতে যাই, কোনও বাস স্টেশন উদ্বোধন করতে যাই, কোনও রেল স্টেশন উদ্বোধন করতে যাই, তখন নিজের মন থেকে বলতে থাকি যে ভাই, আপনাদের সব কাজ খুব ভাল ভাবেএগিয়ে যাক, জনগণ চেষ্টা করে সফল হোক, এই কারখানায় উৎপাদন ভালো হোক! কিন্তু যখন হাসপাতাল উদ্বোধন করতে এসেছি তখন কী কামনা করি বলুন? এখন একথা তো আমি বলতে পারব না যে আপনাদের হাসপাতাল সব সময় ভরে থাকুক। সেজন্য আমি উদ্বোধন করেছি ঠিকই কিন্তু আমরা যেন, সমাজের সবাই যেন সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এমন স্বাস্থ্যের আবহ গড়ে তুলি, যেখানে হাসপাতালের বেডগুলি খালি থাকে। কারোর যেন সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন না হয়। আর যখন সবাই সুস্থ থাকবেন তখনও কাউকে এখানে আসতে হবে না। আর যখন আসার প্রয়োজন হবে, তখন যেন আগের থেকে আরও বেশি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সৌভাগ্য হয়। এ ধরনের কাজই যেন এই হাসপাতালে হয়। আজ গুজরাটে আরোগ্য ক্ষেত্রে যে গতি সঞ্চার হয়েছে, যে পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে, যে স্তরে কাজ হচ্ছে, ভূপেন্দ্র ভাই এবং তাঁর গোটা টিমকে আমি হৃদয় থেকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই, আর আমি নিশ্চিত যে, এই হাসপাতাল হওয়ার ফলে গুজরাটের নানা প্রান্তের সাধারণ মানুষ অনেক উপকৃত হবেন। আজ আমাদের রাজকোট তো এমনই একটি স্থানে পরিণত হয়েছে, যেখানে চারপাশের তিন-চারটি জেলার মানুষ সহজে আসতে পারেন বা সেখান থেকে বেরোলে আধ ঘন্টা কিংবা এক ঘন্টার মধ্যে তাঁদের বাড়ি পৌঁছে যাবেন। আপনারা সবাই তো জানেনই, আমাদের রাজ্যের রাজকোটে গুজরাটের জন্য যে এইমস হাসপাতাল মঞ্জুর হয়েছে; সেটি নির্মাণের কাজ আজ রাজকোটে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। 

কিছুদিন আগেই আমি জামনগর এসেছিলাম আর জামনগরে বিশ্বের পরম্পরাগত ঔষধি কেন্দ্র যেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে গড়ে উঠছে, তার শিলান্যাস করতে জামনগরে এসেছিলাম। একদিকে জামনগরে আয়ুর্বেদ ঔষধি কেন্দ্র আর অন্যদিকে আমার রাজকোটে এইমস। আর আজ এটকোট-এ এই কে ডি পি মাল্টি-স্পেশালিটি হাসপাতালটি কাজ শুরু করল। হ্যাঁ বাপু, আপনার তো মান আরও বেড়ে গেল! বন্ধুগণ, দুই দশক আগে আমাকে আপনারা আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছিলেন। ২০০১-এ তখন আমাদের গুজরাটে মাত্র নয়টি মেডিকেল কলেজ ছিল। এটা হয়তো আপনাদের সকলের মনে আছে, নাকি ভুলে গেছেন? এই কথাটা নতুন প্রজন্মকে বলবেন, না হলে তো তাঁরা জানতেই পারবেন না যে কী অবস্থা ছিল! মাত্র নয়টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল! আর কত জনের মনের ডাক্তার হওয়ার জন্য স্বপ্ন যে অসম্পূর্ণ থেকে যেত! তখন মাত্র ১ হাজার ১০০টি চেম্বার ছিল, যেখানে ডাক্তার হওয়ার জন্য প্র্যাক্টিস করা যেত। এত বড় গুজরাট! ২০০১-এ সেই রাজ্যে মাত্র ১ হাজার ১০০টি চেম্বার। আর আপনারা জেনে খুশি হবেন, আজ সরকারি এবং বেসরকারি কলেজ মিলিয়ে গুজরাটে মোট ৩০টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। শুধু তাই নয়, গুজরাট সহ দেশের সর্বত্র, প্রত্যেক জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি। এমবিবিএস এবং পিজি মিলিয়ে একটা সময় এই রাজ্যে আসন সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১০০ আর আজ ৮ হাজার। ৮ হাজার আসন বন্ধুগণ!

ভাই ও বোনেরা,

এক্ষেত্রেও আমরা একটি নতুন সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছি। আপনারাই বলুন, গরীব মা-বাবার ছেলে-মেয়েদের চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা থাকা উচিৎ কি উচিৎ না? একটু আওয়াজ তুলে বলুন তো, তাহলে বুঝতে পারি উচিৎ কি উচিৎ না! আপনারা তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করে দেখবেন। আর যদি আগেই জিজ্ঞাসা করে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই উত্তর পেয়েছেন। আপনারা আরও জিজ্ঞাসা করবেন যে তাঁরা ইংরেজি মাধ্যমে পড়েছেন নাকি গুজরাটি মাধ্যমে! যদি ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে থাকেন,  তাহলেই এখন ডাক্তার হওয়ার দরজা খুলবে, আর যদি গুজরাটি মিডিয়ামে পড়ে থাকেন তাহলে ডাক্তার হওয়ার সব পথ বন্ধ। এটা অন্যায় কথা কিনা! আরে বলুন ভাই, এটা অন্যায় কথা কি না? আমরা সেজন্য এই নিয়মগুলিকে বদলেছি আর সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ডাক্তার হতে হলে কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে আজ শুধু ইংরেজি মিডিয়ামে পড়াটাই আবশ্যক নয়। মাতৃভাষাতেও তাঁরা পড়াশোনা করতে পারবেন, প্র্যাক্টিস করতে পারবেন আর জনগণের সেবাও করতে পারবেন।

বন্ধুগণ,

ডবল ইঞ্জিনের সরকার, এ থেকে ডবল লাভ তো হওয়াই উচিৎ, তাই না? হবে কি হবে না? আর আমাদের গুজরাটবাসীদের বুঝতে হবে যে, মামার বাড়িতে খাবার খেতে গেছেন, আর সেখানে পরিবেশন করছেন নিজের মা। এর অর্থ বুঝতে পারছেন না? এই ডবল ইঞ্জিনের সরকার গুজরাটের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছে। উন্নয়নের সামনে আসা সমস্ত প্রতিকূলতাকে দূর করেছে, আর দ্রুতগতিতে উন্নয়নের লাভ গুজরাটবাসী পাচ্ছেন। ২০১৪ সালের আগে গুজরাট থেকে এরকম অনেক প্রকল্পের প্রস্তাব যেত, কিন্তু সেগুলি মঞ্জুর হতো না টাকার অভাবে। দিল্লিতে তখন এমন সরকার ছিল, তারা এই প্রকল্পগুলির দিকে ফিরেও তাকাত না। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে তারা শুধু মোদীর লাভ দেখতে পেত, আর তখন তাদের মাথা এমন খারাপ হয়ে যেত যে দ্রুত বাতিল করে দিত, রিজেক্ট করে দিত। সমস্ত কাজে তালা লাগিয়ে দিত। এত বেশি উদাসীনতার শিকার ছিলাম আমরা! এত বেশি উদাসীনতার শিকার ছিল আমাদের মা নর্মদা।  আপনারা ভাবুন, এরা নর্মদা মা-কে আটকে বসেছিল। এই সর্দার সরোবর বাঁধ তৈরির জন্য আমাদের অনশন করতে হয়েছিল। মনে আছে না? মনে আছে কি নেই? আর অবশেষে এই অনশন এমন ফলদায়ী হয় যে সর্দার সরোবর বাঁধ তৈরি হয়ে যায়! সৌনি প্রকল্প তৈরি হয়ে যায়!  আর নর্মদা মা ক্রমে কচ্ছ, কাথিওয়ারের মাটিতে প্রবাহিত হয়ে এসে আমাদের সাধারণ মানুষের জীবনকে উজ্জ্বল করে তোলে। এভাবেই কাজ হয় আমাদের এখানে। আর এখন তো আমাদের রয়েছে সর্দার সরোবর, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, গোটা বিশ্বে সবচাইতে বড় মূর্তি, সমস্ত বিশ্বে সর্দার সাহেবের নাম এখন গুঞ্জরিত হচ্ছে। সেখানে মানুষ ঘুরতে গেলে অবাক হয়ে ভাবেন, আমাদের গুজরাটে এত বড় কাজ এত দ্রুত কিভাবে সম্পন্ন হয়েছে? - এটাই তো গুজরাটের শক্তি ভাই!

পরিকাঠামোর দ্রুত উন্নয়নের লাভ আজকের গুজরাটবাসী জনগণ পেয়েছে। আজ গুজরাটে অভূতপূর্ব মাত্রায় পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ এগিয়ে চলেছে। এর ফলে গুজরাটের সর্বত্র মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। একটা সময় ছিল যখন গুজরাটে শিল্পের নাম নিতেই সবাই শুধু ভদোদরা থেকে ভাপি পর্যন্ত এলাকাকে বুঝত। ভদোদরা থেকে ভাপি জাতীয় সড়কের দু’পাড়ে আমাদের শিল্প উন্নয়ন এতটাই হয়েছিল। কিন্তু আজ আপনারা গুজরাটের যে কোনও প্রান্তে যান, ছোট, বড় শিল্প, ছোট, বড় কারখানা দ্রুতগতিতে যে উন্নতি করছে সেটা অনুভব করবেন। আমাদের রাজকোটের ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে বড় বড় গাড়ি তৈরি হচ্ছে। গাড়ি ছোট কিংবা বড় যাই তৈরি হোক না কেন, এর সমস্ত ছোট ছোট যন্ত্রাংশ আপনাদের রাজকোট থেকে যায়। আপনারা ভাবুন, আমেদাবাদ থেকে মুম্বাই বুলেট ট্রেন, হাইস্পিড ট্রেনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড করিডর মুম্বাই থেকে দিল্লি পর্যন্ত দ্রুত চালু হতে চলেছে। এতে লজিস্টিক্সের নানা ব্যবস্থার কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এই সবক’টি প্রকল্পের সহায়ক হয়ে উঠছে গুজরাটের মহাসড়ক প্রশস্তিকরণ, ডবল, ট্রিপল ছয়টি লেনের সড়ক, আর এই সমস্ত পরিকাঠামো উন্নয়ন গুজরাটের বন্দরগুলিকেও শক্তিশালী করে তুলবে। আজ গুজরাটে এয়ার কানেক্টিভিটির অভূতপূর্ব বিস্তার হতে দেখা যাচ্ছে, আর রো রো ফেরি সার্ভিসের কার্যকারিতা ও জনপ্রিয়তা ক্রমে বাড়ছে। আমার মনে আছে, যখন আমরা ছোট ছিলাম তখন খবরের কাগজে পড়তাম আর ভাবতাম যে, এই রো রো ফেরি সার্ভিস কাকে বলে। আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী হলাম তখনও আমি আমলাদেরকে জিজ্ঞাসা করি যে ভাই এটা কী? এই রো রো সার্ভিস দেশের কোন কোণায় রয়েছে? ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি। আপনারা সবাই জানেন যে আজ গুজরাটের রো রো সার্ভিস একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পরিবহণ ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে। আর এই রো রো সার্ভিসের মাধ্যমে সুরাট থেকে কাথিয়াওয়ার ও সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষেরা ৩০০ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার যাত্রার পরিবর্তে অত্যন্ত কম সময়ে, প্রায় আট ঘন্টার মতো সময় সাশ্রয় করে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে সমুদ্রপথে পৌঁছে যাচ্ছেন।

উন্নয়ন কিভাবে হয়, এটা আজ আমরা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলি গুজরাটের সবচাইতে বড় শক্তি হয়ে উঠে এসেছে। গোটা সৌরাষ্ট্রে একটা সময় ছিল যখন নুন-শিল্প ছাড়া আর কোনও শিল্প ছিল না। কাথিয়াওয়ার থেকে মানুষ কাজ করতে অন্য জেলায়, অন্য রাজ্যগুলিতে যেত। কর্মসংস্থানের জন্য কচ্ছ ও কাথিয়াওয়ারের মানুষকে ভারতের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে হত। কিন্তু আজ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে কর্মসংস্থানের জন্য কচ্ছ ও কাথিয়াওয়ারে আসতে হচ্ছে। সমুদ্র বন্দরগুলির পরিবহণ ক্ষমতা ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিবর্তন গুজরাটের সামগ্রিক চিত্রকেও বদলে দিয়েছে বন্ধুগণ! আমাদের মোরবির টাইলস শিল্প আজ সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশ্বের নানা জায়গায় রপ্তানি হচ্ছে। 

আমাদের জামনগরের পিতল শিল্প বিশ্বের নানা প্রান্তে জনপ্রিয় হয়েছে। আর এখন তো ফার্মা ইন্ডাস্ট্রি, সমস্ত ওষুধের কোম্পানিগুলি খুব ভালো চলছে। একটা সময় ছিল, সুরেন্দ্র নগরের কাছে যেন ওষুধের কোম্পানি এসে কাজ শুরু করে তা সুনিশ্চিত করতে গুজরাট রাজ্য সরকার তাদেরকে অনেক অফার দিয়েছিল। তবুও তারা আসছিল না। আর আজ গুজরাট তথা সৌরাষ্ট্রের মাটিতে অনেক বড় বড় ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি রমরমিয়ে ব্যবসা করছে। অনেকের তো এরকম ব্যবসা বেড়েছে যে তাদেরকে অন্যত্র ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা ভেবে কাজ করতে হচ্ছে। কারণ, গুজরাট এখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এর ফলে ভাই ও বোনেরা, গুজরাটের শিল্পোদ্যোগগুলি তথা দেশের সমস্ত শিল্পোদ্যোগ যেন বেশি লাভবান হয়, এই লক্ষ্য নিয়ে ‘ওয়ান ডিস্ট্রিক্ট, ওয়ান প্রোডাক্ট’-এর অভিযান গোটা দেশে চালু করেছি। সৌরাষ্ট্রের পরিচয়ও এখন এমনই হয়ে উঠেছে। আমাদের কাথিয়াওয়ারের পরিচয়, আমাদের কচ্ছ-এর পরিচয়, আর সার্বিকভাবে আমাদের গুজরাটের পরিচয় ছিল - সাহসী স্বভাব, দরিদ্র জীবন, জলের অভাবের মধ্যেও জীবন কাটানো! কিন্তু আজ গুজরাটের নাগরিকরা এমনকি কৃষিক্ষেত্রেও তাঁদের প্রতিপত্তি স্থাপন করছে। এটাই গুজরাটের শক্তি ভাই ও বোনেরা! আর গুজরাটকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য যখন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, কিংবা গান্ধীনগরে রাজ্য সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, এই ডবল ইঞ্জিনের সরকার চতুর্দিশায় কাজ করে এগিয়ে চলেছে ভাই ও বোনেরা।

আজ যখন আরোগ্য ক্ষেত্রে এত বেশি পরিষেবা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন আমার পক্ষ থেকে এই বিস্তারের জন্য সকল নাগরিককে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনারা বিশ্বাস রাখবেন। একটু আগেই ভূপেন্দ্র ভাই বলছিলেন, পিএমজেএওয়াই প্রকল্প, আয়ুষ্মান যোজনা, এরকম বিশ্বের অনেক বড় বড় প্রকল্প আজ আমাদের এখানে চালু রয়েছে। আমেরিকার মোট জনসংখ্যা থেকেও বেশি লোক উপকৃত হয় – এমন সব প্রকল্পও ভারতে চালু হয়েছে। ৫০ কোটি মানুষকে আয়ুষ্মান কার্ড দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে তাঁরা যত কঠিন রোগই হোক না কেন, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ সরকার বহন করছে। ভাই ও বোনেরা, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ সরকার বহন করছে। 

দারিদ্র্য এবং গরীবদের সমস্যা – এই কথাগুলি আমাকে বই পড়ে শিখতে হয়নি, টিভির পর্দায় দেখতে হয়নি। আমি জানি যে দারিদ্র্যের মধ্যে জীবন কিভাবে কাটাতে হয়। আজও আমাদের সমাজে মা ও বোনেদের যদি অসুখ হয়, যন্ত্রণা হয়, তবুও তাঁরা পরিবারের অনেককে বলেন না। নীরবে যন্ত্রণা সহ্য করে যান, আর বাড়ির কাজ তেমনভাবেই করে যেতে থাকেন। আর বাড়িতে কারোর যদি অসুখ হয়, তাঁদের যত্নও করেন। নিজের যে যন্ত্রণা হচ্ছে সেকথা মা ও বোনেরা কাউকে বলেন না, আর তারপর যখন সমস্যা ডালপালা গজিয়ে আরও বেড়ে যায়, তখন ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেন যে, হে ঈশ্বর, আমাকে উঠিয়ে নাও। আমার কারণে আমার ছেলে-মেয়েদের কষ্ট হচ্ছে। ছেলে-মেয়েরা জানতে পারলে বলবে, মা, আমরা কোনও ভালো হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাব। তখন মা বলেন বাবা, তাহলে তো অনেক ঋণ হয়ে যাবে। আমি আর কতদিন বাঁচব! আর তোরা যদি ঋণে ডুবে যাস, তোদের প্রজন্ম তাহলে সম্পূর্ণ ডুবে যাবে। ভগবান যতদিন কপালে লিখেছেন, ততদিনই বাঁচব, আমি হাসপাতাল যাব না। ঋণ করে আমাকে ওষুধ খাওয়াবি না। আমাদের দেশের মা ও বোনেরা টাকার কথা ভেবে চিকিৎসা করাতেন না। ছেলে যেন ঋণে না ডুবে যায় সে কথা ভেবে হাসপাতালে যেতেন না বা রোগের কথা চেপে যেতেন। 

আজ এই মায়েদের জন্য দিল্লিতে এক ছেলে বসে আছে। এই মায়েদের যেন দুঃখ না হয়, তাঁদের অপারেশনের যখন প্রয়োজন হবে টাকার কারণে তাঁদের অপারেশন যেন না আটকায় সেজন্য তাঁদের ছেলে ‘আয়ুষ’ যোজনা চালু করেছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এই হাসপাতালেও আয়ুষ্মান কার্ড নিয়ে যাঁরা আসবেন তাঁরা সকলে সরকারি প্রকল্পের পূর্ণ লাভ যেন পান তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর সেজন্য কাউকে পকেট থেকে কোনও টাকা খরচ করতে হবে না। পকেট থেকে টাকা দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে এরকম দিন তাঁদের জীবনে আসবে না। আপনারা ভাবুন, জন ঔষধি কেন্দ্রগুলি চালু হওয়ায় মানুষের কত সুবিধা হয়েছে। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট আয়ের পরিবার আর সেই পরিবারে যদি একজন বৃদ্ধ মনে করুন, মধুমেহ রোগাক্রান্ত, তাহলে তাঁর জন্য মাসে কম করে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকার ওষুধ কিনতে হয়। তাঁকে যদি রোজ ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নিতে হয় কিংবা ওষুধ খেতে হয় তাহলে আরও টাকা লাগে। এত দামি ওষুধ সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার কেমন করে জোগাড় করবে? আমাদের ভারতের কোণায় কোণায় সেজন্যই এই জন ঔষধি কেন্দ্রগুলি খোলা হয়েছে। যে ওষুধ কিনতে মাসে ২ হাজার টাকা খরচ হত, সেই ওষুধ এখন ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে আর কাউকেই ওষুধের অভাবে কষ্ট পেতে হবে না। সেজন্য ভারতের সর্বত্র শত শত জন ঔষধি কেন্দ্র চালু করা হয়েছে আর এর ফলে দেশের সাধারণ মানুষ সুলভে ওষুধ থেকে শুরু করে নিজের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের চিকিৎসার জন্য কোনও নতুন বোঝা না উঠিয়ে, কোনও নতুন ব্যবস্থা না নিয়েই সামলাতে পারছেন।

ভাই ও বোনেরা,

পরিচ্ছন্নতা, পরিশ্রুত জল, নির্মল পরিবেশ – এ সবকিছু স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমরা মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতির কথা ভেবে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস চালু করেছি। আপনাদের সকলের প্রতি আমার এটাই প্রার্থনা যে আপনারা যোগাভ্যাস করুন। আপনাদের সকলের স্বাস্থ্য ভালো থাকুক, সুঠাম থাকুক, আমাদের গুজরাটের প্রত্যেক শিশুর স্বাস্থ্য ভালো হোক, আমাদের গুজরাটের ভবিষ্যৎ সুঠাম হোক, এই সঙ্কল্পের পাশাপাশি আজ এই শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সমাজের সকল অগ্রণী ব্যক্তিদের আমি অন্তর থেকে শুভকামনা জানাই। সকল অর্থদাতাদের শুভকামনা জানাই। সেই দাতাদের মায়েদেরকেও শুভেচ্ছা ও প্রণাম জানাই যাঁরা এমন উদার চিত্ত সন্তানদের জন্ম দিয়েছেন, এত সুন্দর শিষ্টাচার দিয়ে বড় করেছেন, যাঁরা সমাজের জন্য এত বড় কাজ করেছেন, তাঁদের সবাইকে শুভকামনা জানিয়ে, আপনাদের সকলকে প্রণাম জানিয়ে আজকের বক্তব্য সম্পূর্ণ করব। আপনারা সবাই এমন এত ভালোবাসা দিয়েছেন, লক্ষ লক্ষ মানুষ এত গরম অগ্রাহ্য করে এখানে এসেছেন, আপনাদের এই আশীর্বাদই আমার সবচাইতে বড় শক্তি। এটাই আমার আসল পুঁজি। হাজার হাজার বোনেরা আমাদের কাথিয়াওয়ারের পরম্পরা অনুসারে মাথায় কলসি নিয়ে এই রোদের মধ্যে সোজা দাঁড়িয়ে থেকে আমাকে আশীর্বাদ দিচ্ছেন। আমার মা ও বোনেদের, সর্বসমাজের বোনেদের তাঁদের বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান হলে যেভাবে সন্তানদের আশীর্বাদ দেন, সেভাবেই আমাকে আশীর্বাদ দিয়েছেন। এই সকল মা ও বোনেদের আমি প্রণাম জানাই। তাঁদের আশীর্বাদ নিয়েই আমি গুজরাট তথা ভারতের সেবা যেন করে যেতে পারি। আপনাদের এই আশীর্বাদই আমার ওপর থাকুক। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভারতমাতার জয়! 

ভারতমাতার জয়!

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

CG/SB/DM/



(Release ID: 1829684) Visitor Counter : 184