PIB Headquarters

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

Posted On: 28 OCT 2020 6:20PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৮ অক্টোবর, ২০২০

 

 

প্রতি ১০ লক্ষে সর্বনিম্ন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে ভারত অন্যান্য দেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে; সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের হার লাগাতার নিম্নমুখী

কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সুনির্দিষ্ট রণকৌশল ও অতিসক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ভারতে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্য়ায় আক্রান্তের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বাপেক্ষা কম। সারা বিশ্বে  প্রতি ১০ লক্ষে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে ৫৫৫২ সেখানে ভারতের আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭৯০। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায় আক্রান্তের সংখ্যা তুলনায় অনেক বেশি। ভারতে প্রতি ১০ লক্ষে করোনা জনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ৮৭। অন্যদিকে, সারা বিশ্বে গড় এই হার ১৪৮। কোভিড – ১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় ভারতের অতিসক্রিয় মনোভাব ও কার্যকর রণকৌশল গ্রহণের দরুণ গত কয়েক মাসে আশাব্যঞ্জক পরিণাম মিলেছে। মোট নমুনা পরীক্ষার দিক থেকে ভারত, অন্যান্য দেশের তুলনায় তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে।  দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ১০ লক্ষ ৬৬ হাজার ৭৮৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ কোটি ৫৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬৮০। সময় মতো নমুনা পরীক্ষা, রোগীদের আগাম চিহ্নিতকরণ ও কার্যকর চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের ফলে মৃত্যুহার ক্রমশ কমছে। ভারতে, করোনা জনিত কারণে মৃত্যুহার কমে ১.৫০ শতাংশ হয়েছে। ভারতে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। বর্তমানে মোট আক্রান্তের তুলনায় এই সংখ্যা কেবল ৭.৬৪ শতাংশ। দেশ এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৭২ লক্ষ ৬০ হাজার ব্যক্তি। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৪৩ হাজার ৮৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে সুস্থ হয়েছেন, ৫৮,৪৩৯ জন। সদ্য আরোগ্য লাভকারীদের ৭৭ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। নতুন করে করোনায় আক্রান্তদের ৭৯ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। এই রাজ্যগুলির মধ্য পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাজনিক কারণে ৫০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭৯ শতাংশই মারা গেছেন ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। মহারাষ্ট্র থেকে সর্বাধিক ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1668067  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের টেলিমেডিসিন পরিষেবা ই-সঞ্জিবনীর মাধ্যমে টেলিফোনে ৬ লক্ষ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের টেলিমেডিসিন উদ্যোগ౼ ই-সঞ্জিবনীর মাধ্যমে ৬ লক্ষ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১৫ দিনে এই পরিষেবার মাধ্যমে ১ লক্ষ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ উদ্যোগে এক্ষেত্রে গতি এসেছে বলা চলে। তামিলনাড়ু, কেরালা এবং গুজরাটের মতো রাজ্যে সপ্তাহের প্রতিদিনই ১২ ঘন্টা করে ই-সঞ্জিবনীর বর্হিবিভাগে কাজকর্ম হচ্ছে। স্পষ্টতই চিকিৎসক এবং রোগীরা এটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। ২৭টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ই-সঞ্জিবনী ব্যবহার করা যায়। ৬ হাজারের বেশি চিকিৎসক অনলাইনের মাধ্যমে এই পরিষেবা দিয়ে থাকেন। রাজ্যগুলি ছোট ছোট শহর এবং গ্রামাঞ্চলে ই-সঞ্জিবনীর মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শের ব্যবস্থা করছে। বর্তমানে দৈনিক ৮ হাজার ৫০০ পরামর্শ এই ব্যবস্থায় দেওয়া হচ্ছে।  দেশে কোভিড-১৯এর কারণে প্রথম লকডাউনের সময় ১৩ই এপ্রিল ইসঞ্জিবনী ব্যবস্থা চালু হয়। কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ‘হাব অ্যান্ড স্পোক’ পদ্ধতিতে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই পরিষেবার ব্যবস্থা করা হবে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1668071  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

শ্রী পীযূষ গোয়েল পর্যাপ্ত পরিমাণে ও সুলভ মূল্যে কোভিড-১৯ টিকা ও ওষুধের সময় মতো সরবরাহ তথা সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে তা পৌঁছে দেওয়া সুনিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন

 

কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল পর্যাপ্ত পরিমাণে ও সুলভ মূল্যে কোভিড-১৯ টিকা ও ওষুধের সময় মতো সরবরাহ তথা সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে তা পৌঁছে দেওয়া সুনিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠনের সদস্য দেশগুলির মন্ত্রী পর্যায়ের এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে গতকাল শ্রী গোয়েল বলেন, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা ট্রিপস্‌ মাশুল প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে, যাতে যে সমস্ত দেশ ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ ও টিকা পৌঁছে দেওয়া যায়। তিনি সকল সদস্য দেশের প্রতি এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানানোর আহ্বান জানান। শ্রী গোয়েল আরও বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী বিশ্ব অর্থনীতি ও বাণিজ্য ব্যবস্থায় যে সহজাত দুর্বলতা ও অপ্রতুলতাগুলি রয়েছে, তা সুস্পষ্টভাবে আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে। তাই, এখন সময় এসেছে, অবিলম্বে চ্যালেঞ্জগুলি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা এবং বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় যে অসামঞ্জস্য রয়েছে, তা দূর করতে এক দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রস্তুত করার। 

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1667937  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

দুর্নীতি বিরোধী এবং সতর্কতার উপর জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুর্নীতি বিরোধী ও সতর্কতার উপর আয়োজিত একটি  জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন। এই সম্মেলনের মূল ভাবনা হল, “সতর্ক ভারত, সমৃদ্ধ ভারত”। কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সতর্কতার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে জনজীবনের ইতিবাচক প্রভাব এবং সংহতির ক্ষেত্রে ভারতের অঙ্গীকারকে এই অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হচ্ছে। সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ ভারত এবং দেশের প্রশাসনিক ব্য়বস্থাকে গড়ে তোলার অন্যতম কারিগর সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল। দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি দেশের মানুষের জন্য এমন কিছু ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যেখানে সংহতির উপর ভিত্তি করে নীতিগুলি তৈরি হয়েছিল। শ্রী মোদী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, দশকের পর দশক ধরে এমন একটা পরিস্থিতি চলছিল, যেখানে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে, শেল কোম্পানী গড়ে উঠেছে,  কর ফাঁকি এবং কর সংক্রান্ত হেনস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০১৪ সালে দেশ যখন বড় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং নতুন দিশায় চলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল, তখন প্রচলিত পরিবেশের পরিবর্তন ঘটানোটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও কালো টাকার বিরুদ্ধে কমিটি তৈরি করা যাচ্ছিল না। এই সরকার ক্ষমতায় আসার ঠিক পরে পরেই কমিটি তৈরি করা হয়। যার মধ্য দিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের দায়বদ্ধতা প্রতিফলিত হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে ব্যাঙ্কিং, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম, কৃষি ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশ নানা সংস্কার দেখেছে। তিনি বলেছেন, এই সংস্কারগুলির উপর ভিত্তি করে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানকে সফল করার জন্য দেশ পূর্ণ শক্তিতে এগিয়ে চলেছে। ভারত, বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলির মধ্যে অন্যতম হওয়ার লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে, সেই স্বপ্নই তিনি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেছেন।  প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ প্রশাসনিক ব্যবস্থা  জনসাধারণের কাছে উত্তর দিতে বাধ্য হবে। এই ধারণার সব থেকে বড় শত্রু হল যে কোনো ধরণের দুর্নীতি। তিনি বলেছেন, একদিকে যেমন দেশের উন্নতি, দুর্নীতির কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়, অন্যদিকে সামাজিক ভারসাম্য ধ্বংস করে এবং প্রচলিত ব্যবস্থার ওপর মানুষ বিশ্বাস হারায়। আর তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর দায়িত্বটা একটি মাত্র সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের উপর বর্তায় না, এটি যৌথ উদ্যোগের ফল হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেছেন, এককভাবে দুর্নীতির মোকাবিলা করা যায় না। শ্রী মোদী বলেছেন, যখন দেশকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তখন সতর্কতার প্রভাব অত্যন্ত ব্যাপক হয়ে দাঁড়ায়। দুর্নীতি, আর্থিক অপরাধ, ড্রাগ চক্র, অর্থ তছরুপ, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গি গোষ্ঠীকে সাহায্য করা – দেখা গেছে এগুলি সবই পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1667946  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

সতর্কতা ও দুর্নীতি দমন নিয়ে জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী ভাষণ

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1667904  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

ডাঃ হর্ষবর্ধন বায়োমেডিকেল বর্জ্যের ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদী সমাধানসূত্রের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন

কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন বায়োমেডিকেল বর্জ্যের ব্যবস্থাপ্নার জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে মহামারীর মতো পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর চাপ কমবে। সম্প্রতি এক ওয়েবিনারে তাঁর বার্তা পাঠ করে শোনানো হয়। ডাঃ হর্ষবর্ধন আরও বলেন, বায়োমেডিকেল বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। এজন্য বায়োমেডিকেল বর্জ্যের নিরাপদ উপায়ে বিনাশের জন্য ইতিমধ্যেই যে সমস্ত নীতি-নির্দেশকা রয়েছে, তা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। উচ্চ পর্যায়ের এই ওয়েবিনারের মূল বিষয় ছিল কোভিড-১৯ এর সময় তরল বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার ভবিষ্যৎ : আগামী পরিকল্পনা কি? ইন্ডিয়া ওয়াটার ফাউন্ডেশন এবং রাষ্ট্রসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির যৌথ উদ্যোগে এই ওয়েবিনার আয়োজিত হয়। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর এই ওয়েবিনার আয়োজনে সহযোগিতা করে। ওয়েবিনারে তরল বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার ভবিষ্যৎ এবং বায়োমেডিকেল বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই ওয়েবিনারের মূল উদ্দেশ্য ছিল কোভিড-১৯ সহ পরিবেশ ও সমাজের ওপর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক উপলব্ধি করে তার স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা। চলতি বছরের গোড়ায় কোভিড-১৯ মহামারীর অযাচিত আগমনের ফলে স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে এবং সারা বিশ্ব জুড়ে প্রতিটি সামাজিক ক্ষেত্র প্রভাবিত হয়েছে। এমনকি, এওর প্রভাব পড়েছে বর্জ্য জল ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রের ওপরও। সব ধরনের বায়োমেডিকেল বর্জ্যের মধ্যে তরল বর্জ্য মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিপদ। কারণ, তরল বর্জ্য সহজেই মাটিতে মিশে গিয়ে ভূগর্ভস্থ জল এমনকি পানীয় জলের উৎসগুলিকেও দূষিত করতে পারে। তাই, তরল বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার ও নিরাপদ উপায়ে বিনাশ সম্ভব না হলে তা সমগ্র মানবজাতির কাছে সমূহ বিপদের কারণ হয়ে উঠবে। 

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1668143  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

 

পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য 

 

• কেরল : রাজ্য উচ্চ শিক্ষা পর্ষদ কোভিড-১৯ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কম্প্যুটার ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলির পরীক্ষা গ্রহণের একটি প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। প্রায় ৭ মাস বন্ধ থাকার পর রাজ্যের পানশালাগুলি আগামী সপ্তাহে খুলতে চলেছে। এদিকে রাজ্যে মঙ্গলবার আরও ৫ হাজার ৪৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে।

 

• তামিলনাডু : মে মাস থেকে এই প্রথম চেন্নাইয়ে মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০-র নীচে নেমে এসেছে। এদিকে শহরের রাজীব গান্ধী সরকারি জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাজনিত কারণে কোনও মৃত্যু ঘটেনি। কোয়েম্বাটোরে করোনায় সংক্রমণের হার কমে ৬.২ শতাংশ এবং মৃত্যু হার কমে ১.২৮ শতাংশ হয়েছে।

 

• কর্ণাটক : ব্যাঙ্গালোর পুর কর্তৃপক্ষ মাস্কের ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা সুনিশ্চিত করতে ওয়ার্ড, জোন, ডিভিশন এবং সদর কার্যালয় স্তরে ৪টি কমিটি গঠন করেছে। এ নিয়ে পর পর দু’দিন উৎসবের দরুণ রাজ্যে কোভিড নমুনা পরিক্ষার সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এদিকে কর্ণাটক বিধান পরিষদের ৪টি আসনে কোভিড নীতি-নির্দেশিকা মেনে ভোট গ্রহণ উরু হয়েছে।

 

• অন্ধ্রপ্রদেশ : তিরুপতির জাতীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় যে অনলাইন সার্টিফিকেট কোর্স শুরু করেছে, তাতে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া মিলেছে। এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশ-তেলেঙ্গানার মধ্যে নিয়মিত বাস পরিষেবা অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে। মঙ্গলবার দুই রাজ্যের সড়ক পরিবহণ নিগমের আধিকারিকদের মধ্যে যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা বাতিল হয়েছে। 

 

• তেলেঙ্গানা : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১ হাজার ৪৮১ জনের সংক্রমিত হওয়ার এবং ৪ জনের করোনায় মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর ফলে, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩১৯ জনের। রাজ্যে সুস্থতার হার ৯১.৭৮ শতাংশ। প্রথম রাজ্য হিসাবে তেলেঙ্গানা শস্য ঋণ বাবদ ২৭ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা পরিশোধ মকুব করে দিয়েছে।

 

• মহারাষ্ট্র : মুম্বাইয়ের ২৪টি প্রশাসনিক ওয়ার্ডের সবকটিতেই কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময় বেড়ে ১০০ দিনের বেশি হয়েছে। মুম্বাইয়ের পাশাপাশি, রাজ্যের বাকি অংশেও করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। রাজ্যে মঙ্গলবার আরও ৫ হাজার ৩৬৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। 

 

• গুজরাট : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৯৮২ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে পরপর ৩ দিন আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজারের নীচে রয়েছে। মঙ্গলবার আরও ৫ জনের মৃত্যু হওয়ায় করোনাজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৬৯৮ হয়েছে। 

 

• রাজস্থান : রাজ্য শিক্ষা দপ্তর আগামী দোসরা নভেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে স্কুলগুলি খোলার প্রস্তাব দিয়েছে। প্রথম পর্যায়ে উচ্চতর শ্রেণীগুলির ক্লাস শুরু হবে। এদিকে রাজ্যে মঙ্গলবার আরও ১ হাজার ৭৯৬ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। 

 

• মধ্যপ্রদেশ : রাজ্যে ৩ মাসে এই প্রথম মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০-র নীচে নেমে এসেছে। এদিকে রাজ্যে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৩৫৩। 

 

• ছত্তিশগড় : কোভিড-১৯ মহামারী থেকে গত অগাস্ট মাস পর্যন্ত নিজেকে প্রভাব মুক্ত করে রাখতে পারলেও এখন রাজ্যে সংক্রমণের বিস্ফোরণ ঘটতে চলেছে। অগাস্ট পর্যন্ত সংক্রমণের হার নগণ্য থাকলেও আলোচ্য মাসের শেষ দিক থেকে দ্রুত হারে সংক্রমণ বেড়েছে। এদিকে রাজ্যে মঙ্গলবার আরও ২ হাজার ৪৬ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। 

 

• গোয়া : রাজ্য মন্ত্রিসভা কোভিড-১৯ নীতি-নির্দেশিকা মেনে আগামী পয়লা নভেম্বর থেকে ক্যাসিনোগুলি খোলার অনুমতি দিয়েছে। গত মার্চ মাসে কোভিড-১৯ মহামারী সংক্রমণ সময় থেকে ক্যাসিনোগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে, ক্যাসিনোগুলি খুললেও সেখানে মোট বসার আসনের ৫০ শতাংশ ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

 

• আসাম : রাজ্যে আরও ৪০৩ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৯১৪ জনের।

 

• মণিপুর : রাজ্যে আরও ৬ জনের মৃত্যু হওয়ায় করোনাজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫০ হয়েছে। বর্তমানে সুস্থতার হার বেড়ে ৭৫ শতাংশ হয়েছে।

 

• মেঘালয় : রাজ্যে বর্তমানে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৪১১। সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৬৪৩ জন। 

 

• মিজোরাম : রাজ্যে মঙ্গলবার আরও ৮০ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৬০৭ হয়েছে। রাজ্যে আজ কোভিডজনিত কারণে প্রথম মৃত্যুর খবর মিলেছে। 

 

• নাগাল্যান্ড : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী, ১৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে নাগাল্যান্ডও রয়েছে, যেখানে মঙ্গলবার পর্যন্ত কোভিড-১৯ জনিত কারণে মৃত্যু হার ১ শতাংশের কম। 

 

 

CG/BD/SB


(Release ID: 1668267) Visitor Counter : 236