অর্থমন্ত্রক
উচ্চাকাঙ্খী ভারতের জন্য সমন্বিত উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষি ও অনুসারি ক্ষেত্র, কৃষক কল্যাণ এবং গ্রামাঞ্চলের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ৯টি প্রস্তাব
Posted On:
01 FEB 2021 1:45PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেট পেশের সময় কৃষি ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য ৯টি পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
মন্ত্রী সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে স্বামীত্ব প্রকল্প চালু করার প্রস্তাব দিয়েছেন। গ্রামাঞ্চলে সম্পত্তির মালিকানার বিষয়ে স্বচ্ছতা আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী স্বামীত্ব প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন। এর আওতায় গ্রামাঞ্চলে সম্পত্তির মালিক তাঁর সম্পত্তির অধিকারের বিষয়ে নিশ্চিত হবেন। এ পর্যন্ত ১ হাজার ২৪১টি গ্রামের ১.৮ লক্ষ সম্পত্তির মালিক এ সংক্রান্ত নথি পেয়েছেন।
কৃষি ক্ষেত্রে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে মূলধনের যোগানের ব্যবস্থা করতে ১৬.৫ লক্ষ কোটি টাকার সংস্থান করা হয়েছে। এর ফলে, কৃষকরা প্রয়োজনীয় মূলধন পাবেন। এই সুযোগ কৃষি কাজের পাশাপাশি পশু পালন, দুগ্ধ শিল্প এবং মৎস্যচাষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অর্থমন্ত্রী গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ ৩৩ শতাংশ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। এই তহবিলে ৩০ হাজার কোটি টাকার বদলে ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অতিক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পে ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিলের কথাও অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন।
কৃষি ও অনুসারি ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য অর্থমন্ত্রী অপারেশন গ্রিন স্কিমের কথা ঘোষণা করেছেন। বর্তমানে টোমাটো, পেঁয়াজ ও আলু এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত ছিল। এরপর, আরও ২২টি পচনশীল সামগ্রীকে এই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ১ হাজারটি সব্জি মান্ডিকে ই-ন্যামের আওতাভুক্ত করা হবে। ই-ন্যামের সাহায্যে ১.৬৮ কোটি জন কৃষক ১.১৪ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন করেছেন। কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণ কমিটিগুলির কৃষি পরিকাঠামো তহবিলের সুযোগ পাবে।
কোচি, চেন্নাই, বিশাখাপত্তনম, পারাদ্বীপ এবং পেটুয়াঘাট – এই ৫টি মৎস্য বন্দরের উন্নয়ন ঘটানো হবে। এছাড়াও, বিভিন্ন নদী ও জলপথে মৎস্য বন্দর গড়ে তোলার প্রস্তাব করা হয়েছে। উপকূলবর্তী অঞ্চলের নাগরিকদের জীবনযাত্রার উন্নতিতে তামিলনাডুতে বহুমুখী সামুদ্রিক শৈবাল পার্ক গড়ে তোলা হবে।
কৃষকদের কল্যাণে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ধান, গম এবং ডালশস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বিভিন্ন ফসলের কৃষি কাজে ব্যয় হওয়া অর্থের ন্যূনতম দেড় গুণ অর্থ সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার সবরকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে গমের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাবদ ব্যয় হয়েছিল ৩৩ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এই পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৫ হাজার ৬০ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৩৫ লক্ষ ৫৭ হাজার কৃষক উপকৃত হয়েছেন। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৪৩ লক্ষ ৩৬ হাজার কৃষক উপকৃত হয়েছেন। ধানের জন্য ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাবদ ৬৩ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। ডালশস্যের ক্ষেত্রে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাবদ ব্যয় হয়েছিল ৮ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা, সেখানে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। কার্পাস চাষীরাও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাবদ আগের তুলনায় অনেক বেশি লাভবান হচ্ছেন।
***
CG/CB/SB
(Release ID: 1694005)
Visitor Counter : 298
Read this release in:
Punjabi
,
English
,
Urdu
,
Marathi
,
Hindi
,
Assamese
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam