PIB Headquarters

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

Posted On: 23 OCT 2020 6:10PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৩ অক্টোবর, ২০২০

 

 

ভারতে সাফল্যের আরও একটি মাইলফলক; ২ মাস পর প্রথমবার সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষের নীচে; ২৪টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারেরও কম

ভারত করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্যের আরও একটি মাইলফলক অর্জন করেছে। দু’মাস (৬৩ দিন) পর প্রথমবার দেশে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষের নীচে নেমেছে। গত ২২শে অগাস্ট সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ লক্ষ ৯৭ হাজার ৩৩০। দেশে আজ সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫০৯, যা মোট আক্রান্তের কেবল ৮.৯৬ শতাংশ।দৈনিক-ভিত্তিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সুস্থতার সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় মৃত্যু হার ক্রমশ কমছে। একইভাবে, আক্রান্তের সংখ্যাও লাগাতার নিম্নমুখী। ভারতে সুস্থতার সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ার দরুণ এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৭০ লক্ষ (৬৯ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪৯৭)। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এবং আরোগ্য লাভের সংখ্যার মধ্যে ফারাক ক্রমশ বেড়ে আজ এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৮৮-তে। সুস্থতার সংখ্যা আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৭৩ হাজার ৯৭৯ জন আরোগ্য লাভ করেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৩৬৬ জন। জাতীয় স্তরে সুস্থতার হার আরও বেড়ে হয়েছে ৮৯.৫৩ শতাংশ। সারা দেশে চিকিৎসা পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ, কেন্দ্রীয় সরকারের আদর্শ চিকিৎসা রণকৌশল রূপায়ণ এবং চিকিৎসক সহ করোনা যুদ্ধে অগ্রভাগে থাকা কর্মীদের আন্তরিকতা ও অঙ্গীকারের ফলে সুস্থতার হার ক্রমশ বাড়ছে এবং মৃত্যু হার ক্রমশ কমছে। আজ এই মৃত্যু হার আরও কমে হয়েছে ১.৫১ শতাংশ। ২৪টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারেরও কম। সদ্য আরোগ্য লাভকারীদের ৮১ শতাংশই ১০টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। মহারাষ্ট্র থেকে ১ দিনেই সর্বাধিক ১৬ হাজারেরও বেশি রোগী আরোগ্য লাভ করেছে। কর্ণাটক থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজারেরও বেশি ব্যক্তি।দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৫৪ হাজার ৩৬৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৮ শতাংশই আক্রান্ত হয়েছেন ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। মহারাষ্ট্র ও কেরল থেকে সর্বাধিক ৭ হাজারেরও বেশি নতুন করে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাজনিত কারণে ৬৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৮১ শতাংশই মারা গেছেন ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। মহারাষ্ট্র থেকে সর্বাধিক ১৯৮ জনের খবর মিলেছে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1666961  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

ভারতে ১০ কোটি নমুনা পরীক্ষার মাইলফলক অর্জিত; নয়দিনে ১ কোটি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে; কেবল গত ২৪ ঘন্টাতেই প্রায় ১৪.৫ লক্ষ কোভিড নমুনা পরীক্ষা

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে ভারত অপ্রত্যাশিত অগ্রগতি করেছে। দেশে আজ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১০ কোটির মাইলফলক ছাড়িয়ে ১০ কোটি ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৫ হয়েছে। আরও একটি সাফল্য হিসেবে দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ লক্ষ ৪২ হাজার ৭২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ভারতের নমুনা পরীক্ষার ক্ষমত কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়ে পরীক্ষাগারের সংখ্যা প্রায় ২ হাজারে পৌঁছেছে। দৈনিক ভিত্তিতে ১৫ লক্ষের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি, রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সহায়তায় এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে। দেশে নমুনা পরীক্ষাগারের পরিকাঠামোয় ইতিবাচক সম্প্রসারণের ফলে দৈনিক নমুনা পরীক্ষার হার ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ১,৯৮৯টি নমুনা পরীক্ষাগারে নিরন্তর কাজ চলছে। ধারাবাহিকভাবে অধিক সংখ্যায় নমুনা পরীক্ষার ফলে জাতীয় স্তরে আক্রান্তের হার ক্রমশ নিম্নমুখী। এ থেকেই প্রমাণিত হয় যে, সংক্রমণের হার কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে। দেশে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ায় আক্রান্তের হার ক্রমশ কমছে। আজ পর্যন্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জাতীয় স্তরে আক্রান্তের হার ৭.৭৫ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারের 'টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রেস, ট্রিট' এবং প্রযুক্তিগত রণকৌশলের সফল রূপায়ণের ফলে জাতীয় স্তরে এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে। অবশ্য এই সাফল্যের সঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির পারস্পরিক সমন্বয় বড় ভূমিকা পালন করছে। দৈনিক ভিত্তিতে অধিক সংখ্যায় নমুনা পরীক্ষার ফলে আক্রান্তদের দ্রুত চিহ্নিতকরণ, তাঁদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান এবং প্রয়োজন ভিত্তিতে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করার ফলে হাসপাতালগুলির ওপর রোগীদের চাপ কমছে। পক্ষান্তরে, করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হারও হ্রাস পাচ্ছে। দেশে গত নয়দিনে ১ কোটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ১৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নমুনা পরীক্ষার হার জাতীয় গড়ের তুলনায় বেশি। 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1666966  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

ডঃ হর্ষ বর্ধন উত্তরপ্রদেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রস্তুতি এবং কোভিড আদর্শ আচরণ সম্পর্কিত ব্যবস্থাগুলি পর্যালোচনা করেছেন

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন উত্তরপ্রদেশে কোভিড-১৯ প্রস্তুতি এবং কোভিড আদর্শ আচরণ মেনে চলার ব্যাপারে গৃহীত উদ্যোগগুলি আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক বৈঠকে পর্যালোচনা করেছেন। এই বৈঠকে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা-শিক্ষামন্ত্রীরা ছাড়াও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের শুরুতে ডঃ হর্ষ বর্ধন কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কোভিড যোদ্ধাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি জানান, গত তিন মাসে দেশে কোভিড মোকাবিলা ও নিয়ন্ত্রণের মাপকাঠিতে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি ঘটেছে। একদিকেই ৯৫ হাজারের বেশি আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড সংখ্যা থেকে ধীরে ধীরে আক্রান্তের সংখ্যা দৈনিক ভিত্তিতে কমে এখন ৫৫ হাজারের কম হয়েছে। দেশে সুস্থতার হারও প্রায় ৯০ শতাংশ।  এমনকি, করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হারও ক্রমশ নিম্নমুখী। বর্তমানে এই হার ১.৫১ শতাংশ, যা ধার্য লক্ষ্যমাত্রা ১ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশ সঠিক পথেই অগ্রসর হচ্ছে বলে মন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি আরও জানান, দেশে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষের কম এবং আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময় বেড়ে হয়েছে ৯৭.২২। দেশে মাত্র একটি নমুনা পরীক্ষাগার নিয়ে যে কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছিল, আজ সেই সংখ্যা প্রায় ২ হাজারে পৌঁছেছে। এমনকি, মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১০ কোটি ছুঁয়েছে। "তাই, এথেকে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত মেলে যে, আমরা কোভিড মোকাবিলায় সঠিক পথেই অগ্রসর হচ্ছি" বলে ডঃ হর্ষ বর্ধন জানান।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1667042  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

ডাঃ হর্ষ বর্ধন তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিতভাবে এসটিআইপি ২০২০ প্রণয়ন করার জন্য রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীদের সঙ্গে বিশদ আলোচনা করেছেন

কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ভূ বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন রাজ্যগুলিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী নীতি (এসটিআইপি) ২০২০ গঠনের মহড়ায় যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন।তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিতভাবে এসটিআইপি ২০২০ প্রণয়নের জন্য এ কথা জানিয়েছেন তিনি। ডাঃ হর্ষ বর্ধন এসটিআইপি -২০২০ বিষয়ে পরামর্শ প্রদান নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠকে  রাজ্যের  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় একথা জানান।  প্রস্তাবিত এসটিআই নীতির বিষয়ে সমস্ত রাজ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীদের সঙ্গে  এই প্রথম বৈঠকে  যোগ দেন তিনি। অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানিয়ে ডাঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, এই এসটিআই নীতিতে সকল রাজ্যের সমান অংশগ্রহণ থাকা প্রয়োজন।  তিনি বলেন, "এই নীতিটি আমাদের বৈজ্ঞানিক বাস্তুতন্ত্রকে পুনরায় জোরদার করে তুলবে"।তিনি আরো বলেন  সমাজ এবং অর্থনীতির বিকাশে এই নীতি বিশেষ সাহায্য করবে।  তিনি বলেন বর্তমান মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে দেশে এই এসটিআই নীতির বিকাশ তাৎপর্যপূর্ণ।এর মাধ্যমে যুক্ত রাষ্ট্রীয়  পরিকাঠামোর আদর্শের ভিত্তিতে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বিত সম্পর্ক অর্জন করা সম্ভব ।তিনি বলেন কেন্দ্র-রাজ্যের সহযোগিতায় সত্যিকারের আত্মনির্ভর ভারত গড়ে উঠবে।  এই প্রসঙ্গে ডাঃ হর্ষ বর্ধন উল্লেখ করেন যে এসটিআইপি ২০২০-তে রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীদের সঙ্গে  পরামর্শ কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির মধ্যে বৃহত্তর সমন্বয় গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি মাইলফলক।  

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1666813  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

প্রধানমন্ত্রী গুজরাটে ২৪শে অক্টোবর তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটে ২৪শে অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। তিনি গুজরাটে কৃষকদের জন্য ‘কিষাণ সূর্যদয় যোজনা’-র সূচনা করবেন, ইউএন মেহেতা ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ কেয়ার সেন্টারে শিশুদের হৃদরোগের চিকিৎসার হাসপাতাল ও আমেদাবাদে সিভিল হসপিটালে টেলি কার্ডিওলজি মোবাইল অ্যাপ-এর উদ্বোধন করবেন। শ্রী মোদী গিরনারে রোপওয়েরও উদ্বোধন করবেন। কিষাণ সূর্যোদয় যোজনাঃ- গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় রূপানির নেতৃত্বে রাজ্য সরকার, কৃষকরা যাতে দিনের বেলাতেও সেচের কাজ করতে পারেন তার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। এই প্রকল্পটির নাম কিষাণ সূর্যোদয় যোজনা। এই প্রকল্পে ফলে কৃষকরা ভোর ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সেচের জন্য বিদ্যুৎ পাবেন। রাজ্য সরকার এই প্রকল্পে বিদ্যুৎবন্টন সহ অন্যান্য পরিকাঠামোর জন্য ৩,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। পুরো প্রকল্পের কাজ ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ হবে। ৩৪৯০ সার্কিট কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই প্রকল্পে ২২০ কিলোভোল্ট সাবস্টেশন বসানো হবে। ২০২০-২১ সালের মধ্যে দাহোড়, পাটন, মাহিসাগর, পাঁচমহল, ছোটা উদেপুর, খেড়া, তাপি, ভালসাদ, আনন্দ এবং গির-সোমনাথ এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হবে। রাজ্যের বাকি জেলাগুলি ২০২২-২৩ সালের মধ্যে যুক্ত হবে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1666873  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

নতুন দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ আয়ুর্বেদে ন্যাশনাল মেডিসিনাল প্ল্যান্টস্‌ বোর্ডের রিজিওনাল র ড্রাগ রিপোজিটরি কেন্দ্রের উদ্বোধন

 

কেন্দ্রীয় আয়ুষ প্রতিমন্ত্রী শ্রী শ্রীপাদ যশো নায়েক বৃহস্পতিবার ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে নতুন দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ আয়ুর্বেদে রিজিওনাল র ড্রাগ রিপোজিটরি কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন। এটি ন্যাশনাল মেডিসিনাল প্ল্যান্টস্‌ বোর্ডের এ ধরনের দ্বিতীয় কেন্দ্র, যেটি গঙ্গা অববাহিকা অঞ্চলে ভেষজ গাছগাছড়া ও তা থেকে প্রাপ্ত আয়ুর্বেদ পদ্ধতিতে উপশমের বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করবে। সারা বিশ্ব জুড়ে প্রাকৃতিক উপায়ে উপশম এবং ভেষজ সামগ্রীর চাহিদা বাড়ছে। বর্তমান কোভিড এই চাহিদাকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তুলসী, কালমেঘ, মুলেথি প্রভৃতি ভেষজ উপাদান সমৃদ্ধ গাছগাছড়ার চাহিদা বাড়ছে। 

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1666814  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

অরুণাচল প্রদেশে ইএসআই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে

কেন্দ্রের ইএসআই প্রকল্পে আরও বেশি কর্মচারীকে যুক্ত করার অব্যাহত উদ্যোগের অঙ্গ হিসাবে অরুণাচল প্রদেশে প্রথমবার এই কর্মসূচি পয়লা নভেম্বর থেকে চালু হবে। কেন্দ্র এই মর্মে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তাতে পাপুম পারে জেলা এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হবে। পাপুম পারে জেলার যেসব কারখানায় ১০ জন বা তার বেশি কর্মচারী কাজ করেন, তাঁরা সকলে ১৯৪৮ সালের ইএসআই আইনের আওতায় আসবেন। শ্রম সুবিধা পোর্টালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে এর জন্য কোনও আলাদা কাগজ জমা দিতে হবে না। যেসব কর্মচারী মাসে ২১ হাজার টাকা বেতন পান এবং যেসব ভিন্নভাবে সক্ষম কর্মচারী মাসে ২৫ হাজার টাকা বেতন পান, তাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন। এর ফলে, এইসব কর্মচারীরা নগদহীন চিকিৎসা পরিষেবা, মহিলাদের ক্ষেত্রে মাতৃত্বকালীন সুবিধা, কর্মরত অবস্থায় কেউ আহত হলে তার জন্য বিশেষ সুবিধা, আহত কর্মচারীর মৃত্যু হলে তাঁর আয়ের ওপর নির্ভরশীলের জন্য বিশেষ সুবিধা, কাজ হারালে সেক্ষেত্রে আলাদা সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে। ইটানগরে একটি নতুন ডিসপেনসারি কাম ব্রাঞ্চ অফিস খোলা হবে – যেখানে সুবিধাভোগীরা চিকিৎসা সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা পাবেন। 

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1667020  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

নৌ-সেনা প্রধান সমুদ্রে বাহিনীর অভিযান প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন

 

নৌ-সেনা প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং বৃহস্পতিবার ভারতীয় নৌ-বাহিনীর অভিযান পরিচালনাগত প্রস্তুতি এবং যে কোনও সময় যুদ্ধে সামিল হওয়ার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখেছে। নৌ-সেনা প্রধান জওয়ানদের উদ্দেশে বলেন, কোভিড-১৯ জনিত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সেনা জওয়ানরা নিজেদের প্রস্তুত রেখেছেন এবং যে কোনও ধরনের অভিযানে সামিল হতে নিজেদের মানসিকতাকে তুঙ্গে রেখেছেন। তিনি অপারেশন সমুদ্র সেতু অভিযানে নৌ-বাহিনীর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারে এই অভিযান অত্যন্ত সফল হয়েছে। 

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1666853  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

 

 

পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য 

 

• কেরল : রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী নবরাত্রি উৎসবের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়িতে থেকেই এবং সবরকম কোভিড আদর্শ আচরণ মেনে উদযাপন করার জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানান। রাজ্যে সংক্রমিত এলাকাগুলিতে প্রকাশ্য স্থানে কোনও পূজার্চনার অনুমতি দেওয়া হয়নি। 

 

• তামিলনাডু : কোভিড-১৯ মহামারীর দরুণ গত মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়া শহরতলীর ড্রেন পরিষেবা পুনরায় শুরু করার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রেল মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। 

 

• কর্ণাটক : রাজ্যে আগামী ১৭ই নভেম্বর থেকে কলেজগুলি খুললেও ছাত্রছাত্রীদের আসার বিষয়টি সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, কোভিড-১৯ জনিত কারণে মৃত্যু হার অক্টোবর মাসে গত ৪ মাসের তুলনায় ১ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে। এদিকে হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়ে বলেছে, প্রকাশ্য স্থানে মাস্ক ব্যবহার না করলে এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে না চলছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

 

• অন্ধ্রপ্রদেশ : রাজ্যে করোনায় সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৫.১৩ শতাংশ। এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত যাবতীয় সুরক্ষা বিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য ১০ দিনের বিশেষ সচেতনতামূলক অভিযান সফল করে তুলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

 

• তেলেঙ্গানা : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১ হাজার ৪২১ জনের সংক্রমিত হওয়ার এবং ৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর ফলে, রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে। করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৯৮ জনের। রাজ্যে মোট করোনায় আক্রান্ত কেবল ৮.৮ শতাংশই সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্ত।

 

• অরুণাচল প্রদেশ : রাজ্যে আরও ১ জনের মৃত্যু হওয়ায় করোনাজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ হয়েছে। রাজ্যে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৬৩৮। 

 

• আসাম : রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের হার ক্রমশ কমছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৩ হাজারের কিছু বেশি। সুস্থ হয়েছেন ৮৭.৩৯ শতাংশ রোগী এবং সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের হার ১২.১৬ শতাংশ। 

 

• মণিপুর : রাজ্য সরকার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নতুন আদর্শ কার্যপরিচালন বিধি কার্যকর করতে চলেছে। এদিকে রাজ্যে আরও ৩ জনের করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। 

 

• মেঘালয় : রাজ্যে আরও ৩০৭ জন করোনা থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৯৮১ জন। 

 

• মিজোরাম : আসামের সঙ্গে রাজ্যের যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। জনআন্দোলন অভিযানের আওতায় বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর কোভিড-১৯ শপথ গ্রহণ কর্মসূচির আয়োজন করছে। 

 

• নাগাল্যান্ড : রাজ্যে আরও ১৫৭ জনের নতুন করে সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ২৯৬ হয়েছে। 

 

• মহারাষ্ট্র : রাজ্যে পরপর ৫ দিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারেরও নীচে রয়েছে। বৃহস্পতিবার ৭ হাজার ৫৩৯ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমে ১ লক্ষ ৫১ হাজার হয়েছে। 

 

• গুজরাট : রাজ্য সরকার জেলা প্রশাসনকে তাদের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকায় স্বাস্থ্য কর্মীদের সংখ্যা নিরূপণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। শূন্য পদগুলি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পূরণ করার জন্য এই সিদ্ধান্ত। 

 

• রাজস্থান : রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার কমছে। বৃহস্পতিবার ২ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৩৪১ জন।

 

• মধ্যপ্রদেশ : আনলক ৫ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে রাজ্যে সমস্ত সরকারি কার্যালয়ে সব শ্রেণীর কর্মীরাই এবার কাজে যোগ দিতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কেবল আধিকারিকদের জন্যই ১০০ শতাংশ উপস্থিতির নির্দেশিকা ছিল। তবে, অফিসে আসার ক্ষেত্রে সমস্ত কর্মচারীর জন্য মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

 

• ছত্তিশগড় : কোভিড হাসপাতালগুলিকে মেডিকেল অক্সিজেনের সময় মতো যোগান ও সরবরাহ অব্যাহত রাখতে রাজ্য সরকার সমস্ত মেডিকেল কলেজ ও ১৭টি জেলা হাসপাতালে অক্সিজেন উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যেই এই অক্সিজেন কেন্দ্রগুলি গড়ে তোলা হবে। রাজ্যে আজ পর্যন্ত সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ২৩৮। 

 

 

CG/BD/SB


(Release ID: 1667168) Visitor Counter : 240