অর্থমন্ত্রক
আর্থিক সমীক্ষা ২০২০-২১-এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য : এক নজরে
Posted On:
29 JAN 2021 3:47PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৯ জানুয়ারি, ২০২১
কেন্দ্রীয় অর্থ তথা কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে ২০২০-২১-এর অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করেছেন। কোভিড যোদ্ধাদের উৎসর্গ করা ২০২০-২১-এর অর্থনৈতিক সমীক্ষার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য এক নজরে নিম্নরূপ :
. কোভিড-১৯ মহামারীর সূচনার সময় থেকে ভারত স্বল্পমেয়াদি ব্যবস্থা গ্রহণ করে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে সুবিধা প্রদানের জন্য জীবন-জীবিকার সুরক্ষায় অগ্রাধিকার দিয়েছে।
. সাধারণ মানুষের জীবন ফিরিয়ে আনা যায় না।
. মহামারীর দরুণ প্রভাবিত অস্থায়ী প্রত্যাঘাত থেকে জিডিপি বিকাশ পুনরুদ্ধার
. মানুষের জীবনরক্ষায় আগেভাগেই নেওয়া লকডাউন ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে এবং মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে জীবন-জীবিকা অক্ষুণ্ণ রাখা গেছে।
. ভারতের রণকৌশলগত আর্থিক গ্রাফকে আরও সুবিন্যস্ত করে সর্বাধিক খারাপ পরিস্থিতির সম্ভাবনাকে ২০২০-র সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
. সেপ্টেম্বরের পর থেকে ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে এবং আর্থিক কর্মকাণ্ডের গতি বেড়েছে।
. দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি-তে ৭.৫ শতাংশ অবনতি লক্ষ্য করা গেছে এবং প্রথম ত্রৈমাসিকেও জিডিপি-তে ২৩.৯ শতাংশ হ্রাস।
. কোভিড মহামারীর ফলে চাহিদা ও যোগান উভয় ক্ষেত্রই ক্ষতিগ্রস্ত।
. ভারতই একমাত্র রাষ্ট্র যেখানে মধ্যবর্তী মেয়াদে সরবরাহ আরও সুবিন্যস্ত করার জন্য কাঠামোগত সংস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল এবং উৎপাদনশীলতায় ক্ষতি এড়াতে মধ্যবর্তীকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।
. অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে এবং চাহিদা আরও বাড়াতে জাতীয় পরিকাঠামো পাইপলাইন সংক্রান্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল সরকারি বিনিয়োগ কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে।
. অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় প্রবাহ এড়ানো গেছে।
. কোভিড-১৯ মহামারী বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থায় নিম্নমুখী প্রবণতা নিয়ে এসেছে, বিশ্ব আর্থিক সঙ্কটের পর থেকে এটি সর্বাধিক কঠিন পরিস্থিতি।
. লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ববিধির প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করে দিয়েছে।
. ২০২০-তে বিশ্ব অর্থনীতির আউটপুট ৩.৫ শতাংশ কমেছে।
. পলিসি রেট হ্রাস এবং একাধিক সরল ব্যবস্থা গ্রহণের মতো আর্থিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকার এবং সারা বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি একাধিক সহায়ক পদক্ষেপ নিয়েছে।
. ভারত দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সংস্কার, অর্থনীতির অগ্রগতি ধরে রাখা প্রভৃতি ক্ষেত্রে চতুর্মুখী কৌশল গ্রহণ করেছে।
. পর্যাপ্ত নগদ যোগান এবং ঋণগ্রহীতাদের তৎক্ষণাৎ রেহাই দিতে একটি কার্যকরী আর্থিক নীতি।
. এনএসও-র আগাম পূর্বাভাস অনুযায়ী ভারতের জিডিপি ২০২১ অর্থবর্ষে ঋণাত্মক ৭.৭ শতাংশ বৃদ্ধি, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক ২৩.৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধির সম্ভাবনা।
. ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ভারতের প্রকৃত জিডিপি-তে বৃদ্ধি ১১ শতাংশ এবং নমিনাল জিডিপি-তে বৃদ্ধি ১৫.৪ শতাংশ, যা স্বাধীনতার পর সর্বোচ্চ।
. সরকারি সংগ্রহ এবং রপ্তানির ফলে অর্থনীতির অবগমন প্রতিহত করা গেছে। অন্যদিকে বিনিয়োগ এবং ব্যক্তিগত খরচের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে।
. সরকারি সংগ্রহের ফলে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় পর্বে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার হবে বলে মনে করা হচ্ছে এবং বাৎসরিক ভিত্তিতে বিকাশ হার দাঁড়াবে ১৭ শতাংশ।
. ২০২১ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় পর্বে রপ্তানির হার ৫.৮ শতাংশ এবং আমদানি ১১.৩ শতাংশ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
. ২০২১ অর্থবর্ষে দেশে জিডিপি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সারপ্লাস ২ শতাংশ দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে যা ১৭ বছর পর সর্বাধিক।
. ২০২১ অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতিতে কৃষিক্ষেত্র কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং বিকাশ হার দাঁড়াবে ৩.৪ শতাংশ।
. একইভাবে ২০২১ অর্থবর্ষে শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রের অগ্রগতির হার দাঁড়াবে ৯.৬ শতাংশ এবং ৮.৮ শতাংশ।
. ২০২০-২১ অর্থবর্ষে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের দিক থেকেও ভারত বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্য হয়ে থেকেছে।
. ২০২০-র নভেম্বরে এফপিআই প্রবাহের সর্বকালীন রেকর্ড ৯.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
. উদীয়মান অর্থনীতির বাজারগুলির মধ্যে ভারত একমাত্র দেশ যেখানে ২০২০-তে এফআইআই ইক্যুইটি ইনফ্লো অব্যাহত থেকেছে।
. খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির দরুণ প্রভাবিত হওয়ার পর সরবরাহ ক্ষেত্রে সিপিআই মুদ্রাস্ফীতিতে সাম্প্রতিক সময়ে নমনীয়তা লক্ষ্য করা গেছে।
. ২০২১ অর্থবর্ষের প্রথম পর্বে অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে জিডিপি-র ৩.১ শতাংশ হারে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সারপ্লাস নথিভুক্ত হয়েছে।
. বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় বৃদ্ধি পেয়েছে যা ২০২০-র ডিসেম্বরে আমদানি খাতে ১৮ মাসের খরচ মেটানোর জায়গায় পৌঁছেছে।
. বৈদেশিক ঋণের হার বেড়ে সেপ্টেম্বরের শেষে জিডিপি-র ২১.৬ শতাংশ।
. ভারত ছয়দিনের মধ্যে ১০ লক্ষ টিকাকরণ করেছে যা বিশ্বের অন্যতম দ্রুত এবং প্রতিবেশী দেশগুলির পাশাপাশি ব্রাজিলকেও টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে অগ্রণী দেশ হয়ে উঠেছে।
. মেগা টিকাকরণ অভিযানের মাধ্যমে অর্থনীতির অভ্যন্তরীণ পুনরুদ্ধার স্বাভাবিক হওয়ার জায়গায় ফিরে আসছে।
. আর্থিক অগ্রগতি ঋণ স্থিতিশীলতায় সাহায্য করবে কিন্তু ঋণ স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে আর্থিক অগ্রগতির হারের ভূমিকা থাকবে না।
. ভারতে ঋণের ওপর সুদের হার অগ্রগতির হারের তুলনায় কম।
. উচ্চহারে অগ্রগতি হয় এমন দেশগুলিতে আর্থিক বিকাশ হার ঋণ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করবে।
. অ্যাক্টিভ ফিসক্যাল পলিসি আর্থিক সংস্কারের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করবে, সেইসঙ্গে উৎপাদনশীলতার সম্ভাব্য নিম্নমুখী প্রবণতা সীমিত রাখবে।
. রাজস্ব নীতি অর্থনীতির বিকাশ হার ত্বরান্বিত করবে যার ফলে ঋণের হার কমবে এবং জিডিপি হার বাড়বে।
. সার্বভৌম ক্রেডিট রেটিং-এর ক্ষেত্রে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিকে কখনই বিনিয়োগ সংক্রান্ত গ্রেডের ক্ষেত্রে লোয়েস্ট রেটিং হিসেবে গণ্য করা হয়নি।
. ভারতের সার্বভৌম ক্রেডিট রেটিং তার মৌলিক বুনিয়াদগুলিকে প্রতিফলিত করে না।
. ভারতের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই, বিশেষ করে সার্বভৌম ক্রেডিটের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যর্থতা নেই।
. ভারতের রাজস্ব নীতি অবশ্যই গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'চিত্ত যেথা ভয়শূণ্য' মানসিকতাকে প্রতিফলিত করে।
. সার্বভৌম ক্রেডিট রেটিং পদ্ধতি আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর হবে এবং এগুলি অর্থনীতির বুনিয়াদি ভিত্তিকে আরও প্রতিফলিত করবে।
. অসমতা এবং আর্থ-সামাজিক পরিণাম, অন্যদিকে আর্থিক অগ্রগতি ও আর্থ-সামাজিক পরিণামের মধ্যে প্রকৃতপক্ষে যে সম্পর্ক উন্নত অর্থনীতিধর দেশগুলিতে দেখা যায়, ভারতে তা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
. অর্থনৈতিক বৃদ্ধির বড় প্রভাব রয়েছে অসমতা দূরীকরণের পরিবর্তে দারিদ্র্য দূরীকরণের ক্ষেত্রে।
. ভারত দরিদ্র মানুষকে দারিদ্র্য মুক্ত করতে আর্থিক বিকাশের ওপর অগ্রাধিকার দিয়ে যাবে।
. কোভিড-১৯ মহামারী স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ও তার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ক্ষেত্রগুলির গুরুত্বের দিকটি তুলে ধরেছে। এই মহামারী দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে একটি স্বাস্থ্য সঙ্কট অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
. ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে আরও বেশি সুদৃঢ় হতে হবে যাতে মহামারীর মতো পরিস্থিতি দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করা যায়।
. জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রি-ন্যাটাল / পোস্ট-ন্যাটাল পরিচর্যার ক্ষেত্রে এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
. আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
. সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে খরচ বৃদ্ধির পরিমাণ জিডিপি-র ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২.৫-৩ শতাংশ করা হলে তা সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত খরচ ৬৫-৩৫ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করবে।
. স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একটি নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
. ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রে আরও বেশি বিনিয়োগ করে টেলি-মেডিসিন পরিষেবার প্রসার ঘটানো যেতে পারে।
. বিশ্বব্যাপী আর্থিক সঙ্কটের সময় নিয়ন্ত্রণমূলক রেহাই ঋণ গ্রহীতাদের সাময়িক সঙ্কট থেকে সাহায্য করেছে।
. নিয়ন্ত্রণমূলক রেহাই ব্যবস্থা প্রত্যাহারের পর অবিলম্বে অ্যাসেট কোয়ালিটি রিভিউ করতে হবে।
. ঋণ পুনরুদ্ধারের জন্য একটি আইনি পরিকাঠামো ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে হবে।
. ২০০৭-এ বিশ্ব উদ্ভাবন সূচক শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২০-তে ভারত প্রথমবার বিশ্বের অগ্রণী ৫০টি উদ্ভাবনমূলক রাষ্ট্রের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
. উদ্ভাবন ক্ষেত্রে ভারতের প্রত্যাশা হবে বিশ্বের অগ্রণী ১০টি অর্থনীতির মধ্যে স্থান করে নেওয়া।
. সরকারি পর্যায়ে গবেষণা ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ ব্যয় বাড়াতে অবদান যথেষ্ট নয়, এমনকি বিশ্বের অগ্রণী ১০টি অর্থনীতির তুলনায় অনেক কম।
. গবেষণা ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে ভারতের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সংস্কার প্রয়োজন।
. প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (পিএম-জেএওয়াই) – সরকারের এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী কর্মসূচির উদ্দেশ্যই হল সমাজের সবথেকে অসুরক্ষিত শ্রেণীকে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা।
. এই কর্মসূচির আওতায় অত্যন্ত কম খরচে কোভিড মহামারী ও লকডাউনের সময় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।
. ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৯-২০ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে নবজাতক মৃত্যু হার ২০ শতাংশ এবং তিনটি নিকটবর্তী রাজ্যে ২৮ শতাংশ হারে কমেছে।
. পাঁচ বছরের কম বয়সী মৃত্যু হার পশ্চিমবঙ্গে ২০ শতাংশ। অন্যদিকে প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে ২৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
. গর্ভনিরোধক আধুনিক পদ্ধতি, মহিলাদের বন্ধ্যাত্বকরণ এবং গর্ভনিরোধক বড়ি ব্যবহার পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে যথাক্রমে ৩৬ শতাংশ, ২২ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে এই পরিবর্তন অত্যন্ত কম।
. পশ্চিমবঙ্গে দ্বৈত সন্তানের জন্মের মধ্যে দূরত্বে লক্ষ্যণীয় কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। অন্যদিকে প্রতিবেশী তিনটি রাজ্যে এই হার ৩৭ শতাংশ কমেছে।
. পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় প্রতিবেশী তিনটি রাজ্যে মা ও শিশুর পরিচর্যায় লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি ঘটেছে।
. পিএম-জেএওয়াই কর্মসূচি রূপায়ণে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি ঘটেছে।
. দেশের সমস্ত রাজ্যেই জীবনযাপনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনীয়তা ২০১২-র তুলনায় ২০১৮-তে অগ্রগতি হয়েছে।
. পশ্চিমবঙ্গ বাদে কেরল, পাঞ্জাব, হরিয়ানায় এক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি হয়েছে।
. জল, আবাসন, সাফাই, মাইক্রো-এনভায়রনমেন্ট ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধায় অগ্রগতি হয়েছে।
. গ্রাম ও শহরাঞ্চলের মধ্যে আন্তঃরাজ্য বৈষম্য হ্রাস পেয়েছে।
. স্বাস্থ্য সূচকে অগ্রগতি হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যু হার কমেছে। এমনকি শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতির ইঙ্গিত মিলেছে।
. কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব থেকে অর্থনীতির সুস্থায়ী পুনরুদ্ধারে ভারত একটি সুসংবদ্ধ প্রয়াস গ্রহণ করেছে।
. ২০২০-২১-এ ব্যয়বরাদ্দ নীতিতে প্রাথমিকভাবে অসুরক্ষিত শ্রেণীর মানুষের ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
. গত তিন মাস ধরে মাসিক জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ১ লক্ষ কোটি টাকার সীমা ছাড়িয়েছে। ২০২০-র ডিসেম্বরে সংগ্রহের পরিমাণ সর্বাধিক।
. কর প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে যাতে সৎ করদাতাদের মর্যাদা দেওয়া যায়।
. কোভিড-১৯ মহামারীর দরুণ বিশ্ব বাণিজ্যে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি হয়েছে। এমনকি ব্যক্তিগত খরচের পরিমাণও কমেছে।
. অন্যদিকে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয়ের পরিমাণ ২০২১-এর ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে সর্বকালীন রেকর্ড ৫৮৬.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা ১৮ মাস ধরে আমদানি বাবদ ব্যয়ের সমতুল।
. প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের ফলে মূলধনী অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
. ১৭ বছর পর ভারতে বার্ষিক কারেন্ট অ্যাকাউন্টের পরিমাণে বৃদ্ধি ঘটেছে।
. ভারতের পণ্যসামগ্রী বাণিজ্যের পরিমাণ ২০২০-র এপ্রিল-ডিসেম্বর সময়ে কমে ৫৭.৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
. ২০২০-র এপ্রিল-ডিসেম্বর সময়ে পণ্যসামগ্রীর রপ্তানি ১৫.৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২০০.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
. মোট পণ্যসামগ্রী আমদানির পরিমাণ ২০২০-র এপ্রিল-ডিসেম্বর সময়ে ২৯.১ শতাংশ কমেছে।
. আমদানি হ্রাস পাওয়ায় চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সমতায় উন্নতি হয়েছে।
. ২০২০-র সেপ্টেম্বরে ভারতের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৫৬.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের মার্চের শেষ সময়ের তুলনায় ২.০ বিলিয়ন হ্রাস পেয়েছে।
. ভারতের ঋণ পরিশোধে দুর্বলতা সূচকে অগ্রগতি ঘটেছে।
. বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে আরবিআই-এর পদক্ষেপের ফলে আর্থিক স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত হয়েছে এবং টাকার অবমূল্যায়ন প্রতিরোধ করা গেছে।
. রপ্তানি প্রসারে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, এজন্য উৎপাদন সংযুক্ত উৎসাহ ভাতা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
. পরিবহণ পরিকাঠামো ও ডিজিটাল পরিষেবার মান বাড়ানো হয়েছে।
. ২০২০-র মার্চ থেকে আর্থিক নীতি অনুযায়ী রেপো রেট ১১৫ বিপিএস হ্রাস করা হয়েছে।
. তফশীলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির মোট অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ ২০২০-র মার্চে ৮.২১ শতাংশ থেকে কমে ২০২০-র সেপ্টেম্বরে ৭.৪৯ শতাংশ হয়েছে।
. নিফটি-৫০ এবং বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ২০২১-এর ২০ জানুয়ারি রেকর্ড উচ্চতা যথাক্রমে ১৪,৬৬৪.৭ এবং ৪৯,৭৫২.১২ পয়েন্ট পৌঁছেছে।
. আইবিসি-র মাধ্যমে তফশীলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির ঋণ পুনরুদ্ধার হার বেড়ে ৪৫ শতাংশ হয়েছে।
. ২০২০-তে সিপিআই মুদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলে প্রভেদ আরও কমেছে।
. কোভিড-১৯ মহামারীর সময় অনিশ্চিত আর্থিক পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা এক সুরক্ষিত বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণক্ষেত্রকে বেছে নিয়েছে।
. সুস্থায়ী উন্নয়নের উদ্দেশ্যগুলি পূরণে এবং জলবায়ু পরিবর্তনগত প্রভাব মোকাবিলায় ভারত একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
. জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনার আওতায় জাতীয় স্তরে আটটি কর্মসূচির সূচনা হয়েছে।
. ভারতের ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন পদক্ষেপের অঙ্গ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে অর্থসম্পদকে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
. আন্তর্জাতিক সৌর জোটের পক্ষ থেকে আরও দুটি উদ্যোগের সূচনা হয়েছে। একটি হল ওয়ার্ল্ড সোলার ব্যাঙ্ক এবং 'এক সূর্য, এক বিশ্ব, এক গ্রিড'।
. ভারতের কৃষি ও সহযোগী ক্ষেত্র কোভিড-১৯ প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও তার নমনীয়তা দেখিয়েছে। ২০২০-২১-এ এই ক্ষেত্রে ৩.৪ শতাংশ অগ্রগতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
. দেশে মোট খাদ্যশস্যের উৎপাদন চতুর্থ আগাম হিসেব অনুযায়ী ২০১৮-১৯-এর তুলনায় ২০১৯-২০-তে বেড়ে ১১.৪৪ মিলিয়ন টন হবে।
. কৃষিক্ষেত্রে প্রকৃত ঋণ সহায়তার পরিমাণ ২০১৯-২০-তে ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার পরিবর্তে ১৩ লক্ষ ৯২ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকার বেশি হয়েছে।
. দুগ্ধ উৎপাদক সমবায় সমিতিগুলির ১.৫ কোটি গবাদি পশুপালককেও প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের অঙ্গ হিসেবে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল।
. ২০২১-এর জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত ৪৪,৬৭৩ কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে মৎস্যজীবীদের।
. প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার আওতায় ৫.৫ কোটি কৃষককে নিয়ে আসা হয়েছে।
. ২০২১-এর ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯০ হাজার কোটি টাকার দাবি-দাওয়া মেটানো হয়েছে।
. ৭০ লক্ষ কৃষক লাভবান হয়েছেন এবং ৮,৭৪১ কোটি টাকার বেশি দাবি-দাওয়া কোভিড-১৯ লকডাউনের সময় মেটানো হয়েছে।
. পিএম-কিষাণ কর্মসূচির আওতায় সপ্তম কিস্তিতে ২০২০-র ডিসেম্বরে ৯ কোটি কৃষক পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১৮ হাজার কোটি টাকা জমা করা হয়েছে।
. ২০১৯-২০-তে মাছ উৎপাদন সর্বকালীন রেকর্ড ১৪.১৬ মিলিয়ন মেট্রিক টনে পৌঁছেছে।
. খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পক্ষেত্রে বার্ষিক গড় অগ্রগতির হার প্রায় ৯.৯ শতাংশ। কৃষিক্ষেত্রে এই হার ৩.১২ শতাংশ।
. প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায় ৮০.৯৬ কোটি সুফলভোগীকে খাদ্যশস্য মেটানো হয়েছে ২০২০-র নভেম্বর পর্যন্ত।
. ৭৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২০০ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি খাদ্যশস্য বন্টন করা হয়েছে।
. আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের আওতায় গত মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত প্রায় ৮ কোটি প্রবাসী শ্রমিককে মাসিক ৫ কেজি করে রেশন দেওয়া হয়েছে। এই খাতে ভর্তুকি বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ৩,১০৯ কোটি টাকা।
. আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে ভারতের জিডিপি-র ১৫ শতাংশ হারে তহবিল সংস্থানের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
. সহজে ব্যবসা-বাণিজ্যের সূচকে ভারতের স্থান ২০১৯-এর তুলনায় ২০২০-তে ৬৩তম স্থানে পৌঁছেছে।
. ভারত ১০টি সূচকের মধ্যে সাতটিতেই অগ্রগতি করেছে।
. ২০২০ অর্থবর্ষে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৪৯.৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
. ২০২০-র সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বিনিয়োগের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
. আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচির আওতায় ১০টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উৎপাদন সংযুক্ত উৎসাহ ভাতার কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে।
. সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলি এর খরচ বহন করবে এবং ক্ষেত্র বিশেষ আর্থিক সহায়তার ঊর্ধ্বসীমা সহ মোট খরচ ধরা হয়েছে ১.৪৬ লক্ষ কোটি টাকা।
. ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম পর্বে ভারতের পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রায় ১৬ শতাংশ।
. আর্থিক ক্ষেত্রে বাধা-বিঘ্ন সত্ত্বেও ভারতের পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ২০২০-র এপ্রিল-সেপ্টেম্বর সময়ে বার্ষিক ৩৪ শতাংশ হারে বেড়েছে।
. পরিষেবা ক্ষেত্রে রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৮ শতাংশ।
. কোভিড-১৯ মহামারীর সময় ভারতীয় স্টার্ট-আপ ব্যবস্থায় লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি হয়েছে।
. ভারতের মহাকাশ ক্ষেত্রে গত ছয় দশকে অভাবনীয় অগ্রগতি ঘটেছে।
. ২০১৯-২০-তে মহাকাশ কর্মসূচিতে ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে।
. কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যয়ের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ২০১৯-২০-তে জিডিপি-র শতাংশের হিসেবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
. ২০১৯-এর মানবোন্নয়ন সূচকে ভারতের স্থান ১৮৯টি দেশের মধ্যে ১৩১-এ।
. জীবনকালের মেয়াদ ২০১৮-র ৬৯.৪ বছর থেকে বেড়ে ২০১৯-এ ৬৯.৭ বছর হয়েছে।
. আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনার মাধ্যমে সরকার কর্মসংস্থান বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। এই লক্ষ্যে বর্তমানে কার্যকর শ্রম আইনগুলিকে আরও যুক্তিসঙ্গত ও সরলীকরণ করে চারটি বিধিতে পরিণত করা হয়েছে।
. প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ প্যাকেজের আওতায় বয়স্ক ব্যক্তি, বিধবা ও বিশেষভাবে সক্ষম সুফলভোগীদের ১ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।
. প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার আওতায় মহিলা সুফলভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩ মাস মাসিক ৫০০ টাকা করে প্রায় ২০.৬৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
. তিন মাসে প্রায় ৮ কোটি পরিবারকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে।
. ৬৩ লক্ষ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য বন্ধকীমুক্ত ঋণের পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।
. মহাত্মা গান্ধী এনআরইজিএ-এর আওতায় মজুরির পরিমাণ ২০২০-র ১ এপ্রিল থেকে ১৮২ টাকা থেকে ২০ টাকা বাড়িয়ে ২০২ টাকা করা হয়েছে।
. কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন, সামাজিক দূরত্ববিধি, ভ্রমণ, পরামর্শ, বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস, মাস্কের ব্যবহারের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
. দেশ জরুরি ওষুধপত্র থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পিপিই কিট, ভেন্টিলেটর, কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার দিক থেকে আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছে।
. সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত দুটি টিকা প্রয়োগের মধ্য দিয়ে ২০২১-এর ১৬ জানুয়ারি থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ কোভিড-১৯ টিকাকরণের সূচনা হয়েছে।
***
CG/BD/DM
(Release ID: 1693451)
Visitor Counter : 14436
Read this release in:
Odia
,
Telugu
,
Malayalam
,
Tamil
,
English
,
Urdu
,
Hindi
,
Marathi
,
Assamese
,
Manipuri
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Kannada