প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রধানমন্ত্রী পিএম কেয়ার্স ফর চিলড্রেন স্কিমের আওতায় সুবিধাভোগীদের প্রয়োজনীয় সাহায্য প্রদান করেছেন


“পিএম কেয়ার্স ফর চিলড্রেন”-এর মাধ্যমে প্রত্যেক দেশবাসীর তোমাদের প্রতি চূড়ান্ত সংবেদনশীলতা প্রকাশ পাচ্ছে”

“ভারতী মাতা সঙ্কটের এই সময়েও তার সমস্ত সন্তানের সঙ্গে রয়েছেন”

“সঙ্কটের এই সময়ে ভালো বই তোমাদের প্রকৃত বন্ধু হতে পারে”

“আজ যখন আমাদের সরকারের আট বছরের সময়কাল সম্পূর্ণ হচ্ছে, তখন দেশ এবং দেশের মানুষের মধ্যে যে আস্থা সঞ্চারিত হয়েছে তা অভূতপূর্ব”

“গত আট বছর ধরে সরকার দরিদ্র মানুষদের কল্যাণে এবং তাঁদের পরিষেবা প্রদানে সচেষ্ট রয়েছে”

“বর্তমানে দরিদ্রতম ব্যক্তিও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে আস্থাশীল। এই আস্থা বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের সরকার এখন ১০০ শতাংশ ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার অভিযান শুরু করেছে”

Posted On: 30 MAY 2022 11:35AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৩০ মে, ২০২২

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘পিএম কেয়ার্স ফর চিলড্রেন স্কিম’-এর আওতায় সুবিধাভোগীদের প্রাপ্য সাহায্য প্রদান করেছেন। এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীমতী স্মৃতি ইরানি সহ মন্ত্রী পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা এবং বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। 

এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী করোনা সময়কালে যেসব শিশুরা তাদের নিকটজনেদের হারিয়েছে, সেইসব শিশুদের জীবনযাত্রায় যে প্রতিকূলতার সৃষ্টি হয়েছে সেই প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। “আজ যেসব শিশুরা আমাদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছে তারা প্রতিদিনের যে সংগ্রাম এবং প্রত্যেক দিন যেভাবে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, সেই কষ্ট প্রকাশ করার ভাষা নেই। তাদের জন্যই আজকের এই কর্মসূচি।” দৃশ্যতঃ বিহ্বল প্রধানমন্ত্রী এইসব শিশুদের বলেন তিনি আজ তাদেরই পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে কথা বলছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়। 

এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “করোনার সময়কালে যেসব শিশুরা তাদের বাবা এবং মা – দু’জনকেই হারিয়েছে, তাদের কষ্ট লাঘব করতে একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস হল এই পিএম কেয়ার্স ফর চিলড্রেন।” “এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেক দেশবাসীর তোমাদের প্রতি চূড়ান্ত সংবেদনশীলতা প্রকাশ পাচ্ছে।” শ্রী মোদী জানান, যদি উচ্চশিক্ষার জন্য অথবা পেশাদার কোনও পাঠক্রমের জন্য কারোর শিক্ষা ঋণের প্রয়োজন হয়, তাহলে পিএম কেয়ার্স থেকে সে প্রয়োজনীয় সাহায্য পাবে। দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা পূরণে অন্যান্য প্রকল্পের মাধ্যমে এইসব নাবালক-নাবালিকারা প্রতি মাসে ৪ হাজার টাকা করে পাচ্ছে। এছাড়া যখন তাদের বয়স ২৩ বছর হবে তখন তারা ১০ লক্ষ টাকা পাবে। এইসব শিশুদের স্বাস্থ্য বীমার জন্য আয়ুষ্মান কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও, মনস্তাত্ত্বিক ও মানসিক চাপ কমাতে তাদের ‘সম্বাদ’ হেল্পলাইনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়।  

প্রধানমন্ত্রী মহামারীর সময়ে এইসব শিশুরা যেভাবে বেদনাবহ পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে তার জন্য তাদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, মা-বাবার ভালোবাসা না পাওয়ার ক্ষতি কোনদিনই পূরণ হবে না। “ভারতী মাতা সঙ্কটের এই সময়েও তার সমস্ত সন্তানের সঙ্গে রয়েছেন।” দেশ ‘পিএম কেয়ার্স ফর চিলড্রেন-এর মাধ্যমে তার দায়িত্ব পালনের চেষ্টা চালাচ্ছে। শ্রী মোদী এই প্রসঙ্গে মহামারীর সময়কালে অন্যের প্রতি সহৃদয়তা প্রকাশের বিষয়টি তুলে ধরেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্যের জন্য যেভাবে সবাই এগিয়ে এসেছেন, তিনি সেই বিষয়টি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই তহবিলের সাহায্যে হাসপাতাল, ভেন্টিলেটর সংগ্রহ করা, অক্সিজেন প্ল্যান্ট বানানোর মতো বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আর এইসব উদ্যোগের কারণেও বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা হয়েছে এবং অনেক পরিবারের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হতাশার এই পরিবেশে আমরা যদি আমাদের প্রতি আস্থা রাখি তাহলেই আশার আলো দেখতে পাব। তিনি বলেন, আমাদের দেশ এক্ষেত্রে এক নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তিনি শিশুদের হতাশার মধ্যে নিজেকে নিমজ্জিত না রাখার পরামর্শ দেন। তারা যাতে তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বয়স্ক শুভানুধ্যায়ীর পরামর্শ মেনে চলে সেই বিষয়ে তিনি গুরুত্ব দেন। সঙ্কটের এই সময়ে ভালো বই তাদের প্রকৃত বন্ধু হতে পারে। শিশুদের কোনরকম মানসিক চাপে না থেকে ‘খেলো ইন্ডিয়া’ এবং ‘ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট’-এর মতো কর্মসূচিতে যুক্ত থাকার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী তাদের যোগ দিবসে অংশগ্রহণেরও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নেতিবাচক এই পরিবেশে ভারত তার নিজের শক্তির ওপর বিশ্বাসী। “আমরা আমাদের বিজ্ঞানী, আমাদের চিকিৎসক এবং আমাদের তরুণ সম্প্রদায়ের ওপর আস্থাশীল আর এর মধ্যে দিয়েই আমরা বিশ্বের কাছে আশার আলো হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছি, সঙ্কটের কারণ হিসেবে নয়। পৃথিবীর কাছে আমরা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি, বরং সমস্যার সমাধানের উপায় বার করেছি। আমরা বিভিন্ন দেশে ওষুধ এবং টিকা পাঠিয়েছি। এত বড় দেশে প্রত্যেক নাগরিকের কাছে আমরা টিকা পৌঁছে দিয়েছি।” আমাদের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির কারণে সারা বিশ্ব নতুন আশা ও আস্থা নিয়ে আমাদের বিবেচনা করছে।  

আজ যখন আমাদের সরকারের আট বছরের সময়কাল সম্পূর্ণ হচ্ছে, তখন দেশ এবং দেশের মানুষের মধ্যে যে আস্থা সঞ্চারিত হয়েছে তা অভূতপূর্ব বলে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। ২০১৪-র আগে দেশ দুর্নীতি, কোটি কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি, স্বজনপোষণ, বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা এবং আঞ্চলিক বৈষম্যের মতো সমস্যার সম্মুখীন ছিল। “তোমাদের কাছে এই উদাহরণটি রাখছি কারণ তোমরা বুঝতে পারবে যে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েও চলতে হয়।” 

শ্রী মোদী বলেন, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অউর সবকা প্রয়াস’-এর মন্ত্রে সরকার আজ ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’, ‘জন ধন যোজনা’, ‘হর ঘর জল’ অভিযানের মতো বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প রূপায়ণ করছে। গত আট বছর ধরে সরকার দরিদ্র মানুষদের কল্যাণে এবং তাঁদের পরিষেবা প্রদানে সচেষ্ট রয়েছে। “পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমরা বিভিন্ন সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছি এবং দেশের দরিদ্র মানুষদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সচেষ্ট হয়েছি।”

শ্রী মোদী বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে সরকার দরিদ্র মানুষদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। বর্তমানে দরিদ্রতম ব্যক্তিও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে আস্থাশীল। এই আস্থা বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের সরকার এখন ১০০ শতাংশ ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার অভিযান শুরু করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত আট বছর ধরে ভারত যে উচ্চতায় পৌঁছেছে তা আগে কখনও কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আজ বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে ভারতের সুনাম বৃদ্ধি হয়েছে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে দেশের যুব সম্প্রদায়ের শক্তি ভারতকে চালিত করায় শ্রী মোদী সন্তোষ প্রকাশ করেন। “তোমাদের জীবনের স্বপ্ন পূরণের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করো, দেখবে তোমাদের কার্যসিদ্ধি হবেই।”

 

CG/CB/DM/



(Release ID: 1829679) Visitor Counter : 79