PIB Headquarters

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

Posted On: 09 NOV 2020 5:56PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৯ নভেম্বর,  ২০২০

 

ভারতে লাগাতার ৩৭ দিন আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা বেশি; সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের হার এবং দৈনিক ভিত্তিতে মৃত্যুর হারে নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে

দেশে পরপর দ্বিতীয় দিন, এমনকি গত ২৪ ঘন্টাতেও নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের নিচে রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় ৪৫,৯০৩ জন ব্যক্তি নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কোভিড আদর্শ আচরণ গড়ে তুলতে জন-আন্দোলনের সাফল্যের ভিত্তিতে নতুন করে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ নিম্নমুখী। আজ নিয়ে পরপর ৩৭ দিন আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা বেশিই রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৪৮,৪০৫ জন আরোগ্য লাভ করেছেন। আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় দেশে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে ৫.০৯ লক্ষ। ভারতে করোনায় আক্রান্তের কেবল ৫.৯৫ শতাংশই সুস্পষ্টভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে সুস্থতার হার ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে এই হার বেড়ে ৯২.৫৬ শতাংশে পৌঁছেছে। সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৩৭৩। সুস্থতার সংখ্যা এবং সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে ফারাক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ লক্ষ ৭ হাজার ৭০০-তে। নতুন করে করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় দেশে আক্রান্তের হার ক্রমশ কমছে। বর্তমানে দেশে আক্রান্তের হার আজ দাঁড়িয়েছে ৭.১৯ শতাংশে। সদ্য আরোগ্য লাভকারীদের ৭৯ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। মহারাষ্ট্র থেকে একদিনেই সর্বাধিক ৮,২৩২ জন আরোগ্য লাভ করেছেন। কেরল থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন ৬,৮৫৩ জন এবং দিল্লি থেকে ৬,০৬৯ জন। দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্তদের ৭৯ শতাংশ ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। দিল্লি থেকে একদিনেই সর্বাধিক ৭,৭৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্র থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৫৮৫ এবং কেরল থেকে এই সংখ্যা ৫,৪৪০। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাজনিত কারণে ৪৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হার ৫০০-র নিচে রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যে ৪৯০ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৮১ শতাংশই মারা গেছেন ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। মহারাষ্ট্র থেকে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক ১২৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। দিল্লি থেকে মারা গেছেন ৭৭ জন এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৫৯ জন।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671365  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

ডাঃ হর্ষবর্ধন ৯টি রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কোভিড-১৯ এবং জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে গৃহীত বিভিন্ন ব্যবস্থার পর্যালোচনা করেছেন

 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন আজ ৯টি রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী সহ মুখ্যসচিব/অতিরিক্ত মুখ্যসচিবদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এই রাজ্যগুলি হ’ল – অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং কেরল। এই রাজ্যগুলিতে বা কয়েকটি জেলায় অধিক সংখ্যায় করোনায় আক্রান্তের ঘটনা, দৈনিক-ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি, নমুনা পরীক্ষার হারে নিম্নগতি এবং উচ্চ হারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ডাঃ হর্ষবর্ধন বলেন, আমাদের সকলকে চলতি উৎসব মরশুমে এবং আগামী বছর মকর সংক্রান্তী পর্যন্ত অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671415  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

ডাঃ হর্ষবর্ধন ছত্তিশগড়ের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর জনআন্দোলনের রূপায়ণ নিয়ে আলোচনা করেছেন

 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন শনিবার ছত্তিশগড়ের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষা মন্ত্রী সরণ সিং দেও সহ জেলাশাসক ও পুর কমিশনারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। আসন্ন শীতের মরশুম এবং সুদীর্ঘ উৎসব মরশুমের সময় কোভিড-১৯ সংক্রমণের ভীতির প্রেক্ষিতে ডাঃ হর্ষবর্ধন বলেন, আগামী তিন মাস আমাদের সকলকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। রাজ্যে উচ্চ হারে আক্রান্তের ঘটনা অব্যাহত থাকায় ডাঃ হর্ষবর্ধন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাস্কের ব্যবহার, দৈহিক দূরত্ববিধি এবং বারবার হাত পরিষ্কার রাখার যে আবেদন জানিয়েছেন, তা প্রত্যেককেই অনুসরণ করতে হবে। 

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1670778  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

২০২০ সালের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নীতি নিয়ে ডাঃ হর্ষ বর্ধন প্রবাসী ভারতীয় বৈজ্ঞানিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন

কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত, ভূ-বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন নতুন দিল্লিতে শনিবার ২০২০ সালের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নীতি নিয়ে অত্যন্ত দক্ষ প্রবাসী ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেছেন। কেন্দ্রের মুখ্য বিজ্ঞান উপদেষ্টা অধ্যাপক কে. বিজয় রাঘবন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব অধ্যাপক আশুতোষ শর্মা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জৈব প্রযুক্তি নীতির পরামর্শদাতা ডঃ বিজয় চাউথাইওয়ালে, বিদেশ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব শ্রীমতী রেণু পাল সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এই বৈঠকে  উপস্থিত ছিলেন। ডাঃ হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে উদ্ভুত সঙ্কটে ভারত যুগান্তকারী নীতি প্রণয়নে উদ্যোগী হয়েছে। কোভিডের ফলে বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে। প্রবাসী ভারতীয় বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে  নতুন বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নীতির বিষয়ে তিনি পরামর্শ চেয়েছেন। মন্ত্রী জানিয়েছেন, সম্প্রতি বৈভব শীর্ষ সম্মেলনে ‘প্রবাস’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে, যার সাহায্যে সরকার সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করতে পারবে। ডাঃ হর্ষ বর্ধন বিদেশে বসবাসরত ভারতীয় বিজ্ঞানীদের বিপুল সম্ভাবনাকে এতদিন কাজে লাগানো হয়নি বলে উল্লেখ করেছেন। দেশের প্রযুক্তির উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে প্রবাসী ভারতীয় বিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলে তিনি জানিয়েছেন। ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি ও জৈব প্রযুক্তি শিল্পে বিপুল দক্ষ প্রবাসী  ভারতীয়রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভারত রত্ন অধ্যাপক সি.ভি. রামনের জন্মদিনে মন্ত্রী তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বিদেশে বসবাসরত ভারতীয়দের  সাহায্যে দেশের অর্থনৈতিক ও বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে গতি আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন, প্রবাসে বসবাসরত ভারতীয় বৈজ্ঞানিকেরা সব থেকে প্রাণবন্ত সম্প্রদায়। এদেশের উন্নয়নে তাঁদের ভূমিকা গ্রহণের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। এর মাধ্যমে শুধু দেশের উন্নতিই হবে না, সারা বিশ্ব এর ফলে উপকৃত হবে। ২০২০ সালের বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নীতিতে বিকেন্দ্রীকরণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এখানে তৃণমূল স্তর থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে উপরে উঠে আসা হবে।  

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671213  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের টেলিমেডিসিন পরিষেবা ই-সঞ্জিবনী ৭ লক্ষ পরামর্শ পূর্ণ করেছে

ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক, ই সঞ্জীবনী নামে যে জাতীয় টেলিমেডিসিন পরিষেবা চালু করেছিল,তাতে আজ পর্যন্ত ৭ লক্ষের বেশি মানুষকে পরামর্শ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মাত্র ১১ দিনে, শেষ এক লক্ষ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই ডিজিটাল পরিষেবা দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে চলেছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ, ই সঞ্জীবনীর মাধ্যমে পরামর্শ নিয়ে চলেছেন। বিশেষত ছোটো শহর এবং গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌছে দিতে এই ই সঞ্জীবনীর সূত্রপাত হয়। এই পরিষেবার দরুন চিকিৎসক এবং রুগি, উভয় পক্ষই বিশেষভাবে উপকৃত হয়,এই কারনে যে এর মাধ্যমে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়। সম্পূর্ণ পরিষেবা দেওয়া হয় ডিজিটাল মাধ্যমে। পাশাপাশি চিকিৎসককে নির্দিষ্ট কোনো অঞ্চলে গিয়ে, শুধুমাত্র সেই অঞ্চলের জন্য চিকিৎসার কাজে সীমাবদ্ধ থাকতে হয়না।বরং গোটা রাজ্যের বা একটা বড়ো  ভৌগলিক অঞ্চলের জন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ দিতে পারেন তিনি। ই সঞ্জীবনী পরিষেবার দ্বারা অসুস্থ ব্যক্তি চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ পান ভার্চুয়াল পদ্ধতির মাধ্যমে,যেখানে চিকিৎসক হয়তো পরামর্শ দিচ্ছেন, অন্য শহর থেকে। প্রতিটি পরামর্শ দেওয়ার পর ই-

প্রেশক্রিপসান পান অসুস্থ ব্যক্তি। এতেই যাবতীয় ওষুধ এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার কথা উল্লেখ করা থাকে। কেরালা এবং তামিলনাড়ুর মতন রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই ই প্রেশক্রিপসন গ্রাহ্য বলে সরকারি আদেশনামা জারি করা হয়েছে। গত কয়েকমাসে কর্নাটক সহ তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, কেরালা এবং উত্তরাখন্ড, হিমাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট মহারাষ্ট্র্র্রর মতন রাজ্যগুলিতে ইসঞ্জীবনী পরিষেবার চাহিদা তুঙ্গে উঠেছে। গোটা দেশজুড়ে এই পরিষেবার বিস্তৃতি বাড়াতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এবং মহালির সেন্টার ফর ডেভালাপমেন্ট অফ এডভান্স কম্পিউটিং একযোগে কাজ করছে।

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1670952  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

প্রধানমন্ত্রী বারাণসীতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বারাণসীতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আজ মোট ২২০ কোটি টাকার ১৬টি প্রকল্পের সূচনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বারাণসীতে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪টি প্রকল্পের কাজ চলছে। আজ যে প্রকল্পগুলির সূচনা হয়েছে, সেগুলি হ’ল – সারনাথের লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো, রামনগরে লালাবাহাদুর শাস্ত্রী হাসপাতালের মানোন্নয়ন, কয়েকটি পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্প, গোরক্ষা ও গো সংরক্ষণ পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন, বহুমুখী বীজ গুদামঘর, ১০০ মেট্রিক টন ক্ষমতাসম্পন্ন কৃষি পণ্যের গুদাম, দ্বিতীয় পর্যায়ের আইপিডিএস, সম্পূর্ণানন্দ স্টেডিয়ামের খেলোয়াড়দের জন্য আবাসন, বারাণসী শহরের রাস্তার আলো, ১০৫টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং ১০২টি গো-আশ্রয় কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষে জানিয়েছেন, বারাণসী শহর ও সংলগ্ন অঞ্চলের উন্নয়নে পর্যটন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি বলেছেন, বারাণসী শহর প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গঙ্গানদীর পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, সড়ক পরিকাঠামো, পর্যটন, বিদ্যুৎ, যুবসম্প্রদায়ের খেলাধুলো, কৃষক – সকলের জন্যই উন্নয়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় শহরের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বিভিন্ন ঘাটের সৌন্দর্যায়ন, সিএনজি ব্যবহারের মাধ্যমে দূষণ হ্রাস, দশাশ্বমেধ ঘাটে ট্যুরিস্ট প্লাজার মতো বিভিন পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে বলে শ্রী মোদী জানিয়েছেন। 

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671390  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

বারাণসীতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মূল অংশ

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671394  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

আইআইটি দিল্লি-র ৫১তম সমাবর্তনে বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আইআইটি থেকে সদ্য উত্তীর্ণ আই আই টি গ্র্যাজুয়েট ছাত্র ছাত্রীদের দেশের চাহিদাগুলি শনাক্ত করতে বলেছেন এবং পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষের চাহিদাগুলিকে চিহ্নিত করার  পরামর্শ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আজ আইআইটি দিল্লি-র ৫১ তম বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রেখেছেন।  এই সমাবর্তনে ২,০০০-এর বেশি আইআইটি ছাত্র ছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের যুব সম্প্রদায়, প্রযুক্তি বিশারদ এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোগ গড়ে তুলতে যাঁরা উৎসাহী তাঁদের জন্য আত্মনির্ভর ভারত অভিযান বিরাট একটি সুযোগ এনে দিয়েছে। তিনি বলেছেন আজ প্রযুক্তি বিশারদদের উদ্ভাবন এবং বিভিন্ন ধারণার বাস্তবায়নের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে, এর ফলে তাঁরা সহজেই তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রি বাজারজাত করতে পারবেন। তিনি বলেছেন, আজকের ভারত সহজে ব্যবসা করার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। যার মাধ্যমে ভারতের যুব সম্প্রদায় তাঁদের উদ্ভাবনের মাধ্যমে কোটি কোটি দেশবাসীর জীবনে পরিবর্তন নিয়ে আসবেন। “দেশ আপনাদেরকে সহজে ব্যবসা করার পরিবেশ দিচ্ছে,  যার মধ্য দিয়ে আপনারা এদেশের মানুষদের সহজ জীবনযাত্রা নিশ্চিত করবেন।” তিনি আরও ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে বর্তমানে বড় বড় সংস্কার বাস্তবায়িত হচ্ছে। উদ্ভাবন এবং নতুন উদ্যোগগুলির জন্য বিভিন্ন সুযোগের কথা তিনি তাঁর ভাষণে তুলে ধরেন যেগুলি সংস্কারের ফলেই সম্ভব হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ‘আদার সার্ভিস প্রোভাইডার’ (ওএসপি) নীতি নির্দেশিকার সরলীকরণ করা হয়েছে এবং বিভিন্ন বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে বিপিও শিল্প নানা বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি পেয়েছে। তিনি বলেছেন, ব্যাঙ্ক গ্যারান্টির মতো বিভিন্ন শর্ত থেকে বিপিও শিল্প এখন মুক্ত। যার ফলে  প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পে বাড়ি থেকে কাজ করা বা যে কোনো জায়গা থেকে কাজ করার মতো সুযোগ  তৈরি হয়েছে। দেশের তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্র আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগিতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে, যার মাধ্যমে যুব সম্প্রদায় নানা ধরণের  সুযোগ পাচ্ছেন।  

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1670929  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

 

আইআইটি দিল্লির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

বন্ধুগণ, এই করোনা সঙ্কটকালে গোটা বিশ্ব অনেক বড় পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছে। কোভিড-উত্তর বিশ্ব অনেক ভিন্ন হতে চলেছে। আর সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবে প্রযুক্তি। এক বছর আগে কেউ স্বপ্নেও ভাবেননি যে, সমস্ত মিটিং, পরীক্ষা, ভাইবা এমনকি সমাবর্তনেরও স্বরূপ এমন সম্পূর্ণভাবে বদলে যাবে। ‘ভার্চ্যুয়াল’ বাস্তবতা এবং ‘অগমেন্টেড’ বাস্তবতাই আজ ‘ওয়ার্কিং’ বাস্তবতার স্থান গ্রহণ করছে, ক্রমে আরও পরিবর্তিত হতে চলেছে। আপনারা হয়তো ভাবছেন, আপনাদের ব্যাচটি তেমন ভাগ্যবান না। আমি নিশ্চিত যে, আপনারা নিজেদের জিজ্ঞাসা করছেন – এসব কি আমাদের স্নাতক হওয়ার বছরের মধ্যেই হওয়ার ছিল? তবে, যদি একটু অন্যভাবে ভাবেন, আপনারা নিজেদের দ্রুত পরিবর্তন ও রূপান্তরণের সুবিধা পেয়েছেন। এখন আপনারা কাজের জায়গা এবং তার বাইরেও উদ্ভূত নতুন নিয়মগুলি শিখতে এবং খাপ খাইয়ে নিতে যথেষ্ট সময় পাবেন। সুতরাং, এই রূপান্তরণের আবহকে সর্বাধিক ব্যবহার করুন এবং এর উজ্জ্বল দিকটিও ভাবুন – তা হলেই বুঝতে পারবেন যে, আপনাদের ব্যাচটিও ভাগ্যবান। ক্যাম্পাসের শেষ বছরটি অতুলনীয়ভাবে উপভোগ করতে পেরেছেন। গত অক্টোবরে কী ছিল আর এই অক্টোবরে কিভাবে সবকিছু বদলে গেছে, তা দেখুন। আপনারা যদি ভালোবাসা নিয়ে ফিরে তাকান, পরীক্ষার আগে গ্রন্থাগার এবং পাঠকক্ষের সন্ধ্যা ও রাত্রিগুলি শিক্ষকদের লেকচারের মাঝে কফি ও মাফিন – এসব কিছুর স্মৃতি আপনাদের তাড়িয়ে বেড়াবে। আমাকে আরও বলা হয়েছে, আইআইটি দিল্লিতে প্রত্যেকেরই দু’ধরনের বন্ধু রয়েছেন। এক. কলেজের বন্ধুরা, আর দুই. হস্টেলে ভিডিও গেমস্ – এর বন্ধুরা। আপনারা নিশ্চয়ই উভয় প্রকৃতির বন্ধুদের মিস করবেন।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1670933  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

আইআইটি দিল্লির দীক্ষান্ত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মূল অংশ

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671394  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

প্রধানমন্ত্রী হাজিরায় রো-পাক্স টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আজ হাজিরায় রো-পাক্স টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন এবং গুজরাট ও হাজিরা ঘোঘা-র মধ্যে রো-পাক্স ফেরি পরিষেবার সূচনা করেছেন। তিনি স্থানীয় পরিষেবা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেছেন। এই অনুষ্ঠানে শ্রী মোদী জাহাজ চলাচল মন্ত্রকের নাম পরিবর্তন করে বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জল পরিবহণ মন্ত্রক রেখেছেন। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজ গুজরাটবাসী তাঁদের দীপাবলি উপহার পেলেন। এই উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সুফল সকলেই পাবেন। এর ফলে ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি হবে ও আরো দ্রুত যাতায়াত করা যাবে। হাজিরা এবং ঘোঘা-র মধ্যে রো-পাক্স পরিষেবার সূচনা হওয়ার ফলে সৌরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাটের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হলো। এর ফলে ১০ থেকে ১২ ঘন্টার পরিবর্তে তিন থেকে চার ঘন্টার মধ্যে যাতায়াত করা যাবে। এতে সময় এবং অর্থ দুইই বাঁচবে। শ্রী মোদী বলেছেন, ৮০,০০০ রেল যাত্রী ও ৩০,০০০ ট্রাক বছরে এই নতুন পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন। শ্রী মোদী আরও জানিয়েছেন, সৌরাষ্ট্র এবং সুরাটের মধ্যে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠার ফলে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনের মানোন্নয়ন হবে। তিনি আরও বলেছেন, ফল, শাকসব্জি এবং দুধ সহজেই পরিবহণ করা যাবে এবং দূষণের মাত্রা কমবে। যেসমস্ত ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মচারী চ্যালেঞ্জের মধ্যেও সাহসিকতার সঙ্গে এই পরিষেবা গড়ে তুলেছেন তিনি তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ভাবনগর ও সুরাটের মধ্যে নতুন এই জল পরিবহণের কারণে তিনি জনসাধারণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী গত দুই দশকে যেভাবে গুজরাট জাহাজ চলাচলের সম্ভাবনাগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে তার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, বন্দরমুখী উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে যা প্রতিটি গুজরাটির কাছে গর্বের বিষয়। রাজ্যের জাহাজ চলাচলকে উন্নত করার জন্য রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেছেন, জাহাজ নির্মাণ নীতি তৈরি করা হয়েছে এছাড়াও জাহাজ নির্মাণ পার্ক ও বিশেষ সুবিধা সম্পন্ন টার্মিনাল, জাহাজ চলাচল ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। তিনি বলেছেন, এই উদ্যোগগুলির ফলে বন্দর ক্ষেত্র নতুন দিশায় এগোচ্ছে। উপকূলবর্তী অঞ্চলের পরিকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি সমগ্র অঞ্চলের আধুনিকীকরণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে গুজরাট সমৃদ্ধির প্রবেশ পথে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেছেন, গত দু’ দশকের বেশি সময় ধরে সুসংহত বন্দর গড়ে তোলার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার ফলে গুজরাটে চিরাচরিত বন্দর ব্যবস্থাপনার পরিবর্তনে উন্নত ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করা হচ্ছে। এই উদ্যোগগুলির ফলে গুজরাট দেশের মধ্যে প্রধান সামুদ্রিক বাণিজ্যিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। গত বছর দেশের মোট সামুদ্রিক বাণিজ্যের ৪০ শতাংশের বেশি গুজরাটে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সামুদ্রিক বাণিজ্যিক সংক্রান্ত পরিকাঠামো এবং ক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ গুজরাটে পুরোদমে হচ্ছে। গুজারাট মেরিটাইম ক্লাস্টার, গুজরাট মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি এবং দেশের প্রথম সিএনজি টার্মিনাল ভাবনগরে গড়ে তোলা হচ্ছে। গিফট সিটিতে গুজরাট মেরিটাইম ক্লাস্টার পোর্টস্ গড়ে তোলার ফলে সমুদ্র ভিত্তিক লজিস্টিকের চাহিদা বন্দরগুলি মেটাতে পারছে। এই ক্লাস্টারগুলি সরকার, শিল্প ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়াচ্ছে এবং এই ক্ষেত্রে আরও সম্ভাবনা গড়ে তুলছে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671210  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

হাজিরাতে রো-প্যাক্স টার্মিনাল উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671328  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

শহরাঞ্চলে গতিময় যাতায়াতে উদীয়মান প্রবণতা শীর্ষক ত্রয়োদশ আর্বান মোবিলিটি ইন্ডিয়া সম্মেলনের সূচনা 

কেন্দ্রীয় আবাসন ও শহরাঞ্চল বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী বলেছেন, পরিবেশ-বান্ধব, সুসংবদ্ধ, স্বয়ংক্রিয় এবং চাহিদা অনুযায়ী ব্যক্তি-কেন্দ্রিক যাতায়াতের গতির বিষয়টি আগামীদিনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। নতুন প্রযুক্তি যেমন ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম এবং ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট বড় ও মাঝারি মানের শহরগুলিতে মোটরগাড়ির যাতায়াতে গতি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। শ্রী পুরী আজ এখানে শহরাঞ্চলে দ্রূত যাতায়াতের প্রবণতা শীর্ষক ত্রয়োদশ আর্বান মোবিলিটি ইন্ডিয়া সম্মেলনের সূচনা করে ভাষণ দিচ্ছিলেন। সম্মেলনে ফ্রান্সের ইকলোজিকাল ট্রানজিশন বিষয়ক মন্ত্রী মিঃ জোঁ বাপ্টিস্ট জাবারি, মন্ত্রকের সচিব শ্রী দুর্গাশঙ্কর মিশ্র, মেসার্স গেহল সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা অধ্যাপক জান গেহল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে শ্রী পুরী বলেন, চলতি কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে ভারতে শহরাঞ্চলীয় গতিশীলতায় এক আচার-আচরণগত পরিবর্তন আসতে চলেছে। এই পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের উদ্দেশ্য পূরণে শহরাঞ্চলের পরিবহণ ব্যবস্থায়  গতি আনতে সুযোগ এনে দিয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আত্মনির্ভর ভারত গঠনের লক্ষ্যে কোভিড চ্যালেঞ্জ পরিস্থিতিকে সুযোগে পরিণত করার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে, শহরাঞ্চলে পরিবহণে  গতি এলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি, আর্থিক ক্ষেত্রেও বড় প্রভাব ফেলবে। ভারতে খুব শীঘ্রই নতুন প্রজন্মের গতিশীল পরিবহণ ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে, যা শহরাঞ্চলীয় যাতায়াতে গতি আনতে পর্যাপ্ত বলে মনে করা হচ্ছে। 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671419  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

 

অরুণাচল প্রদেশে বিদ্যালয় পড়ুয়ারা খাদি নির্মিত ফেসমাস্ক ব্যবহার করবে

অরুণাচল প্রদেশে হাজার হাজার স্কুল পড়ুয়া কোভিড পরবর্তী সময়ে প্রথমবার স্কুলে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত খাদি নির্মিত ফেসমাস্ক পরে স্কুলে আসবে। খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশন রাজ্যে বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৬০ হাজার উচ্চ গুণমানসম্পন্ন খাদি কটন নির্মিত ফেসমাস্ক সরবরাহ করেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, রাজ্য সরকার আগামী ১৬ই নভেম্বর থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671399  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিশিষ্ট ডায়াবেটলজিস্ট ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, সঠিক খাদ্যাভাস রোগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়

 

বিশিষ্ট ডায়াবেটলজিস্ট এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, ডায়াবেটিক রোগাক্রান্তদের জন্য চিকিৎসকের দেওয়া যে ধরনের খাবার গ্রহণের পরামর্শ রয়েছে, তা সুস্থ-সবল মানুষ যদি অনুসরণ করেন, তা হলে রোগ নিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি কার্যকর হয়। রবিবার বিশ্ব ডায়াবেটিস সপ্তাহের প্রাক্কালে অ্যাসোসিয়েশন অফ ফিজিসিয়ানস অফ ইন্ডিয়া আয়োজিত ডিজিটাল আউটরিচ ফর নলেজ আপগ্রেডেশন – ডায়াবেটিস স্পেসিফিক নিউট্রিশন শীর্ষক বিষয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, কোভিড আমাদের প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নতুন নিয়ম-শৃঙ্খলা খুঁজে বের করার প্রয়োজনীয়তা দেখিয়েছে। তাই, এক্ষেত্রে ভারতীয় পরম্পরাগত চিকিৎসা পদ্ধতির বড় ভূমিকা রয়েছে। কোভিড পরবর্তী সময়েও দৈহিক দূরত্ববিধি এবং কোভিড আদর্শ-আচরণ মেনে চলার মতো বিষয়গুলি অন্যান্য সংক্রমণ থেকে আমাদের সুরক্ষা দেবে বলে ডঃ সিং অভিমত প্রকাশ করেন। 

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671314  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

ইএসআইসি-র অটল বীমিত ব্যাক্তি কল্যাণ যোজনার আওতায় হলফনামা দাখিলের মাধ্যমে দাবিদাওয়া জানানোর প্রয়োজনীয়তা নেই

কর্মচারী রাজ্য বীমা নিগমের গত ২০শে আগস্ট অনুষ্ঠিত বৈঠকে অটল বীমিত ব্যাক্তি কল্যাণ যোজনা-র মেয়াদ পয়লা জুলাই ২০২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নিগমের বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, কর্মসূচীর আওতায় সুযোগ সুবিধার বর্তমান হার গড় দৈনিক আয়ের ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে গড় দৈনিক আয়ের ৫০ শতাংশ করা হবে। এছাড়াও কর্মসূচীর দাবিদাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতার শর্তাবলীর মেয়াদ আরও শিথিল করে ২০২০-র ২৪ মার্চ থেকে ২০২০-র ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হচ্ছে। এর ফলে কোভিড-১৯ মহামারীর সময় যেসমস্ত শ্রমিক কর্মচারী কর্মহীন থেকেছেন তাঁরা সুবিধে পাবেন।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671306  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

২০২১-এর হজ যাত্রার জন্য মুক্তার আব্বাস নাকভির নীতি নির্দেশিকা ঘোষণা

 কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্র শ্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি ২০২১ সালের হজ যাত্রার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদনপত্র গ্রহণ আজ থেকে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন। মুম্বাইয়ের হজ হাউজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা মহামারীর কারণে এবার পদ্ধতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। মন্ত্রী ২০২১-এর হজ যাত্রার জন্য হিন্দি, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় নীতি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছেন।  শ্রী নাকভি জানিয়েছেন, করোনা মহামারীর কারণে ২০২১ সালের হজ যাত্রায় জাতীয় ও আন্তর্জিতিক নিয়মাবলী কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১০ই ডিসেম্বর। অনলাইন ছাড়াও অফলাইনে এবং হজ মোবাইল অ্যাপেও এই দরখাস্ত জমা দেওয়া যাবে। শ্রী নাকভি জানিয়েছেন, ২০২১-এর জুন, জুলাই মাসে হজ যাত্রার প্রক্রিয়া চলবে এবং সৌদিআরব ও ভারত সরকারের করোনা মহামারীর কারণে গৃহীত  সব নীতি নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। সৌদিআরব সরকার করোনা পরিস্থিতির কারণে হজ যাত্রার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়মের পরিবর্তন করেছে। এর মধ্যে হজ যাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা, তারা কতদিন থাকবেন এবং স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরিকাঠামোর বিষয়গুলিও রয়েছে। হজ যাত্রীদের যাত্রা শুরুর ৭২ ঘন্টা আগে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। সৌদি আরবে যাওয়ার আগে প্রত্যেক হজ যাত্রীকে পিসিআর-এর মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। শ্রী নাকভি আরও জানিয়েছেন, এয়ার ইন্ডিয়া এবং অন্যান্য সংস্থাগুলি থেকে তথ্য সংগ্রহের পর ২০২১ সালে ১০টি জায়গা থেকে হজ যাত্রীরা সৌদিআরব যেতে পারবেন। এর আগে ২১টি জায়গা থেকে হজ যাত্রা শুরু করা যেতো। 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1670956  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

 

পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য 

 

• মহারাষ্ট্র : রাজ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্তের হারে নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। চলতি নভেম্বরে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের গড় হার ৮.৩৫ শতাংশ। অক্টোবরে আক্রান্তের গড় হার ছিল ১৫ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে এই হার দাঁড়ায় ২৪ শতাংশ। 

 

• গুজরাট : রাজ্যে রবিবার আরও ১ হাজার ২০ জনের নতুন করে আক্রান্তের খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৭৮৮ জনের। 

 

• রাজস্থান : রাজ্যে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু হার উভয়ই সামান্য হ্রাস পেয়েছে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যে ১২ হাজার ৪৪৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। 

 

• মধ্যপ্রদেশ : রাজ্যে প্রায় ১ মাস ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার পর গত দু’দিনে আক্রান্তের ঘটনায় নিম্নমুখী ধারা লক্ষ্য করা গেছে। রবিবার রাজ্যে ৮৯১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ছাড়িয়েছে।

 

• ছত্তিশগড় : রাজ্যের একজন স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, রবিবার আরও ১ হাজার ৩৭৫ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ৭৬ হাজারেরও বেশি।

 

• কেরল : রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগে কোভিড পরিষেবা ই-সঞ্জিবনী ব্যবস্থার মাধ্যমে পাওয়া যাবে। তিনি আরও জানান, কোভিড পরবর্তী সময়েও ই-সঞ্জিবনী প্ল্যাটফর্মে চিকিৎসা পরিষেবা অব্যাহত থাকবে। 

 

• তামিলনাডু : কোভিড-১৯ সংক্রমণ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান ব্যবস্থার ওপর অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখানোয় রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আধিকারিকরা বলেছেন, কোভিড-১৯ রোগীরা সিটি স্ক্যান পদ্ধতিতে ভরসা রাখার ফলে কোভিড-১৯ চিকিৎসা পরিষেবা এমনকি নমুনা পরীক্ষায় বিলম্ব হচ্ছে। এদিকে মাদুরায় সরকারি হাসপাতালে ৪ জন চিকিৎসক ও নার্স পুনরায় করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।

 

• কর্ণাটক : চিত্রাদুর্গ কোভিড-১৯ টিকা সংরক্ষণ কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে। এখানে ১০ লক্ষ টিকার ডোজ একত্রিত করে রাখা যাবে। এদিকে রাজ্যের একাধিক জায়গায় কোভিড সংক্রমণের হার ধীরে ধীরে কমছে। কোভিড নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে গ্রামস্তরীয় টাস্কফোর্স নিরন্তর কাজ করে চলেছে। 

 

• অন্ধ্রপ্রদেশ : সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মূল্যায়নে রাজ্য সরকার দ্বিতীয়বার সেরোলজিকাল সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে। প্রথম পর্যায়ে সেরোলজিকাল সমীক্ষায় রাজ্যের ১৯.৭ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাস দমনকারী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছিল বলে জানা যায়। এদিকে রাজ্য সরকার করোনা সেনানীদের জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে চলেছে।

 

• তেলেঙ্গানা : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৮৫৭ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি। করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩৮১ জনের। এদিকে রাজ্য সরকার নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে অপ্রতুলতা দূর করতে তেলেঙ্গানা ডায়াগনোস্টিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। হায়দরাবাদ মেট্রো পরিষেবা কোভিড পরবর্তী সময়ে চালু হওয়ার পর যাত্রী সংখ্যা দৈনিক বাড়ছে।

 

• আসাম : রাজ্যে রবিবার আরও ১৫২ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ১ হাজারেরও বেশি। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৫১২ এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৪৩ জনের। 

 

 

CG/BD/SB



(Release ID: 1671575) Visitor Counter : 204