প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

গুজরাটে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী


প্রত্যেককেই পরিবর্তনশীল সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে এবং বিশ্বের সেরা পন্থা-পদ্ধতিগুলিকে গ্রহণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

কৃষক কল্যাণে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ এবং কৃষকের উদ্বেগ নিরসনে আমাদের আশ্বাস অব্যাহত থাকবে : প্রধানমন্ত্রী

নতুন প্রজন্মের প্রযুক্তি এবং নতুন অর্থ-ব্যবস্থা উভয় ক্ষেত্রেই কচ্ছ কয়েক কদম এগিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

Posted On: 15 DEC 2020 3:22PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৫ ডিসেম্বর,  ২০২০

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ গুজরাটে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা করেছেন। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে – সমুদ্রের জল থেকে লবণ নিষ্কাশন প্রক্রিয়া, একটি অত্যাধুনিক পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি পার্ক এবং একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ ও প্যাকেজিং প্ল্যান্ট। এই উপলক্ষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেককেই পরিবর্তনশীল সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিশ্বের সেরা পন্থা-পদ্ধতিগুলিকে গ্রহণ করতে হবে। এই প্রেক্ষিতে তিনি কচ্ছে কৃষকদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। এখানকার কৃষকরা এখন বিদেশে ফলমূল রপ্তানি করছেন। তিনি বলেন, এ থেকেই আমাদের কৃষকদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও অদম্য জেদের প্রমাণ মেলে। তিনি আরও বলেন, গত দুই শতকে ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপের দরুণ গুজরাটে কৃষি, ডেয়ারি ও মৎস্য চাষ ক্ষেত্রে অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে। গুজরাটে কৃষকদের ক্ষমতায়ন হয়েছে এবং সমবায় সমিতিগুলির প্রসার ঘটেছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি ক্ষেত্রের সংস্কার সম্পর্কে কৃষকদের ভুল পথে চালিত করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে যে সংস্কারগুলি কার্যকর করা হয়েছে, তা বহু বছর ধরে কৃষক সংগঠন এমনকি বিরোধী দলগুলিও চেয়ে আসছিল। তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সর্বদাই কৃষক কল্যাণে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং ‘আমাদের কৃষক সমস্যা ও উদ্বেগ নিরসনে আশ্বাস অব্যাহত থাকবে’।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ কচ্ছ নতুন প্রজন্মের প্রযুক্তি ও নতুন ধারার অর্থ-ব্যবস্থায় কয়েক কদম এগিয়ে গেছে। খারিরাতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি পার্ক, মান্ডভিতে সমুদ্রের জল থেকে লবণ নিষ্কাশন ইউনিট এবং আঞ্জারের সারহাদ দেহরিতে নতুন অটোমেটিক প্ল্যান্টের শিলান্যাস হওয়ার ফলে সমগ্র কচ্ছ অঞ্চলের উন্নয়নের যাত্রাপথে এক নতুন মাইলফলক তৈরি হ’ল। শ্রী মোদী বলেন, এই উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা আদিবাসী, কৃষক, গবাদি পশুপালক এবং সাধারণ মানুষ গ্রহণ করতে পারবেন। তিনি বলেন, আজ কচ্ছ দেশের অন্যতম একটি দ্রুত বিকাশশীল এলাকা হয়ে উঠেছে। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে।

 

রাতে খাবারের সময় বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকার ব্যাপারে এক সময় গুজরাটের মানুষের যে ন্যূনতম চাহিদা ছিল, সেই সময়ের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান গুজরাটে অনেক কিছুই পাল্টেছে। এই রাজ্যের আজকের যুবসম্প্রদায় অতীতের সেই দিনগুলির অসুবিধা সম্পর্কে সচেতন নয়। প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করে বলেন, এক সময় কচ্ছের মানুষের মধ্যেও ইতিবাচক চিন্তাভাবনার উদয় হয়েছিল। এখন এখানকার মানুষ আর কাজের জন্য বাইরে যান না, বরং বাইরে যাঁরা গিয়েছেন, তাঁরা ফিরে আসুন – এটাই চাইছেন। কচ্ছে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে চার গুণ অগ্রগতি হয়েছে – সে সম্পর্কে গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সমীক্ষা চালানোর আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী।

 

গুজরাট সরকার গত দুই দশকে কৃষক কল্যাণে যে সমস্ত কর্মসূচি চালু করেছে, প্রধানমন্ত্রী তার প্রশংসা করে বলেন, এই রাজ্যটি এখন সৌরশক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে শক্তি ও জল নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, একটা সময় যখন কচ্ছে জলের সমস্যা সমাধানে নর্মদার জল পৌঁছে দেওয়ার কথা হ’ত, তখন অনেকেই এ সম্পর্কে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেছিলেন। এখন নর্মদা নদীর জল কচ্ছে পৌঁছেছে এবং কচ্ছের অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে।

***

 

 

CG/BD/SB


(Release ID: 1680816) Visitor Counter : 162